Tuesday, June 29, 2021

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব--২১--♥RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



#খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

# RAJA Bhuiyan

# পর্ব>>>>:- ২১ 

.................




ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ম হলে সাফল্যই তোমার  দিকে আকৃষ্ট হবে। রাজ খাবার শেষ করে সোফায় বসে বসে চিন্তা করছে কে আজকে বাসা থেকে চলে যাবে। আর মেহেরাব কেন আজ এত রহস্যময় কথা বলছে বুঝতে পারছে না রাজ ঠিক তখনই মেহেরাব সোফায় বসতে বসতে কথাটা বলে রাজকে। রাজ কথাটার মানে বুঝতে পারছে না তাই মেহেরাব কে প্রশ্ন করে ফেলে --- স্যার আপনার কথার মানে বুঝতে পারছি না। (রাজ)



• মেহেরাব ঠোঁটের কোনে হাসির ঝলক রেখে বলে-- তখন বল্লাম না যে আমি রাফিন আর রাফসানের থেকে একজন কে ধরে ফেলছি কিন্তু কাকে ধরছি তার নাম টা কি সেটাই বুঝতে পারছি না। (মেহেরাব) 



• রাজ একটু আগ্রহ নিয়ে বলে-- স্যার ঐ দুইটা বড় মাফিয়া কে তো কেউ কখনো দেখে নি কিন্তু আপনি কিভাবে বুঝলেন যে সে বড় মাফিয়া।(রাজ)



• মেহেরাব জানে রাজ একটু বেশিই মাইন্ড গেম খেলতে পছন্দ করে, রাজ সবসময় তার মাইন্ড দিয়ে যে কোনো ব্যক্তির সাথে ভাব তৈরী করতে পারে। কিন্তু মেহেরাব তাদের কাতারে পরতে চায় না সে নিজেও একজন মাইন্ড গেমার। এবার রাজ কে বলে -- তুমি জানো কি না জানি না, আরো পাচঁ বছর আগে রাফিন আর রাফসানের সম্পর্কে একটা আর্টিকেল বের হয়েছে। আমি পাঁচ বছর ধরে সেই আর্টিকেল টা নিয়ে গবেষণা করেছি বলতে গেলে পুরো বই টা আমার মুখস্ত। সেই বইয়ের রাফিন আর রাফসানরা কিভাবে মাইন্ড গেম খেলে প্রায় সবই লেখা আছে।(মেহেরাব)



• মেহেরাবের কথা শুনে রাজ একটু অবাক হয় কারণ মাফিয়াদের নিয়ে মেহেরাব পাঁচ বছর ধরে পরে আছে। রাজের একটা বদ অভ্যাস আছে সেটা হলো রাজ তার মাইন্ড টা ঠান্ডা রাখার জন্য হাতে সবসময় দুই টা মারবেল রাখে। মেহেরাবের কথা শুনে রাজ তার মারবেল দুটু নাড়াতে থাকে। 



• মেহেরাব খেয়াল করে দেখে রাজ তার হাত দিয়ে দুইটা মারবেল নাড়াচাড়া করছে এটা দেখে মেহেরাব মুচকি হাসে। মেহেরাব আজ সাদা কালারের পাতলা একটা পাঞ্জাবি পরছে সেই পাঞ্জাবির পকেট থেকে প্রথমে একটা ছোট সাদা কালারের পেকেট বের করে,, দুইটা মারবেল স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে পেকেটের মধ্যে। মেহেরাব আবারো একটা ছোট সাদা কালারের পেকেট বের করে যার ভিতর তিনটা পিস্তলের বুলেট স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। মেহেরাব রাজ কে উদ্দেশ্য করে বলে--- রাজ দেখো তো চিন্তে পারছো কি না।(মেহেরাব)



• রাজ সাদা পেকেটে মুড়ানো দুইটা জিনিস দেখে একটু অবাক হয় কিন্তু মেহেরাব কে তা বুঝতে দেয় না। রাজ হালকা মুচকি হেসে জবাব দেয়-স্যার  আমি জিনিস গুলো তো চিন্তে পারছি কিন্তু এগুলো কার সেটা তো আপনিই ভালো বলতে পারবেন।(রাজ)



• মেহেরাব একটু অবাক হয় কারণ রাজ যে এত শান্ত ভাবে উত্তর দিবে তা আশা করে নি মেহেরাব। রাজ জানো কি রাফসান যখন কোনো মিশনে বের হয় তখন সে তার মাইন্ড টা কে ঠান্ডা রাখার জন্য দুইটা মারবেল ব্যবহার করে। আমি তো জানতাম রাফসান তার মিশনের কোনো প্রমাণ রেখে যায় না কিন্তু সে সাব্বিরের খুন টা করার সময় একটা ভুল করে ফেলে আর সেটা হচ্ছে  তার পিস্তল থেকে ছোরা এই তিনটা বুলেট। (মেহেরাব)



• রাজ তার বাম হাত দিয়ে হালকা করে সোফায় একটা বারি দেয়। মেহেরাবের চোখ এড়ালো না সে শান্ত একটা মুচকি হাসে। রাজ নিজেকে স্বাভাবিক করে মেহেরাব কে বলে-- স্যার আজ কি থানায় যাবো না? সময় তো প্রায় হয়ে গেছে রেডি হয় নাকি!!(রাজ).



• মেহেরাব রিমি কে উদ্দেশ্য করে বলে-- রিমি তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেনো এসে আমার পাশে বসো। রিমি তার বাবার কথা অনুযায়ী তার পাশে যেয়ে বসে। এবার রাজ কে উদ্দেশ্য করে বলে- না আজ থানায় যাবো না আমি তোমাদের একটা গল্প বলবো!! কি শুনবে তো রাজ? (মেহেরাব) 



• রাজ মেহেরাবের এমন কথা আশা করেছিলো না।রাজের কেন জানি মনে হচ্ছে আজ এই শহরে তার ছদ্মবেশী পরিচয় টা প্রকাশ হতে চলছে।রাজ বিনয়ী কন্ঠে বলে-- স্যার থানাতে কোনো সমস্যা না হলে আমার গল্প শুনতেও কোনো সমস্যা হবে না। (রাজ.)



• মেহেরাব মুচকি হাসি দেয়,, যেটা রহস্যময়। রাজ তুমি জানো, তুমি যদি পুলিশের চাকরি না করে কোনো চলচিত্রে কাজ করতে তাহলে খুবই ভালো অভিনয় করতে পারতে এখন যেমন অভিনয় করছো কারো ধরার ক্ষমতা নেই। (মেহেরাব)



• রাজে বুঝতে পারছে না কেনো মেহেরাব আজ এত রহস্যময় কথা বলছে তবে কোনো!! রাজ তার মুখ টা কে হালকা বাঁকা করে উত্তর দেয়- স্যার আমি অভিনয় করতে পারবো কিভাবে যেখানে আমি এই সব বিষয় থেকে দূরে দূরে থাকি আর আপনি বলছেন আমি অভিনয় করি।(রাজ)



• আচ্ছা এগুলো বাদ দেও এখন একটা গল্প বলবো,, রাজ তুমি আবার গল্প টা শুনতে বিরক্ত বোধ করো না।(মেহেরাব) 



• রাজ তার মস্তিষ্ক টা  কে কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থির রেখে এক বার সামনে মেহেরাব আর তার পাশে বসা নীল রঙের ড্রেস পরা রিমির দিকে চেয়ে মেহেরাব কে বলে- স্যার বলেন আমি বিরক্ত বোধ করবো না।(রাজ)



• মেহেরাব তার চোখ থেকে চশমাটা খুলে সামনের ট্রি টেবিলের সংবাদপত্রের উপর রাখে। একবার রাজ আর রিমির দিকে চেয়ে মুচকি হেসে বলতে শুরু করে --


 সময় টা আরো অনেক বছর আগে আমি আর রিমির মা দুজন দুজনকে ভালোবাসতাম কিন্তু বাসা থেকে আমাদের মেনে নেয় নি তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই পালিয়ে যাব। আমরা চলে আসি অচেনা অজানা দূর একটা শহরে। প্রায় এক বছর  পর পর ই আমাদের ছোট সংসারে আলো ফোটে রিমি জন্ম নেয়।   রিমির যখন পাঁচ বছর বয়স তখন আমরা আমাদের বাসায় যাই কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আমাদের কেউ মেনে নেয় না। কিন্তু  আমার আপন বড় ভাই আরমান আমাদের যেতে দেয় না সবাই কে ভালো করে বুঝিয়ে আমাদের মেনে নিতে বলে। সবই ভালো ভাবে চলছিলো কিন্তু হঠাৎ একদিন এমন একটা ঘটনা ঘটলো যা আমরা কেউ ভাবতেও পারি নি। মেহেরাব এবার একটু থামে সামনে বসে থাকা রাজের দিকে তাকায় দেখে রাজ খুবই শান্ত আর আগ্রহের দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মেহেরাব একটু মুচকি হাসে। রাজের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে পাশে বসে থাকা রিমির দিকে তাকায় মেহেরাব। রিমি খুবই আগ্রহ নিয়ে বসে আছে কখন আবার বলা শুরু করবে। কারণ এটা কোনো গল্প নয় মেহেরাবের জীবনের  একটা অংশ । রিমিকে কখনো মেহেরাব তার ছেলেবেলার কথা বলে না কিন্তু আজ হঠাৎ বলছে তাই সে একটু অবাক হয়। মেহেরাব সময় নষ্ট করতে চায় না তাই আবার বলা শুরু করে- ‘ আমাদের সব কিছু সুখেই চলছিল কিন্তু এক রাতের ব্যবধানে সব শেষ হয়ে যায়। আমি ঐই দিন রাতে একটু রাত করেই বাসায় ফিরছিলাম কিন্তু বাসায় যেয়ে এমন একটা দৃশ্য দেখতে হবে আমাকে, আমি বলার ভাষা হাড়িয়ে ফেলেছিলাম। কারণ গলায় দড়িঁ দিয়ে ফেনের সাথে ঝুলে আছে রিমির মা আর পাশে রক্ত মাখা দেহ নিয়ে পরে আছে আমার বড় ভাই আরমান। কেউ বলতে পারছিলো না এটা কিভাবে হয়েছে,, পুলিশ এসে ঘটনা টা তদন্ত করে জানায় রিমির মা মারা যাবার আগে তাকে যৌন হয়রানি করেছে আর সেটা করেছে আমার বড় ভাই আরমান। যার জন্য রিমির মা আরমান ভাই কে মেরে নিজেও ফাঁসিতে ঝুলে যায়। রিমির মা মারা যাওয়ার আগে চিঠি তে লিখেছে কথা গুলো যা পরে সবাই জানতে পারি। আরমান ভাই এর দুই টা ছেলে ছিলো কিন্তু কি নাম মনে করতে পারছি না। আমাদের অনেক সম্পদ ছিলো যায় কারণে ভাবি আর তার ছেলেদের কোনো সমস্যা হয় নি। আমি পাঁচ বছরের রিমিকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসি অচেনা অজানা শহরে এসেই পুলিশের ছোট পদে একটা চাকরি পাই আর আস্তে আস্তে আমি এখন কমিশনার পদে এসেছি। কথা গুলো বলে মেহেরাব থেমে যায় পরিবেশ টা এখন নিরবতায় ছেয়ে আছে  সেকেন্ডে সেকেন্ডে শুনা যাচ্ছে দীর্ঘ নিশ্বাসের শান্ত শব্দ। 




• রিমির চোখে পানি চিকচিক করছে যেন চোখের পলক ফেল্লে পানি বেয়ে পরবে। তার মনে পরে যায় ছোটবেলার সেই ভয়ংকর ঘটনা -- সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে রিমি দেখতে পায় তার মা ফেনের সাথে ঝুলে আছে জ্বিব্বা টা অর্ধেক বেড়িয়ে আছে,,রিমি এটা দেখে কান্না শুরু করে কিন্তু তার কান্না থামানোর মতো কেউ সেখানে ছিলো না। কারণ তার জননী পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।  রিমি আর কিছু মনে করতে পারে না কারণ সে প্রতিদিন রাতে এই স্বপ্ন টা দেখে। রিমির চোখ জোরা থেকে অজরে পানি পড়তে থাকে। মেহেরাব রিমির কান্না থামায় না কারণ সে আজ তার ছোটো বেলার কথা শুনে ইমোশনাল হয়ে পড়েছে।



• মেহেরাবের বলা  ঘটনা টা শুনে রাজের ছেলেবেলার কথা মনে পরে যায় কিন্তু সে তার অতীত নিয়ে ভাবতে চায় না কারণ মানুষ অতীত নিয়ে বেশি ভাবলে তার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা কমে যায়। রাজ অতীত কে নিয়ে ভাবে না সে ভবিষ্যত নিয়ে একটু বেশিই চিন্তা করে। তবে ঘটনা টা রাজের কাছে পরিচিতই মনে হচ্ছে।



• মেহেরাব রাজ কে জিজ্ঞেস করে-- রাজ তুমার দেশের বাড়ি যেন কোথায়। (মেহেরাব)



• রাজ হালকা মুচকি হেসে জবাব দেয়-- চট্টগ্রামে কোনো এক গ্রামে। 



• মেহেরাব এভার রিমিকে উদ্দেশ্য করে বলে- আচ্ছা রিমি তুই কি এমন কাউকে ভালোবাসবি যে কি না প্রতিদিন রাতে রক্ত নিয়ে খেলা করতে ভালোবাসে।(মেহেরাব)



• রিমি চমকে উঠে কেন তার বাবা তাকে এমন প্রশ্ন করলো। বুঝতে পারছে না যে সে এই প্রশ্নের জবাব কি দিবে। রিমির মনে পরে যায় রাজের ঐই দিনের কথাটি। রিমি আমতা আমতা করে বলে-- ন..না বা..বাবা তেমন কাউকে আমি আমার জীবনের সাথে  জুড়াবো না।(রিমি)



• রাজ প্রশ্ন টা শুনে অবাক হয়ে যায়। অধির আগ্রহ নিয়ে রিমির উওরের অপেক্ষা করে,, রিমির উওর শুনে রাজ নিচের দিকে চেয়ে মুচকি হাসে। 



• রিমি আমি জানি তুমি রাজ কে পছন্দ এবং ভালোবাসাে।আচ্ছা যদি তুমি শুনো- তুমি যাকে ভালোবাসো তার বাবা তুমার মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ি তাহলে কি তুমি তাকে ভালোবাসবে।(মেহেরাব)



• মেহেরাবের কথাটা শুনে রাজ শান্ত হয়ে নিজের জায়গায়ই বসে আছে। কিন্তু রিমি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় তার বাবাকে প্রশ্ন করে ফেলে -- কি বলতে চাচ্ছো বাবা বুঝিয়ে বলো,,আমি বুঝতে পারছি না। (রিমি)



• মেহেরাব একটু মুচকি হাসে,, রিমি তুমি হয়তো ভালো করে জানো না তুমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে আসলে কোনো পুলিশ অফিসার না সে আমারই বড় ভাই আরমান এর ছেলে। কথাটা শুনে রাজ নিজের জায়গায় ই শান্ত হয়ে বসে আছে,, মেহেরাব জানতো রাজ কেবল ঠান্ডা মাথায় গেম খেলতে ভালোবাসে কিন্তু তার যে আসল পরিচয় ফাস হয়ে গেছে সেই দিকে তার কোনো চিন্তাই নেই এমন ভাবে বসে আছে যেন এখানে কিছু ঘটেই নি। 



• রাজ নিজের জায়গায় বসে আছে আর মুচকি হেসে মেহেরাব কে বলে-- স্যার আপনার সামনে কি আমি একটা সিগারেট জ্বালাতে পারি। মেহেরাব অবাক হয়ে কিছুক্ষন চেয়ে থাকে রাজের দিকে। সিগারেট খাওয়ার কোনো অনুমতি সে দিবে না রাজ কে। কিন্তু মেহেরাব কে আরো অবাক করে দিয়ে রাজ পকেট থেকে একটা সিগারেটের পেকেট বের করে একটা সিগারেট মেহেরাব কে দেয় আরেকটা নিজের ঠোঁটে চাপে। মেহেরাব সিগারেট টা হাতে নিয়ে ময়লার ঝুড়ি তে ফেলে দেয়। রিমি কেবল বুকার মতো চেয়ে আছে রাজের সিগারেট টানার দিকে। ডান হাতে দুইটা মারবেল আর বাম হাত দিয়ে সিগারেট টানছে। 



• মেহেরাব রিমিকে বলে-- রিমি তুমি এখন তুমার রুমে যাও,, আর আশা করি  তুমি বুঝতে পেরেছো আমি কেনো ঐই দিন তুমাকে রাজের থেকে দূরে থাকার জন্য। (মেহেরাব) 



• রিমি একটু রেগেই বলে-- বাবা আমি রাজের সাথে একান্তে কথা বলতে চাই।(রিমি)



• রাজ কিছু বলে নিজের মতো করে সিগারেট টানছে। মেহেরাব উচ্চ সরে বলে-- রিমি তুমাকে আমি যেতে বলছি একটা ক্রিমিনাল এর সাথে তুমার কোনো পারছোনাল কথা নেই।(মেহেরাব)



• রিমি সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় না। রাজ মুচকি হেসে বলে-- স্যার আমাকে এখন কি করবেন,, থানায় নিয়ে যাবেন,, লাভ নেই লাভ নেই পৃথিবীতে এখনো কোনো জেল নেই যেখানে এই রাজ কে আটকে রাখবে।(রাজ)



• রাজ তুই নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছিস,, তকে বলছিলাম আমার সাথে মাইন্ড গেম খেলতে তুইও রাজি হয়ে গেলি,,গেমটা শুরু করছিস তুই কিন্তু শেষ করবো আমি।(মেহেরাব)




• রাজ একটু শব্দ করে হাসে আর বলতে থাকে-- গেম মাইন্ড গেম.. হিহিহিহিহি.. আমি খেলতে যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনই অন্য কে দিয়ে  খেলাতেও ভালোবাসি। আমাকে তুই থানায় নিয়ে পাঁচ মিনিটও রাখতে পারবি না কারণ এর আগেই সিএম ফরহাদ আমাকে বের করে আনবে।(রাজ)



• মেহেরাবও শব্দ করে হেসে হেসে বলে-- আচ্ছা তকে নিয়ে গিয়ে আমি পাঁচ মিনিটও রাখতে পারবো না তাই তো তুই দেখবি আমার কি ক্ষমতা তকে........... মেহেরাব আর কথা বলতে পারে না মেইন দরজায় কেউ কলিং বেল বাজাতে থাকে। রিমি কলিং বেলের আওয়াজে চমকে উঠে দাঁড়ায় একবার সোফায় বসে থাকা রাজের দিকে তাকায় আরেক বার দরজার দিকে তাকায়। রিমি তাড়াতাড়ি যেয়ে দরজা টা খোলে দেয়,, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আগন্তুক টা কে দেখে রিমি অবাক হয়ে যায়। আর সোফায় বসে থাকা রাজ শব্দ করে হাসতে থাকে............. 




