Saturday, July 17, 2021

টোকাই যখন মাফিয়া কিং--পর্ব:- ৪ -- RAJA Bhuiya. (মি.440)

মাফিয়া সিরিজ 



# টোকাই যখন মাফিয়া কিং 

# RAJA Bhuiyan. (মি.440)

# পর্ব:- ৪


.... ...........




• ভাই আমি ভুল করে ফেলেছি আমাকে মাফ করে দেন, আমাকে ছেড়ে দেন প্লিজ, আমার দ্বারা দ্বিতীয় বার আর এমন ভুল হবে না। (আরিয়ান)




• আরিয়ানের এমন কথা শুনে রকি উচ্চ সরে হাসতে হাসতে বলে -- তকে কি ধরে এনেছি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। দ্বিতীয় বার যাতে আর এই ভুল না করতে পারিস সেই ব্যাবস্থা করার জন্য ধরে এনেছি তকে। (রকি)





• আরিয়ানের কাছে রকির কথা মুটেও ভালো লাগতেছে না, সে বুঝে ফেলেছে তার সময় শেষ আজকে। সামনে ভয়ংকর রকি কে দেখে বুঝা যাচ্ছে আরিয়ানের মৃত্যু যেন এখন মাথার উপর, আর কিছুক্ষন তারপরই তার চিরদিনের জন্য নিথর হয়ে যাওয়া। আরিয়ান ভয়কাতর চেহারা নিয়ে করুণ কন্ঠে বলে -- ভাই আমাকে ছেড়ে দেন, আমি ঐই বসতি টা আবার ওদের দিয়ে দিবো, প্লিজ বিশ্বাস করেন আমাকে৷ (আরিয়ান)





• আরিয়ান তকে একটা গল্প শুনাই। শহরে গরীব একটা ছেলে ছিলো যার বাবা মা কেউ নেই পৃথিবীতে সে এতিম, ছেলেটা তার পেটের ক্ষুধা মেটানোর জন্য ছোট একটা চা স্টলে+ হোটেলে  কাজ করতো। তার কাজ ছিলো টেবিল পরিষ্কার করা আর প্রতিটা টেবিলে যেয়ে খাবার সার্ভ করা। কিন্তু হটাৎ করে একদিন  ছেলেটা কাস্টমার কে পানি দিতে যেয়ে কারো সাথে ধাক্কা গেলে হাতের গ্লাস টা সেই লোকটার উপর পরে। গ্লাসের পুরো পানি টা লোকটার শার্টের উপরের পরার কারণে সে ছেলেটা কে কষে তিনটা চড় দেয় আর খাবাপ ভাষা বলে গালি দিতে থাকে। মৃত মা - বাবাকে গালি দেওয়ায় ছেলেটা তা সহ্য করতে না পেরে নিচে পড়ে থাকা ভাঙা অর্ধেক গ্লাস টা দিয়ে লোকটার গলায় চালিয়ে দেয়। দোকানের মালিক ভয় পেয়ে যায় এটা দেখে তাই সে পুলিশ কে ফোন দিয়ে ছোট ছেলেটা কে ধরিয়ে দেয়। কথা গুলো বলে থামে রকি,, সামনে থাকা টেবিলের উপর সিগারেটের পেকেট টা হাতে নিয়ে তার থেকে একটা সিগারেট বের করে  নিজের ঠোঁটে চাপে,, জলন্ত সিগারেটে  যেন রকির ঠোঁট জোরা পুরে যাচ্ছে তবু সে থেমে নেই এক মনে সিগারেট টানছে। রকি এভার একটু রহস্যময়ী হয়ে বলে -- আরিয়ান আমার গল্প টা শুনে কি তর কিছু মনে পরছে। (রকি)





• আরিয়ান রকির কথা শুনে অনেক টা অবাক হয়ে যায় করণ রকি এতক্ষণ আরিয়ানের ছেলে ভেলার গল্প বলছিলো। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় আরিয়ান চোখ জোরা বন্ধ করলেই ছোট ভেলার কিছু দৃশ্য তার চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়। আরিয়ান যতই অতীত কে ভুলতে চায় কিন্তু অতীত তাকে তত হ্রাস করে ফেলে চাইলেও যেন এটা সে ভুলতে পারে না। সে অবাক হয়ে রকিকে জিজ্ঞেস করে -- কে তুই আর তুই আমার ছোটবেলার কথা জানিস কিভাবে। (আরিয়ান)




• রকি সিগারেটে আরেকটা টান দিয়ে বল -- তকে আগেই বলেছি আমি কে তা তর না জানলেও চলবে। আর তর ছোটবেলার গল্পও আমার অজানা নয়,, এখনো কিছু ঘটনা বাকি আছে শুনতে থাক। ‘ ছেলেটার বয়স কম থাকায় তার শাস্তি কম হয়, দীর্ঘ চৌদ্দ বছর পর ছেলেটা জেল থেকে ছাড়া পায় চলে আসে পুরোনো সেই বসতিতে যেখানে সে ছোট থেকে বড় হয়েছে। বসতির সবাই ছেলেটাকে মুন্না নামে চিনতো,, এলাকায় ছোটখাটো মাস্তানী করতো কিন্তু একদিন ভাগ্য তার সহায় হয়।  এলাকার সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তির বাড়িতে সে আর তার কিছু বন্ধু মিলে ডাকাতি করে,,এভাবে তারা একটা গ্যাং তৈরী করে ফেলে যার লিডার হয়ে যায় মুন্না ভাই। কিছু বড় বড় রাজনৈতিক নেতার সাথে ঘুরাঘুরি কে রাজনীতি তে ডুকে যায় আস্তে আস্তে রাজনীতি করতে করতে ভালো পজিশনে পৌঁছে যায় জনগণ তাঁকে আরিয়ান আহাম্মেদ নামে চিনতে থাকে। আর এখন সে একজন ধনী এবং ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক নেতা আরিয়ান আহাম্মেদ। (রকি)





• তুই আমার সম্পর্কে এত কিছু জানলি কিভাবে। আমি জানি তুই সাধারণ কেউ না, কিন্তু তুই আমার সাথে এমন করে কি পাবি তর যত টাকা লাগে আমি দিবো তবুও আমাকে এখান থেকে মুক্তি দে। (আরিয়ান)





• থাক না কিছু কথা অজানা, মানুষ জাতি টাই এমন সারা জীবন সফল জীবনযাপন করে মৃত্যুর সময় আফসোস করে মারা যায়। তর ভুল একটাই তুই গরীব দুঃখীদের প্রতি অবিচার আর অত্যাচার করিস। তর অনেক টাকা হয়ে গেছে,, অর্থ মানুষকে পিশাচ করে তুলে, আবার অর্থই মানুষকে মহৎও করে তুলে। তুই তর নাম টা ভালো জায়গায় নিয়ে গেলি না। এখন তর জীবন বাঁচাতে তর টাকা ক্ষমতা কোনো টাই কাজে আসবে না। (রকি)





• দয়া করে আমাকে ছেড়ে দেও আমি এখন থেকে গরীব দুঃখীদের প্রতি অবিচার আর অত্যাচার করবো না। (আরিয়ান)




