মাফিয়া সিরিজ
# টোকাই যখন মাফিয়া কিং
# RAJA Bhuiyan.(মি.440)
#পর্ব: >> ২ <<
.............
সাদ্দামের কথাটা শুনে রকি শব্দ করে হেসে বলে-- সাদ্দাম ভাই সবাই জানে গুরুত্বপূর্ণ কথার সময় আমার হাসি আসে, কি জন্য হাসি পায় জানি না আমি, তবে আমার মাইন্ড খেলার জন্য হাসাটা খুবই প্রয়োজন। আমি জানতাম আজ হঠাৎ কেনো আমাকে ডেকেছেন তাই হেসেছি তবে পরের বার এমপি নির্বাচন করতে হলে ত রফিক চৌধুরীকে সরিয়ে দিতে হবে। (রকি)
• সাদ্দামও পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে টানতে থাকে আর রকি কে বলে--আমি জানি তুমি চাইলে কোনো কিছু ব্যাপার না তবে রফিক চৌধুরী কে সরানো টা এতটা সহজ হবে আমার মনে হয় না।(সাদ্দাম)
• রকির কানে কথাটা বার বার বাজতে থাকে তাই সে রেগে পাশে থাকা কাচের ফুলদানি টা ভেঙে ফেলে জোরে চিৎকার দিয়ে বলে-- এই রকির কাছে কোনো কিছু অসম্ভব নেই। আমি পারি সব পারি আমি রফিক চৌধুরী কেন আরো উপরের কাউকে মারতে আমার সময় লাগবে না একটা ফোনই যথেষ্ট। আপনি পরের বার এই সিটির এমপি হবেন।(রকি)
• সাদ্দাম মুচকি হাসে সে জানে রকি পারে না এমন কোনো কাজ নেই। রকি একবার যেই কাজে হাত দেয় ঐই টা ছিনিয়ে নেওয়ার বুক আছে তার। ‘ রকি তুমার কি অতীতের কথা মনে পরে '(সাদ্দাম)
• রকি চোখ জোরা বন্ধ করে অতীতের কিছু ঘটনা তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। রকি চায় না অন্ধকার অতীত কে সামনে এনে সদ্য ভবিষ্যৎ কে নষ্ট করা তাই সে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর সাদ্দাম কে উদ্দেশ্য করে বলে--এই শহরে আমার পরিচয় আমি আর আপনি ছাড়া কেউ জানে না। আমি চাই না কেউ আমার সম্পর্কে কিছু জানুক তাহলে কিন্তু, পরেরটা আর না ই বল্লাম। আসি আমি রাতে একটা মিশনে যেতে হবে। (রকি)
• শহরে নতুন এসেই ঝামেলা টা না করলেই পারতে,,তা আজ রাতে আর শেষ দিন।(সাদ্দাম)
• হয়তো কোনো এক পাপিষ্ঠের,, গরীবদের কাছ থেকে টাকা লুটে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াচ্ছে। কথাটা বলে রকি মেইন দরজা টা খুলে বাইরে বেরিয়ে যায়। সাদ্দাম চাইলেও রকি কে আটকাতে পারবে না তাই বৃথা চেষ্টা করে লাভ নেই।
..