@@@ চলবে @@@





[ গল্পে কোনো সাড়া পাচ্ছি না,,মনে হয় সবার এই গল্প পড়ার মন উঠে গেছে তাই দিতে দেরি হয়েছে। আর এই পর্বে সাড়া না পেলে পরের পাঠ কবে দিবো জানা নেই]ধন্যবাদ 





wait for the next part.

Monday, June 28, 2021

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ২০--RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



গল্প: খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

লেখক : RAJA Bhuiyan.


পর্ব: ২০

.................


রাজ কে এমন ভাবে হাসতে দেখে রিয়াদ বলে-- কিরে মৃত্যু কে সামনে দেখে কি পাগল হয়ে গেছিস। রাজ কিছু বলে না শুধু মুচকি হাসে। রিয়াদ এবার আগন্তুক টা কে উদ্দেশ্য করে বলে- দেখ ভাই এই কুত্তার বাচ্চা সব গুলো কে মেরে দিয়েছে। চল এখন একে মেরে দিয়ে এখান থেকে কেটে পরি এই কুত্তার বাচ্চা কে আমার বিশ্বাস নেই যখন তখন কিছু করে দিতে পারে। আগন্তুক টা কিছু বলে না চার পায়ার প্লাস্টিকের চেয়ার টা টেনে টেবিলের সামনে বসে, টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় দুইটা টান দিয়ে বলতে থাকে -- কিরে রিয়াদ কার রুচি এমন খারাপ হয়ে গেছে যে এই কম দামি সিগারেট খায়।


• রাজ একটু স্পষ্ট করেই হেসে বলে- বিষাক্ত জিনিস এটা দামি আর কম দামির কি আছে,, এটা তো মানুষের মাইন্ড গেম খেলতে সাহায্য করে। দামি ব্রেন্ডের সিগারেট খেলে কিন্তু বেশি ভালো মাইন্ড গেম খেলতে পারবে না। আর সামনে যা আছে তা না খেয়ে যদি আরেক টার আশা করো তাহলে কিন্তু তুমার কাছে কোনোটাই ভালো লাগবে না। (রাজ)


• আগন্তুক টা রাজের কথা শুনে হেসে হেসে জ্বলন্ত সিগারেটে আবার টান দেয়। রিয়াদ ধর তর সাথে তরই কোনো এক বন্ধু বা কাছের কেউ বেইমানি করে তাহলে কেমন লাগবে তর কাছে আবার  মৃত্যুটা হটাৎ করে হবে হয়তো অনেক প্রিয়জন খবরও পাবে না লাশ গুলো দেখে অনেকে ভয় পেয়ে দূরে সরে যাবে। রাস্তার পাতি কুকুর গুলো গেউ গেউ করে মানুষের কাছ থেকে লাশ টা টেনে নিয়ে খুবরে খুবরে খাবে কেমন হবে তখন।(আগন্তুক) 


• রিয়াদ আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে- কিরে তুই তু আগে এমন রহস্যময় কথা বলতি না এখন এত কথা বলছিস কেনো। কাজ টা শেষ করে তাড়াতাড়ি চাচার কাছে যেতে হবে।(রিয়াদ)


• রিয়াদ তুই জানিস কি ভিতুরা একটু বেশিই কথা বলে যার কারণে তারাই বেশি ঠকে। তুইও কিন্তু বেশি কথা বলিস মনে হয় না তর সাথে মাইন্ড গেম খেলতে আমার জমবে।(রাজ)


• রিয়াদ এক পায়ের উপর ভর দিয়ে কোনো রকমে রাজের সামনে এসে গেঞ্জি টা ধরে টানতে থাকে আর বলে- তুই একটু বেশিই কথা বলছিস নিজেকে অনেক বড় মনে করিস তুই।(রিয়াদ) 


• রাজ তার হাত দিয়ে রিয়াদের হাত দুটু ছাড়িয়ে নিয়ে একটা ঘুশি দেয় রিয়াদের মুখ পাজরে। রিয়াদ দূরে ছিটকে গিয়ে পরে। তকে তখনই বলেছিলাম আমাকে মেরে দে কিন্তু তুই তা শুনলি না এখন বিপদ তুই নিজেই ডেকে এনেছিস।(রাজ)


• আগন্তুক টা সিগারেট টানছে আর শব্দ করে হাসে। রিয়াদ আগন্তুক টা কে উদ্দেশ্য করে বলে- তুই বসে বসে সিগারেট টানছিস কেনো দেখতে পাচ্ছিস না আমাকে হিট করছে। (রিয়াদ)


• রাজকে এখন কোনো হিংস্রের চেয়ে কম লাগছে না মনে হচ্ছে সে পারলে এখনই তার পুরু গেম টা শেষ করে দিতে পারে কিন্তু সে একজন পাক্কা মাইন্ড গেমার তাই সে আরো মাইন্ড গেম খেলতে চায়। রিয়াদ আমি তখন চুপ করে ছিলাম এর মানে এই নয় যে আমি তদের কাছে হার মেনে নিয়েছি আমার নিরবতা আমাকে অনেক কিছু দেয় যার কারণে আমি কোনো গেমে সহজে হাড়ি না৷ আমি যেটাতে হাত দেই ঐটাই আমি সফল করেই ছাড়ি।(রাজ)


• রিয়াদ রাজকে উদ্দেশ্য করে বলে- মাদা** তকে আজ আমি নিজ হাতে মারবো,,এখানে তর কোন বাপ তকে বাঁচাতে আসবে না। কথাটা বলেই রিয়াদ বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়,,টেবিলের উপরে থাকা গান টা নিয়ে রিলোট দিয়ে নেয় সে রাজের থেকে সামান্য লম্বা হওয়ায়, রাজের কপাল বরাবরই পিস্তল টা তাক করে। রিয়াদ ট্রিগার চাপ দিলেই গরম বুলেটে রাজের কপাল টা বেদ করে বুলেট টা শূন্য বেড়িয়ে যাবে। রাজ শুধু মুচকি হাসে, তার সামনে যে মৃত্যু দূত দাঁড়িয়ে আছে সে যেন এটা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। রিয়াদ ও মুচকি হেসে উচ্চ সরে বলতে থাকে -- কিরে মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে আছিস তবুও হাসতেছিস কেনো, ভয়ে পেয়ে এবার কি সত্যি পাগল হয়ে গেছিস। (রিয়াদ)


• রাজ কেবল রিয়াদের দিকে চেয়ে মুচকি হাসে কিছুক্ষন পর এখানে কি হবে রাজ যেন এটা ভেবে নিয়েছে তাই রাজ বলে--মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে ভয় তো পাবে সে যার ভিতর মৃত্যুর ভয় আছে। কিন্তু আমি মৃত্যু কে ভয় পাই না কারণ আমি জানি যেকোনো দিন মরতে হবে তাহলে মৃত্যু কে সামনে থেকে দেখে ভয় পাবো কেনো। আর আমি জানি আমার এখনো মৃত্যুর সময় হয় নি মরবি তো এখন তুই।(রাজ)


• আগেই বলেছি তকে আত্মবিশ্বাস ভালো কিন্তু বেশি আত্মবিশ্বাস ভালো না। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে তুই বলছিস তুই মরবি না,,একটা চাপ একটাই বুলেট তর নাম টা পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাবে, বলেই ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই গুলি করার শব্দ হয় ঘর টায় এখন পিন পিন নিরবতা। কিন্তু নিরবতার মাঝেও দুই জন ছেলের উচ্চ সরে হাসার শব্দ আর এক জনের অাতংকের চিৎকার। রিয়াদ যেন কথা বলার ভাষা হাড়িয়ে ফেলছে,, পিছন থেকে আগন্তুক টা G18 দিয়ে পর পর চার টা গুলি করে চারটা বুলেট ই যেয়ে রিয়াদের পিঠ বরাবর লাগে। আগন্তুক টার বাম হাতে অর্ধেক জ্বলন্ত সিগারেট আর ডান হাতে পিস্তল। বেশ আরাম করে বসেই গুলিটা চালায় আগন্তুক টা,,রাজ উচ্চ সরে হাসতে থাকে সাথে আগন্তুক টাও সায় দিচ্ছে। আগন্তুক টা তার মুখ থেকে মাক্স টা সরিয়ে নেই ষাট ওয়াটের বাল্বের হলদে আলোয় আগন্তুকের মুখ টা স্পষ্ট দেখতে পারছে রিয়াদ। 


• রিয়াদের শরীরটা কেমন যেন দুর্বল হয়ে আসছে চাইলেও যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। সে মাটিতে ধসে পড়ছে মৃত্যু যেন তাকে এখন গ্রহণ করবে শেষে সে একটা কথা বলে-- বেইমানি কেনো করলি তুই এটা আমার সাথে।(রিয়াদ)


• আগন্তুক টা হাসতে হাসতে বলে -এই পৃথিবীতে সেই সবচেয়ে বেশি ধোকা খায়। যে নিঃসন্দেহে মানুষেকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে যায়। যেমন তুই আমাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে ধোঁকা টা খেয়ে নিলি।(আগন্তুক) 


• রিয়াদের যেন শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তবুও আস্তে করে আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে-- তর বেইমানীর ফল তুই পাবি চিন্তা করিস না,, রা..... রিয়াদ আর কিছু বলতে চাইছিলো কিন্তু তা আর বলতে পারলো না এর আগেই তার নিশ্বাস টা বন্ধ হয়ে যায়। 


• রাজ আগন্তুকের হাতে থাকা G18 টা নিয়ে,, নিচে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকা শাওন নামের ছেলেটির কপাল বরাবর দুইটা গুলি করে আগন্তুকের দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দেয়। টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় আর সেটা টানতে থাকে। 


• রাজের মুচকি হাসের প্রতি উওরে সেও একটা মুচকি হাসি উপহার দিয়ে বলতে থাকে--এই শহর টা আসলেই বেইমানির শহর এখানে কাউকে বিশ্বাস করা মনে নিজের কবর নিজে তৈরী করা। মনে হয় সময় চলে এসেছে গেমটা কে শেষ করার।(আগন্তুক) 


• রাজ কিছু বলে না সোজা হাঁটা দেয় দরজার দিকে পিছনে একবার চেয়ে বলে-- বেইমানী..হিহিহিহিহি আমার সাথে বেইমানি করার আগে ওকে দশ বার চিন্তা করতে হবে। আর গেমটা একটু আলাদা টাইপের হবে প্লেন বাদে কিছু করে না এই রাজ,, সিগারেটে আরেক টা টান দিয়ে বেড়িয়ে আসে রুম থেকে। 


• রাজ বের হওয়ার সাথে সাথে আগন্তুক টা ঠোঁটের কোনে একটা হাসি ঝুলিয়ে রিয়াদের লাশের পাশে একটা ট্যাটু একেঁ বেড়িয়ে পরে তার অজানা গন্তব্যে। 


.................


“ রাত প্রায় ২টার উপর বাজে কিন্তু রাফি সন্ধ্যায় যে বাসা থেকে বের হইছে এখনো বাসায় আসে নি।” 

নুসরাত এখন দাঁড়িয়ে আছে রাফির চিলাকোঠার রুমের সামনে। ঐই দিন রাতের ঘটনার পর থেকে রাফির প্রতি জানার আগ্রহ যেন বেড়েই চলেছে নুসরাতের তাই আজ রাফির রুমটা ভালো করে চেক করে দেখবে কোনো ক্লো যদি যদি পাওয়া যায় তার সম্পর্কে। বাসার অন্য চাবি দিয়ে চিলেকোঠার রুমে ডুকে নুসরাত,, রুমের অবস্থা বেশি একটা ভালো না চারিদিকে সিগারেটের পেকেট আর ছোট ছোট সিগারেটের টোকরা,, সাদা কালারের হালকা ময়লা একটা বিছানার চাদর দুইটা বালিশ,, বিছানার পাশেই একটা ব্যাগ রাখা আছে। নুসরাত ভাবছে ব্যাগ টা চেক করবে কি না। অবশেষে সব চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যাগ টা হাতে নেয় নুসরাত। সে ব্যাগ টা খুলে এমন কিছু দেখবে আশা করে নি,, They are Mafia king. ইংরেজি নোবেল আরো কিছু ছবি যেখানে চারজন ছেলে গান হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আবার কয়েকটি ছবির উপর লাল কালি দিয়ে কিছু একটা চিহ্নিত করা। নুসরাত বুঝতে পারছে না রাফির ব্যাগে এগুলো কেনো হঠাৎ নুসরাতের চোখ আটকে যায় র্শ্ট একটা পিস্তল দেখে। ব্যাগে আর কিছু নেই তাই নুসরাত ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে চলে আসে। ঘরটাতে সিগারেটের পুরা গন্ধে কেমন যেন বমি বমি পাচ্ছিলো নুসরাতের তাই সে বাইরে চলে আসে। 


...


* তুই না আর কোনো সময় রাতের বেলা বাসায় আসবি না তাহলে আজ এত রাতে আসলি কেনো*

মফিজ মিয়ার কথায় রাফি চুপ হয়ে যায়। রাফির কোনো জরুরি কাজ থাকায় আজকে এত রাত হয়েছে বাসায় আসতে। এই কথাটাই সে মফিজ মিয়া কে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ রাফির চোখের দৃষ্টি  ছাঁদের দিকে গেলে। ছাঁদে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে নুসরাত তার দিকে। রাফি বুঝতে পারছে আজ তার কপালে কোনো না কোনো বিপদ নিশ্চয়ই আছে তাই সে মফিজ মিয়ার সাথে কথা না বাড়িয়ে দৌড়ে ছাঁদে চলে আসে। সে নুসরাত কে দেখেও না দেখার ভান করে রুমের দিকে চলে আসতে যাবে তখনই পিছন থেকে নুসরাত রাগি কন্ঠে বলে।


• কিরে তকে তু নিষেধ করছিলাম এত রাতে বাসায় আসবি না তবুও কোন সাহসে তুই এটা করলি বল।(নুসরাত) 


• রাফি বুঝতে পারছে না কি বলবে এখন,, নুসরাতের সামনে দাঁড়ালেই কেমন যেন তার জবাব বন্ধ হয়ে যায়। রাফি মাথাটা নিচু করেই আমতা আমতা করে জবাব দেয় -- আপু দেশের বাড়ি থেকে একটা বড় ভাই ঢাকায় আসছে তাই ওনার সাথে দেখা করতে করতে রাত হয়ে গেছে,, কাল থেকে আর এমন হবে না।(রাফি)


• নুসরাতের কাছে রাফির উত্তর টা একটুও বিশ্বাস হয় না। কারণ রাফির চোখে মুখে ছিল আতংকের ছাপ। নুসরাত রাফির কথার প্রতি উওরে একটা মুচকি হাসি দেয়। তা গ্রামের বড় ভাই এখন কোথায় আছে শহরে আছে নাকি চলে গেছে। (নুসরাত) 


• রাফির কাছে নুসরাতের মুচকি হাসি টা কেমন যেন রহস্যময় রহস্যময় লাগছে। রাফি এটাই বুঝতে পারছে না কেন নুসরাত তাকে এত প্রশ্ন করছে,, আগে তো এমন করে কখনো গুরুত্ব দিয়ে কথা বলতো না কিন্তু এখন তাই বুঝতে পারছে না রাফি। জ্বি আপু বড় ভাই এখানেই একটা বাসায় থাকে। (রাফি)


• রাফি তকে একটা কথা বলি- মানুষই একমাত্র প্রাণী যে পুরোপুরি সফল জীবনযাপন করে আফসোস নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। তুই আবার নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে রেখে আফসোস করিস না। মুচকি হেসে চলে যায় নুসরাত আর ছাঁদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নুসরাতের রহস্যময় কথা গুলো ভাবতে থাকে রাফি, তবে কি রাফির পরিচয় কোনো ভাবে জেনে গেছে নুসরাত।.. 


.........


“ রাজ তুমার সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে,, খাবার শেষ করে আরাম করে বসে কথা বলবো”


ডাইনিং টেবিলে উপর খাবার রাখা, আজ যেন এই দুতলা বাসায় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ তার চেয়ার টা টেনে বসার সময়ই মেহেরাব রাজ কে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। রাজ বসে মুচকি হাসি দিয়ে বলে-- সমস্যা নেই স্যার খাওয়া দাওয়া করে কথা বলব। আর স্যার আজ এত আয়োজন করা হয়েছে কেনো কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান নাকি।(রাজ)


• মেহেরাব রাজের কথা শুনে মুচকি হেসে বলে-- কি আর বিশেষ অনুষ্ঠান হয়তো আজ কেউ বাসা ছেড়ে চলে যাবে তাই তাকে ভালো মন্দ খায়িয়ে বিদাই দিবো।(মেহেরাব)


• রাজ বুঝতে পারছে না কার জন্য এত আয়োজন করা হয়েছে আর কেই বা আজ বাসা থেকে চলে যাবে।  তাই সে প্রশ্ন করে ফেলে -- স্যার বাসা থেকে কে চলে যাবে আর কই সে ব্যাক্তি যার জন্য এত আয়োজন। (রাজ)


• মেহেরাব রাজের কৌতূহল আর অস্থিরতা দেখে ঠোঁটের কোনে হাসি ঝুলিয়ে বলে-- আগে খাবার টা শেষ করো পরে না হয় দেখবে কে বাসা থেকে চলে যাবে আর কার জন্যই বা এত আয়োজন। (মেহেরাব) 


• রাজ আর কিছু না বলে তার খাবার টা শেষ করে। খাবার টা শেষ করে একবার রিমির দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দিয়ে সোফার দিকে চলে আসে। রাজ বসে বসে চিন্তা করছে কি এমন জরুরি কথা যার জন্য মেহেরাব তাকে এত গুরুত্ব দিয়ে কথা টা বললো। 


* রাজ আমি তো রাফিন আর রাফসানের থেকে একজন কে ধরে ফেলেছি কিন্তু কে কোন টা সেটাই বুঝতে পারছি না **


মেহেরাবের এমন কথা শুনে রাজ যেন আকাশ থেকে পড়লো। এমন কথা বলছে মেহেরাব এর উত্তর রাজ কিভাবে দিবে বুঝতে পারছে না রাজ,,,,তাহলে কি.................


@@@ চলবে @@@


[ পর্ব টা দেরি করে দেওয়ার জন্য দুঃখীত। আর এই পর্বে সবার একটা একটা করে ভালো করে মন্তব্য আশা করছি। ]ধন্যবাদ 


wait for the next part.

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড---পর্ব:১৯--RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ



“ খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”

লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব : ১৯

..............


“হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট। কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়” 

যেমন এখন নুসরাত রাফিকে এমন একটা প্রশ্ন করেছে যা শুনে সে হতভম্ব হয়ে যায়। 


• কিরে এমন করে মুর্তির মতো করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন। যা বলছি সেটার উওর দে।(নুসরাত) 


• রাফি ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না যে কি উত্তর দিবে কারণ নুসরাতের এই প্রশ্নের জবাব রাফির কাছে নেই,,সে কিছু না বলে মাথাটা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।


• নুসরাত নিজের রাগ টা কে কন্ট্রোল করে বলে -- আরেক বার বলছি,, কাল রাতে তুই কোথায় গিয়েছিলি আবারো এত রাতে, উত্তর দে।(নুসরাত) 


• রাফি মাথাটা নিচু করেই জবাব দেয়-- আসলে আপু আমি মাঝেমধ্যেই রাতে হাঁটতে বের হই।(রাফি)


• সেটাই তো জিজ্ঞেস করলাম এত রাতে কই হাঁটতে বের হস।(নুসরাত) 


• আপু আমি বাসার কাছ দিয়েই হাটা হাটি করি,,বেশি দূর কোথাও যাই না।(রাফি)


• নুসরাত ঠিক বুঝতে পারছে রাফি মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু রাফিকে বুঝতে দেওয়া যাবে না যে সে এটা ধরতে পেরেছে। তকে যেন আর না দেখি রাতে বেলা বাসা থেকে বেড়িয়ে হাটা হাটি করতে,, তুই এখন যা এখান থেকে। (নুসরাত) 


• রাফি তার মাথাটা নাড়ায় যার মানে হলো হ্যাঁ, সে আর রাতে বাহিরে যাবে না। রাফি পিছনের দিকে ঘুরে চলে যাচ্ছিলো তখন পিছন থেকে শুনতে পায়..রক্তের খেলায় সবাই ই উন্মাদ কেউ রক্ত দেখে মজা পায় আবার কেউ....আর কিছু শুনতে পায় না রাফি এর আগেই পিছন থেকে হাসির আওয়াজ আসতে থাকে রাফি পিছনে ফিরে তাকায় দেখে নুসরাত হাসতেছে। 


...


ষাট ওয়াটের একটা বাল্বে হলদে আলোয় নিস্তব্ধত বদ্ধ রুমটা ছেয়ে গেছে। রুমের ভিতর একটা ছেলেকে বেধে রাখা হয়েছে পরনে তার পুলিশের পোশাক,, মনে হচ্ছে অনেকক্ষন ধরে কেউ তাকে ভালো করেই আঘাত করছে যার কারণে সবুজ রঙের শার্টের চার টা বুতাম খোলা ভিতরের সাদা গেঞ্জি টা ভালো করেই বুঝা যাচ্ছে। মুখ দিয়ে সামান্য রক্ত জমাট বেঁধেছে মনে হয় অনেকক্ষন আগে কেউ চার থেকে পাঁচ টা ঘুশি দিয়েছে,,রক্ত গুলো জমাট বেঁধে কালো হয়ে গেছে। লম্বা লম্বা এলোমেলো চুল,, লম্বা চুলের সামনের ডান পাশে হালকা করে রঙ করা।ছেলেটা কে অনেক গুলো ড্রাক্সের ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে যার কারণে সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সেই ছেলেটা আর কেউ না সয়ং রাজ নিজেই। 


কিছুক্ষন পর তিনটা ছেলে রুমের ভিতর প্রবেশ করে। কালো মোটা করে ছেলেটা নাম পলাশ তার হাতে একটা ছোট বালতি টে করে পানি নিয়ে এসেছে সেই পানি সোজা রাজের মুখে মারে।


* হঠাৎ করে মুখের উপর তরল জাতীয় কিছু পড়ায় রাজ আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকায়। চোখ খুলা মাএ ষাট ওয়াটের বাল্বের হলদে আলো রাজের চোখে এসে পরে যায় কারণে রাজ আবার চোখ জোরা বন্ধ করে ফেলে। কিছুক্ষন পর আবার চোখ খুলার পর সে নিজেকে একটা চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করে,, রাজ হাত গুলো নাড়ানোর চেষ্টা করলে তা আর পারে না কারণ তার হাত গুলো মোটা শক্ত রশি দিয়ে বাঁধা। রাজের কেমন যেন মাথাটা ঘুর ঘুর করছে,, অধিক পরিমাণে ড্রাক্স রাজের শরীরে প্রবেশ করানো হয় যার কারণে তার এমন মনে হচ্ছে।  রাজ সামনে তাকিয়ে দেখে।  একটা মধ্যে বয়সী ছেলে পায়ের উপর পা তুলে বসে সিগারেট টানছে, দুইজন ছেলে তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে বাকি একজন রাজেরর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজ মনে করার চেষ্টা করছে সকালে যখন সে পুলিশ স্টেশন যাচ্ছিলো তখন কেউ তার গাড়িটা থামিয়ে তার কাছে আসে রাজ কিছু বলার আগে সেই ব্যক্তি রাজকে অজ্ঞান করে ফেলে। চেয়ারে বসে থাকা রিয়াদ নামের ছেলেটা তার সামনের  থাকা টেবিলের উপর পা দুটো তুলে রাখে। আর  রাজকে উদ্দেশ্য করে বলে- কি রে আমাকে চিনতে পেরেছিস আমি মেয়র শহীদ এর বড় ভাই এর ছেলে রিয়াদ,, সজিবের আপন বড় চাচাতো ভাই। চাচা সজিবের খুনি হিসেবে তকে সনাক্ত করেছে তুই নাকি অনেক সাহসী আবার চাচার সাথে বড় বড় কথা বলছিস। তাই তকেই নাকি চাচার সন্দেহ লাগছে,, এখানে তকে মেরে গেলে কেউ জানবে না একটা কাক পক্ষিও জানবে না। তা পুলিশ পুলিশের মতো থাকবি,,আবার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে তর্কাতর্কি করিস কেনো।  এখন তুই বল সজীব কে কেনো মেরেছিস কি দোষ করেছিল তর সাথে যার কারণে সজীব কে মেরে দিলি। 


• রাজ মুখ দিয়ে কেনো শব্দ করে না,, সে জোরে জোরে কয়েকটা শ্বাস ছাড়ে। এভার সে ভীতু গলায় বলতে থাকে-- আমি সজীব কে মারি নি।(রাজ)


• রিয়াদের হাতের ইশারায় পিছন থেকে কালাম নামের ছেলেটা একটা স্টীক এনে তার হাতে দেয়। রিয়াদ কিছু না বলেই হঠাৎ করেই বারি মারে রাজের হাঁটুর মাঝ বরাবর,, রাজ চোখটা বন্ধ করে ব্যথা টা সহ্য করে নেয়। রাজ কোনো প্রতি উওর করে না কারণ সে জানে “বুদ্ধিমানেরা তখন কথা বলে যখন তাদের কিছু বলার থাকে” কিন্তু রাজের এখানে বলার কিছু নেই তাই সে চুপ করে বসে আছে। রিয়াদ এটা দেখে স্টীক টা দিয়ে আবার বাম পায়ের হাঁটুর মধ্যে স্ব জোরে বারি মারে। রাজের কাছে মনে হচ্ছে এই একই জায়গায় প্রথমে আঘাত করা হয়েছে।  রাজ এই বার ও নিরবে ব্যথা টা সহ্য করে নেয়। রিয়াদ যেন  রাজের এই নিরবতা সহ্য হয় না তাই সে বলতে থাকে -- কিরে তর কি কোনো ব্যথা অনুভব হচ্ছে না তুই কিভাবে চুপ করে আছিস।


• রাজ কিছু না বলে ব্যথার মধ্যেও মুচকি হাসে। যার মানে হচ্ছে তুমি যতই দুর্বল হও না কেনো শক্রুর সামনে তা প্রকাশ করা যাবে না। তুমি যত দুর্বলতা প্রকাশ করবে সামনে থাকা শক্রু তত বেশি অত্যাচার করবে তুমার উপর। 


• রিয়াদ টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় দুই টা টান দিয়ে সব ধোঁয়া গুলো রাজের মুখের উপর ছাড়ে। রাজ কাশতে শুরু করে এটা দেখে রিয়াদ জ্বলন্ত সিগারেট টা রাজের বাম হাতের উপর চেপে ধরে।  রাজের মুখ থেকে হালকা জোরে ‘ আহ্ ’ করে একটা শব্দ হয়। এটা দেখে সবাই উচ্চ সরে হাসতে থাকে।


• বুদ্ধিমান সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে কাজের পরে। রাজ এই কথাটা চিন্তা করে মুচকি হাসছে। 


• রিয়াদের কাছে রাজের এই এই মুচকি হাসি টা যেন আর সহ্য হচ্ছে না। তাই সে রেগে বলে- কিরে তুই কি দিয়ে তৈরী, এত অত্যাচার করছি তবুও কিভাবে তুই হাসছিস।(রিয়াদ)


• রাজ বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে বলে- তুই কি জানিস  রাগ,অভিমান ও অভিযোগ বোকা ও দূর্বলরা করে। বুদ্ধিমানরা পরিস্থিতি পরিবর্তনে বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে।(রাজ)


• তাহলে তুই কি এখন নিরবতা পালন করে বুদ্ধিমতার পরিচয় দিবি বলেই রিয়াদ রা মিলে হাসতে থাকে। 


• রাজ জানে শক্রুকে যত বেশি রাগাবে তত বেশি সে দুর্বল হয়ে যাবে তার বুদ্ধি কাজ করা বন্ধ করে দিবে। তাই সে রিয়াদ কে রাগানোর জন্য বলছে, রিয়াদ তুই কি জানিস পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে মুহূর্তের মধ্যে প্রচন্ড পারমাণবিক শক্তি মুক্ত হয় এবং ভয়াবহ ধ্বংসলীলার সৃষ্টি করে। ( রাজ) 


• রিয়াদ প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে চেয়ে রাজকে প্রশ্ন করে ফেলে-- এই কথা গুলো দ্বারা কি বুঝাতে চাইছিস সেটা খুলে বল।( রিয়াদ) 


• রাজ দেখতে পারছে রিয়াদ উত্তর টা শুনার জন্য কেমন যেন করে তাকিয়ে আছে।  হিহিহিহিহি....বলবো সব বলবো আগে আমাকে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে দে। মনের সুখে টানবো আর তর প্রশ্নের জবাব দিবো। (রাজ)


• রিয়াদ ভালো করে বুঝতে পারছে রাজের মাথায় কোনো সমস্যা আছে,, কেমন যেন সাইকো টাইপের ছেলে। সে আর কিছু না ভেবে পেকেট থেকে একটা সিগারেট  জ্বালিয়ে রাজের দিকে এগিয়ে দেয়।


• রাজ অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিয়াদের দিকে, হাত দিয়ে ইশারা করে,, যার মানে হচ্ছে রাজের হাত বাঁধা সে হাত বাঁধা অবস্থায় সিগারেট টানতে পারবে না। 


• রিয়াদ পলাশ কে বলে-- পলাশ সালার ডান হাতের বাঁধন টা খুলে দে। রিয়াদের কথা মতো পলাশ রাজের ডান হাতের বাঁধন খুলে দেয়। ‘ নে এবার সিগারেট টান আর আমার প্রশ্নের জবাব দিতে থাক’।(রিয়াদ) 


• রাজ জ্বলন্ত সিগারেট টা ঠোঁটে চাপে,,নিচের ঠোঁটের কোনে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে,, ঠোঁট টা অনেক জায়গায় বাজে বাবে কাটা যার কারণে সিগারেট টা ঠোঁটে চাপলে রাজের হালকা ব্যথা অনুভব হয়। তবুও যেন সে থেমে নেই জোরে জোরে চারটা টান দিয়ে সিগারেট টা শেষ করে ফেলে। আমরা যেখানে ছিলাম,, অ হে  তুই যতক্ষন পর্যন্ত আমাকে এখানে বেঁধে রাখবি ততই তর সমস্যা হবে কারণ আমি পারমাণবিক বোমার চেয়ে বেশি শক্তিশালি। আমাকে এখনই মেরে ফেল নয়তো পরে আবার তর আশা অপূর্ণ ই থেকে যাবে।(রাজ)


• সালা মাদা*** তকে চাইলে এখনই মেরে দিতে পারি কিন্তু তকে যে মারবে সে এখনও আসে নাই। ভাগ্য টা তর খুবই ভালো তা না হলে তুই এখন পর্যন্ত বেচে আছিস।(রিয়াদ)


• রাজের ভাগ্য সম্পর্কে সে নিজেই অবগত নেই,,রাজের খারাপ সময় সে নিজেই ঠিক করে আবার ভালো সময়ও সে নিজে ডিসাইড করে। আমি জানি আমার ভাগ্য এখন কি লেখা আছে তবে আমি এখন মরবো না এটা তো শিউর।(রাজ)


• আত্মবিশ্বাস ভালো কিন্তু এত বেশি আত্নবিশ্বাস ভালো না। (রিয়াদ)


• হিহিহিহি.. রাজ জানে তার মাইন্ড যতক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ তার কিছু করতে পারবে না।( রাজ) 


• রিয়াদ বসা থেকে উঠে এসে রাজের বাঁধন গুলো খুলতে থাকে। উপস্থিত সবাই প্রায় অবাক,, রাজ এতক্ষণ রিয়াদের সাথে কথা বলে বুঝে গেছে তার সাথে কি রকম মাইন্ড গেম খেলতে হবে তাই সে কথা টা বলছে। আর কথাটা শুনে রিয়াদ হার্ট হয়ে গেছে যার জন্য সে এমন করছে।নে খুলে দিলাম তর সব বাঁধন দেখি তুই কি করতে পারিস,, আজ তর এমন অবস্থা করবো তুই নিজে নিজেকে দেখে ভয় পেয়ে যাবি,,রিয়াদ তার শার্টের বুতাম গুলো খুলতে খুলতে রাজকে বলছে।


• রাজ বুঝে গেছে শিকার নিজে এসে ধরা দিচ্ছে তাই তাকে তেমন বাবে প্রস্তুত হলে হবে। রাজ নিচের দুই টা বুতাম খোলে শার্ট টা টেবিলের উপর রাখে,,সাদা গেঞ্জির ভিতর স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে সিক্স পেক বডি।


• রিয়াদও তার সাদা শার্ট টা খোলে টেবিলের উপর রাখে। পিছন থেকে.    পয়েন্ট 38 রিবালভার টা রাখে টেবিলের উপর,, গাড় টা হালকা ঘুড়িয়ে ব্যয়াম করে নিচ্ছে। পা টা হালকা উচু করে রাজের দিকে স্লাইড করে কিন্তু রাজ সেপ্টি নিয়ে সরে আসে,, কিন্তু রিয়াদ তার পরের এটাক টা মিছ করতে চায় না তাই ডান হাত দিয়ে রাজের তলপেটে হিট করে রাজ দুর্বল থাকায় দূরে ছিটকে পরে,, রিয়াদ যেয় রাজকে টেনে তুলে। রাজ মুচকি হেসে নিজের মাথাটা দিয়ে জোরেই একটা হিট করে রিয়াদের কপাল বরাবর,, রিয়াদ সামান্য দূরে সরে যায়। রাজ যেন এটার অপেক্ষা তেই ছিল টেবিলের উপর থাকা গান টা নিয়ে পর পর তিন টা গুলি চালায় একটা যেয়ে লাগে পলাশের কপালে, পরের টা কালামের মুখের চোয়াল বরাবর,, রাজের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার বাম পায়ে যেয়ে গুলি টা লাগে। আবদ্ধ রুমটা এখন নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে দুটা লাশ পরে আছে নিচের ফ্লোরে, পায়ে গুলি লাগা শাওন নামের ছেলেটা ব্যথা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হাড়ায়।


• রাজ এই নিস্তব্ধত রুমে জোরে জোরে হাসতে থাকে,, টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় আর টানতে থাকে রাজ পিছনের দিকে ঘুরে একবার দেখে নেয়,, রিয়াদ যেন এটার ই অপেক্ষা করছিলো সে উঠে দৌড়ে রাজ কে মারতে আসবে তখনই একটা গুলির শব্দ হয়। গুলিটা রাজ না দেখেই চালায় সেটা যেয়ে সোজা রিয়াদের ডান হাঁটুর মধ্যে লাগে।রাজ জোরে হাসতে হাসতে বলে- রাজের নিশানা কখনো মিছ হয় না। শুন রিয়াদ   ‘যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম। আমাকে যেন কে আসবে মারতে দেখি তর কোন বাপ এসে আমাকে মারে। রাজের কথাটা শেষ হওয়ার সাথে সাথে রুমের দরজায় কেউ কড়া নাড়ে। 


• রিয়াদ উচ্চ সরে হাসতে থাকে বলে- নে আমাকে এখন ই মেরে দে নয়তো ওরা আসলে তকে কিন্তু বাঁচিয়ে রাখবে না। আমার দিকে এমন ভাবে চেয়ে না থেকে দরজা টা যেয়ে খুলে দে। (রিয়াদ)


• রাজ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে জোরেই হেসে উঠে বলে- যা তর মেহমান তুই যেয়ে তাকে ভিতরে নিয়ে আয়। (রাজ)


• রিয়াদ কোনো রকমে খুরে খুরে দরজার কাছে এসে দরজাটা খোলে দেয়,, বাইরে থেকে কোনো এক আগন্তুক ভিতরে প্রবেশ করে। 


• রাজ আগন্তুক টা কে দেখে পাগলের মতো হাসতে থাকে,,এমন ভাবে হাসছে আগন্তুক টা কে দেখে যেন কত দিনের পরিচয় আগন্তুকের সাথে আর................ 


@@@ চলবে @@@


[ আমার এই আইডিতে কিছু ফ্রেন্ড লাগবে আশা করি সবাই রিকোয়েস্ট দিয়ে পাশে থাকবেন]ধন্যবাদ 


wait for the next part.

Thursday, June 24, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব--১৮--RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

লেখক:RAJA Bhuiyan


পর্ব:~~( ১৮ )~~

........................