• হিহিহিহিহিহি......আমি কাউকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেই না, আর   পৃথিবীতে খারাপ মানুষ রেখে লাভ নেই,, মানুষ নিজের মৃত্যু নিজেই কামণা করে । কথাটা বলে রকি পিছন থেকে একটা পিস্তল ডান হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে বলে -- এই পিস্তলে পাঁচ টা বুলেট আছে সব গুলোই তর কপালে করবো। (রকি)




• আরিয়ান চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে, চরম অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে তার চেহারা চাহনিতে। আরিয়ান বিশ্বাসই করতে পারছে না যে আজ তার এই পৃথিবীতে শেষ দিন। মাথাটা নিচু করে হাত দুটোর দিকে তাকায়, এই দুই হাত দিয়ে কতোই না মানুষ হত্যা করেছে সে। আরিয়ান মৃত্যুর কথা বারবার জপছে,  জীবনের এই শেষবেলায় সে নিজের অপরাধ নিয়েও চিন্তিত। নীচু গলায় রকি কে উদ্দেশ্য করে বলে--

  “ আকাশ সমান আমার অপরাধ ”

  “ তবুও তুমার কাছে আমার আর্তি ”

  “ তুমার দয়া আমার জন্য সম্ভাবনা ”

  “ হিসেবে শুধু শাস্তি আমার পাওনা ”





• আরিয়ানের এমন আবেগিয় কথায় রকির মন একটুও নরম হয় না। পিস্তল টা সোজা কপাল বরাবর তাক করে, আরিয়ান কিছু বলতে পারে না এর আগেই রকি পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দেয় 100°c তাপমাত্রার গরম বুলেট আরিয়ানের কপাল টা ভেদ করে চলে যায়। কপাল থেকে তাজা রক্ত বের হচ্ছে, আরিয়ানের প্রবল ভয় আর অস্থিরতা গ্রাস করেছে,, মৃত্যুে কে এতো কাছ থেকে দেখে। আরিয়ানের এমন অবস্থা দেকে রকি ‘হিহিহিহি’ করে হেসে বলে -- মরণের কষ্ট কেমন লাগে আরিয়ান, দেখ কতো নিষ্পাপ মানুষ খুন করেছিস তুই। (রকি)





• আরিয়ানের শ্বাস ভারি হয়ে আসছে, মুখ টা হা করে কি যেন বলতে চাচ্ছে সে, সবার আগ্রহ তার দিকে। আওয়াজ থেমে গেছে, মুখ বন্ধ হয়ে এলো আরিয়ানের বিশ্ব কাঁপানো একটা ডেক তুলে ঢলে পড়লো চেয়ারের সাথে, তার প্রান পাখি তখন আকাশের পথে। রকি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায় হাতের সিগারেট টা শেষ হয়ে গেছে সেটা মাটিতে ফেলে রুমের সাটারের দিকে যেতে থাকে তখনই পিছন থেকে সোহেল বলে.....





• বস শালাকে কোথায় ফেলে দিবো। (সোহেল)




• ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে আর পাশে M.K আর কংকালের ট্যাটু আঁকতে ভুলবি না। (রকি)




• আচ্ছা বস!! (সোহেল)




 রকি সেখানে আর দাঁড়ায় না, বাইরে চলে আসে, বৃষ্টি টা এখন কমে গেছে তাই সে নিজে হেঁটে গাড়িতে যেয়ে উঠে রাতের আধারে মিলিয়ে যায়। 



....




“ আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে থেকে, ঢাকার সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক নেতা আরিয়ান আহাম্মেদের মৃত দেহ পাওয়া গেছে। দু দিনে দুইটা ক্ষমতাশালী ব্যাক্তির মৃত দেহ পাওয়া গেছে এটা নিয়ে শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশের ধারণা বাংলাদেশের মাফিয়া কিং  M.K (মি.King) এই খুন দুইটা করেছে। পুলিশ এখনো তদন্ত করে কোনো ক্লো বের করতে পারছে না। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।” ( সাংবাদিক )





 আবির আর রকি ছোট একটা চা স্টলে বসে চা খাচ্ছিলো তখনই টেলিভিশনে সাংবাদিক কথাটা বলছে। এই কথাটা শুনে আবির রকি কে উদ্দেশ্য করে বলে। 





• দেশে যে কি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। একের পর এক খুন হয়ে যাচ্ছে, পুলিশ কি করে কে জানে। (আবির)




• আবিরের কথা শুনে রকি মুচকি হেসে বলে -- টেলিভিশনে দেখলি কি বল্লো খুন গুলো কে করেছে, M.K করেছে। তার সম্পর্কে মনে হয় তর কোনো ধারণা নেই, সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়ংকর  মাফিয়া কিং, ছোট বাচ্চা না ঘুমালে মায়ের M.K এর নাম বল্লে বাচ্চারা ভয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এমপি মন্ত্রী মেয়র যা আছে সব তার আন্ডারে। ( রকি ) 




• তুই M.K সম্পর্কে এত কিছু কিভাবে জানিস, তুই কি কখনো তাকে দেখেছিস। (আবির)




• হিহিহিহিহি....M.K সম্পর্কে আমার অনেক কিছু জানা যা সে নিজেও জানে না। আমি M.K কে কিভাবে দেখবো যেখানে তার নিজের লোকেরাও আজ পর্যন্ত দেখে নি। M.K কে দেখা যায় না শুধু অনুভব করা যায়, ঝড়ের বেগে তার অস্তিত্বের বাতাস বুঝা যায়। কোনো এক অচেনা অজানা শহরের শান্ত একটা ঠান্ডা মাইন্ড গেমার নামক ছেলে যার পদবী M.K দেওয়া হয়েছে। সে যেই শহরে পা রাখে ঐই শহর টা ওর হয়ে যায়, শত্রুর মনে ভয়ানক কম্পন সৃষ্টি তৈরি করে । ( রকি ) 




• আবির সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রকি কে বলে -- রকি তর আসল পরিচয় কি, কে তুই। (আবির)




• তুই কি আমাকে কোনো ভাবে সন্দেহ করছিস তাহলে সেটা ভুল, আমি তর বন্ধু রকিই। (রকি)




• আমার কাছে তকে কেমন যেন রহস্যময় রহস্যময় লাগছে। তুই M.K সম্পর্কে এত কিছু জানিস, আমার মনে হয় না কোনো পুলিশ প্রশাসন এত কিছু জানে। তাই তকে একটু সন্দেহ করছি এই আরকি। (আবির)




• আমাকে আবার কি রকম রহস্যময় লাগে, আমি সব সময় এই রকম করে কথা বলতে পছন্দ করি। আর M.K সম্পর্কে এত কিছু জানি আমার এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। আমাকে সন্দেহ করার কোনো মানেই হয় না। (রকি)





• রকি সামনে তাকিয়ে দেখ নাহিদ রা হাতে স্টীক নিয়ে আমাদের দিকেই আসছে চল এখান থেকে চলে যাই। (আবির)




• আবিরের কথা শুনে রকি পাশে তাকিয়ে দেখে নাহিদ, আরাফ, সিয়াম, আরো তিনটা ছেলে সবার হাতে মোটা স্টীক, রকি পকেট থেকে মোবাইল টা বের করে কাকে যেন একটা মেসেজ পাঠায়। আবিরের দিকে চেয়ে দেখে আবির ভয় পেয়ে আছে, রকি আবিরের পিঠে হালকা বারি দিয়ে বলে -- আমরা এখান থেকে কোথাও যাবো না এখানে বসে থাকবো। (রকি)





• তুই কি পাগল হয়ে গেছিস, আমরা এখানে বসে থাকলে  আমাদের কি করবে বুঝতে পারছিস,,চল এখান থেকে। (আবির)




 আবির রা আর সেখান থেকে যেতে পারে না, এর আগেই নাহিদের ছেলেপেলে রা চলে আসে। নাহিদ তার ডান হাতে স্টীক টা নিয়ে বাম  হাতে আস্তে বারি দিতে দিতে বলে..