ঢাকার একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আহাদ চৌধুরী, আজ মিরপুরের অফিসে বড় একটা মিটিং ছিল যার জন্য আসতে একটু রাত হয়ে গেছে। গুলসানের নির্জন এলাকা দিতে গাড়িটা চালাচ্ছে আহাদ চৌধুরীর ড্রাইভার শামীম, আহাদ চৌধুরী ভিতরে বসে বসে মোবাইল চালাচ্ছে। চারিদিকে অন্ধকার দূরে দূরে দেখা যাচ্ছে ল্যাম্পোস্টের আলো হঠাৎ ই শামীম দেখতে পায় রাস্তার মাঝে বাইকের উপর আরাম করে বসে আছে কোনো আগন্তুক মুখে তার জ্বলত্ব সিগারেট। শমীম দূর থেকে গাড়ির হর্ণ বাজায় কিন্তু আগন্তুক টা বাইকের উপর স্থির হয়ে বসে আছে। শামীম রেগে গাড়িটা থামায়।
• আহাদ গম্ভীর গলায় বলে-- শামীম তাড়াতাড়ি গাড়ী চালাও বাসায় যেতে হবে অনেক রাত হয়েছে৷ তুমি এখন আবার গাড়ী থামালে কেনো।(আহাদ)
• শামীম জবাব দেয়-- স্যার সামনে কে যেন বাইক দাঁড়া করিয়ে বাইকের উপর বসে সিগারেট টানছে। (শামীম)
• গাড়ী থেকে নেমে দেখো, হয়তো মদ পান করে নেশায় ধরেছে তাই পাগলের মতো এখানে বসে আছে।(আহাদ)
• শামীম গাড়ী থেকে নেমে আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে-- এই কে তুই মদ খেয়ে মাঝ রাস্তায় বাইকের উপর বসে মাতলামো করছিস। রাস্তা থেকে বাইক টা সরা তাড়াতাড়ি, কিন্তু আগন্তুক টা বাইকের উপর স্থির হয়ে বসে বসে সিগারেট টানছে। শামীম রেগে যেয়ে আগন্তুকের কাছে যায়,, আগন্তুকের পরনে কালো মাফিয়া ড্রেস, কাটা মাক্সের জন্য মুখ টা বুঝা যাচ্ছে না। শামীম আগন্তুকের কলার ধরতে যাবে তখন ই কোথা থেকে যেন একটা স্নাইপারের বুলেট এসে শামীমের হাতে লাগে শামীম জোরে চিৎকার দিয়ে দূরে ছিটকে পরে।
• আগন্তুক টা এটা দেখে জোরে জোরে হাসতে থাকে। হঠাৎ বাইরে থেকে জোরে চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে আহাদ গাড়ি থেকে নেমে দেখে শামীম নিচে বসে বসে চিৎকার করে কান্না করছে,,সামনে বাইকের উপর আরাম করে বসে সিগারেট টানছে একটা কালো অভয়, আহাদ চিৎকার দিয়ে বলে-- এই কে তুই শামীমের হাতে গুলি করেছিস কেনো। (আহাদ)
• আগন্তুক টা বাইক থেকে নেমে দাঁড়িয়ে বাম হাতে থাকা অর্ধেক সিগারেট টা নিচে ফেলে পা দিয়ে পিসে দেয়। আগন্তুক টা হাসতে থাকে আর বলতে থাকে-- আমি কে হিহিহিহিহিহি.. আমাকে তুই চিনবি না কিন্তু আমি তকে খুব ভালো করে চিনি। ঢাকার অন্যতম ড্রাক ব্যবসায়ী, গরীবের টাকা লুটে নিজের ব্যাংক ভরতেছিস গুন্ডা দিয়ে চাঁদা তুলিছ আর সবার সামনে ভালো মানুষের মুখোশ পরে আছিস, এগুলো কেউ জানে না। (আগন্তুক)
• আহাদ অবাক হয়ে যায়, এত কিছু করে কিন্তু কেউ জানে না তার এই গোপনে করা ব্যাবসার কথা। তাই আহাদ ভয়ে ভয়ে বলতে থাকে-- কে তুমি আর আমার সম্পর্কে এগুলো কি করে জানো।(আহাদ)
• আগন্তুক মাক্সের ভিতর মুচকি হেসে জবাব দেয়-- আমি তর সম্পর্কে অারো অনেক কিছু জানি তিন টা বউ তর কিন্তু কোনো বউ এ কথা জানে না,,রাতের পর রাত মেয়ের নেশায় ডুবে থাকিস তুই,, আরো শুনবি।(আগন্তুক)
• এভার আহাদ কান্না করে দেয়-- তুমি এগুলো জানো কিভাবে, প্লিজ ভাই বিষয় টা আমাদের মধ্যে রেখে দেও। তুমি এবাবে শমীম কে গুলি করলে কেনো, কি চাও তুমি বলো আমি দিয়ে দিবো এখনই তবুও আমাকে কিছু করো না প্লিজ। (আহাদ)
• আগন্তুক টা জোরে হাসতে হাসতে বলে-- তুই আমাকে কি দিবি, এখন তো আমি তকে তর জীবন টা ভিক্ষা দিতে পারি। কিন্তু আমি তা করবো না কারণ আমার একটা সমস্যা আছে তুই আমার অপছন্দের কিছু কাজ করেছিস যেটা আমার সহ্য হয় নি তাই তকে আজ একেবারে শান্ত করতে চলে এলাম।(আগন্তুক)
