Monday, July 19, 2021

টোকাই যখন মাফিয়া ... পর্র--৫.. RAJA Bhuiya. (মি. 440)

মাফিয়া সিরিজ 



# টোকাই যখন মাফিয়া কিং 

# RAJA Bhuiyan (মি.440)

# পর্ব: ৫  (শেষ পর্ব) 


.............



রকির এমন কথা শুনে নাহিদ ভয় পেয়ে যেয়ে রকির পা জড়িয়ে ধরে বলে --- ভাই আমি আপনাকে চিনতে পারি নি, আমার ভুল হয়ে গিয়েছে প্লিজ ভাই আমাকে মাফ করে দেন। (নাহিদ)




• রকি তার জলন্ত সিগারেট টা নাহিদের ডান হাতে চেপে ধরে। নাহিদ ভয়ে ও ব্যাথায় জোরে চিৎকার দিয়ে উঠে । এটা দেখে রকি ঠোঁটের কোনে হাসির ঝলক রেখে বলতে থাকে -- কি রে কেমন লাগে জলন্ত আগুনের ছেঁকা। আমাকে মারা এতো সহজ না, আমি তকে আজ মারবো না কারণ মশা মেরে হাত কালো করার কোনো প্রশ্নই আসে না। দুইটা স্টীক আর পাঁচ ছয়টা ছেলে নিয়ে বখাটেদের মতো মাস্তানী করা যায় কিন্তু মাফিয়া কিং হওয়া যায় না। মাফিয়া কিং হতে হলে বখাটে নয় মাইন্ড গেম খেলতে হবে। মাফিয়া জগৎ টাই এমন হয় মরো নয়তো শত্রুকে মারো,, এখানে যে যত বেশি ভালো করে মাইন্ড গেম খেলতে পারবে সে ততক্ষণ বেঁচে থাকতে পারবে। নাহিদ তুই আমাকে চিনবি কিভাবে আমি তো কখনো নিজের আসল পরিচয় নিয়ে মানুষের সামনে আসি না। তকে আজ মাফ করে দিবো তবে তুই গরীবদের  দেখতে পারিস না এই জন্য ছোট একটা শাস্তির ব্যবস্থা আছে। (রকি)





• ভাই আমি আপনার সম্পর্কে প্রকাশিত নোবেল থেকে জেনেছি আপনি অনেক ভয়ানক, আপনার চোখের ইশারায় মানুষের গলা পড়ে যায়, প্লিজ ভাই আমাকে প্রাণে মারবেন না আমি আপনার সব শাস্তি মানতে রাজি আছি। (নাহিদ)





• রকি হাতটা সামনের দিকে বাড়ায় একটা ছেলে রকির হাতে স্টীক টা দেয়। রকি স্টীক টা হাতে  নিয়ে, নিচে পরে থাকা নাহিদের ডান পায়ে একটা জোরে বারি মারে। নাহিদ জোরে চিৎকার করে কিন্তু নাহিদ কে বাঁচাতে কেউ সামনে আসে না। রকি হাসতে হাসতে বলে -- কি রে স্টীকের বারি কেমন লাগে। (রকি)





• ভাই আমাকে আর মারবেন না। আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে, আমার দ্বারা এমন ভুল আর কখনো হবে না। আমাকে ছেড়ে দেন প্লিজ আমি কারো সাথে আর এমন করবো না। (নাহিদ)





• রকি নাহিদ কে আর কিছু না বলে আবিরের কাছে যেয়ে বলে -- আবির তুই এমন ভয় পেয়ে আছিস কেনো। (রকি)





• আবির ভয়কাতর চেহারা নিয়ে করুন কন্ঠে বলে -- ভাই আমিও আপনাকে চিনতে পারি নি,, আপনার সাথে না বুঝে কত কিছু বলে ফেলেছি আমাকে মাফ করবেন প্লিজ। (আবির)





• আবির তুই আমার বন্ধু, ভার্সিটিতে এসে প্রথম তর সাথেই বন্ধুত্ব করেছি। তর মধ্যে ভালো গুন রয়েছে যা ভার্সিটির কারো মধ্যে নেই। আমার আসল পরিচয় টা আরো আগেই তকে বলতাম কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে সেটা আর বলা হয় নি। আজ আমাকে যেতে হবে তর সাথে আবার দেখা হবে। (রকি)