• কিরে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্তা করছিলি নাকি। (নাহিদ)




• পালিয়ে যাব কেনো, আবির হালকা ভয় পাচ্ছিলো তাই আমাকে চলে যাওয়ার জন্য বলছিলো.।(রকি)





• হাহাহাহাহা....আবির ভয় পাচ্ছিলো কিন্তু তুই ভয় পাচ্ছিলি না আমাদের দেখে। (নাহিদ)




• রকি মুচকি হেসে বলে -- তুমাদের ভয় পাওয়ার কি আছে, যার জন্য ভয় পাবো। (রকি)




• কালকে তো খুব ভাব নিয়ে বলে গিয়েছিলি আমার কথা শোনবি না। আজ এর উপযুক্ত শাস্তি দিবো তকে দেখবো বড় বড় কথা কোথায় যায়। (নাহিদ)




• এত চার পাঁচ টা ছেলে নিয়ে আমাকে মারার জন্য চলে এসেছো, হিহিহিহিহি... এরা আমাকে মারবে হাসি পাচ্ছে আমার। (রকি)





* নাহিদ স্টীক টা দিয়ে রকির বাম পায়ে জোরে একটা বারি মারে। রকি নিচে পরে যায়, কিন্তু ব্যাথায় কোনো চিৎকার করছে না, চোখ জোরা বন্ধ করে ব্যাথাটা সহ্য করে নেয়। নাহিদ রকির শার্টের কলার ধরে উঠায় মুখের কাছে মুখ নিয়ে বলতে থাকে... 





• কিরে কেমন ব্যাথা করে, একটু চিৎকার কর আমার মন টা যেন শান্তি পায়। তকে মারার জন্য আমি একাই যথেষ্ট, কিন্তু ওদের এনেছি আমার ক্ষমতা দেখানোর জন্য। (নাহিদ)





• হিহিহিহিহি.....আমি এত টাই দুর্বল না যে তর মতো ছেলে আমাকে মেরে দিবো,, আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা কর আমার ক্ষমতা দেখিয়ে দিবো৷ (রকি)





• তর ক্ষমতা,, হাহাহাহা,, এই ক্যাম্পাসে শুধু আমার রাজ্যত্ব চলে তর কোনো ক্ষমতা আজ কাজে লাগবে না। কথাটা বলে নাহিদ আবারো রকির ডান পায়ে বারি মারে। রকি কিছু বলে না, এই ব্যাথা যেন ওর কাছে কোনো কিছু না। নাহিদের কাছে রকির এই নিরব ভঙ্গি ভালো লাগতেছে না তাই সে উচ্চ সরে বলতে থাকে -- এই কুত্তার বাচ্চা তুই চিৎকার করছিস না কেনো, কি দিয়ে তৈরী তর শরীর, এত জোরে জোরে বারি মেরেছি তর কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। (নাহিদ)





রকি কিছু বলে না মুচকি হাসে। নাহিদ আবারো রকির শার্টের কলার ধরে উঠিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই ক্যাম্পাসের গেট দিয়ে তিন টা ব্ল্যাক কালারের গাড়ি আর পিছনে চারটা বাইক নিয়ে কিছু ছেলে প্রবেশ করে। প্রথম গাড়ি থেকে একটা ছেলে নামে পড়নে তার জিন্স জ্যাকেট, মাথায় কালো একটা রুমাল বাঁধা, মুখে জলন্ত সিগারেট। পিছনের গাড়ি গুলো থেকে এরকম অনেক ছেলে নেমে রকিদের কাছে আসতে থাকে। এতক্ষণে ভার্সিটি তে অনেক স্টুডেন্ট জমে গেছে। ছেলেগুলো কে দেখে নাহিদ বোকার মতো চেয়ে আছে আর রকি জোরে জোরে হাসতে থাকে। প্রথম গাড়ি থেকে নামা আরাফাত নামের ছেলেটা এসে পকেট থেকে একটা সিগারেটের পেকেট বের করে তার থেকে একটা সিগারেট রকির ঠোঁটে দেয়, লাইটার দিয়ে সিগারেটে আগুন লাগায়, রকি সিগারেট টা টানতে থাকে, আম গাছের নিচের পাকা মিনারের উপর আরাম করে বসে। সবাই অবাক হয়ে চেয়ে আছে, সবচেয়ে অবাক হচ্ছে আবির কারণ রকির এমন এটিটিউড দেখে। আশেপাশে থাকা কম বেশি সকল স্টুডেন্ট শক খায় রকির এমন এটিটিউড দেখে। রকি তার ডান হাত টা আরাফাতের সামনে ধরে, আরাফাত পিছন থেকে একটা পয়েন্ট 38 এর পিস্তল বের করে রকির হাতে দেয় আর  সিগারেট টানতে টানতে নাহিদ কে উদ্দেশ্য করে বলে --





• কিরে নাহিদ অবাক হয়েছিস মনে হয়। হঠাৎ করে আমার এমন এটিটিউড দেখে, আসলে আমি চাই নি আজই এই শহরে আমার আসল পরিচয় প্রকাশ পাক কিন্তু ভাগ্য বলে যে কিছু একটা আছে, সে সব কিছু আজই শেষ করে দিতে চায়। তুই তর বাবার ক্ষমতা দেখিয়ে মানুষ কে ভয় দেখাস কিন্তু আমি আমার ক্ষমতা নিজে তৈরী করে দেখাই তাও আবার মানুষের ভালোর জন্য। খারাপ ধনী  আর অহংকার দুটাকে আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি। আমি নিজে খারাপ কিন্তু যে খারাপ কাজ করে তাকে আমার পছন্দ না। আমি কে তুই হয়তো চিনিস না,, M.K নাম শুনেছিস কখনো আমি সেই মাফিয়া কিং গড ফাদার ইন বাংলাদেশ। (রকি)





 রকির কথা শুনে নাহিদ ভয় পেয়ে যায় আর যেয়ে........ 







@@@ চলবে @@@





[ ব্লগে পোস্ট করলে মনে হয় অনেকে পড়ে না। আমি চেষ্টা করবো ফেসবুকেই পোস্ট করার। ] ধন্যবাদ 




wait for the next part. 