• ভাই বলেন অামি আপনার অপছন্দের কি কাজ করেছি, যার জন্য আমার সাথে এমন করছেন।(আহাদ)
• তুই গরীব দুঃখীদের টাকা মেরে খাস তাদের কাজের সঠিক পারিশ্রমিক দিস না।(আগন্তুক)
• ভাই এখন থেকে সব সঠিক ভাবে দিবো, আমাকে ছেড়ে দেন প্লিজ। ভাই আপনাকে কত দিতে হবে বলেন আমি দিয়ে দিবো তবুও আমাকে প্রাণে মারবেন না প্লিজ। (আহাদ)
• মনে আছে কিছু মাস আগের কথা, তর একটা বিল্ডিং তৈরি করতে যেয়ে ৫০ জন শ্রমিক মারা গেছে, কিন্তু তুই একটা মৃত শ্রমিকের পরিবার কে দশ হাজার টাকা করে দিয়েছিস। সেই গরীব শ্রমিকের জীবনের মূল্য কি দশ হাজার টাকা,, বল আমাকে।(আগন্তুক)
• ভাই গরীবের জীবনের কোনো মূল্য নেই এরা বেঁচে থেকে শুধু দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করছে। আর আমি এখন আপনাকে একটা অফার করছি- গাড়িতে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার একটা ব্রিটকেস আছে আপনি সব গুলো টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেন।(আহাদ)
• কথাটা শুনে আগন্তুক টা পিছন থেকে একটা ধারালো ছুরি বের করে আহাদের দিকে এগিয়ে যায়, আগন্তুকের কান্ডে আহাদ ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায় কিন্তু আগন্তুক টা আহাদের ডান হাত টা ধরে কেটে ফেলে,,হালকা চাঁদের আলো দূর থেকে ল্যাম্পোস্টের আলোয় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তাজা রক্ত গুলো পিচঢালা রাস্তায় ঝড়ে পরছে,,কুনই আর কব্জির মাঝ বরাবর থেকে কাটা হয়েছে হাতটা ,কাটা অংশ টুকু রাস্তায় পরে আছে। আহাদ ব্যাথায় জোরে জোরে চিৎকার করে কান্না করছে, আগন্তুক টা জোরে জোরে হাসতে হাসতে বলে-- তর কি মনে হয় আমি মাটি দিয়ে তৈরি না, আমি পাথর দিয়ে তৈরি, হতে পারে মাটির তৈরি কিছু মানুষ আজ কাগজের তৈরি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি তেমন না। একটা গরীবের জীবনে মূল্য তর কাছে দশ হাজার টাকা কিন্তু তর জীবন টার দাম অনেক বেশি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। গরিব মানুষ পৃথিবীতে থাকা মানে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া,, আরে ওদের মতো গরিব বেঁচে না থাকলে তর মতো ধনীদের নিজের কাজ নিজে করে খেতে হতো। আমি যেই ডিসিশন একবার নিয়ে নেই সেটা ভাঙার ক্ষমতা কারো নেই।(আগন্তুক)
• আহাদের ভয় আর ব্যাথায় গলা শুকিয়ে গেছে এখন যদি পানি পান করতে পারতো তাহলে একটু শান্তি পেতো। আহাদ এখন নিজের মৃত্যু যেন নিজের সামনে দেখতে পাচ্ছে, সে কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে থাকে-- ভা.ভাই আম..আমাকে আরেকটা সুযোগ দেন আমি আর কখনো এমন করবো না,, আমাকে আমার জীবন টা ভিক্ষা দেন প্লিজ। (আহাদ)
• সুযোগ... হাহাহাহা.. এই রকি কাউকে দ্বিতীয় বার চান্স দেয় না, তর সময় চলে এসেছে বলেই ধারালো ছুরি টা দিয়ে লম্বা করে বকের পাশে একটা আচর দেয়, আহাদের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে রাস্তায় পড়তে থাকে। আগন্তুক ছুরি টা দিয়ে আবারো আহাদের পেটের মাঝ বরাবর ঢুকিয়ে দেয়, আহাদ নিচে পরে যায় চোখ জোরা খোলা অবস্থায় ই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায়। আগন্তুক টা আহাদের মৃত দেহের পাশে একটা কংকালের ট্যাটু একে বাইক টা নিয়ে গভীর অন্ধকার রজনীতে মিলিয়ে যায়।
..