 রকি কথাটা বলে ব্ল্যাক কালারের গাড়ি তে যেয়ে বসে। ক্যাম্পাসের কম বেশি সবারই রকির প্রতি ভয় সৃষ্টি হয়েছে। রকি গাড়ি টা স্টার্ট দেয় মোবাইলে একটা কল আসে মোবাইলের স্ক্রিনে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে 'সাদ্দাম' রকি মুচকি হেসে মোবাইল টা কানে লাগায়। ফোনের ঐই পাশ থেকে সাদ্দাম গম্ভীর গলায় বলতে থাকে..... 





• রকি আজকে তুমি আমার সাথে দেখে করবে সেটাও আবার রাতে। (সাদ্দাম)




• রকি একটু ভাবে যে সাদ্দাম ভাই তো কখনো ফোন দিয়ে দেখা করার জন্য ডাকে না, তাহলে আজ কি হলো,, রকি সাদ্দাম কে জিজ্ঞেস করে -- সাদ্দাম ভাই আপনি তো কখনো ফোন দিয়ে দেখা করার জন্য আমাকে ডাকেন না তাহলে আজ হঠাৎ এমন করে নিয়ম ভাঙার কারণ কি?? (রকি)





• ফোনের ঐই পাশ থেকে সাদ্দাম হাসতে হাসতে বলে -- রকি আজ তুমার আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন,, আজ আমাদের দেখা করা টা বেশি জরুরী তাই ফোন দিয়েই ডাকলাম তুমাকে। (সাদ্দাম)





• রকি হালকা অবাক হয় কারণ সাদ্দাম আজ রহস্যময় কথা বলছে যা রকি নিজেও ব্যাখা করতে পারছে না তাই সে জিজ্ঞেস করে -- সাদ্দাম ভাই আজ আপনি এমন রহস্যময় কথা বলছেন কেন, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন মানে বুঝতে পারছি না। (রকি)





• হাহহাহাহাহা,,, সব সময় দেখে আসছি তুমি রহস্যময় কথা বলো যার ব্যাখা আমি নিজেও করতে পারি না। আজ না হয়  আমি রহস্যময় কথা বললাম তুমি তার ব্যাখা বের করে চলে আসো। (সাদ্দাম)





• কোথায় দেখা করতে হবে। (রকি)





• সেই আগের জায়গায় যেখানে থাকবে না কোনো তৃতীয় ব্যাক্তির আগমন,, কথা হবে তুমার আর আমার চলে এসো,, তুমার জন্য সারপ্রাইজ আছে যা তুমি কখনো কল্পনা করতে পারবে না। (সাদ্দাম)





• রকি কিছু বলতে যাবে এর আগেই সাদ্দাম ঐই পাশ থেকে ফোনটা কেটে দেয়। রকি বুঝতে পারছে না আজ তার সাথে কি হতে চলেছে। তাই সে গাড়ির স্টেয়ারিং এর দিকে মন দেয়।








“ সময় টা রাত ১১ টা ৩০ মিনিট রকি তার ব্ল্যাক কালারের R15. V3 টা নিয়ে সাদ্দামের দেওয়া জায়গায় যাচ্ছে। শহর থেকে খানিকটা দূরে জায়গা টা, রাস্তার অবস্থা বেশি একটা ভালো না, রকির বাইকের আলোয় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে কিছু গাড়ি এখান দিয়ে গিয়েছে,, গাড়ির চাকার ছাপ এখনো স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। রকি দেখতে পারছে  কিছু দূরে কয়েকটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে একটা গাড়ির লাইট জ্বলে আছে যার কারণে সামনের জায়গা টা বুঝা যাচ্ছে। রকির বাইকটা এসে থামে সেই গাড়ি গুলোর কাছে আশেপাশে সারি সারি গাছ, পাশে বড় একটা রাস্তা, তার পাশে ছোট খাটো একটা পুকুর, চাঁদের আলো এসে পুকুরে পড়ছে আর পুকুরে আলো প্রতিফলিত হয়ে জায়গা টা আলোকিত হয়ে উঠছে। রকি পরিবেশের অবস্থা টা দেখে সামনে চেয়ারে বসে থাকা সাদ্দামের দিকে যায়। সাদ্দাম একটা চেয়ারে বসে আছে সামনে একটা ছোট টেবিল তার ঐই পাশে আরেকটা চেয়ার। রকি যেয়ে খালি চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে আরাম করে বসে। কারো মুখে কোনো কথা নেই,  দুজনের মধ্যে নিরবতা বিরাজ করছে। নিরবতা ভেঙে প্রথমে রকি বলে ---