Friday, July 16, 2021

টোকাই যখন মাফিয়া কিং-- পর্ব:--৩--RAJA Bhuiyan(মি.440)

মাফিয়া সিরিজ 



#টোকাই যখন মাফিয়া কিং 

#RAJA Bhuiyan.(মি.440)

# পর্ব:- ৩


...........




• আচ্ছা রকি তুমি তো নতুন তাহলে তোমাকে সহজ একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি-- অনেকেই বলে ধনীরা নাকি গরীবের হক মেরে খায় এই সম্পর্কে তুমার কি মতামত তুমি নিজ থেকে ব্যাখা করো। (স্যার)





 “ রকি স্যারের প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসে করণ প্রশ্নের উত্তর টা তার জানা আছে তাই সে বলতে থাকে-- স্যার সব ধনী লোক যে গরীবের কাছ থেকে তার হক মেরে খায় এটা আমি বলবো না,,কারণ মানুষের মধ্যে ভালো খারাপ আছেই। হয়তো কিছু লোক মনে করে গরীবের হক মেরে নিজে আরো ধনী হয়ে যাবে আবার কিছু লোক নিজের সম্পদ কমানোর জন্য গরীব দুঃখীদের দান করে দেয়। এই শহরে এমন অনেক প্রভাবশালী লোক আছে যারা গরীবের হক মেরে খায় কিন্তু দেখ গেছে কিছুদিন পর ই সে কোনো কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। আমি জানি না কেনো ধনীরা গরীবদের সাথে এমন করে, তবে আমার জীবনের একটা বড় লক্ষ্য এই গরীব দুঃখীদের জন্য কিছু একটা করে যাওয়া। স্যার আমার অবস্থান টা  যতই দূরে বা বড় হক না কেন গরীবের সাথে কেমন যেন একটা আত্নার সম্পর্কে প্রকাশ পায় আমার মাঝে।  আমি এখানে  কারো প্রিয় হওয়ার জন্য মিথ্যে মিথ্যে কথা বা উদ্দেশ্য  করি নি যত টুকু পেরেছি নিজ থেকে উপস্থাপন করেছি,,ধন্যবাদ।( রকি) 




• রকি তুমি ঠিক বলেছো আমাদের সবারই উচিৎ গরীবদের জন্য নিজের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।(স্যার)





রকি অনুমতি নিয়ে নিজের সিটে বসে ক্লাস সম্পূর্ণ করে। ক্লাস শেষ করে বাইরে বেড়িয়ে যায় আবির আর রকি। আজ প্রচন্ড গরম পড়েছে  গ্রীষ্মের দুপুর সূর্য মাথার উপর সোজা কিরণ দিচ্ছে। রকি আর আবির আম গাছটার নিচে যেয়ে বসে আছে কারো মুখে কোনো কথা নেই পিনপিন নিরবতা বিরাজ করছে দুজনের মধ্যে, নিরবতা ভেঙে প্রথমে রকি বলা শুরু করে.. 




• কিরে আবির চুপ করে আছিস কেনো মন খারাপ নাকি।(রকি)




• না রে বসে বসে তর কথা চিন্তা করছি।(আবির)




• রকি অবাক হয়ে বলে-- আমার কথা আবার কি চিন্তা করছিস।(রকি)




• আবির মুচকি হাসি দিয়ে বলে-- তুই একজন ধনী পরিবারের ছেলে হয়েও গরীবের প্রতি তর কতো ভালো ভালো ধারনা। কিন্তু কিছু ধনী ছেলে মেয়ে আছে যারা গরীবদের যেন সহ্য করতে পারে না,, তুই তাদের তুলনায় কত আলাদা এটা চিন্তা করছিলাম।(আবির)




• আবির শুন --   যখন তর কাছে অনেক অনেক টাকা থাকবে, তখন তুই ভুলে যাবি যে তুই কে । আর যখন তর কাছে টাকা থাকবে না, তখন সমস্ত পৃথিবী ভুলে যাবে তুই কে।(রকি)





• রকি তুই কি জানিস তুই খুবই রহস্যময় কথা বলিস।(আবির)




• রকি মুচকি হাসে,, জানি আমি রহস্যময় কথা বলি কিন্তু তা বের করার জন্য রহস্যময় লোকের প্রয়োজন। (রকি)




• রকি সকালের সংবাদ দেখেছিস,, কাল রাতে কে বা কারা যেন আহাদ চৌধুরী কে মেরে পালিয়ে গেছে।(আবির)




• আহাদ চৌধুরী সেটা আবার কে, আমি তো চিনি না। তবে সকালে ভার্সিটিতে আসার সময় অনেকের মুখে বলতে শুনেছি আহাদ চৌধুরী নামে কাউকে সন্ত্রাসীরা মেরে পালিয়ে গেছে।(রকি)




• তুই ঢাকায় থাকিস আর আহাদ চৌধুরী কে চিনিস না। আহাদ চৌধুরী হচ্ছে ঢাকার টপ বিজনেসম্যান কিন্তু লোকটা বেশি ভালো ছিলো না।(আবির)




• কেনো ওনি আবার কি করেছে। (রকি)





• কিছু দিন আগে ওনার একটা বিল্ডিং ভেঙে পঞ্চাশ জনের মতো লোক মারা গেছে সবাই আমাদের বসতিতেই থাকতো,, মৃত শ্রমিকের পরিবার কে ক্ষতিপূরন হিসেবে দশ হাজার টাকা করে দিয়েছে। ওনার কাছে একজন গরীব শ্রমিকের জীবনের মূল্য মাএ দশ হাজার টাকা। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে আহাদ চৌধুরীর মৃত্যু হওয়াতে অনেকেই খুশি।(আবির)




• আমার কি মনে হয় আবির আহাদের খুন টা হয়েছে তার এই অপকর্মের জন্য। লোকটা কে দেখতেই কেমন জানি খারাপ খারাপ মনে হয়। (রকি)




• ঠিক বলিছিস তুই। রকি দেখ সামনে তাকিয়ে নাহিদ ভাই আমাদের হাতের ইশারায় ডাকছে,,চল আমরা এখান থেকে চলে যাই নয়তো ওনি কোনো না কোনো ঝামেলা করবে আমাদের সাথে।(আবির)




• সিনিয়র বড় ভাই ডাকছে এখনতো যেতেই হবে, যতই ঝামেলা করুক চল আমার সাথে।(রকি)




• কিরে আবির কতক্ষণ দরে তদের  ডাকতেছি আসতে এত দেরি হলো কেনো। (নাহিদ)




• আবির মাথাটা নিচু করে জবাব দেয় -- ভাই হাতে ইশারায় ডাকছিলেন তো তাই বুঝতে পারছিলাম না কাকে ডাকছিলেন,,দুঃখীত ভাই। (আবির)




• হু বুঝতে পারছি, তা এই নতুন ছেলেটা কে ভার্সিটিতে নতুন এসেছে মনে হচ্ছে। (নাহিদ)




• জ্বি ভাই নতুন ভর্তি হয়েছে আমাদের সাথেই। (আবির)