রাত ১২ টার দিকে কে এই ভাবে বাসা থেকে বের হতে পারে বুঝতে পারছে না নুসরাত,, তাই সে দৌড়ে নিচে চলে আসে, নুসরাত কে হাঁপাতে দেখে মফিজ মিয়া নুসরাত কে জিজ্ঞেস করে। 



• আপা মনি আপনি এভাবে দৌড়ে কই যাইতাছেন। (মফিজ)




• নুসরাত মফিজ মিয়া কে একদম সহ্য করতে পারে না তাই সে রেগে বলে- সেটা কি তোমাকে বলতে হবে,,তুমি আগে বলো এত রাতে তুমি কাকে গেট খুলে বাইরে যেতে দিছো।( নুসরাত) 




• নুসরাতের এমন রাগ দেখে মফিজ মিয়া ভয় পেয়ে যায় তাই সে আমতা আমতা করে জবাব দেয় --অ.আপা মনি ঐই টা তো ছিল রাফি,, আর সে তো মাঝে মধ্যে ই রাতে বাইরে বের হয়ে যায়। কথাটা শোনা মাএ নুসরাত গেট টা খুলে বেড়িয়ে পরে রাফির পিছনে পিছনে। নুসরাত একটা জিনিস বুঝতে পারছে না যে রাফি এত রাতে কোথায় যায়। ল্যামপোস্টের আলোয় দেখা যাচ্ছে রাফি তার পেন্টের পকেট থেকে ফোন টা বের করে কাকে যেন ফোন দিয়ে কথা বলছে। হঠাৎ ই রাফির সামনে কালো একটা গাড়ি এসে থামে,, নুসরাত লুকিয়ে পরে যাতে কেউ তাকে দেখতে না পারে। রাফি সেই কালো গাড়ির ভিতর ডুকে পরে,,নুসরাত ভাবতেও পারে নি রাফির মতো ক্ষেত, ছেলে এমন দামি গাড়ি তে উঠতে পেরেছে। নুসরাত আর এক মূহুর্ত দেরি না করে গাড়ির নাম্বার টা নোট করে নেয়,,লোকেশন টা অন করে মোবাইলে কানেক্ট করে নেয়। জোরে জোরে দৌরে বাসায় চলে আসে,,পছন্দের গাড়িটা বের করে লোকেশন ট্র্যাকিং করতে করতে রাফির গাড়ির পিছনে যেতে। নির্জন রাস্তা সামনে রাফির গাড়ি ২য় নাম্বার গাড়িটা নুসরাতের কিন্তু হঠাৎ একটা মোড় পেরুতে পর পর দুইটা গাড়ি নুসরাতের পিছনে পরে যায়। নুসরাত বুঝতে পারছে না এখানে আসা তার ঠিক হয়েছে কি না। রাফির গাড়িটা যেতে যেতে নির্জন জঙ্গল এলাকায় এসে থামে। নুসরাতও রাফির গাড়ির থেকে কিছু দূরে গাড়িটা থামায়,, কিন্তু নুসরাত তার গাড়ি থেকে নামে না। নুসরাত পিছনের দিকে চেয়ে দেখে তার গাড়ির পরের দুইটা গাড়ি নেই। রাফির গাড়ি থেকে তিন টা ছেলে নামে, ছেলেগুলো জিন্স জ্যাকেট, স্টাইলিস ছেড়াঁ পেন্ট, মাথায় লাল রুমাল বাধাঁ দেখতে পুরা বখাটেদের মতো লাগছে। কিন্তু রাফি নামছে না, কিছুক্ষণ পর একটা লোক গাড়ি থেকে নামে, নুসরাত অবাক হয়ে সেদিকে চেয়ে থাকে কেননা লোকটার পরনে মাফিয়াদের স্টাইলের সব কিছু পড়া। চার জন লোক সামনের দিকে এগিয়ে যায়। নুসরাত বুঝতে পারছে না রাফি কোথায় গেলো সে তো এই গাড়ির ভিতরেই ছিলো তাহলে কই গেলো সে। নুসরাত দৌড়ে সামনের গাড়ির কাছে চলে আসে কিন্তু সে দেখতে পায় গাড়ির ভিতর কেউ নেই তাহলে রাফি কই। নুসরাত আর কিছু না ভেবে সামনের দিকে এগিয়ে যায় লোকগুলোর পিছন পিছন।


..



“ এই কে তুই আমাদের এখানে কেন নিয়ে এসেছিস,, ফরহাদ স্যার যদি জানে তুই আমাদের এখানে ধরে এনে বেঁধে রেখেছিস তাহলে তদের একটা কেও ছাড়বে না”। 



• হিহিহিহিহিহি.....ইমন নামের ছেলেটির কথা শুনে সামনে বসা আগন্তুক টা উচ্চ সরে হাসতে থাকে। ফরহাদ আমাকে মারবে সেটা কিভাবে সম্ভব আমি তো খুন করে কোনো প্রমাণ রেখে যাই না, তাহলে। (আগন্তুক) 



• সোহান নামের ছেলেটা জোরে বলে উঠে-- রাফসান ভাইয়ের কানে যদি খবর টা যায় তাহলে কিন্তু পরেরটা আর নাই বল্লাম।(সোহান)




• হিহিহিহিহি.... রাফসান তাকে কি তোরা কখনো দেখেছিস। 



• রাফসান ভাই কে দেখা লাগে না, তার কথা বলে সব মায়েরা তাদের সন্তান কে ঘুম পাড়ায়,,আর তুই বলছিস তাকে দেখা লাগে না কি..(ইমন)



• আগন্তুক টা টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট আর পিস্তল টা নাড়াতে থাকে। সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে তার ঠোঁটে চাপে,,ডান হাত দিয়ে গান টা কে নাড়তে থাকে। আগন্তুক টা সাকিব নামের ছেলেটা কে হাতের ইশারায় বল- ওর বাঁধন টা খুলে দে।




• আগন্তুকের কথা শুনে সাকিব ওর বাঁধন খুলে দেয়। ভাইয়া এখন এই তিনটা কে কি করবো।(সাকিব)



• আগন্তুক টা একটু হাসে কিছু না বলে পর পর দুই টা গুলি করে বাঁধা দুইজন ছেলের মাথায় যেয়ে লাগে ছেলেদুটির চোখ জোরা যেন বেরিয়ে আসার উপক্রম। 



• বাঁধা থেকে মুক্তি পাওয়া ইমন যেন এটা দেখে উওেজিত হয়ে গেছে সোজা যেয়ে আগন্তুকের কালার ধরে ঝাকাতে থাকে আর বলতে থাকে -- তুই এটা কি করলি কুওার বাচ্চা এদের মেরে দিলি কেনো। (ইমন)



• আগন্তুক টা একটু হেসে জবাব দেয়- রাফির কলার ধরা মানে বাঘের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা। বলেই শক্ত বুট দিয়ে সজোরে ইমনের তলপেটে লাথি মারে,, ইমন দূরে ছিটকে পরে যায়। আগন্তুক টা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ইমনের সামনে এসে হালকা নিচু হয়ে বলে- মাফিয়া জগৎ মানে হচ্ছে রক্তের খেলা। সব রাফিয়ান রা রক্তের নেশায় মেতে উঠে,,সবার একটাই কথা হয় মারো নয় মর। তুই ও এই জগৎের একজন তাই তকেও মৃত্যুর সামনে দাঁড়াতে হবে। যেমন আজ দাঁড়িয়ে আছিস, মৃত্যু কে কখনো ভয় পাবি না। তুই যদি মৃত্যুর সামনে থেকে বেঁচে যেতে পারিস তাহলে মনে করবি তর আবার চান্স এসেছে তা তুই কাজে লাগাবি কিন্তু আজ... আগন্তুক  টা আর বেশি কিছু না বলে সোজা ইমনের বুকে তিনটা গুলি করে। ইমন যেন ভয়ক্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আগন্তুকের দিকে। আগন্তুক টা তার মাথা থেকে হুড ওয়ালা টুপি টা আস্তে আস্তে খোলে মুখ থেকে কাটা মাক্স টাও খুলে লাশের পাশে ফেলে চলে আসে গাড়ির দিকে। গাড়িতে উঠবে তখনই দেখতে পায় সাদা ড্রেস পড়া কেউ যেন ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। সাকিব কে জোরে বলে উঠে -- সাকিব দেখ ওখানে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে তাড়াতাড়ি যা পালাতে যেন না পারে।সাকিব আর শাহিন ঐ দিকে দৌড় দেয় কিন্তু দূরভাগ্য বশত তারা সেখানে যেয়ে কাউকে পায় না এর আগেই সাদা ড্রেস পরা ছায়াটা উদাও হয়ে যায়। 



• সাকিব আর শাহীন এসে আগন্তুকের সামনে মাথাটা নিচু করে নেয় আর বলে- ভাইয়া ওখানে কাউকে পেলাম না মনে হয় পালিয়ে গেছে।



• আগন্তুক টা সজোরে পা দিয়ে গাড়ির চাকয় একটা লাথি মেরে গাড়িতে উঠে বসে৷ আগন্তুক টা ভাবছে ছায়া টা হচ্ছে কোনো এক মেয়ে কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব এত রাতে কে এই ঘন জঙ্গলের ভেতর আসবে,,ঘোর ভাবে ভাবতে থাকে আগন্তুক টা....... 



................


* নুসরাত কিছুক্ষন আগের বিধ্বংসী একটা ঘটনা দেখেছে সেটা মনে করতেই তার বুক কেপেঁ উঠছে।*


নুসরাত ছেলেগুলোর পিছনে যেতে যেতে একসময় গাছের সাথে লেগে পা টা হালকা কেটে যায়। কোনো রকমে রক্ত টা বন্ধ করে আবার হাটা শুরু করে কিছু পর লোকগুলো থামে আর তাদের সামনে তিন জন ছেলেকে বেধেঁ রাখা হয়েছে। নুসরাত গাছের আরালে লুকিয়ে তাদের কাজ কর্ম দেখতে থাকে। কালো ড্রেস আপ পরা লোকটা যখন দুইটা গুলি করে মেরে দেয় তখন নুসরাত হালকা ভয় পেয়ে যায় কারণ হঠাৎ কাউকে এবাবে মেরে দিবে বুঝতে পারে নি সে। যখন আগন্তুক টা নিচে বসা ইমন নামের ছেলেটি কে মেরে মাথা থেকে টুপি আর কাটা মাক্স টা খুলল তার পুরো চেহারা টা হালকা চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পারছে নুসরাত সেটা আর কেউ না তাদের বাসার ছাদের চিলেকোঠার রুমে যেই ছেলেটা থাকে রাফি সেই। সে কিছুক্ষনের জন্য নিস্তব্ধত হলে গিয়েছিল।  ভার্সিটির সবচেয়ে ক্ষেত, গরীর ছেলেটা এভাবে তিনটা খুন করতে পারলো ভাবতে পারছে না নুসরাত।  রাফিরা যখন গাড়িতে উঠবে তখনই নুসরাত গাছের আরাল থেকে বেড়িয়ে যায় যার কারণে রাফি তাকে দেখে ফেলে। নুসরাতের জানা নেই রাফি তার মুখটা দেখতে পারছে না কি পারছে ন। নুসরাত যখন দেখলো রাফির হাতের ইশারায় দুইটা ছেলে দৌড়ে আসছিল তখন নুসরাত সেখান থেকে জোরে দৌড়ে চলে আসে।  নুসরাত জঙ্গল থেকে বেড়িয়েই খোলা একটা মাঠে চলে আসে আর ভাবতে থাকে রাফি কি করে হতে পারে মাফিয়া।......... 



...



রাজ প্রতিদিন রাতে ছাঁদে এসে সিগারেট টানে আর প্রতিদিন সেখানে রিমি চলে আসে। কিন্তু আজ রাজ অবাক হয়ে গেছে এক ঘন্টা হয়ে গেছে তবুও রিমি ছাঁদে আসছে না। তবে রাজের কাছে ভালোই লাগতেছে একা একা বসে সিগারেট টানছে। অন্য দিন হলে রিমির কথার জ্বালায় শান্তিতে সিগারেট খেতে পারতো না। রাজ একটার পর একটা সিগারেট খেয়েই যাচ্ছে কোনো মতে মাথা থেকে চিন্তা মুক্ত হতে পারছে না। পকেট থেকে আরেক বার লকেট টা বের করে দেখতে থাকে। এই পর্যন্ত সে নয় বার দেখে ফেলছে লকেট টা কিন্তু সে বুঝতে পড়েছে না কিভাবে এই সামান্য জিনিস দিয়ে খুনি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে। রাজের কাছে ফরহাদের রহস্যময় কথা গুলো কেমন যেন ভাবাচ্ছে। আবার ফরহাদের রহস্যময় কথা গুলো শুনে মেহেরাব শান্ত হয়ে মুচকি হাসি দিয়েছে। কি হতে পারে কি হতে পারে সেটাই বুঝতে পারছে না রাজ।



“ আপনার সাথে মনে হয় আমার আর কথা হবে না ”

রাজ এগুলো চিন্তা করছিলো তখন ই পিছন থেকে রিমির গলার আওয়াজ শোনে পিছনে ফিরে তাকায় দেখে,, রিমি আজ একটা কালো রঙের কামিজ পরেছে চোখের নিচে হালকা কালো দাগ, চোখ জোরা লাল, মনে হয় অনেক ক্ষন ধরে কান্না করেছে। কিন্তু কেন রিমি কান্না করেছে সেটাই বুঝতে পারছে না রাজ তাই তাড়াতাড়ি করে প্রশ্ন করে ফেলে -- রিমি তুমার এই অবস্থা কেনো,, মনে হয় কান্না করেছো কি হয়েছে।



• রিমির চোখ থেকে দু ফোটা পানি পরে, হাত দিয়ে তা মুছে বলতে থাকে-- আমি আপনাকে সত্যি ভালোবাসতাম কিন্তু আপনি আমার ভালোবাসার কোনো মূল্যই দিলেন না। সব আপনার জন্য হয়েছে সে দিন যদি আমাকে একসেপ্ট করতেন তাহলে আজ আর এই দিন দেখতে হতো না।(রিমি)



• রাজ বুঝতে পারছে না রিমির কথা তাই সে বলে-- আমি তো তুমাকে আগেই বলছিলাম আমাকে ভালো না বাসতে কিন্তু তুমি তা করলে এখন এটা ভেবে কষ্ট পেলে আমার কি করার আছে।(রাজ)



• রিমি এবার সত্যি সত্যি ই কান্না করতে করতে বলে-- বাবা বলে দিয়েছে আমি যেন আপনার থেকে দূরে দূরে থাকি। আমি আপনার সাথে দূরে দূরে থাকতে পারবো না। আমার কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। আমি বাঁচবো না আপনাকে ছাড়া।(রিমি)



• রাজ নিজের চিন্তায় নিজে বুঝতে পারছে না কি করবে এখন আবার আরেক ঝামেলা। রাজ রেগে বলে- দেখ রিমি তুমার বাবা যেহেতু না করছে আমার সাথে মিশতে তাহলে তুমি তাই করো। আমার মনে হয় সেটা সবার জন্যই ভালো হবে। আর আরেকটা কথা,, রাজ বলতে যেয়েও বলতে পারলো না,,অন্য দিকে ফিরে আরেক টা সিগারেট জ্বালায় আর বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো মুক্ত বাতাসের সাথে তীব্র গতিতে উড়ে যাচ্ছে। রাজের অবহেলা সহ্য করতে না পেরে রিমি নিচে চলে যায়। রিমির চলে যাওয়ার আওয়াজ শোনে রাজ পকেট থেকে মোবাইল টা বেরে করে কাকে যেন ফোন দেয়.........



....



হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট। কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়। রাফি আজ একটু দেরি করে ভার্সিটিতে যায় গত কাল রাতে কথা মনে করে একটু মুচকি হাসে। গেট দিয়ে যখন ডুকবে তখনই রাফি দেখতে পায় তিনটা ছেলে মিলে নুসরাত কে বিরক্ত করছে। একটা ছেলে যেয়ে নুসরাতের  কোমর স্পর্শ করে রাফি যেন এটা মেনে নিতে পারছে না তার চোখ দুটো লাল হয়ে আসছে,, সবাই নিরব দর্শকের মতো চেয়ে চেয়ে দেখছে কারো কিছু বলার সাহস নেই কারণ ভার্সিটির সভাপতির ছেলে রিয়াদ নুসরাত কে বিরক্ত করছে। রাফি নিজের হাত টা মুষ্ঠি বদ্ধ করে নুসরাতের পাশে যেয়ে দাঁড়িয়ে রিয়াদের উদ্দেশ্য করে বলে-- ভাইয়া নুসরাত আপুর সাথে এরকম করছেন কেনো। 



• রিয়াদ রাফিকে দেখে রেগে যায় শোয়েব নামের ছেলেটা কে ইশারা দিলে সে এসে রাফির কলার ধরে টানতে থাকে কিন্তু রাফি যেন সেখানে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাই শোয়েব রাফিকে গালি দিয়ে বলে- শালা মা** দাড়িয়ে আছিস কেন, চল আমার সাথে দেখছিস না বড় ভাই কথা বলছে চল এখন থেকে। 



• রাফি যেন আর ধৈর্য ধরতে পারছে না। তাই সে তার কলার থেকে হাত টা সড়ায়। আর বিনয়ী কন্ঠে বলে- ভাইয়া আপুর সাথে এরকম করছেন কেনো এটা কিন্তু ঠিক না। ওনাকে ছেড়ে দেন প্লিজ ভাইয়া (রাফি)



• নুসরাত হালকা করে রাফির দিকে চেহে দেখে কিভাবে সুন্দর করে অভিনয় করছে। রাফি চালেই সব কটার লাশ ফেলে দিতে পারবে কিন্তু এইবাবে অভিনয় করার কি দরকার বুঝতে পারছে না নুসরাত।



• ছেড়ে দিবো যা সত্যি সত্যি ছেড়ে দিবো কিন্তু আজ রাতের জন্য হলেও এই মেয়েকে আমার চাই।বলেই রিয়াদ হাসতে থাকে। 



• রাফি দাঁতে দাঁত চেপে ধরে আছে। এই কথার জবাব কি দিবে বুঝতে পারছে না রাফি। ভাইয়া আপনার মুখের ভাষা ঠিক করুন আর ভদ্র ভাবে কথা বলুন।(রাফি)



• রিয়াদ কিছু বলবে এর আগেই নুসরাত কষে একটা চড় মারে রিয়াদের বাম গালে। আর বলতে থাকে- এতক্ষণ ধরে তর সব অন্যায় কাজ গুলো সহ্য করছি এর মানে এই নয় যে আমি তকে ভয় পাচ্ছিলাম। তর মতো রাস্তার কুকুর রা সবসময় গেউ গেউ করে আবার যখন খাবার পেয়ে যায় তখন ঠিক হয়ে যায়। কথাগুলো বলে নুসরাত সেখান থেকে চলে আসে। 



• রিয়াদ বাম হাত দিয়ে গাল টা চেপে ধরে আছে। দাঁতে দাঁত চেপে রাফিকে উদ্দেশ্য করে বলে-- আজকে রাতে তকে ধরে এনে এমন শিক্ষা দিবো যা তুই কখনো চিন্তা করতে পারবি না বলেই রিয়াদ একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসে। রাফি রিয়াদের চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে আর নিচের দিকে চেয়ে মুচকি হাসে।



..



নুসরাত কোনো ভাবে নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করতে পারছে না,,সবচেয়ে বেশি রাগ উঠছে রাফির উপর, কেন সে তখন অন্যয় দেখেও ওদের কিছু বলল না। তাই সে রাফির ক্লাসের দিকে চলে আসে।




* রাফি ক্লাসে বসে বসে ক্লাস করছিলো তখনই নুসরাত বাইরে রাফি কে উদ্দেশ্য করে বলে-- এই রাফি এখনই ক্যাম্পাসের পুকুর পারে আসবি খুবই তাড়াতাড়ি। রাফি বুঝতে পারছে না কেনো নুসরাত তাকে এইভাবে ডাকলো। তাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে কিন্তু কেন সেটাই বুঝতে পারছে না রাফি। পুকুর পারে যেয়ে দেখে নুসরাত পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে। রাফিকে অবাক করে দিয়ে এমন এক প্রশ্ন করলো নুসরাত,, তার কি উওর দিবে বুঝতে পারছে না রাফি.........