• সাদ্দাম ভাই এখানে ডাকার কি কারণ। (রকি)




• সাদ্দাম রকির দিকে ভালো করে চেয়ে দেখে শরীরে বড় একটা কালো কোর্ট, মাথায় বড় হুড ওয়ালা টুপি, মুখে কিছু নেই শুধু বুঝা যাচ্ছে সাদা মুখে কালো চাপ দাঁড়ি। সাদ্দাম টেবিলের উপর রাখা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে তার ঠোঁটে চাপে, লাইটার দিয়ে সিগারেটে আগুন লাগায় জোরে একটা টান দিয়ে। সিগারেটের পেকেট আর লাইটার টা রকির দিকে ঢিল মারে। সাদ্দাম মুচকি হেসে বলে -- রকি তুমাকে আজ অনেক কারণে ডাকা হয়েছে, কথা গুলো শুনতে নিজেকে প্রস্তুত করো। (সাদ্দাম)





• রকি তার সামনে থেকে সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালায়,, জোরে একটা টান দিয়ে বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো উপরের দিকে ছেড়ে বলতে থাকে -- রকি কথা শুনতে নিজের সব সময় প্রস্তুত রাখে নয়তো এখন পর্যন্ত এখানে আসতে পারতো না,, আপনি বলতে পারেন কি বলতে চান আমি শুনতে প্রস্তুত। (রকি)





• রকি তুমার নাক দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ার অভ্যাস আর গেলো না। আচ্ছা তুমি আমাকে এটা বলো যে আমার এমপি নির্বাচন করার কি ব্যবস্থা করলে। (সাদ্দাম) 




• রকি আবারো নাক দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলে -- আমি এখন যেই কথাটা বলবো আপনিও নিজেকে প্রস্তুত করে নেন কথাটা শুনার জন্য। (রকি)




• রকি তুমার সাথে থাকতে থাকতে তুমার মতো হয়ে গেছি,, তুমি বলো!! (সাদ্দাম)




• সাদ্দাম ভাই আপনি এমপি নির্বাচন করতে পারবেন না। (রকি)




• কথাটা শুনে সাদ্দাম জোরে জোরে হাসতে থাকে আর বলে -- আমি জানতাম তুমি এমনই কিছু একটা বলবে।(সাদ্দাম)





• রকি ব্রু কুঁচকে বলে -- আমি এমন কিছু বলবো এটা আপনি জানতে কি করে। (রকি)




• নিজের বাবাকে কেউ নিজ হাতে মারতে পারে,, এমন সৎ সাহস তো কারো নেই, ঠিক বল্লাম তো আমি। (সাদ্দাম)




• রকি অবাক হয়ে যায় সাদ্দামের মুখে এমন কথা শুনে। রকি ভাবতে থাকে কিভাবে এটা সম্ভব। তাই সে প্রশ্ন করে ফেলে --- সাদ্দাম ভাই আপনি এগুলো কি বলছেন। রফিক চৌধুরী আমার বাবা হতে যাবে কেনো। ওনি ভালো মানুষ আর গরীব দুঃখীদের পাশে থাকে ভালো রাজনীতি করে তাই তাকে আমি তার সম্মানিত চেয়ার থেকে উঠাতে পারবো না। (রকি)