• এই তর নাম কি, রকিকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। (নাহিদ)




• ভাই ওর নাম রকি। (আবির)



• আমি তকে জিজ্ঞেস করছ। (নাহিদ)



• আবির মাথাটা নিচু করে বলে-- জ্বি না ভাই। (আবির)




• এই রকি তুই কি আমাকে চিনিস আমি কে। (নাহিদ)




• না ভাইয়া আমি আপনাকে চিনি না আর আমি তো কালকে মাএ ভর্তি হয়েছি কারো সাথে তেমন পরিচয় হয় নি,, তা এবার আপনার পরিচয় টা দিয়ে দেন। (রকি)




• আমি নিজের পরিচয় নিজে দিতে পছন্দ করি না। কিছু দিন ভার্সিটিতে ঘুরাঘুরি কর এমনিতেই আমার পরিচয় পেয়ে যাবি। (নাহিদ)




• ভাইয়া যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কিছুর জন্য ডেকে থাকেন তাহলে বলেন, নয়তো আমারা চলে যাই । ( রকি )




• রকির কথা শুনে নাহিদ পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালায় আর মুখের বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো রকির মুখের উপর ছেড়ে দিয়ে বলতে থাকে-- বড় ভাই যখন ডাক দিয়েছি তাহলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ কথাই হতে পারে। তকে আমি কাল থেকে দেখছি তুই ভার্সিটিতে এসে অনেক ভাব নিয়ে ঘুরাঘুরি করছিস, কালই বলতাম কিন্তু প্রথম দিন তাই কিছু বলি নি, আজ আবারও তুই একই ভুল করলি, কেনো ভার্সিটিতে এত ভাব দরে আসতে হবে কেনো। কাল থেকে যেন আমি এমন আর না দেখি আজ সাবধান করে দিলাম মনে থাকে যেন কথাটা, তরা এখন যেতে পারিস।  (নাহিদ)




• রকি বুকের উপর ঝুলিয়ে রাখা চশমা টা ফু দিয়ে চোখে লাগিয়ে ভাব নিয়ে বলতে থাকে-- ক্যাম্পাসটা কারো বাবার না,, যার যেমন ইচ্ছে সে সেই ভাবে চলবে আর আমি কাল থেকে আরো বেশি করে ভাব নিয়ে ভার্সিটিতে আসবো দেখি আপনি আমার কি করতে পারেন। কথাটা বলেই আবিরে হাতটা ধরে টানতে টানতে চলে আসে সেখান থেকে । ( রকি ) 





• দেখছিস নাহিদ ছেলেটা কেমন খারাপ তর সাথে কেমন ব্যবহার করে গেলো এটা কিন্তু মানা যায় না,, কিছু একটা ব্যবস্তা করতে হবে। (সিয়াম)




• আমি দেখছি ব্যাপার টা তদের চিন্তা করতে হবে না,, ওর সব ভাব নেওয়া আমি বের করবো। ( নাহিদ) 




আবির আর রকি এসে আবার আম গাছের নিচে বসে পরে, আবিরের চোখে ভয় বিরাজ করছে, কারণ নাহিদের সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তার ফল ভালো হয় না৷  এখন যদি রকির এমন কিছু করে   এটা ভেবেই আবিরের বুক কেঁপে উঠছে,, 





• রকি তুই নাহিদের সাথে এমন না করলেও পারতি,, এর পরিমান কিন্তু ভয়ংকর হতে পারে মনে রাখিস আমার কথাটা । ( আবির) 





• রকি মুচকি হেসে বলে -- আবির তকে আগেই বলেছি নাহিদ আমার কাছে কোনো ব্যাপার না, হাতের ময়লা। আর তুই এটা বল যে সামনে দিয়ে আসছে মেয়েটা কে। (রকি)




• আবির সামনের দিকে চেয়ে দেখে নীল রঙের জামা পড়ে একটা মেয়ে এদিকেই আসছে,, কিন্তু আবির মেয়েটাকে চিনতে পারছে না, আজই ভার্সিটিতে প্রথম দেখছে। তাই রকিকে বলে-- রকি মেয়েটা মনে হয় ক্যাম্পাসে নতুন, আগে তো কখনো দেখি নি। (আবির)





• মেয়েটার চেহারায় একটা মায়া কাজ করে, কেমন যেন ইনোসেন্ট ইনোসেন্ট ভাব রয়েছে তার মধ্যে। ( রকি) 





• কি ব্যাপার রকি, মেয়েটা কে দেখে প্রেমে পড়ে গেলি নাকি। (আবির)





• আরে দূর আমি কি বলছি মেয়েটাকে ভালোবাসি, প্রথম দেখাতে কি ভালোবাসা হয়ে যায়। তবে মেয়েটা দেখতে খারাপ না, আমার পছন্দ হয়েছে এর সম্পর্কে আমার জানতেই হবে। (রকি)





• আরে সমস্যা নেই একই ভার্সিটিতে যখন পড়ে, মেয়েটার সম্পর্কে সব জানা যাবে। (আবির)




• আবির আর ক্লাস করবো না চল কোথাও থেকে ঘুরে আসি। (রকি)




• আরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এখন ঘুরতে যাওয়া যাবে না। (আবির)




• আবির চল আমার সাথে ক্যাম্পাসে আর ভালো লাগছে না। বলে রকি তার বাইক টা নিয়ে আবিরের সামনে দাঁড়িয়ে বলে-- উঠ কাছেই একটা জায়গায় যাবো। (রকি)




• রকি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে না। (আবির)



• আবির উঠ বলতেছি আমার কিন্তু রাগ হচ্ছে। ( রকি)




 রকির জোড়াজুড়ি তে আবির বাইকের পিছনে উঠে বসে। রকি বাইক টা চালিয়ে শহর থেকে একটু দূরে একটা লেকের পাড়ে দাঁড় করায়। বাইক থেকে নেমে আবির অবাক হয়ে যায় এমন একটা মনোরম পরিবেশ দেখে। সামনে একটা বড় ঝিল, আশেপাশে গাছপালা, হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে চারিপাশে, এখানে এসে মন টা ভালো হয়ে গেছে তাই রকি কে উদ্দেশ্য করে বলে -- 





• রকি জায়গা টা খুবই সুন্দর,, কিন্তু  তুই এমন জায়গার খুজ পেলি কিভাবে, আগেও আসছিস মনে হয়। ( আবির)




• রকি মুচকি হেসে জবাব দেয় -- আরে নাহ আমি আগে কখনো এখানে  আসি নি,,এই জায়গার নাম অনেক শুনেছি তাই আসলাম তকে নিয়ে। (রকি)





 আবির আর রকি কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে চলে আসে। আবির কে নামিয়ে দিয়ে চলে আসবে তখনই রকির মোবাইলে একটা কল আসে রকি বাইক টা থামিয়ে পিছনের পকেট থেকে মোবাইল টা বের করে হাতে নিয়ে দেখে স্কিনের উপর সোহেল নাম টা ভেসে উঠছে, রকি ফোনটা রিসিভ করে বলতে থাকে.... 