“ ব্রেকিং নিউজ কাল রাতে কে বা কারা যেন গুলশানের ১৪নং রোডে ঢাকার টপ বিজনেসম্যান আহাদ চৌধুরীকে মারাত্মক ভাবে খুন করে পালিয়ে যায়। আহাদ চৌধুরীর লাশের পাশে ওনার গাড়ির ড্রাইভার শামীম কে আহত অবস্থা পাওয়া যায়,, শামীম কে ঘটনাস্থল থেকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়,, শামীমের জ্ঞান ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আহাদ চৌধুরীর লাশ টা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এখনো কোনো ক্লো পাওয়া যায় নি খুর সম্পর্কে। আজ এই পর্যন্ত ই, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ” শহরের সব জায়গায় খবর টা ছড়িয়ে পড়েছে। আবির ভার্সিটিতে আসার সময় একটা দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলো আর টিভিতে সংবাদ টা দেখছিলো, সংবাদ দেখে তার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় আবার আহাদের লাশের পাশে কংকালের ট্যাটু পাশে বড় করে(MK) লেখা তার মানে খুনটা মিস্টার কিং করেছে। ভাবতেই আবিরের ঘাম বেড়িয়ে যাচ্ছে সে এত কিছু না ভেবে ভার্সিটির দিকে রওনা দেয়।
..
রকি আজও তার R15 টা নিয়ে ভার্সিটিতে প্রবেশ করে। বাইক টা পার্ক করে ক্লাস রুমের দিকে আসবে তখনই কোথা যেন একটা মেয়ে এসে রকিকে জরিয়ে ধরে। রকি অবাক হয়ে যায় হঠাৎ করে অজানা অচেনা একটা মেয়ে এমন কাজ করবে ভাবতেই পারছে না।
• এই কে আপনি আর আমাকে এভাবে জরিয়ে ধরার মানে কি।(রকি)
• আমি নীলা তুমার সাথেই পরি, কাল তুমাকে দেখে তুমার উপর ক্রাশ খেয়েছি জীবনের প্রথম কোনো ছেলেকে দেখে আমার এত পছন্দ হয়েছে, আমি তোমাকে ভালোবাসি।(নীলা)
• হোয়াট ?? কি বলছেন আপনি আপনার মাথা ঠিক আছে। কালকের দেখায় আজই ভালোবাসে ফেলেছেন আমাকে,, এগুলোকে ভালোবাসা বলা হয় না আবেগ সব কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে।(রকি)
• রকি সত্যি আমি তোমাকে ভালোবাসে ফেলেছি,, এটা আবেগ না এটা আমার ভিতর থেকে আসা অনুভুতি বিশ্বাস করো আমাকে প্লিজ এক্সেপ্ট করে নেও আমাকে।(নীলা)
• দেখোন নীলা আপনাকে আমি আজ প্রথম দেখেছি আর আজই ভালোবাসি বলে দিবো এটা সম্ভব না। ভালোবাসার প্রধান অস্ত্র হলো মন, দুইটা মন মিল থাকলে ভালোবাসা হয় কিন্তু আমি এখনো আপনার প্রতি কিছু ফিল করতে পারছি না। তাই এটা কে বোকামি ছাড়া আর কিছুই বলবো না আমি।(রকি)
• আচ্ছা সময় নেও কিন্তু বেশি সময় আমি দিতে পারবো না আর আরেকটা কথা তুমি এখন আমার জিনিস কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাবে না,, বুঝতে পারছো আমার কথা।(নীলা)
• রকি বিরক্ত বোধ করছে নীলার সাথে কথা বলতে, মেয়েটা বেশি কথা বলে যা রকির একটুও ভালো লাগে না তাই মাথাটা নাড়িয়ে ক্লাসের দিকে চলে আসে। ক্লাসে এসেই চোখ যায় পিছনের ছিটে আবিরের সাথে কিছু ছেলে মজা করছে আর আবির মাথাটা নিচু করে সব সহ্য করছে। রকির যেন একটা সহ্য হয় না তাই রেগে সেখানে যেয়ে বলতে থাকে- এখানে কি হচ্ছে, সবাই আবিরের সাথে এমন করছো কেনো।(রকি)