@@@ চলবে @@@






[ ভালো মন্দ যেমন ইচ্ছে কমেন্ট করবেন তবে ভালো কমেন্ট ই আশা করবো।]ধন্যবাদ 






wait for the next part.

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব--১৭---RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



“খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”

লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব:>>[(১৭)]<<


.................


রিয়াজ বুঝতে পারছে না কি বলবে সবাইকে। কোনো রকমে আমতা আমতা করে বলে-- আ..আরে আমি তো এই বইটা পড়ছি কিন্তু ঢাকায় আসার সময় বাসায় ফেলে আসছি,,কিছু অংশ পড়া বাদ আছে তাই অনেক লাইব্রেরীতে খোজ করছি কিন্তু পাই নি। সবাই অবাক কারণ একটা বাইয়ের জন্য রিয়াজ কেমন অস্থিরতা প্রকাশ করেছে। এবার নুসরাত বলে।


• দেখো রিয়াজ তুমি কিন্তু বইটা পরে নিবে। আজ আমি বই টা নিবো আমার পড়া শেষ হলে তুমি পড়িও।(নুসরাত) 


• রিয়াজ শান্ত ভাবে বলে -- ওকে সমস্যা নেই তুমার পড়া শেষ হলে আমাকে দিয়ে দিবে আগে থেকেই বলে দিলাম।(রিয়াজ)


• আয়ান রেগে বলে- আমার বই এখন পর্যন্ত আমি পড়তে পারি নাই আর তরা আমাকে পড়তে না দিয়েই কাড়াকাড়ি করা শুরু করছিস।(আয়ান)


• আয়ান আমি যত টুকু পর্যন্ত পড়েছি তত টুকু তোমাদের শুনাই।(রিয়াজ)


• বইয়ের কাহিনি টা পড়লেই একটা ফিল হবে আর মুখ দিয়ে শুনলে আরেক রকম ফিল হবে। তার চেয়ে ভালো হবে আমি পরে পড়ে নিব,,তুমাদের শেষ হলে। (আয়ান)


• এর মধ্যে রিয়া সিরিয়াসলি হয়ে বলে-- এই সবাই একটা ব্যপার খেয়াল করেছিস।( রিয়া) 


• কি..?(সবাই)


• এই যে রাকিব ভাই ভার্সিটিতে আর কোনো কড়া নির্দেশ দেয় না। কোনো ঝামেলা করে না কেমন জানি হয়ে গেছে বুঝতে পারছি না। (রিয়া)


• রিয়ার কথা শোনে রিয়াজ রহস্যময়ী একটা হাসি দেয়। কিন্তু তার হাসি টা কেউ না দেখলেও নুসরাতের চোখ এরালো না। কিন্তু কি কারণে এই রহস্যময় মুচকি হাসি বুঝতে পারছে না নুসরাত।....


.........


“ কি মি. মেহেরাব আপনারা কি করছেন আপনার টিম রা কি করছে। শহরে এত খুন খারাপি হয়ে যাচ্ছে আর আপনারা কোনো কিছু করতে পারছেন না। ”

 আজ মেহেরাব আর রাজ কে সিএম ফরহাদ নিজের অফিসে ডেকেছে। শহরের এই অবস্থা কিন্তু পুলিশ টিম কিছু করতে পারছে না তাই তিনি কিছু কথা বলার জন্য ডেকেছেন। তাদের কথা কপোনের মধ্যে ই ফরহাদ উক্ত কথা টা বলে। 


• মেহেরাব কি বলবে বুঝতে পারছে না তবু্ও আমতা আমতা করে জবাব দেয় -- স্যার আমরা আমাদের সবোচ্চ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আমরা খুনিকে ধরতে পারলে আইনের কঠিন শাস্তি দিবো।


• ফারহাদ কথাটা শুনে একটা মুচকি হাসি দিয়ে রাজকে বলে.. মি. রাজ কি অবস্থা আপনার,,আপনাকে তো শহরে আনা হয়েছিল সন্ত্রাসবাধ কমানোর জন্য কিন্তু আপনি আশার পর থেকে কেমন জানি খুন গুলো একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে,, কি করেন সারাদিন এবাবে যদি শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তবে জনগণের তো অনেক ক্ষতি। 


• রাজ চোখ জোরা ছোট্ট করে ঠোঁটের কোনে একটা হাসির ঝলক দিয়ে বলে-- স্যার আমি আমার মতো করে চেষ্টা করছি তবে আশা আছে খুব তাড়াতাড়ি আসামি কে ধরে ফেলবো। আর স্যার পুলিশ যেখানে বেশি সেখানে সন্ত্রাস একটু বেশি থাকবেই।


• ফরহাদ রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে-- শুনলাম শহরে নাকি মাফিয়ার লোকে ভরে গেছে। তা আপনারা কি ওদের ধরতে পারবেন,,না কি আরো  ফোর্সের ব্যবস্থা করবো।


• মেহেরাব কথা বলবে কিন্তু আর বলতে পারে না,,রাজ আগেই বলে উঠে -- স্যার আমারও তাই মনে হয়  কিছু নতুন ফোর্সের ব্যবস্থা করতে হবে। যে ভাবে শহরের অবস্থা করেছে এই কয়েক দিনে আর কিছু দিন দেরি হলে মনে হয় শেষ করে দিবে শহর টা কে। 


• ফরহাদ চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায়-- আমি সব কিছুর ব্যবস্থা করছি আপনারা আপনাদের মতো চেষ্টা চালিয়ে যান। রাজ আর মেহেরাব চলে আসবে তখনই ফরহাদ একটা বলে- “দেখা হবে তোমার সাথে কোনো এক অচেনা অজানা জায়গায় খেলবো মাইন্ড দিয়ে ” 

 রাজ আর মেহেরাব কথাটা শুনে চমকে পিছনের দিকে তাকায় তাদের তাকানো দেখে ফরহাদ একটা মুচকি হাসি দেয়। রাজ প্রতি উওরে ঠোঁটের কোনে একটা হাসির ঝলক দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে আসে। 


..


জান্নাত আজও বোরকা পড়ে ভার্সিটিতে এসেছে। চারিদিকে তাকিয়ে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। হঠাৎ তার চোখ যায়- গাছের নিচে বসা একটা ছেলের দিকে ময়লা একটা সাদা শার্টের সাথে চকলেট কালারের পেন্ট,,মোটা ফ্রেমের চশমা ঠোঁটের কোনে হাসি রেখে পাশে বসে থাকা মুন্নার সাথে কথা বলছে। জান্নাত মনে করার চেষ্টা করছে ছেলেটাকে কোথায় যেন দেখেছে,,আরেক টু এগিয়ে দেখে ছেলেটা ঐই দিনের বোকা ছেলেটা নাম রাফি। জান্নাত ক্লাসের দিকে না যেয়ে কি যেন মনে করে রাফিদের দিকে এগিয়ে যায়। 


* কি ব্যপার মুন্না আজ দেখি তর ফুল সব বেচাঁ শেষ * রাফি মুন্নাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। 


• মুন্না তার সবগুলো দাঁত বের করে একটা হাসি দিয়ে বলে-- হ ভাইজান আজকা সব ফুল বেচাঁ শেষ আমার তয়। (মুন্না)


• তবে কি..??(রাফি)


• আজকার মতো কোনোদিন ফুল বেচতে পারি নাই।(মুন্না)


• হিহিহিহিহিহিহি....  কেনো রে আগে কি কেউ ফুল নিতো না।(রাফি) 


• মুন্না মুখটাকে বড় করে জবাব দেয় -- আগে নিতো তয় আজকা একটা পুলিশ  অফিসার সব ফুল লইয়া গেছে গা। (মুন্না)


• তা পুলিশ অফিসার একসাথে এত ফুল দিয়ে কি করবে।(রাফি)


• হে ডা আমি কেমনে কমু কেরে এত ফুল নিছে।(মুন্না)


* হ্যালো মি.রাফি ধন্যবাদ * 

 রাফি আর মুন্না কথা বলছিলো তখনই পিছন থেকে রাফিকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে জান্নাত। রাফি বুঝতে পারছে না কেনো অচেনা একটা মেয়ে তাকে ধন্যবাদ দিলো। রাফি অবাক হয়ে জান্নাতের দিকে চেয়ে আছে। 


• জান্নাত সেটা বুঝতে পেরে একটা মুচকি হাসি দেয়। তা মি. আমাকে চিন্তে পেরেছেন। রাফি প্রতি উওরে মাথাটা নাড়ায় মানে চিন্তে পেরেছে।


• রাফি মুখ ফোটে বলে-- জ্বি আপু আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। তা হঠাৎ আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কি কারণ। 


• জান্নাত তার ঠোঁট টা বাকা করে বলে-- জানাটা কি বেশি জরুরী। (জান্নাত) 


• জানাটা জরুরী না, ব্যপার টা হেয়েছে এমন যে আপনি কেনো অচেনা একটা ছেলেকে এমনি এমনি তো আর ধন্যবাদ দিতে পারেন না কোনো না কোনো কারণ তো নিশ্চয়ই আছে,,সেটা জানার চেষ্টায় আছি।(রাফি)


• অ আচ্ছা, আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিয়েছি করণ ঐ দিন আপনি আমার বলা কথায় কিছু মনে করেন নি,,আবার আপনি আমার সমস্যা টা বুঝতে পেরেছেন তাই ধন্যবাদ দিয়েছি।(জান্নাত)


• এবার বুঝতে পেরেছি।( রাফি)


• আমরা তো একই ক্লাসে পড়ি আমারা কি ফ্রেন্ড হতে পারি,, বলেই জান্নাত তার হাত টা বাড়িয়ে দেয়।কিন্তু রাফি কিছু একটা ভেবে তার হাত টা আর বাড়ায় না,, মাথাটা নিচু করে বসে থাকে। জান্নাত প্রশ্ন করে-- কি হয়েছে আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি না। 


• রাফি কঠিন গলায় উত্তর দেয় -- দেখেন এই শহরে আমার কোনো বন্ধু নেই। আমি একা থাকতে পছন্দ করি আমার কারো প্রয়োজন নেই,, কথাটা বলে রাফি সেখান থেকে চলে যায়। জান্নাত কেবল রাফির চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে। 


‘ আফা ভাইজান এমনই হেয় কারো লগে বন্ধুত্ব করে না।’

মুন্নার কথায় জান্নাতের ঘোর ভাঙে জান্নাত মুচকি হেসে মুন্নার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে আসে সেখান থেকে। সে ভেবে পায় না একটা মেয়ে তাকে বন্ধু হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু সে তা একসেপ্ট করে নি,, যে দিকে একটা মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য অনেক ছেলে পাগল। কিন্তু রাফি সেই ছেলেদের থেকে অনেক টা আলাদা। জান্নাত আর কিছু ভাবতে চায় না রওনা দেয় ক্লাসের উদ্দেশ্য...


..


“ স্যার তাহেরদের লাশের পাশে এই লকেট টা পাওয়া গেছে ”

 রাজ তার কেবিনে বসে বসে সিগারেট টানছে আর ভাবছে কে এই খুন গুলো করেছে কার এত সাহস যে ফাহাদের উপর হামলা করলো।কে সেই রাতের আগন্তুক,,সকালে আবার ঐই ফোন, ফরহাদের রহস্যময় কথা বুঝতে পারছে না রাজ তাহলে কি...ঠিক তখনই কেবিনের দরজায় কড়া নাড়ে সাইফুল,,রাজ সাইফুলের হাত থেকে লকেট না নিয়ে ঘোর ভাবে দেখতে থাকে। তবে তার জানা নেই এই লকেট থেকে কিভাবে সে আগন্তুক টা কে খুঁজে বের করবে। 


• সাইফুল তুমি ভালো করে চেক করছো জায়গা টা। (রাজ)


• জ্বি স্যার আমি ভালো করে চেক করে শুধুই এই লকেট টা পেয়েছি। (সাইফুল) 


• সাইফুল তুমি এখন আসতে পারো। (রাজ)


সাইফুল চলে যায়,,বাইরে দাঁড়িয়ে কোনো এক আগন্তুক তাঁদের দুজনের কথাকোপন শুনে মুচকি হেসে চলে যায়। 


রাজের কাছে সব যেন ধোঁয়াশা ধোঁয়াশা মনে হচ্ছে কে এই আগন্তুক। নাকি শহরে কোনো নতুন গ্যাং এর আবির্ভাব ঘটেছে। তাহলে কে ঐই গ্যাং এর লিডার,,তবে কি কেউ রাজের সাথে মাইন্ড গেম খেলতে চাচ্ছে,,খেলতে পারে শুধু মেহেরাব কিন্তু তাহেরদের মেরে ওনি আমার সাথে কি মাইন্ড গেম খেলবে,, বুঝে উঠতে পারছে না। রাজ আরেক টা সিগারেট জ্বালায় যেন ঠোঁট জোরা জ্বলন্ত আগুনে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে। রাজ মুচকি হেসে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায় রওনা দেয় অজানা উদ্দেশ্য। 


..


“ রিমি আমি কিন্তু একটা জিনিস ভালো করে খেয়াল করেছি”

 মেহেরাব আর রিমি সামনাসামনি বসে আছে। মেহেরাব সাদা পাঞ্জাবি পরে পায়ের উপর পা দিয়ে আরাম করে,,মুখটা কে গম্ভীর করে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিমির দিকে। রিমি বুঝতে পারছে না কি ব্যপার তার বাবা ভালো করে লক্ষ্য করছে তাই সে মেহেরাব কে প্রশ্ন করে


• বাবা আমি বুঝতে পারছি না তুমি কি বলছো। (রিমি)


• কি বলছি বুঝতে পারছো না কি না বুঝার ভান করছো।(মেহেরাব) 


• বাবা সত্যি কথা আমি তুমার কথা বুঝতে পারছি না। (রিমি)


• তুমি কি রাজের প্রতি কোনো ভাবে দুর্বল।(মেহেরাব) 


• রিমি ঘাবড়ে যায়,, কিভাবে তার বাবা বুঝতে পারলো আমি রাজের প্রতি দুর্বল। তাই সে আমতা আমতা করে বলে-- বা..বাবা আ..আমি রাজের প্রতি দুর্বল এটা তুমায় কে বলছে। আমি তো রাজের আশেপাশেও যাই না।(রিমি)


• মেহেরাব মুচকি হাসি দিয়ে ধোঁয়া ঊড়া গরম চায়ে চুমুক দিয়ে বলে-- তুমার মা মারা গেছে পনেরো বছর হয়েছে, তার পর থেকে তুমার সব কিছু আমি দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর আমার মেয়ে কি করে না করে কিভাবে চলাফেরা করে,, তুমার সব মোবমেন্ট আমার জানা আছে,তুমার কাছে আমার একটা রিকোয়েস্ট। (মেহেরাব)


• কি..?(রিমি)


• আমি কষ্ট পাবো এমন কাজ তুমি করবে না,, আশা করি আমার কথাটা বুঝতে পেরেছো। কথাটা বলে  চা টা শেষ করে মেহেরাব উঠে দাঁড়ায়। 


• রিমি খুবই আবেগ নিয়ে বলে-- বাবা রাজ তো তুমার মতো পুলিশ অফিসার ই তাহলে সমস্যা কোথায় সেটা আমি বুঝতে পারছি না। (রিমি)


• মেহেরাব তার চোখের পাওয়ারের চশমা টা ঠিক করে বলে-- সেটা তুই সময় হলেই বুঝতে ও জানতে পারবি কথাটা বলেই মেহেরাব আর দাঁড়ায় না,,চলে আসে ঘরে।


• রিমি সেখানে বসে বসে ভাবতে থাকে কি বলে গেলো বাবা রাজের সম্পর্কে কি জানতে পারবো সময় হলে কিছুই ভাবতে পারছে না রিমি সেও চলে যায় ঘরে।। 


..


* সময়টা রাত ১২টার থেকেও একটু বেশি নুসরাত ছাঁদে দাড়িয়ে আছে,, সে কিছুক্ষন আগের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করছে..... 


@@@ চলবে @@@


[ অসুস্থ ছিলাম তাই দিতে দেরি হয়েছে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখীত। সবারই ভালো মন্তব্য আশা করছি। ]ধন্যবাদ 


wait for the next part.

Saturday, June 19, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড---পর্ব:-১৬---RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


 লেখক:_ RAJA Bhuiya.   



লেখক:>>[( ১৬ )<<



...............



“ আমি আপনাকে ভালোবাসি ”


আজ আকাশ টা মেঘলা কখন যে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় বলা যাবে না। হালকা হালকা মেঘের কালো আবাস আবার কোথাও দিয়ে সূর্যী মামা তার আলো দিচ্ছে পরিবেশ টা খুবই মনোমুগ্ধকর। বৃষ্টি মনেই হচ্ছে ফুটবল খেলার আমেজ,,শহরের দিকে বৃষ্টি মানে ঘরে বসে থাকা,,শহরের লোকজন বৃষ্টি টা ভালো করে অনুভব করতে পারে না। কিন্তু গ্রামের লোকজন বৃষ্টির আমেজ টা নিয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করে। আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলেই ফুটবল নিয়ে মাঠে দৌড়,,বৃষ্টি শুরু হলেই খেলা শুরু ছোট বড় সবাই বৃষ্টি টা উপভোগ করে। মাঠে ফুটবল খেলা মানে কাঁদা দিয়ে শরীর মাখামাখি সেই কাঁদা ধোয়ার জন্য শরৎের খাল বিল ভরা পানিই যথেষ্ট। রাফি নিচের দিকে চেয়ে চেয়ে এগুলো ভাবছিল আর হাসছিল। ঠিক তখনই মেয়েলি কন্ঠে কেউ ভালোবাসি কথাটা বলে উঠে,,রাফি কথাটা শুনে মাথাটা হালকা উঁচু করে দেখে কালো বোরকা পড়া একটা সুন্দরী মেয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে কথাটা বলছে। রাফি যেন বেশ অবাক হয়েছে কোনো এক অচেনা অজানা মেয়ে এসে ভালোবাসি বলবে ভাবতে পারছে না রাফি। ভার্সিটির সবচেয়ে গরীব ক্ষেত ছেলেটা কে কেউ ভালোবাসবে ভাবতে পারছে না রাফি। রাফি মেয়েটার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখ মুখে লেগে আছে মায়া, চোখের কোণে সামান্য পানি, তার চোখে ভয় স্পষ্ট দেখতে পারছে রাফি। কিন্তু কি জন্য ভয় পাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে না রাফি। তাই রাফি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে তার আগেই মেয়েটা বলে।




• দেখেন আমি খুবই লজ্জিত আপনার কাছে। ( জান্নাত) 




• রাফি বুঝতে পারছে না যে হঠাৎ ভালোবাসি বলে এখন আবার বলছে সে লজ্জিত। ঠিক বুঝতে পারছে না রাফি তাই সে জিজ্ঞেস করলো - কি কারণে আপনি লজ্জিত জানতে পারি




• মেয়েটা কাঁদো কাঁদো গলায় বলতে থাকে -- আসলে আমি ভার্সিটি তে নতুন তাই ঐই যে মেয়ে আর ছেলে গুলো আছে ওরা আমাকে র্যাগ দিচ্ছে।




• র্যাগ শব্দ টা রাফির কাছে খুবই পরিচিত একটা শব্দ। সে কম বেশি প্রতিদিনই ভার্সিটির বড় ভাই দের হাতে র্যাগ খায়। রাফির মনে হয়ে যায় তার ভার্সিটির প্রথম দিনের কথা,,ভাবতেই কেমন যেন নিজেকে অচেনা লাগছে। প্রতি উওরে রাফি বলে - এখন আমাকে কি করতে হবে। (রাফি)




• আপনাকে আর কিছু করতে হবে না। আর ধন্যবাদ। জান্নাত রাফির কে আর কিছু  না বলে চলে আসে আয়ানদের কাছে। সবাই জান্নাত কে নিয়ে মজা করছে,,জান্নাত নিরবে সব সহ্য করছে। জান্নাত ওদের অপমান আর সহ্য করতে না পেরে দৌড়ে চলে আসে ক্লাসের দিকে। আর এদিকে সবাই জান্নাতের কন্ড দেখে অট্ট হাসিতে মেতে উঠছে। রাফি ওদের হাসির দিকে চেয়ে আছে,,সবার প্রতি রাফির একটা রাগ হয়।



..