• হাহাহাহাহহা,,, রকি তোমার কি ছোট বেলার কথা মনে পরে। কোথায় ছিলে ছোট একটা বসতিতে থাকতে তুমার অসুস্থ মা কে নিয়ে। আর আজ আমি তুমাকে কোথায় নিয়ে এসেছি, চাইলেই কিন্তু আমি মাফিয়া কিং হতে পারতাম,, আমি তা করি নি ছোট সেই টোকাই ছেলেটা কে রাস্তা থেকে তুলে এনে বানিয়ে দিলাম মাফিয়া কিং। আর আজ সে আমার হয়ে কাজ করছে না আমার কথা শুনছে না, তাহলে এতে লাভ কি আমার। (সাদ্দাম)





• দেখেন সাদ্দাম ভাই আপনার উপকারের  কথা আমার মনে আছে কিন্তু একজন ভালো মানুষ কে আমি মারতে পারবো না। এখন যদি এটা করে আমি আপনার কথা অমান্য করি তাহলে এতে আমার কিছু করার নেই। (রকি)





• রকির কথা শুনে সাদ্দাম রেগে বলে -- রকি তর বাবার কথা কি মনে আছে। ঢাকার টপ ধনী ছিলো তর বাবা, আমার কাছের বন্ধু ছিলো তর বাবা,, শুনবি কিভাবে কি হয়েছিল তর বাবার সাথে তর মায়ের। (সাদ্দাম)





• রকি যেন বিশ্বাস করতে পারছে না সাদ্দাম ভাই এর কাছের বন্ধু তার বাবা। তবে বুঝ হওয়ার পর রকি কখনো দেখেনি তার বাবাকে। মায়ের কাছ থেকে শুনেছিলো তার বাবা নাকি অনেক ধনী ছিল। রকির অনেক জানার আগ্রহ ছিলো তার বাবার সম্পর্কে জানা কিন্তু তা আর হয়ে উঠে নি,,, তার আগেই অল্প বয়সে রকির মা  ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। শুরু হয়ে যায় রকি টোকাই জীবন,, বসতির কিছু ছেলের সাথে মিলে বোতল  টুকাই করতো। রকির যখন ১০ বছর বয়স তখন থেকেই সাদ্দাম এর সাথে পরিচয় আজ মাফিয়া কিং হওয়ার পিছনে সাদ্দামেরই অবদান আছে। রকি একটু আবেগ ময় হয়ে সাদ্দামকে উদ্দেশ্য করে বলে -- সাদ্দাম ভাই আমার অনেক জানার আগ্রহ ছিলো কে আমার বাবা কি আমার পরিচয় কিন্তু এখনো তা জানা হলো না। আপনি এখন আমাকে সব বলবেন। (রকি)





• সাদ্দাম মুচকি হেসে বলে -- তর বাবা ছিলো এই শহরের টপ ধনীর মধ্যে একজন আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক ছিলো। ভার্সিটি তে থাকতে আমি একটা মেয়ে কে ভালোবাসতাম কিন্তু সেই মেয়েকে আমি নিজের করে পাই নি কারণ শুধু একমাত্র তর বাবা। আমি যেই মেয়েকে ভালোবাসতাম তর বাবাও সেই মেয়েকে ভালোবাসতো,, মেয়েটা ছিলো গরীব তাই কেউ মেয়েটাকে মেনে নেয় নি বাদ্য হয়ে তারা দুজন পালিয়ে বিয়ে করে। কিছু বছর পর তুই পৃথিবীতে আসিস,, তর মা-বাবার সম্পর্কটা ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিলো, যা আমার সহ্য হয় না, তাই একটা গেম খেলে তাদের সংসারে ভেঙে দেই। তর বাবা তকে আর তর মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, আমি গিয়েছিলাম তর মার কাছে কিন্তু সে আমাকে ফিরিয়ে দেয়। তর সম্পর্কে আমি সব জানতাম চেয়েছিলাম তকে একদিন মাফিয়া কিং বানাবো আমার হয়ে কাজ করবি তুই, তকে দিয়েই তর বাবাকে মারতে চেয়েছিলাম আমি কিন্তু তুই তাকে মারবি না। তাই আজকে তকে এখানে ডাকা। (সাদ্দাম)