• পিছন থেকে রকির গলার আওয়াজ পেয়ে সবাই পিছনে ফিরে তাকায় দেখে রকি রাগি মুডে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেগুলোর মধ্যে থেকে ইয়াছিন নামের ছেলেটা হাসতে হাসতে বলে-- সবাই দেখ আবিরের বড়লোক বন্ধু চলে এসেছে,, সালা যে কি করেছে কে জানে যার জন্য রকির মতো ধনী একটা ছেলে ক্ষেতটার সাথে বন্ধুত্ব করেছে।(ইয়াছিন)
• এই ছেলে মুখ সামলে কথা বলো, আবির প্রথমে এসে আমার সাথে বন্ধুত্ব করে নি বরং আমিই আগে যেয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তুমাদের যা বলার আমাকে বলো আবির কে এগুলো বলছো কেনো।(রকি)
• রকির কথা শুনে সবাই অবাক,, রকি ছেলেটা বলে কি এত ধনী হয়েও গরীব ছেলের সাথে নিজ ইচ্ছায় বন্ধুত্ব করেছে। ছেলেগুলো সেখানে আর দাঁড়ায় না চলে আসে নিজ নিজ সিটে। রকি যেয়ে আবিরের পাশে বসে আবির মাথাটা উচু করে রকিকে বলে-- রকি আমার জন্য তকে অনেক কথা শুনতে হবে, এর চেয়ে ভালো হবে তুই আমার সাথে আর বন্ধুত্ব না রাখ।(আবির)
• আবিরের কথা শুনে রকি মুচকি হেসে বলে-- বন্ধুত্ব যখন করেছি সেটা ধরে রাখার শক্তি আমার আছে। কথায় আছে না যে পিছু লোকে কিছু বলে ঠিক তেমনই অনেকে অনেক কিছু বলবে কিন্তু তকে থামা যাবে না তাহলেই তুই উচ্চ শিখরে পৌছাতে পারবি। আচ্ছা আবির তুই আমাদের ক্লাসের নীলা নামের মেয়েটা কে চিনিস।(রকি)
• হু ভালো করেই চিনি, কেনো তুই হঠাৎ নীলার কথা জিজ্ঞেস করছিস কেনো কিছু হয়েছে।(আবির)
• না তেমন কিছু হয় নি, ক্লাসে আসার আগে আমাকে প্রপোজ করেছে কিন্তু আমি সময় নিয়েছি, বলতে পারিস বিরক্ত লাগে মেয়েটাকে এখন নীলার সম্পর্কে তুই যা জানিস আমাকে বল।(রকি)
• নাহিদের ছোট বোন নীলা খুবই রাগি একটা মেয়ে, আমাকে একদমই সহ্য করতে পারে না। গরীবদের দুচোখে দেখতেই পারে না,, বড়লোকের মেয়ে ভাব একটু বেশি দেখায়, ভালো না মেয়েটা আমার কাছে মনে হয় এবার তুই ভেবে দেখ সম্পর্কে করবি নাকি করবি না।(আবির)
• আমার কাছেও মেয়েটা ভালো মনে হয় নি, আবার সামনে আসলে না করে দিবো আর আমি ভালো মেয়ে না পেলে এইসবে জড়াবো না।(রকি)
• আবির কিছু বলতে যাবে এর আগেই স্যার ক্লাসে প্রবেশ করে। সবাই স্যার কে সম্মান জানায়, ক্লাস করাতে করাতে একসময় স্যার রকি কে প্রশ্ন করে-- এই নতুন ছেলে রকি তুমি দাঁড়াও। (স্যার)
• রকি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর বলে-- জ্বি স্যার
• স্যার এমন একটা প্রশ্ন করে যা শুনে রকি মুচকি হেসে জবাব দিতে শুরু করে...........
@@@ চলবে @@@
[ গল্প টা কেউ YOUTUBE এ আপলোড দিতে পারবেন না কারণ গল্প টা আমার কাছ থেকে একজন YouTuber নিয়েছে। যদি কেউ অনুমতি ছাড়া আপলোড দেন তাহলে চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর হবে ]ধন্যবাদ
wait for the next part.
No comments:
Post a Comment
ok