“ সময় টা রাত ২টা ”

ফাহাদ,তাহের,সিয়াম,আকিব মদ খেয়ে মাতলামো করতে করতে রাস্তা দিয়ে আসছিল। তখনই তাদের সামনে একটা কালো কালারের বাইক থামে। হঠাৎ তাদের সামনে বাইক থামার কারণে তারা দাঁড়িয়ে যায়,,বাইক থেকে নামে অচেনা অজানা একটা আগন্তুক তার স্টাইল টাও কেমন যেন অন্য রকম। পরনে কালো কোর্ট যা পায়ের হাঁটু সমান লম্বা,মাথায় লম্বা টুপি, পায়ে কালো জুতা, মুখটা ভালো করে দেখা যাচ্ছে না।  ফাহাদ রা বুঝতে পারছে না কে এই আগন্তুক যে এত রাতে ওদের সামনে এসে বাইক থামায়,আগন্তুক টা ছেলে নাকি মেয়ে তাও বুঝা যাচ্ছে না।  ফাহাদ রেগে বলে- কে তুই ভাই এত রাতে আমাদের সামনে বাইক থামিয়েছিস।




• তাদের কথা শুনে আগন্তুক টা উচ্চ সরে হাসতে থাকে,,পকেট থেকে সিগারেট বের করে একটা সিগারেট জ্বালায় আর বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো উপরের দিকে ছাড়তে থাকে। 




• সবাই আগন্তুকের আচরণে বেশ অবাক কিন্তু সবচেয়ে বেশি অবাক হয় তখনই যখন আগন্তুক টা হাসে। কারণ আগন্তুক  টা আসলে একজন মেয়ে,,আর মেয়ে হয়ে সিগারেট টানছে খুবই অবাক হয়ে যায় সবাই। তাহের এবার বলে-- এই খা*** বাচ্চা এমন ভাবে হাসতেছিস কেনো।




• তবুও আগন্তুক টা কিছু বলে না সিগারেটে জোরে টান দিয়ে বলতে থাকে -- শুনলাম তরা নাকি শহরে মাস্তানি করে বেড়াস। তা কার ক্ষমতায় তরা মাস্তানি করিস।




• সিয়াম জোরে বলে- আমাদের ক্ষমতা লাগে না মাস্তানি করতে। তবে আমাদের শক্তি জানিস কে রাফিন আর রাফসান। 




• রাফিন আর রাফসানের কথা শুনে আগন্তুক টা জোরে জোরে হাসতে থাকে আর বলে-- কিহ্ হাহাহাহা রাফিন, রাফসান তাদের কি তরা দেখেছিস।




• আকিব বলে-- তাদের দেখতে হয় না এমনিতেই আমারা তাদের অনুভব করি। 




• আগন্তুক টা দাঁতে দাঁত চেপে বলে-- তাহলে ডাক তদের ভাইদের,,দেখি আজ তদের কে বাঁচায়।




• ফাহাদ হাসতে হাসতে বলে -- ভাইদের ডাকতে হবে কেনো,, আর আমাদের মারবে কে যে বাঁচানোর জন্য ডাক...ফাহাদ আর কিছু বলতে পারে না তার আগেই একটা গুলি চালানোর শব্দ হয়,,বুলেট টা যেয়ে লাগে আকিবের হাঁটুর ঠিক উপরে। আকিব জোরে একটা চিৎকার দিয়ে মাটিতে বসে পরে।  ফাহাদ পিছন থেকে গান বের করার আগেই তিন টা গুলির শব্দ হয়,, একটা বুলেট যেয়ে সিয়ামের বাম পায়ের মধ্যাংশে লাগে সিয়াম যেন ব্যাথা সহ্য করতে পারে না নিচে পরে যায়। আরেকটা বুলেট  তাহেরের ডান হাতের কব্জিতে লাগে,,সে বাম হাত দিয়ে কোনো রকমে কব্জি টা ধরে রেখেছে। ফহাদের উরুর মাঝের দিকে লাগে। পরিবেশ টা এখন থমথমে অবস্থা কিন্তু চারজনের অনাতকংক চিৎকার,, এত রাতে এই রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি চলা নিষেধ  তাই রাস্তা টা পুরো ফাকা,, ল্যামপোস্টের আলো হালকা আগন্তুকের উপর পরছে। মাফিয়াদের স্টাইলে গুলি করে আবার বাইকের সাথে হেলান দিয়ে। ঠোঁট দিয়ে পিস্তলের থেকে বের হওয়া সামান্য ধোঁয়া গুলো ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়। সবাই চোখে ভয় বিরাজ করছে আর মনের ভিতর আতংক সৃষ্টি হয়েছে কোথা থেকে হঠাৎ একটা আগন্তুক এসে সব এলোমেলো করে দিয়েছে। 




• আগন্তুক আরেক টা সিগারেট জ্বালায় ধোঁয়া গুলো উড়াচ্ছে আর দেখছে চারজন ছেলের ভয়কাতর চেহারা গুলো। আগন্তুক মুচকি হেসে বলে-- ফোন দে তর ভাইদের দেখি কি করে তদের বাঁচায় দে ফোন দে। জোরে ধমক দিয়ে বলে।




• ফাহাদ কাঁপা কাঁপা হাতে পিছনের পকেট থেকে ফোন টা বের করে রুহানের নাম্বার ডায়াল করল কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় রুহানের ফোন বন্ধ। আ..আপু ফো..ফোন তো বন্ধ দেখায়।



• আগন্তুক টা হাসতে থাকে। কিরে তুই এভাবে তুতলাচ্ছিস কেনো। তদের কোনো ভাই কি ফোন ধরে না এটা বলে আরো জোরে হাসতে থাকে। 



• তাহের করুণ কন্ঠে বলে- আপু আপনি আমাদের সাথে এমন করছেন কেনো। আমরা আপনার কি ক্ষতি করছি। কেন এমন করছেন দয়া করে বলেন।




• আগন্তুক কিছু বলে না শান্ত হয়ে শুধু হাসতে থাকে। আমার দরকার তদের ভাই দের যারা মাফিয়া রাজ্য দখল করে বসে আছে। আজ তদের থেকে একজন কে বাঁচিয়ে রাখবো আর তিনটা কেই মেরে দিব এবার বল কে আগে মরবি। কেউ কোনো কথা বলছে না যেকোনো একজন বাদে সবাই মারা যাবে। কে কি করবে বুঝতে পারছে না। সিয়াম সাহস দেখিয়ে পিছন থেকে গান টা বের করে আগন্তুকের দিকে একটা সর্ট করে কিন্তু গুলির দিকশূন্য হয়ে যাওয়ায় বুলেট টা যেয়ে লাগে বাইকের ছিটে,,সিয়াম পর পর তিনটা গুলি করে কিন্তু সে একটা গুলিও লাগাতে পারে না। সিয়াম গান টা রিলোট নিয়ে গুলি করতে যাবে,,কিন্তু তার আগেই একটা গুলি চালানোর আওয়াজ হয় ১০০°c তাপমাত্রার একটা বুলেট সোজা যেয়ে সিয়ামের কপালে লাগে গুলিটা কপাল ভেদ করে পিছন দিয়ে বেড়িয়ে যায়। আকিব জোরে চিৎকার দিয়ে বলে উঠে..




• সিয়াম....... এই কুত্তার বাচ্চা তুই এটা কি করলি তুই সিয়াম কে মেরে দিয়ে.....       আকিব আর কথা বলতে পারে না তার আগেই ১০০°c তাপমাত্রার একটা বুলেট আকিবের চোখে লাগে,,আকিব ‘মা’ বলে একটা চিৎকার দিয়ে নিচে পরে যায়। তাহের তার কব্জির ব্যাথা ভুলে গিয়ে বাম হাত দিয়ে পিছন থেকে গান টা বের করে একটা গুলি করে কিন্তু গুলির নিশানা সঠিক হলেও বুলেট টা শূন্য চলে যায়। তাহের আর ট্রিগারে চাপ দিতে পারে না এর আগেই দুইটা গরম বুলেট তার বুকটা ঝাঁজরা করে দেয়। ফাহাদ কি বলবে বুঝতে পারছে না নিরব দর্শকের মতো চেয়ে আছে তার বন্ধুদের দিকে। একবার আগন্তুকের দিকে আরেক বার তাহের,সিয়াম,আকিব এর নিথর দেহের দিকে চেয়ে থাকে। 




• আগন্তুক টা আবারো একটা সিগারেট তার ঠোঁটে চাপে সিগারেটে জোরে একটা টান দিয়ে ধোঁয়া গুলো ফাহাদের মুখের উপর ছাড়ে। ফাহাদ কেবল বোকার মতো চেয়ে আছে তার দিকে। আগন্তুক তার পিস্তল টা ফাহাদের সামনে ধরে বলতে থাকে-- এটা জানিস কি আগুন,,সে নিজেও জ্বলে আর অন্যকে সেই আগুন দিয়ে ঠান্ডা করে দেয়। বলে আবারও সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া গুলো ফাহাদের মুখের উপর ছাড়ে। গান যার হাতে থাকে সে কিন্তু বাঘ না এই জিনিস টা কে যে যত বেশি ভালো চালাতে পারে সে ই হলো আসল বাঘ। যেটা চালাতে পারো না সেটা কখনো পের্ক্টিস ছাড়া চালিও না। যেমন তর বন্ধু গুলো এখনো বাচ্চা জিনিস টা ভালো করে চালাতে শিখে নি। আমি কিন্তু কাউকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেই না তকে দিলাম কারণ রাফিন আর রাফসানের কাছে যেন খবর টা পৌঁছে যায়। রাফিন আর রাফসান এই শহরে থাকে,,আমার উপর কেউ এই শহরে মাফিয়ার রাজ্যত্ব করতে পারবে না। বলে দিবি তর ভাইদের। এটা বলে আগন্তুক টা তার হাতের সিগারেট টা জোরে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিসে বাইকের উপর বসে। আরেক বার ফাহাদের দিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে গুলি করার স্টাইল টা দেখিয়ে যায়। রাস্তা টা সোজা হওয়ায় আগন্তুক টা যতক্ষন পর্যন্ত অন্ধকারে মিলিয়ে না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত ফাহাদ সেদিকে চেয়ে থাকে একসময় আগন্তুক রাতের আধারে মিলিয়ে যায়........



...............



“ আপনি আমার থেকে এভাবে দূরে দূরে থাকেন কেনো”

রিমির কথায় মোটেও অবাক হয় নি রাজ কারণ সে যানে রিমি এমনই কিছু বলবে। রাতে রাজের ঘুম আসছিল না বলে সে ছাঁদে চলে আসে। কিন্তু কিছুক্ষন পরই রিমিও চলে আসে ছাঁদে,,প্রথমে রাজ বুঝতে না পারলেও কিছুক্ষন পর বুঝে যায় রিমি রাজের কারণে ছাঁদে এসেছে। রাজ রিমিকে ছাঁদে দেখে অন্য সাইটে চলে গেলে রিমি যেয়ে রাজকে কথাটা বলে।




• রাজ মুচকি হেসে জবাব দেয়-- রিমি তুমি এত রাতে ছাঁদে কি করছো,,তুমার বাবা যদি একবার দেখে আমি আর তুমি এত রাতে  ছাঁদে দাঁড়িয়ে কথা বলছি তাহলে কিন্তু সমস্যা হয়ে যাবে। 



• রিমি রাজের কথা শুনে শুধু মুচকি হাসে। আপনার কথা আমি বাবাকে বলছি।




• রাজের চোখ বড় বড় হয়ে যায়,,বলে কি এই মেয়ে। কিহ্



• রিমি হাসতে হাসতে বলে-- আরে ভয় পাবেন না আমি তো এমনি বলছি মজা করছি আপনার সাথে। 




• রাজ যেন হাফ ছেড়ে বাচে। রাগি কন্ঠে বলে-- দেখ রিমি তুমার মাথায় এখন যা আসছে তা সব আবেগ। আবেগ কেটে গেলে সব শেষ হয়ে যাবে। আর আমি তো আমার মতামত জানিয়ে দিয়েছি,, আমি আমার জীবনের সাথে কোনো মেয়ে মানুষ জড়াবো না। তবে তা শুনে কেনো তুমি এমন পাগলামো করছো প্লিজ বল আমাকে। 




• রিমি বলে-- অনেক রাত হয়েছে ঘরে চলেন আর এসব কিছু আমার আবেগ না সত্যি আমি আপনাকে ভালোবাসি। 




• আচ্ছা যদি কখনো শুনো আমি কোনো পুলিশ না বরং একজন মাফিয়া তখন কি তুমি আমাকে মেনে নিবে,,নিবে না তাইতো তাহলে এটা বলে রাজ মুচকি হেসে চলে আসে ছাঁদ থেকে। রিমি সেখানে দাঁড়িয়ে চিন্তা করছে কি বলে গেলো রাজ সে কিছুই বুঝতে পারছে না কি তার মুচকি হাসির মানে। আবারো রাজ রিমিকে গোকল ধাঁদার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।.....



..



আজ আবারো পুলিশ বনানীর একটা নির্জন এলাকা থেকে তিনটা ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে। শহরের অবস্থা বেশি একটা ভালো না,,দুই তিন দিন পর পর কেউ খুন করে চলে যাচ্ছে পুলিশ এখনো কোনো কেসের খুনি কে সনাক্ত করতে পারে নি। শহরে একধরনের আতংক সৃষ্টি হয়েছে। কে বা কারা এই খুন গুলো করেছে তা জনগণের কাছে ধোয়াসা।





* রাজ আজকের কেসটা তুমি হেন্ডল করো আমি অন্য গুলো নিয়ে অনেক ব্যস্ত”

রাজ বসে বসে চিন্তা করছিল কে ছেলে গুলো কে এভাবে মারলো। ঠিক তখনই মেহেরাব রাজের কেবিনে এসে কথাটা বলে। রাজ যেন এটাই চাচ্ছিলো যে কেসটা মেহেরাব রাজের হাতে দিবে। রাজ মুচকি হেসে জবাব দেয় -- স্যার কোনো সমস্যা নেই আমি সামলে নিব আপনি অন্য গুলো দেখেন। মেহেরাব রহস্যময়ী একটা হাসি রাজকে উপহার দিয়ে তার কেবিন থেকে চলে আসে। রাজ বুঝতে পারছে না কিছু দিন ধরে মেহেরাবের সাথে কথা হলে শুধু তিনি রহস্যময় মুচকি হাসি হাসে। কিন্তু কেন এই মুচকি হাসি তা রাজের এখনো জানা নেই। 




• মেহেরাব বসে বসে পুরোনো কিছু ফাইল চেক করছিল ঠিক তখনই তার মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। তাড়াতাড়ি করে মেহেরাব মোবাইলটা হাতে নিয়ে মেসেজ টা পড়তে থাকে। সে যেন এই মেসেজ টার জন্য অপেক্ষা করছিলো। মেসেজ টা পড়ে মেহেরাব নিঃশব্দে  হাসতে থাকে  হাসিটা তিনি নিজের মধ্যেই লুকিয়ে রাখছেন । 



..



নুসরাত কাল রাতে যে বনানী এলাকায় তিনটি ছেলে খুন হয়েছে খবর দেখছিস। রিয়ার কথা শোনে নুসরাত একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে--হু শোনছি ছেলে গুলোকে নাকি খুব বাজে বাবে মারা হয়েছে ভাবতেই আমার কেমন যেন লাগছে। 




• আসলে শহরের এখন যেই অবস্থা খুব খারাপ। কোন দিন জানি আমাদের কিছু হয়ে না যায়। ( রিয়া) 




• আরে আমাদের কি হবে আমারা কি ওদের কোনো ক্ষতি করছি নাকি।(নুসরাত)




• আয়ান বলে-- তবে তুরা যাই বলিস না কেনো আমাদের কিন্তু সাবধানে থাকতে হবে,,আমাদের বন্ধু সজিব কে কেউ খুন করে দিলো। কারো সাথে তো সজীবের এমন কোনো শত্রুতা ছিল না যে তাকে মেরে দিবে। আমি কিন্তু ঐই দিন একটা আর্টিকেল কিনছি খুবই ভালো। তরা কেউ নিয়ে পড়তে চাইলে আমাকে বলিস। সবাই বইয়ের নাম জানতে চাইলে  আয়ান তার ব্যাগ থেকে বইটা বের করে দেখায়। বইয়ের উপরে সুন্দর করে লিখা -

They are mafiya king.

Rafin and Rafsan.

বইয়ের উপরের গ্রফিক্স টা এরকম- কিছু লোক স্নাইপার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পরনে কালো কোর্ট, মুখ ডাকার জন্য মাক্স,মাথায় লম্বা টুপি। সবার সামনে দুইজন স্টাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,পরনে তার মাফিয়াদের মতো ড্রেস,,গলায় মোটা স্বর্ণের চেইন মাক্সের কাটা অংশ দিয়ে সিগারেট টানছে,, দুইজনের হাতেই দুইটা  পিস্তল। 




• রিয়াজ বইটা দেখে অস্থির ভাবে আয়ান কে জিজ্ঞেস করে-- আয়ান তুমি এই বইটা কোথা থেকে কিনেছো। (রিয়াজ)




• আরে ম্যান কিনছি একটা লাইব্রেরী থেকে,, আর তুমি এমন অস্থির হচ্ছ কেনো,,, এর পর রিয়াজ এমন একটা কথা বলে যা শুনে সবাই অবাক........... 