• সোহেল ঐদিকের কি অবস্থা। (রকি)




• বস শালাকে ধরে এনেছি, এখন কি করবো। (সোহেল)




• আমার আস্তানায় নিয়ে বেধে রাখ আমি আমার সময় চলে আসবো। (রকি)




 আজকে ঢাকার সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক নেতা ‘ আরিয়ান আহাম্মেদ কে ধরে আনার জন্য রকি কিছু ছেলে পাঠিয়েছে। আরিয়ান আহাম্মেদ কে ধরে আনার পর সোহেল নামের একটা ছেলে রকি কে ফোন দিয়ে জানায়। রকি মুচকি হেসে বাইক টা স্টার্ট  দেয়।





“ সময় রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট রকি BMW টা নিয়ে, তার পুরোনো আস্তানার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,, বাইরে হালকা বৃষ্টি পড়ছে,, একজন ছেলে হাতে একটা ছাতা নিয়ে রকির গাড়ির গেট খুলে দিলো, রকি প্রথমে তার পা জোরা বের করে পরে মাথাটা বের করে। পড়নে তার কালো ড্রেস, কালো হাত মোজা উপরের অংশ কাটা,,লম্বা হুড ওয়ালা টুপি, কাটা মাক্স দিয়ে মুখটা ডাকা,, হাতের থাকা অর্ধেক জ্বলন্ত সিগারেট টা কয়েক বার জোরে টান দিয়ে বৃষ্টিতে ভেজা রাস্তায় ফেলে রুমের দিকে যেতে থাকে। ছেলেটা ছাতা টা বন্ধ করে রুমের সাটার টা খুলে,, রকি ভিতরে প্রবেশ করে, চল্লিশ ওয়াটের একটা বাল্বে ছোট আটকা রুম টা হলদে আলোয় আলোকিত হয়ে গেছে,, সামনে চেয়ারের সাথে বাঁধা আরিয়ান আহাম্মেদ, তার চোখে মুখের অবস্থা বেশি ভালো না, চোল গুলো কপালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, ডান গালে  মনে হয় কেউ জোরে চড় দিয়েছে যার কারণে ঠোঁটের কোণায় রক্ত জমাট বেঁধে কালো হয়ে গেছে। আরিয়ান কে শক্তিশালী ড্রাক্স পুশ করার জন্য, তার এখনো জ্ঞান ফিরে নি তাই রকি হাতের ইশারায় পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা আরিফ নামের ছেলেটাকে  আরিয়ানের মুখে পানি মারার জন্য ইশারা দেয়। আরিফ আরিয়ানের মুখের উপর পানি দেয়,, যার ফলে সে কিছুক্ষণ পর চোখ মেলে তাকায় আর নিজেকে চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় আবিষ্কার করে। আরিয়ান এটা দেখে উত্তেজিত কন্ঠে বলে-- 




• ভাই কে আপনারা আর আমাকে এখানে ধরে এনে বেঁধে রাখার মানে কি?? আমার সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে আপনাদের, দেখেন ভালোই ভালোই বলছি আমাকে ছেড়ে দেন, নয়তো আপনাদের সবগুলোর এমন অবস্থা হবে যা ভাবতেও পারবেন না। (আরিয়ান)





• রকি মুচকি হেসে বলতে থাকে -- আমি কে সেটা তর জানা লাগবে না। তুই কে সেটা সবাই ভালো করে জানে কিন্তু কি বলতো আমার জগৎে সবাই আমাকে ভয় পায় আর আমার কথা শোনে এবং মানে। তর ক্ষমতা সম্পর্কে  সবার ধারনা আছে কিন্তু এখানে তর কোনো ক্ষমতাই কাজে লাগবে না, এটা আমার আস্তানা, এখানে আর কথা শোনবে সবাই তকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। (রকি)




• আমাকে এখানে ধরে আনার কারণ কি, আমার ভুল বা দোষ কি?? (আরিয়ান)




• এত অস্থির হচ্ছিস কেনো, আমি বলবো তুই শোনবি তর কি দোষ বা ভুল। তুই তো ঢাকার টপ ধনীর মধ্যে একজন আবার রাজনীতিও করিস। কিন্তু এত টাকার পাহাড় বানালি কিভাবে। (রকি)




• আমার একটা ছোট বিজনেস আছে সেটা থেকেই আর পার্টি থেকে পাটনারশিপ পাই এগুলো দিয়েই তৈরি করেছি। (আরিয়ান)




• রকি জোরে হাসতে হাসতে বলে -- তুই যে মিথ্যা কথা বলছিস সেটা তর চেহারার হাব ভাব দেখেই বুঝা যাচ্ছে। (রকি)




• আমি সত্যি বলছি বিশ্বাস করুন আমাকে,, এগুলো ছাড়া আর কোনো ইনকাম করার সোর্স নেই আমার। (আরিয়ান)




• কথাটা শুনে রকি রেগে যায়, পাশে থাকা শক্ত স্টীক টা দিয়ে আরিয়ানের বাম হাঁটু তে জোরে একটা বারি মেরে বলে-- আমি তর সম্পর্কে সব কিছু জানি তাই তর সব অপকর্মের কথা তুই নিজের মুখে শিকার করবি এই জন্য তকে প্রশ্ন টা করেছি। আমি মিথ্যা বাদি কে একদম পছন্দ করি না আর যারা বেশি কথা বলে তাদেরকেও পছন্দ করি না। তুই ঢাকার নামকরা একজন রাজনৈতিক নেতা, তুই মানুষের সেবা করবি কোনটা করলে তাদের জন্য ভালো হবে সেটা করবি কিন্তু তুই কি করিস,, স্মাগলিং করিস, গরীবের হক মেরে খাস,,মনে আছে ধানমন্ডি তে একটা ছোটো খাটো বসতি ছিলো গরীব দুঃখীদের বাসস্থান ছিলো কিন্তু তুই কি করলি সরকারি একটা বড় প্রজেক্টের জন্য সব গরীব দুঃখীদের সেখান থেকে বের করে দিলি। এই কাজ টা করার পর থেকেই আমার চোখে পরে গিয়েছিলি তকে ছোট একটা চান্স দিয়েছিলাম কিন্তু তুই দ্বিতীয় বার একই ভুল করলি। এখন বল এগুলোর জন্য তকে কি শাস্তি দেওয়া যায়। (রকি)





• ভাই আমাকে ছেড়ে দেন আমার দ্বারা এমন ভুল দ্বিতীয় বার আর হবে না। (আরিয়ান)




• কথাটা শুনে রকি উচ্চ সরে হাসতে হাসতে বলে.......... 





@@@ চলবে @@@





[ আপনারা যদি সাপোর্ট না করেন তাহলে কিভাবে আমি গল্প লিখবো। যদি ভালো মন্তব্য করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ পরের পাঠ তাড়াতাড়ি দিবো।] ধন্যবাদ 





wait for the next part. 

টোকাই যখন মাফিয়া কিং--পর্ব:- ২---RAJA Bhuiya. (মি.440)

 মাফিয়া সিরিজ 



# টোকাই যখন মাফিয়া কিং

# RAJA Bhuiyan.(মি.440)


#পর্ব: >> ২ <<


.............