• রকি এতক্ষণ মন দিয়ে সাদ্দামের কথাগুলো শুনছিলো। রকির হাতের সিগারেট টা পুড়ে প্রায় শেষ তবুও রাগে সে জলন্ত সিগারেটে হাত চেপে ধরে আছে। সামনে থেকে সিগারেটের পেকেট থেকে  আরেকটা সিগারেট বের করে টানতে থাকে। এভার বেশ গম্ভীর গলায় রকি বলে -- আমার বাবার নাম কি,, কি তার পরিচয়। (রকি)




• হিহিহিহিহি,,,,বাবার সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেক। তর বাবা হচ্ছে এই শহরের এমপি রফিক চৌধুরী যাকে মারার জন্য তকে বলেছিলাম। (সাদ্দাম)




** সাদ্দামের কথা শুনে  রকি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় পিছন থেকে একটা পিস্তল বের করে সাদ্দামের দিকে তাক করে,, সাদ্দাম রকি কে কিছু বলে না,, সাদ্দাম টেবিলের উপর হালকা ভর দিয়ে সিগারেটের পেকেট আর লাইটার টা নিয়ে পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ঠোঁটে লাগায়, মুচকি হাসে কিন্তু কিছু বলে না। রকি অবাক হয়ে যায় সাদ্দামের এমন নিরবতা দেখে,, রকি শত্রুকে সামনে রেখে সময় নষ্ট করতে চায় না তাই সে ট্রিগারে চাপ দিবে এমন সময় কেউ পিছন থেকে শক্ত কিছু দিয়ে রকির মাথার পিছনে আঘাত করে। রকির হাত থেকে পিস্তল টা পরে যায়, ডান হাত টা মাথার পিছনে চলে যায়, মাথায় ফেটে রক্ত বের হচ্ছে, রকি  নিচে পরে যায়। সাদ্দাম হাসতে হাসতে রকি মাথার কাছে নিচু হয়ে দেখে রকির শ্বাস এখনো চলছে।**





• সাদ্দাম বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় সিগারেট টানতে টানতে বলে -- কতগুলো খুন করে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে আসল মাফিয়া হওয়া যায় না। আসল মাফিয়া হতে হলে মাস্টার মাইন্ড থাকা লাগে,, বুকের ভিতর সাহসের প্রয়োজন হয়,, যা এই রকির ভিতর নেই। (সাদ্দাম)




“ তকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য পালা কুত্তার প্রয়োজন হয় কিন্তু আমি একাই একশ ” রকি কথাটা বলই নিচে পরে থাকা পিস্তল টা হাতে পর পর পাঁচ টা গুলি করে,, আশেপাশে দাঁড়ানো বডিগার্ড গুলোর কারো বুকে কারো কাপালে যেয়ে লাগে,, সাদ্দামের পাশে থাকা দুইটা ছেলে গুলো করতে যাবে এর আগে রকির পিস্তল থেকে দুইটা বুলেট বের হয় দুটা বুলেটই যেয়ে তাদের কপালে লাগে। সাদ্দাম এগুলো দেখে ভয় পেয়ে যায়,, সাদ্দামের হাতে থাকা অর্ধেক পুড়া সিগারেট মাটিতে পরে যায়। রকি এক লাফে নিচ থেকে উঠে চেয়ার টা টান দিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে একটা সিগারেট জ্বালায়। সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো নাক দিয়ে ছাড়তে থাকে। 





• রকি দেখ সবাই কে শেষ করলেও আমাকে তুই কিছু করতে পারবি না। কারণ তকে আমি এত টুকু পর্যন্ত নিয়ে এসেছি,, তুই আমাকে মারবি না। (সাদ্দাম)