### চলবে ###




[ আগেই ক্ষমা করবেন আমাকে পর্ব টা দেরি করে দেওয়ার জন্য। শরীর টা বেশি ভালো না তাই একটু বেশি সময় লাগছে ]

( ধন্যবাদ ) 





wait for the next part.

Thursday, June 17, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব--১৫--RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 




“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”



লেখক: RAJA Bhuiyan. 



পর্বঃ->>>[( ১৫ )]<<<-



.…...........




** স্যার ইকবালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চলে এসেছে**

মেহেরাব ভাবছিলো ইকবাল তখন কি বলতে চেয়ে ছিলো কিন্তু আর বলতে পারে নি। আমার থানায় এমন বিশ্বাসঘাতক অফিসার আছে তাও আবার আমার চোখের সামনে কিন্তু আরালে,,কি নাম টা বলতে যাচ্ছিলো। মেহেরাব অধির আগ্রহ নিয়ে বসে আছে কখন ইকবালের ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসবে। এগুলো ভাবছিল মেহেরাব তখনই সাইফুল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট টা নিয়ে মেহেরাবের কেবিনে প্রবেশ করে। মেহেরাব তাড়াতাড়ি করে রিপোর্ট টা পড়তে শুরু করে এক পর্যায়ে দেখতে পান ইকবালের খুন কোনো স্নাইপার দিয়ে করা হয়েছে। বন্ধুকের বুলেট ইকবালের ভিতর থেকে পাওয়া গেছে। মেহেরাব যেয়ে কাচের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে পায় কাচঁ টা ছিদ্র হয়ে আছে। তার মানে পাশের বিল্ডিং এর ছাঁদ থেকে স্নাইপিং করা হয়েছে। মেহেরাব     সাইফুল কে বলে-- ঐ বাসার ছাঁদে যেয়ে দেখ কোনো ক্লো পাওয়া যায় কি না।

মেহেরাব টেবিলের ভিতর থেকে সিগারেটের পেকেট বের করে একটা সিগারেট তার ঠোঁটে চাপে। ব্যস্ত শহর টা দেখছে আর ভাবছে কে ইকবাল কে মারতে পারে,, মেহেরাবের জানা মতে   ইকবালের এমন কোনো শত্রু ছিলো না যে তাকে এভাবে জানে মেরে দিবে।



..



“ রাজ তুমি কি জানো ইকবাল খুন হয়েছে ”

রাজ কারো সাথে মোবাইলে কথা বলছিলো তখনই মেহেরাব রাজকে কথা টা বলে। হঠাৎ কারো কথায় রাজ চমকে উঠে পিছনে ফিরে তাকায় দেখে মেহেরাব  চেয়ারের উপর আরাম করে বসে আছে। রাজ তাড়াতাড়ি ফোনটা কেটে মেহেরাবের কাছে এসে বলে-



• জ্বি স্যার শুনছি ইকবালের লাশ টা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 




• মেহেরাব উদ্বীগ্ন কন্ঠে বলে -- ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চলে এসেছে। কিন্তু এভাবে খুন টা হবে আমি ভাবতে পারছি না।




• রাজ ব্রু কুচকে প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে-- রিপোর্টে কিভাবে খুন টা হয়েছে লেখা। 




• মেহেরাব মুচকি হেসে জবাব দেয় -- সেটা ত আমার থেকে তুমি ভালো করে জানো।




• রাজ যেমন অবাক হয়ে যায় -- মানে স্যার আমি তো এখনো রিপোর্ট দেখি নি তাহলে জানবো কি করে।




• আরে এত অস্থির হচ্ছো কেনো আমি তো এমনি জিজ্ঞেস করলাম। তুমি তো ভালো মাইন্ড গেম খেলতে ভালোবাসাে তাহলে আমার সাথে খেলবে মাইন্ড গেম। ( মেহেরাব) 




• রাজের কাছে কেমন যেন লাগছে মেহেরাব কে এত রহস্যময়ী হয়ে কথা বলতে আগে কখনো দেখেনি রাজ।তবে মেহেরাবের সাথে মাইন্ড গেম খেলতে ভালোই লাগবে। স্যার আমার সাথে আবার আপনি কি মাইন্ড গেম খেলবেন।




• মেহেরাব তাড়াতাড়ি উওর দেয় তুমি খেলতে চাইলে বলো, আমি কিন্তু প্রস্তুত আছি তুই বল্লে শুরু করবো। আর গেমটা ধর চোর পুলিশ খেলা খেলবো কেমন হবে গেম টা,,ভাবতেই আমার ভালো লাগছে।




• রাজও মুচকি হাসি দিয়ে বলে-- আপনি যেহেতু প্রস্তুত তাহলে আমি আর না করবো কেনো,,তবে গেমটা আমার কাছে ইন্টারেস্টিং হবে মনে হচ্ছে। 




• মেহেরাব আর কথা বাড়ায় না দাঁড়িয়ে রাজ কে উদ্দেশ্য করে বলে-- গেমটা ইন্টারেস্টিং হতেই হবে না হলে দুই মাইন্ড গেমার মজা পাবো না,,আসি। বলে মেহেরাব রাজের কেবিন থেকে চলে আসে। রাজ মেহেরাবের বের হওয়ার দিকে চেয়ে মুচকি হেসে চেয়ারে বসে পরে।



...........




“ কিরে তুকে যে দুই দিন বাসায় দেখি নি আবার ভার্সিটিতেও যাস নি কারণ কি”??

তারা ভরা আকাশ দেখতে আসছে রাফি। চারপাশে হিমেল হাওয়ার স্পর্শ মনটা শিতল হয়ে যায়। রাফি যদি কবি থাকতো তাহলে সে অবশ্যই একটা কবিতা লিখত এই ফর্সা আকাশ নিয়ে। কিন্তু দূর্ভাগ্য রাফি কোনো কবি না এটা ভেবেই রাফির মন খারাপ হয়ে যায়। এই রাতে যদি পাশে প্রিয় মানুষ টা থাকতো তাহলে সারা রাত দেখে কাটিয়ে দিতে পারবে কিন্তু রাফির কোনো পছন্দের মানুষ নেই। রাফি একাকিত্ব থাকলেও সে সব সময় উৎফুল্ল থাকে। রাফি যখন ছাঁদে দাঁড়িয়ে এগুলো ভাবছিল তখনই নুসরাত রাফিকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। রাফি পিছনে ফিরে দেখে নুসরাত দোলনায় বসতে বসতে কথাটা বলে। নুসরাতের হাতে একটা সিগারেটের পেকেট তার থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় আর সেটা টানতে থাকে। রাফি যেন বিশ্বাস ই করতে পারছে না,,নুসরাত মেয়ে হয়ে সিগারেট খায়। কিন্তু আগে তো কখনো নুসরাত কে সিগারেট খেতে দেখে নি,তাহলে। নুসরাতের প্রতি রাফির মনে ঘৃণা সৃষ্টি হয়। 




• রাফি বিরক্ত বোধ করে নুসরাত কে উত্তর দেয় -- জ্বি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। 




• নুসরাত পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে রাফির দিকে দেয়। কিন্তু রাফি তা নেয় না। সিগারেটের প্রতি রাফির অনিহা দেখে সে একটা মুচকি হাসি দেয়। ‘তা তর গ্রামের বাড়ি যেন কই’




• রাফি স্বাভাবিক ভাবে জবাব দেয়- জ্বি চট্টগ্রামে। 



• সিগারেটের ধোঁয়া উপরের দিকে ছেড়ে বলে -- চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এত তাড়াতাড়ি আসলি কিভাবে।(নুসরাত) 




• রাফি বুঝতে পারছে না নুসরাত তাকে এত প্রশ্ন করছে কেনো। ‘ট্রেন দিয়ে আসছি তাই সময় কম লাগছে’




• রাফি তুই যানি কেমন ছেলে বুজছিস। আমার কাছে তকে শুধু রহস্যময়ী লাগে তুই কি আদেও বোকা না রহস্যময়ী বুঝতে পারছি না।(নুসরাত) 




• রাফি কেমন যেন থমথমে অবস্থা হয়ে গেছে তাই সে আমতা আমতা করে জবাব দেয় -- আ..আমি আবার কেমন ছেলে। আমি কেনো রহস্যময়ী  ছেলে না। আর আমি বোকা না হলে আপনাদের অপমান সব সহ্য করি না।(রাফি)



• আমার কেমন যেন লাগছে তুকে,,যেন সন্দেহ  সন্দেহ যেই দিন রাতে সজিবরা খুন হয় ঐই দিন থেকে তকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। আর ঐই একই দিন তর চট্টগ্রাম যেতে হয়েছে তাহলে কি আমি কিছু একটা ভেবে নিব।




• রাফি নিজেকে ঠান্ডা করে এখন যদি সে কোনো ভুল করে তাহলে তার সমস্যা হতে পারে। রাফি মাথাটা ঠান্ডা করে উওর দেয় -- আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে,, আমি কেনো সজিব ভাইদের খুন করতে যাবো। আমার তো সামান্য রক্ত দেখলেই মাথা ঘুরায় আর আপনি বলছেন আমি খুন করছি,,এক নিশ্বাসে কথা বলে থামে রাফি।



• নুসরাত দেখতে পারছে রাফির চোখে ভয় নয় আতংক ঝলঝল করছে। নুসরাত মুচকি হেসে রাফি কে বলে-- আমি তো বলি নি তুই ই সজিবদের খুন করেছিস। আমি তো শুধু তকে সামান্য সন্দেহ করেছি,,এখন কিন্তু আমার সন্দেহ টা  সত্যি হবে মনে হচ্ছে। 




• রাফি কোনো রকমে নিজেকে শান্ত করে উওর দেয় -- আমি তো আপনার সন্দেহ দূর করার জন্য এই কথা বলছি। (রাফি)




• তবে তুই আমার সন্দেহের তালিকায় প্রথমে আছিস। এমন কিছু দেখলে আমি কিন্তু পুলিশ কে বলতে বাধ্য হবো। (নুসরাত) 




• রাফি যেন হাফঁ ছেড়ে বাঁচলো। মুচকি হেসে জবাব দেয় - এমন কিছু করবো না যাতে আপনার পুলিশের কাছে যেতে হয়। (রাফি)




• নুসরাত হাত দিয়ে নিজের কপাল টা স্লাইড করে রাফিকে বলে-- তাই যেন হয়। এটা বলে নুসরাত নিচে চলে আসে আর ভাবতে থাকে,,কি ছিলো রাফির চোখে কোনো ভয় নেই কিন্তু আতংকের প্রতিছবি ফোটে উঠছে। আর আসলেই তো রাফির মতো একটা ক্ষেত ছেলে কিভাবে সজিবদের খুন করবে। যার কিনা প্রতিবাদ করার সাহস নেই সে কিভাবে মানুষ খুন করবে। এগুলো ভাবছিল তখনই নুসরাতের মোবাইলে একটা মেসেজ আসে,, মেসেজ টা দেখে নুসরাতের ঠোঁটের কোণায় হাসি ফোটে উঠে............



....



“ রাজ আপনার কেমন মেয়ে পছন্দ। মানে কেমন মেয়ে হলে আপনি বিয়ে করবেন ” 

প্রশ্ন টা শুনে রাজ কিছুক্ষণ রিমির দিকে তাকিয়ে আবার অন্য দিকে তাকায়। রাজ দেখতে পাচ্ছে রিমির চোখে মুখে লজ্জার ছাপ। রাজের প্রতি যে একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে সেটা তার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে সেই অনুভূতি কি ভালোবাসা নাকি ভালোলাগা শুধু সেটা এখনো জানে না রাজ। রিমির প্রতি উওরে রাজ বলে-- আমার তেমন কোনো মেয়ে পছন্দ নেই। তবে আমি কখনো আমার অনিশ্চিত জীবনে কোনো মেয়ে কে স্থান দিতে পারবো না। 




• রিমি বড় বড় চোখ করে বলে-- অনিশ্চিত জীবন মানে বুঝি নি আপনার কথা। 




• রাজ একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে-- পুলিশের চাকরি মানেই তো জীবন মরনের খেলা। যে কোনো সময় কোনো কিছু হয়ে যেতে পারে। তাই আমি চাই না এই জীবনে কাউকে জড়িয়ে তার জীবন টা নষ্ট করতে।




• রিমি একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে রাজকে বলে- যদি কোনো মেয়ে নিজের ইচ্ছায় আপনার জীবনে জড়াতে চায় তাহলে আপনি কি করবেন। আর আমার বাবাও তো পুলিশ তাই বলে কি ওনি বিয়ে করেন নি, করেছে তো তাহলে আপনার এমন সিদ্ধান্ত কেনো আমি বুঝতে পারছি না। 




• শুনো রিমি তুমার বাবার জীবনও অনিশ্চিত ছিলো কিন্তু তুমার বাবা কিন্তু প্রেম করে বিয়ে করেছে। কোনো মেয়ে কামনা করে না তার স্বামীর মৃত্যু। তুমার মা তুমার বাবা কে অনেক ভালোবাসতো তাই তাদের ভালোবাসার অটুত বিশ্বাসে তারা বিয়ে করে। কিন্তু আমার জীবনে এমন কোনো মেয়ে নেই যে জেনে শুনে আমার জীবনের সাথে জড়াবে। 




• রিমি করুণ কন্ঠে জবাব দেয়-- আমিও তো জানি আপনার জীবন অনিশ্চিত,, তবে আমাকে কি কোনো ভাবে এক্সেপ্ট করা যায়।




• রাজ বুঝে গেছে তার প্রতি রিমির অনুভূতি আকাশ পরিমাণ ছেয়ে গেছে। রাজ কিছু না বলে মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসে সেখান থেকে। রিমি  রাজের যাওয়ার দিকে চেয়ে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে। সে রাজের মুচকি হাসির মানে বুঝতে পারছে না। তবে এই হাসির মানে কি হতে পারে ভাবতে থাকে রিমি........



..



 সজিব মারা যাওয়ার পর থেকে ভার্সিটি টা পুরো ঠান্ডা হয়ে গেছে কোথাও কোনো র্যাগ হচ্ছে না। এভাবে আর কত দিন,,চল আজকে  নতুন কাউকে মুরগী বানাই। রিয়ার কথা শোনে সবাই রিয়ার দিকে তাকায়। রিয়া সবার তাকানো দেখে বলে-- কিরে সবাই আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়েছিস কেনো আমাকে কি জোকারের মতো দেখতে লাগছে,,রিয়া মুখটা কে ইনোসেন্ট চেহারা করে বলল।

সবাই তার কথায় হেসে দেয়। এবার আয়ান বলে,,,



• রিয়া কথাটা খারাপ বলে নি আসলেই অনেক দিন ধরে মজা করা হয় না আজ জমিয়ে র্যাগ দিবো, কি বলিস সবাই। সবাই আয়ানের সাথে সহ মত দেয়। রিয়া বলে,



• তা আজকে প্রথম কাকে দিয়ে শুরু করবো। (রিয়া)




মামা দেখ একটা মেয়ে বোরকা পরে আসতেছে,,চল আজকে এই মেয়েকে দিয়ে শুরু করি। রিদয়ের কথায় সবাই গেটের দিকে তাকায় দেখে একটা কালো বোরকা পড়া মেয়ে আসতেছে। সবাই ভাবছে এই আধুনিক যুগে কেউ এরকম কালো বোরকা পড়ে আসে। 




জান্নাতের আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন। তার অনেক দিনের স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার তাই সে সিলেট থেকে এখানে টার্নস্ফার হয়ে ২য় বর্ষে ভর্তি হয়েছে। সে ঘুরে ঘুরে দেখছিলো ভার্সিটি টা। ক্যাম্পাসটা খুবই বড় আর সুন্দর,,তাই সে ভালো করে ঘুরে দেখছিলো তখনই পাশ থেকে একটা মেয়ে ডাক দেয় কিন্তু কাকে ডাকছে তা বুঝতে পারছে না জান্নাত। কিন্তু যখন মেয়েটা কালো বোরকাওলি বলে ডাক দিল তখন জান্নাত দেখে আসেপাশে কোনো কালো বোরকা পড়া মেয়ে নেই তাই সে মেয়ে টার ডাকে সেখানে যায়। আসলে রিয়ারা মজা করার জন্যই জান্নাত কে ডাকছে। জান্নাত জানে না ওর সাথে আজ কি হতে যাচ্ছে।

জান্নাত গুটি গুটি পায়ে ওদের সামনে আসে আর সবাইকে সালাম দেয়। জান্নাত বুঝতে পারছে না কেনো ওকে ডাকা হয়েছে তাই সে প্রশ্ন করে ফেলে -- আপু আমাকে কেনো ডেকেছেন। 




• রিয়া মুচকি হেসে বলে -- এত তারা কিসের তুমার তুমাকে কিছু প্রশ্ন করা হবে। আর কিছু কাজ করতে হবে যদি না করতে পারো তাহলে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা আছে,, এখন বল তুমি কি প্রস্তুত।



• জান্নাত সবার দিকে একবার চেয়ে জবাব দেয় -- উত্তর দেয়ার মতো প্রশ্ন হলে আমি রাজি,,এখন প্রশ্ন করতে পারেন। 



• রিয়া জান্নাতের সম্পর্কে জানতে চায়। জান্নাত ও সব গুলো প্রশ্নের সঠিক উওর দেয়। কিন্তু এখন এই সিনিয়রা কি কাজ দিবে তা ভাবতেই কেমন যেন লাগছে জান্নাতের।



• রিয়া কিছু বলতে যাবে তার আগেই তাকে থামিয়ে দিয়ে আয়ান বলতে থাকে-- মামনি এখন আমি যে কাজ টা করতে বলবো তুমাকে সেটা করতে হবে কিন্তু।(আয়ান)



• জান্নাত না বুঝে বলে ফেলে -- জ্বি ভাইয়া বলেন আমাকে কি করতে হবে,,আমার দ্বারা কাজটা করা সম্ভব হলে করবো।




• আয়ান শয়তান মার্কা হাসি দিয়ে বলে-- ঐই যে দেখতেছ গাছের নিচে একটা ছেলে বসে আছে। 



• জান্নাত গাছের দিকে তাকায় দেখে একটা ছেলে বসে আছে পরনে তার,,হালকা ময়লা হলুদ শার্ট, কালো পেন্ট, চুল গুলো বড় বড় কুকরা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা মাথাটা নিচু করে বসে আছে। ভালো করে ছেলেটা কে দেখে জান্নাত উত্তর দেয় -- জ্বি ভাইয়া দেখছি এখন কি করতে হবে আমাকে।



• যেই ছেলেটা কে দেখতেছো তার নাম রাফি তোমার ক্লাসেই পড়ে। তুমি এখন যেয়ে রাফি কে প্রপোজ করবে। 



• সবাই হেসে উঠে আয়ানের কথায় কেউ ভাবছিলো না আয়ান এমন কিছু দিবে। জান্নাতের চোখ জোরা যেন বেরিয়ে আসার উপক্রম। সে ভাবতেও পারে নি আয়ান তাকে এমন একটা কাজ করতে বলবে। সে আয়ানের মুখের উপর বলে দেয়, ভাইয়া আমাকে অন্য কিছু করতে বলেন আমি এটা করতে পারবো না।



• এবার রিয়া রেগে যেয়ে বলে-- তুমি তো বলছিলে আমরা যেটা বলবো তুমি সেটা করবে কিন্তু এখন আবার না করছো,, নয়তো আজ ভার্সিটির প্রথম দিনই তোমাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে,,আয়ান যা বলছে তাই করো যাও তাড়াতাড়ি। 



• জান্নাত কাদো কাদো ফেস করে বলে প্লিজ আমাকে এটা করতে বলবেন না অন্য কিছু দেন প্লিজ। 



• জান্নাতের কথা না শুনে সাদিয়া ধমক দিয়ে বলে-- যা বলছে তা করো তাড়াতাড়ি। 




জান্নাত সবার দিকে একবার চেয়ে রওনা দেয় রাফির উদ্দেশ্য,, কিন্তু যেয়ে এমন একটা পরিস্থিতি তে পরবে বুঝতে পারে নি জান্নাত........... 