সাদ্দামের কথাটা শুনে রকি শব্দ করে হেসে বলে-- সাদ্দাম ভাই সবাই জানে  গুরুত্বপূর্ণ কথার সময় আমার হাসি আসে, কি জন্য হাসি পায় জানি না আমি, তবে আমার মাইন্ড খেলার জন্য হাসাটা খুবই প্রয়োজন। আমি জানতাম আজ হঠাৎ কেনো আমাকে ডেকেছেন তাই হেসেছি তবে পরের বার এমপি নির্বাচন করতে হলে ত রফিক চৌধুরীকে সরিয়ে দিতে হবে। (রকি)


• সাদ্দামও পকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে টানতে থাকে আর রকি কে বলে--আমি জানি তুমি চাইলে কোনো কিছু ব্যাপার না তবে রফিক চৌধুরী কে সরানো টা এতটা সহজ হবে আমার মনে হয় না।(সাদ্দাম)


• রকির কানে কথাটা বার বার বাজতে থাকে তাই সে রেগে পাশে থাকা কাচের ফুলদানি টা ভেঙে ফেলে জোরে চিৎকার দিয়ে বলে-- এই রকির কাছে কোনো কিছু অসম্ভব নেই। আমি পারি সব পারি আমি রফিক চৌধুরী কেন আরো উপরের কাউকে মারতে আমার সময় লাগবে না একটা ফোনই যথেষ্ট। আপনি পরের বার এই সিটির এমপি হবেন।(রকি)


• সাদ্দাম মুচকি হাসে সে জানে রকি পারে না এমন কোনো কাজ নেই। রকি একবার যেই কাজে হাত দেয় ঐই টা ছিনিয়ে নেওয়ার বুক আছে তার। ‘ রকি তুমার কি অতীতের কথা মনে পরে '(সাদ্দাম)


• রকি চোখ জোরা বন্ধ করে অতীতের কিছু ঘটনা তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। রকি চায় না অন্ধকার অতীত কে সামনে এনে সদ্য ভবিষ্যৎ কে নষ্ট করা তাই সে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর সাদ্দাম কে উদ্দেশ্য করে বলে--এই শহরে আমার পরিচয় আমি  আর আপনি ছাড়া কেউ জানে না। আমি চাই না কেউ আমার সম্পর্কে কিছু জানুক তাহলে কিন্তু, পরেরটা আর না ই বল্লাম। আসি আমি রাতে একটা মিশনে যেতে হবে। (রকি)


• শহরে নতুন এসেই ঝামেলা টা না করলেই পারতে,,তা আজ রাতে আর শেষ দিন।(সাদ্দাম)


• হয়তো কোনো এক পাপিষ্ঠের,, গরীবদের কাছ থেকে টাকা লুটে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াচ্ছে। কথাটা বলে রকি মেইন দরজা টা খুলে বাইরে বেরিয়ে যায়। সাদ্দাম চাইলেও রকি কে আটকাতে পারবে না তাই বৃথা চেষ্টা করে লাভ নেই।


..


 ঢাকার একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আহাদ চৌধুরী, আজ মিরপুরের অফিসে বড় একটা মিটিং ছিল যার জন্য আসতে একটু রাত হয়ে গেছে। গুলসানের নির্জন এলাকা দিতে গাড়িটা চালাচ্ছে আহাদ চৌধুরীর ড্রাইভার শামীম, আহাদ চৌধুরী ভিতরে বসে বসে মোবাইল চালাচ্ছে। চারিদিকে অন্ধকার দূরে দূরে দেখা যাচ্ছে ল্যাম্পোস্টের আলো হঠাৎ ই শামীম দেখতে পায় রাস্তার মাঝে বাইকের উপর আরাম করে বসে আছে কোনো আগন্তুক  মুখে তার জ্বলত্ব সিগারেট। শমীম দূর থেকে গাড়ির হর্ণ বাজায় কিন্তু আগন্তুক টা বাইকের উপর স্থির হয়ে বসে আছে। শামীম রেগে গাড়িটা থামায়।


• আহাদ গম্ভীর গলায় বলে-- শামীম তাড়াতাড়ি গাড়ী চালাও বাসায় যেতে হবে অনেক রাত হয়েছে৷ তুমি এখন আবার গাড়ী থামালে কেনো।(আহাদ)


• শামীম জবাব দেয়-- স্যার সামনে কে যেন বাইক দাঁড়া করিয়ে বাইকের উপর বসে সিগারেট টানছে। (শামীম)


• গাড়ী থেকে নেমে দেখো, হয়তো মদ পান করে নেশায় ধরেছে তাই পাগলের মতো এখানে বসে আছে।(আহাদ)


• শামীম গাড়ী থেকে নেমে আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে-- এই কে তুই মদ খেয়ে মাঝ রাস্তায় বাইকের উপর বসে মাতলামো করছিস। রাস্তা থেকে বাইক টা  সরা তাড়াতাড়ি, কিন্তু আগন্তুক টা বাইকের উপর স্থির হয়ে বসে বসে সিগারেট টানছে। শামীম রেগে যেয়ে আগন্তুকের কাছে যায়,, আগন্তুকের পরনে কালো মাফিয়া ড্রেস, কাটা মাক্সের জন্য মুখ টা বুঝা যাচ্ছে না। শামীম আগন্তুকের  কলার ধরতে যাবে তখন ই কোথা থেকে যেন একটা স্নাইপারের বুলেট এসে শামীমের হাতে লাগে শামীম জোরে চিৎকার দিয়ে দূরে ছিটকে পরে। 


• আগন্তুক টা এটা দেখে জোরে জোরে হাসতে থাকে। হঠাৎ বাইরে থেকে জোরে চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে আহাদ গাড়ি থেকে নেমে দেখে শামীম নিচে বসে বসে চিৎকার করে কান্না করছে,,সামনে বাইকের উপর আরাম করে বসে সিগারেট টানছে একটা কালো অভয়, আহাদ চিৎকার দিয়ে বলে-- এই কে তুই শামীমের হাতে গুলি করেছিস কেনো। (আহাদ)


• আগন্তুক টা বাইক থেকে নেমে দাঁড়িয়ে বাম হাতে থাকা অর্ধেক  সিগারেট টা নিচে ফেলে পা দিয়ে পিসে দেয়। আগন্তুক টা হাসতে থাকে আর বলতে থাকে-- আমি কে হিহিহিহিহিহি.. আমাকে তুই চিনবি না কিন্তু আমি তকে খুব ভালো করে চিনি। ঢাকার অন্যতম ড্রাক ব্যবসায়ী, গরীবের টাকা লুটে নিজের ব্যাংক ভরতেছিস গুন্ডা দিয়ে চাঁদা তুলিছ আর সবার সামনে ভালো মানুষের মুখোশ পরে আছিস, এগুলো কেউ জানে না। (আগন্তুক)