• সাদ্দাম যেন কথাটা শেষ করতে পারছে না এর আগেই রকি একটা গুলি করে,, বুলেট টা যেয়ে সাদ্দামের ডান পায়ে লাগে, সাদ্দাম ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে ওঠে,, রকি হাসতে হাসতে বলে -- মাইন্ড গেম তুই খেলতে পারিস নি তুই আমাকে নিয়ে মাইন্ড গেম খেলতে যেয়ে আমার মাইন্ড গেমের গুটি হয়ে গিয়েছিস। আমার মা মরার আগে বলে গিয়েছিলো একটা বেইমান আমাদের সুখের সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে তার নাম সাদ্দাম খান ঢাকার ছোট একটা রাজনৈতিক দলের লিডার । তখন বেইমান কি এটা বুঝি নি, শুধু সাদ্দাম নাম টা মনে রেখেছি, পৃথিবীর যেখানে থাকুক তাকে খুঁজে বের করে মারাটা আমার টার্গেট ছিলো। কিন্তু দশ বছর বয়সেই তর সাথে দেখা চেয়েছিলাম সেখানেই তকে মেরে দিবো,, আমি তা করি নি তর একটা অফারের কথা শুনে নিজের মাইন্ড টা কে শান্ত করে মাস্টার মাইন্ড গেম খেলতে থাকি। আমি যার হাতে তৈরি তাকে আজ নিজ হাতে মারবো আমার মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিবো। (রকি)





• রকি তুই আমাকে মারতে পারবি না কারণ তর একটা দুর্বল জিনিস আমার কাছে আছে। (সাদ্দাম)





• যার হারানোর কিছু নেই, তার ব্যাপারে সর্তক থাক,, আমার দুর্বল কোনো জিনিস নেই। (রকি)




• হিহিহিহি,, মনে করে দেখ ভার্সিটির একটা মেয়ে নাম মনে হয় মিম,, তুই পছন্দ করিস মেয়েটাকে। মেয়েটা তকে চিনেও না,, তর জীবনে কোনো দুর্বল পয়েন্ট নেই কিন্তু পছন্দের জিনিস টা তর মন কেরেছে এটা তর একটা দুর্বল পয়েন্ট। মেয়েটাকে নিবি আমাকে ছেড়ে দিবি, রাজি থাকলে ডিল ফাইনাল কর। (সাদ্দাম)





• রকি মেয়েটার কথা চিন্তা করে সাদ্দামের দেওয়া অফারে রাজি হয়ে যায়। মিম কোথায় সেটা বল তারপর তকে ছেড়ে দিবো। (রকি)




• সাদ্দাম নিচ থেকে কষ্ট করে উঠে মুচকি হেসে রকি কে বলে-- প্রথম ব্ল্যাক কালারের গাড়ির ভিতর আছে। (সাদ্দাম)




“ কথাটা বলার জন্য ধন্যবাদ তবে রকি বেইমানি করতে একটু বেশি পছন্দ করে তাই তর দেওয়া অফার টা নিয়ে তকে ক্রেডিট না দিয়েই বিদায় করে দিবো। গুড বায় কথাটা বলে রকি আরেকটা গুলি করে, বুলেট টা যেয়ে সোজা সাদ্দামের কপাল বরাবর লাগে, সাদ্দাম নিচে পরে যায় কপাল দিয়ে তার রক্ত পড়তে থাকে। পরিবেশ টা যেন থমকে আছে আশেপাশে জি জি পোকার ডাক, হিমেল হাওয়ার বয়ে যাচ্ছে, চাঁদের আলোয় রাত টা আরো বেশি মোহনীয় করে তুলছে। রকি ব্ল্যাক কালারের গাড়ির দরজাটা খোলে দেখে ভিতরে মুখ, হাত, পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে মিম। মিমকে পাজা কোলে নিয়ে রকি তার বাইকে বসায়,, রকি বাইক টা সার্ট দেয় রওনা হয় অজানা এক গন্তব্যের উদ্দেশে। 




   ------------------- সমাপ্ত ------------------




[ আমার পরীক্ষার জন্য গল্প টা অল্পতেই মিলিয়ে দিলাম তার জন্য দুঃখীত। আর সবাই কে ঈদের দাওয়াত রইলো,, আমার প্রোফাইলে ঠিকানা দেওয়া আছে সবাই ইনশাআল্লাহ চলে আসবেন। ধন্যবাদ 

No comments:

Post a Comment

ok

KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪

 # গল্প :- KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪ ............. আকাশে তাজা সূর্যের তীব্র আলো। শকুন আর গাংচিলদ...