### চলবে ###





[ আজকের পর্ব টা দেরি করে দেওয়ার জন্য দুঃখীত। শরীর টা বেশি একটা ভালো ছিলো না তাই একটু দেরি হয়ে গেছে। আর সবাই পরের পর্ব টা কেমন চান বলতে ভুলবেন না ]ধন্যবাদ 





wait for the next part.

Wednesday, June 16, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব:-১৪ --RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব:>>_[( ১৪ )]_<<




................




“ মেহেরাবের মাথায় চিন্তার পাহাড় নেমে আসে করণ এখন মেয়র শহীদ হোসেন তাকে ফোন দিয়েছে ”

তিনি ফোন দিয়ে বল্লেন -- কমিশনার যেভাবে পারেন আমার ছেলের খুনি কে খুজে বের করুন পৃথিবীর বুকে যেখানে লুকিয়ে থাকুক না কেনো ওদের বের করুণ। আর যদি না পারেন তাহলে আমি আমার লোক দিয়ে শহর টা ধ্বংস করে দিবো এখন বলবেন আপনি করবো আমি। এ কথা বলে মেহেরাব কে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন টা কেটে দেয়। মেহেরাবের কপালে চিন্তার ছাপ পড়ছে। উপর থেকে চাপ দিচ্ছে আবার মেয়রও চাপ দিচ্ছে,,সে বুঝতে পারছে না কি করবে। 





রাফির আজ একটু দেরি করে ঘুমটা ভাঙেছে আজ আর ভার্সিটিতে যাওয়া হবে না। তাই সে চলে যায় করিম কাকার চায়ের দোকানে। 

প্রতি টা খবরের চ্যানেলের হেড লাইন,, কাল রাতে মেয়রের ছেলে খুন। শহরের অবস্থা খুব খারাপ,, মেয়রের লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

রাফি খবরটা টিভিতে দেখে মুচকি হেসে চা টা শেষ করে চলে আসে। এখন রাফির মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে, কে তাকে কালকে রাতে বাচিয়েছে। রাফির কাছে মনে হচ্ছে আগন্তুক টা কোনো রিয়েল মাফিয়া,,রাফি সারাদিন এই সব আর্টিকেল পরে তাই তার মাথায় আসছে সব ই মাফিয়াদের স্টাইলের সাথে মিলে যায় আগন্তুক টার। কিন্তু রাফি আগন্তুকের 

 মুখ টা দেখতে পারে নি মাক্সের জন্য। কিন্তু আগন্তুক টা রাফিকে এই মুহূর্তে ভাবনার মাঝে ফেলে দিয়েছে। রাফি একটা পার্কের বেঞ্চের উপর আরাম করে বসে বসে এগুলো চিন্তা করছিলো তখই ভাবনার মাঝ থেকে একটা ছেলে দৌড়ে রাফির কাছে আসে মনে হচ্ছে কেউ তাকে দৌড়াচ্ছিল। রাফির সামনে এসে হাঁটুর উপর ভর দিয়ে কিছুক্ষন মন খুলে শ্বাস নিয়ে রাফির হাতে একটা গিফট কাগজে মুরানো বক্স দিয়ে দৌড়ে আবার চলে যায়। রাফি কেবল সেদিকে চেয়ে আছে কোনো কিছু বলছে না। সে কিছু বুঝতে পারছে না যে এটা কার দেওয়া বক্স, হয়তো ছেলেটা ভুল করে দিয়ে চলে গেছে।

কিন্তু রাফি অবাক হয়ে যায় এটা দেখে যে বক্সের উপরে ছোট 

 করে ‘রাফি দ্যা’ লিখা। সে বুঝে গেছে হয়তো এই শহরে কেউ তাকে চিনে গেছে। রাফি এখন বক্সটা খুলবে না বাসায় যেয়ে বক্স টা খুলবে।






* আপনার কি কোনো গার্লফ্রেন্ড আছে *

রাজ তার কেবিনে বসে বসে কাজ করছিলো তখনই রিমি কথা টা বলে। দুপুরের খাবার দিতে এসে সে আর কোথাও যায় নি রাজের কেবিনে এসে বসে পরে। রাজ অনেক ক্ষন যাবত দেখছিলো রিমি কিছু বলবে,,কিন্তু এমন কথা বলবে সে ভাবতে  পারে নি। রাজ কথাটা শুনে বিষম খায়,, টেবিলের উপর থাকা এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেলে। তার পর অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রিমির দিকে। এটা দেখে রিমি বলে,,




• আপনাকে আমার দিকে চেয়ে থাকতে বলি নি,,যেটা বলছি ঐটার উত্তর দিন।( রিমি)



• রাজ নিজেকে স্বাভাবিক করে উত্তর দেয় -- না আমার জীবনে তেমন কোনো মেয়ে বা পছন্দের মানুষ নেই। তুমি আমাকে এমন প্রশ্ন করার মানে কি??




• রিমি আমতা আমতা করে বলে--এমনি জিজ্ঞেস করলাম। রিমির এমন অবস্থা দেখে রাজ মুচকি হাসে। রিমি চলে যায় রাজের কেবিন থেকে।  রাজ শুধু চেয়ে আছে রিমির চলে যাওয়ার দিকে। 



..



আজ সজিবের মৃত্যুর চার দিন। পুলিশ এখনো খুনিদের ধরতে পারে নি। মেহেরাব কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না,,কেনো শহরে এত এত খুন হচ্ছে কে করছে এগুলো। যদি এগুলো রাফিনদের গ্যাং রা মিলে করে তাহলে সজিব আর আশফির সাথে ওদের কি শক্রুতা ছিল। মেহেরাব যত দূর জানে মাফিয়াদের আলাদা ড্রেস আপ থাকে, তাহলে রাফিনদের দ্বারা এই খুন সম্ভব না,, করণ সজিবদের লাশের পাশে শার্টের বুতাম পাওয়া গেছে। তাহলে সজিব আর আশফি কে তাদের কোনো কাছের শক্র মারছে। কিন্তু সজিব আর আশফির শক্র এক হতে যাবে কেনো। খুনটা তাহলে কে করতে পারে ভাবতে থাকে মেহেরাব,,সব যেন ধুয়ানো ধুয়াশা।





“ স্যার ভিতরে আসতে পারি ”

হঠাৎ কারো কথার আওয়াজে মেহেরাব সামনের দিকে তাকিয়ে দেখ ইকবাল ভিতরে আসার জন্য অনুমতি চাচ্ছে। মেহেরাব হাতের ইশারায় আসতে বলে। আজ ইকবাল অন্য দিনের চেয়ে আলাদা ড্রেস আপ পরছে,, সাদা কালারের মোটা জ্যাকেট, মাথায় কেপ, এই গরমের সময় যে কেউ এমন জ্যাকেট পরতে পারে তা ইকবাল কে দেখেই বুঝা যাবে। মেহেরাব জানে ইকবাল যখন থানায় আসে তখন সে কোনো না কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ নিয়ে আসে। তাই মেহেরাবই আগে বলে- তা এই অসময়ে থানায় কেনো।




• ইকবাল বলে- স্যার আপনি তো জানেন আমি কোনো দরকারি বা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছাড়া থানায় আসি না। যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি কি একটা সিগারেট জ্বালাতে পারি।




• ইকবালের এমন কথা শুনে মেহেরাব চমকে উঠে। কেবল তিনি ইকবালের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অন্য দিনের চেয়ে আজকের ব্যবহার টা কেমন যেন লাগছে মেহেরাবের কাছে। ইকবাল তো আমার সামনে সিগারেট তো দূরের কথা চাও পান করতো না,,তাহলে আজ তার কি হলো। মেহেরাব একটা মুচকি হাসি দিয়ে সিগারেট জ্বালানোর অনুমতি দেয়।




• ইকবালও অনুমতি পেয়ে মুচকি হেসে পেকেট থেকে দুইটা দামি ব্যান্ডের সিগারেট বের করে একটা তার ঠোঁটে চেপে আরেক টা মেহেরাবের দিকে দেয়।




• এবার মেহেরাব অবাকের চরম পর্যায়ে চলে যায়,,সে ভাবতেও পারে নি ইকবাল এমন একটা দূর সাহস দেখাবে। মেহেরাবও ঠান্ডা মাথার খেলোয়ার তাই সে আর কিছু না ভেবে  সিগারেট টা তার ঠোঁটে চাপে। হুম বলো এবার তুমার কি গুরুত্বপূর্ণ কথা।




• ইকবাল একটা রহস্যময় মুচকি হাসি দেয়। মেহেরাব ভাবতেও পারে নি ইকবাল এমন রহস্যময় মুচকি হাসি দিতে পারে। আজ চার বছর ধরে ইকবাল মেহেরাবের হয়ে কাজ করে,,কিন্তু কখনো তো এমন করে রহস্যময় মুচকি হাসে নি,,আর আজকের মতো ব্যবহার তো কখনো করে নি।




• কি ব্যাপার তুমি এমন করে হাসতেছ কেনো কিছু বলার থাকলে বলো না হলে তুমি এখন আসতে পারো,,একটা কেসের ঝামেলায় ভালো ভাবে ফেসে গেছি। তুমি আবার সময় নষ্ট করছো। কি বলবে তাড়াতাড়ি করে বলবা।




• ইকবাল জ্বলন্ত সিগারেট টা জোরে টান দিয়ে বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো উপরের দিকে ছেড়ে বলতে থাকে - আপনার কেস টা যদি আমি সামলে দেই  কেমন হবে।




• মানে বুঝতে পারছি না কি বলতে চাচ্ছ।(মেহেরাব)




• না বুঝা লাগবে না। আপনাকে একটা গল্প শুনাই। শহরে নতুন দুইটা ছেলে আসে, তাদের উদ্দেশ্য শহর টা তে তাদের রাজ চলবে কিন্তু দেশের সব শহরের মতো এই শহর টা এক না,তাই রাজ করতে হলে অনেক টপ মাফিয়া, রাজনৈতিক নেতা , পুলিশ প্রশাসন হাত করতে হবে। সব কিছু করছে এখন শুধু মানুষের ভিতর ভয় আর আতংক ঢুকাবে, কিন্তু এক সময় তাদের একটা বন্ধু বা দলের লোক ওদের সাথে বেইমানি করে তাহলে কেমন হবে বলেন তো। এগুলো বলে ইকবাল আরেক টা সিগারেট জ্বালায় আরেক টা মেহেরাব কে দেয়। ঘর টার ভিতর এখন বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো উড়ছে।




• মেহেরাব ইকবালের কিছু কথা বুঝতে পারছে কিন্তু শেষে বেইমানি করে কে সেটা বুঝতে পারছে না। তাই মেহেরাব তাড়াতাড়ি প্রশ্ন করে ফেলে, কে সেই বেইমান। 




• ইকবাল বিষাক্ত ধোঁয়া উড়াচ্ছে আর দেখছে মেহেরাবও শান্ত দৃষ্টিতে অধির অপেক্ষায় বসে আছে কখন তার প্রশ্নের উত্তর পাবে। ইকবাল মুচকি হেসে আবার বলতে শুরু করে, ধরেন বেইমানি টা আমিই করলাম। মেহেরাব মনে হয় এমন উওর আশা করে নি তাই দাঁড়িয়ে যায়। ইকবাল শান্ত হয়ে ই বলে-- স্যার আপনাকে শুধু ধরতে বলছি আর কিছু না। শান্ত হয়ে বসেন মেন পয়েন্ট এ তো এখনো আসি নি। আপনি যেই কেস গুলো নিয়ে এত দূর চিন্তা করছেন খুনির পিছনে এত সময় নষ্ট করছেন আমি যদি আপনার কাজটা কে সহজ করে দেই তাহলে কেমন হবে।




• মেহেরাব এবার অশান্ত হয়ে যায়। সে এত দিন ধরে কেস গুলোর কিছু বের করতে পারলো না। কিন্তু আজ হঠাৎ ইকবাল এমন কথা বলছে কিভাবে সে কিভাবে এই কেস গুলো সহজ করে দিবে। তাই মেহেরাব তাড়াতাড়ি প্রশ্ন করে ফেলে,,এটা কিভাবে সম্ভব আমি এত দিন যাবত কেসের তদন্ত করে কিছু পেলাম না কিন্তু তুমি কি করে সহায়তা করবে।




• মেহেরাবের এমন অস্থিরতা দেখে ইকবাল জোরেই হেসে দিয়ে বলে। আপনার থানায় এমন কোনো পুলিশ আছে যাকে আপনার সন্দেহ হয়, যেমন সে আপনাদের সকল তথ্য ফাস করে দেয় বা সেই অফিসার নিজেই একজন মাফিয়া এমন কাউকে সন্দেহ হয় কি আপনার। 




• মেহেরাব রেগে বলে- তুমার কি মনে হয় থানায় কোনো মাফিয়া বা ওদের লোক আছে। যদি এমন হতো তাহলে কি আমি বসে আছি। সাথে সাথে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতাম,,না আমার থানায় এমন কোনো অফিসার নেই। আর না কারো প্রতি সন্দেহ করি।




• ইকবাল হাসতে হাসতে বলে, সন্দেহ করেন না বলেই তো আপনি এখন খুনের রহস্যের ভিতর পরে আছেন। তা আপনার কাছে রাজ ছেলেটা কেমন লাগে,, না মানে সন্দেহ করার মতো কি না। ( ইকবাল)




• মেহেরাব বলে -- কি বলতে চাচ্ছো সোজা সোজি ভাবে বলো। আর রাজ কে কেনো অযথা সন্দেহ করবো সেটার তো কোনো প্রশ্ন ই উঠে না।




• স্যার একটা কথা বলি আপনাকে যে গল্প টা এতক্ষণ বল্লাম ঐটার বেইমান টা আমিই। আর আপনার আশেপাশে সেই ছদ্মবেশী মাফিয়া খুনি টা ঘুরাঘুরি করছে কিন্তু আপনি তা উপলব্ধি করতে পারছেন না। সেটা আপনার ব্যপার কিন্তু আমার যা জানা আছে আমি তা বলে দিয়েছি,,আর!




• মেহেরাব বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর উত্তেজিত কন্ঠে বলে কে সেই অফিসার নাম টা বলো। কে ঐই মা** 

যে আমার থানায় বসে বসে আমার সাথে বেইমানি করছে।




• ইকবাল দাঁড়িয়ে বলে-- অফিসার টা আপনার অতি কাছের.....

ইকবাল আর কথা বলতে পারে না,,সে চেয়ার থেকে পরে যায়  আর মাথা থেকে রক্ত পরতে থাকে। মেহেরাব সাথে সাথে ইকবালের কাছে আসে কিন্তু ইকবাল তার আগেই পরপারে চলে যায়। তার শেষ নিশ্বাস টা ত্যাগ করে বিদায় নেয় পৃথিবী থেকে। মেহেরাব তাড়াতাড়ি সবাইকে ডাক দেয়। সবাই এসে দেখে ইকবাল নিচে পরে আছে আর তার কপাল টা থেকে রক্ত পরতেছে। কিছু দূরে দাঁড়িয়ে আছে মেহেরাব। কিছুক্ষন আগের ঘটনা টা মনে করার চেষ্টা করছে। ইকবালের লাসটা কে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে...




...............




“নুসরাত আজ পাঁচ দিন যাবত রাফি কে নিয়ে সন্দেহ করছে অতি মাএায়,,দুই দিন ধরে সে কোথায় উদাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে তার সন্দেহ টা নিজের মনের ভিতর পুষে রাখে”

নুসরাত খেয়াল করছে যে রাফি অন্য দিনের চেয়ে আজকে কি নিয়ে যেন বেশি নিন্তিত,,রাফির আবার কিসের চিন্তা। সে দুই দিন কোথায় ছিলো জানতেই হবে এগুলো ভাবছিল নুসরাত তখনই রিয়া বলে উঠে




• কিরে কতক্ষণ ধরে দেখছি তুই ঐই ক্ষেত ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছিস। ভালোবেসে ফেলেছিস নাকি? ( রিয়া) 



• কি যে বলিস না তুই, আমি আর ঐই ক্ষেত টা কে কখনো সম্ভব না। আমি ভাবছি রাফি দুই দিন ধরে আমাদের বাসায় ছিলো না আবার ভার্সিটিতেও আসছে না,,এগুলো ভাবছিলাম।(নুসরাত) 




• তর এত মাথা ব্যাথা কেনো ঐই ছেলেটা যা ইচ্ছে করুক তাতে তর কি? ( সাদিয়া) 




• আমার কি মনে হয় জানিস,, সজিবের খুনের পিছনে রাফির কোনো হাত আছে।(নুসরাত) 




নুসরাতের কথা টা শুনে সবাই জোরে হাসতে থাকে। এবার রিয়া বলে-- তর মনে হয় মাথার তার ছিড়ে গেছে ডাক্তার দেখা তাড়াতাড়ি। রাফি ক্ষেত, বোকা ছোট দেখতে বুঝা যায় ই তো না সে মানুষ খুন করবে তর সন্দেহ সম্পূর্ণ ভুল। 




• নুসরাত তাদের কথা মানতে রাজি না। সে যেয়ে নিজে রাফিকে  জিজ্ঞেস করবে দুই দিন কোথায় ছিলো। 



...


* স্যার ইকবালের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চলে এসেছে আপনি এখন দেখতে পারেন*

মেহেরাব রিপোর্ট টা হাতে নিয়ে বড় ধরনের একটা শক খায়,, রিপোর্ট আসছে..........




### চলবে ###




[ সবার সাপোর্ট করবেন ইনশাআল্লাহ, আর গল্প টা পড়ে কমেন্ট করতে ভুলবেন না ]ধন্যবাদ 





wait for the next part.

KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪

 # গল্প :- KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪ ............. আকাশে তাজা সূর্যের তীব্র আলো। শকুন আর গাংচিলদ...