• আহাদ অবাক হয়ে যায়, এত কিছু করে কিন্তু কেউ জানে না তার এই গোপনে করা ব্যাবসার কথা। তাই আহাদ ভয়ে ভয়ে বলতে থাকে-- কে তুমি আর আমার সম্পর্কে এগুলো কি করে জানো।(আহাদ)


• আগন্তুক মাক্সের ভিতর মুচকি হেসে জবাব দেয়-- আমি তর সম্পর্কে অারো অনেক কিছু জানি তিন টা বউ তর কিন্তু কোনো বউ এ কথা জানে না,,রাতের পর রাত মেয়ের নেশায় ডুবে থাকিস তুই,, আরো শুনবি।(আগন্তুক) 


• এভার আহাদ কান্না করে দেয়-- তুমি এগুলো জানো কিভাবে, প্লিজ ভাই বিষয় টা আমাদের মধ্যে রেখে দেও। তুমি এবাবে শমীম কে গুলি করলে কেনো, কি চাও তুমি বলো আমি দিয়ে দিবো এখনই তবুও আমাকে কিছু করো না প্লিজ। (আহাদ)


• আগন্তুক টা জোরে হাসতে হাসতে বলে-- তুই আমাকে কি দিবি, এখন তো আমি তকে তর জীবন টা ভিক্ষা দিতে পারি। কিন্তু আমি তা করবো না কারণ আমার একটা সমস্যা আছে তুই আমার অপছন্দের কিছু কাজ করেছিস যেটা আমার সহ্য হয় নি তাই তকে আজ একেবারে শান্ত করতে চলে এলাম।(আগন্তুক)


• ভাই বলেন অামি আপনার অপছন্দের কি কাজ করেছি, যার জন্য আমার সাথে এমন করছেন।(আহাদ)


• তুই গরীব দুঃখীদের টাকা মেরে খাস তাদের কাজের সঠিক পারিশ্রমিক দিস না।(আগন্তুক) 


• ভাই এখন থেকে সব সঠিক ভাবে  দিবো, আমাকে ছেড়ে দেন প্লিজ। ভাই আপনাকে কত দিতে হবে বলেন আমি দিয়ে দিবো তবুও আমাকে প্রাণে মারবেন না প্লিজ।  (আহাদ)


• মনে আছে কিছু মাস আগের কথা, তর একটা বিল্ডিং তৈরি করতে যেয়ে ৫০ জন শ্রমিক মারা গেছে, কিন্তু তুই একটা মৃত শ্রমিকের পরিবার কে দশ হাজার টাকা করে দিয়েছিস। সেই গরীব শ্রমিকের জীবনের মূল্য কি দশ হাজার টাকা,, বল আমাকে।(আগন্তুক)


• ভাই গরীবের জীবনের কোনো মূল্য নেই এরা বেঁচে থেকে শুধু দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করছে। আর আমি এখন আপনাকে একটা অফার করছি- গাড়িতে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার একটা ব্রিটকেস আছে আপনি সব গুলো টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেন।(আহাদ)


• কথাটা শুনে আগন্তুক টা পিছন থেকে একটা ধারালো ছুরি বের করে আহাদের দিকে এগিয়ে যায়, আগন্তুকের কান্ডে আহাদ ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায় কিন্তু আগন্তুক টা আহাদের ডান হাত টা ধরে কেটে ফেলে,,হালকা চাঁদের আলো দূর থেকে ল্যাম্পোস্টের আলোয় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে তাজা রক্ত গুলো পিচঢালা  রাস্তায় ঝড়ে পরছে,,কুনই আর কব্জির মাঝ বরাবর থেকে কাটা হয়েছে হাতটা ,কাটা অংশ টুকু রাস্তায় পরে আছে। আহাদ ব্যাথায় জোরে জোরে চিৎকার করে কান্না করছে, আগন্তুক টা জোরে জোরে হাসতে হাসতে বলে-- তর কি মনে হয় আমি মাটি দিয়ে তৈরি না, আমি পাথর দিয়ে তৈরি, হতে পারে মাটির তৈরি কিছু মানুষ আজ কাগজের তৈরি টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি তেমন না। একটা গরীবের জীবনে মূল্য তর কাছে দশ হাজার টাকা কিন্তু তর জীবন টার দাম অনেক বেশি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। গরিব মানুষ পৃথিবীতে থাকা মানে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া,, আরে ওদের মতো গরিব বেঁচে না থাকলে তর মতো ধনীদের নিজের কাজ নিজে করে খেতে হতো। আমি যেই ডিসিশন একবার নিয়ে নেই সেটা ভাঙার ক্ষমতা কারো নেই।(আগন্তুক) 


• আহাদের ভয় আর ব্যাথায় গলা শুকিয়ে গেছে এখন যদি পানি পান করতে পারতো তাহলে একটু শান্তি পেতো। আহাদ এখন নিজের মৃত্যু যেন নিজের সামনে দেখতে পাচ্ছে, সে কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে থাকে-- ভা.ভাই আম..আমাকে আরেকটা সুযোগ দেন আমি আর কখনো এমন করবো না,, আমাকে আমার জীবন টা ভিক্ষা দেন প্লিজ। (আহাদ)


• সুযোগ... হাহাহাহা.. এই রকি কাউকে দ্বিতীয় বার চান্স  দেয় না, তর সময় চলে এসেছে বলেই ধারালো ছুরি টা দিয়ে লম্বা করে বকের পাশে একটা আচর দেয়, আহাদের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে রাস্তায় পড়তে থাকে। আগন্তুক ছুরি টা দিয়ে আবারো আহাদের পেটের মাঝ বরাবর ঢুকিয়ে দেয়, আহাদ নিচে পরে যায় চোখ জোরা খোলা অবস্থায় ই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায়। আগন্তুক টা আহাদের মৃত দেহের পাশে একটা কংকালের ট্যাটু একে বাইক টা নিয়ে গভীর অন্ধকার রজনীতে মিলিয়ে যায়। 


..


“ ব্রেকিং নিউজ কাল রাতে কে বা কারা যেন গুলশানের ১৪নং রোডে  ঢাকার টপ বিজনেসম্যান আহাদ চৌধুরীকে মারাত্মক ভাবে খুন করে পালিয়ে যায়। আহাদ চৌধুরীর লাশের পাশে ওনার গাড়ির ড্রাইভার শামীম কে আহত অবস্থা পাওয়া যায়,, শামীম কে ঘটনাস্থল থেকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়,, শামীমের জ্ঞান ফিরলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আহাদ চৌধুরীর লাশ টা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এখনো কোনো ক্লো পাওয়া যায় নি খুর সম্পর্কে। আজ এই পর্যন্ত ই, এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ”  শহরের সব জায়গায় খবর টা ছড়িয়ে পড়েছে। আবির ভার্সিটিতে আসার সময় একটা দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলো আর টিভিতে সংবাদ টা দেখছিলো, সংবাদ দেখে তার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় আবার আহাদের লাশের পাশে কংকালের ট্যাটু পাশে বড় করে(MK) লেখা তার মানে খুনটা মিস্টার কিং করেছে। ভাবতেই আবিরের ঘাম বেড়িয়ে যাচ্ছে সে এত কিছু না ভেবে ভার্সিটির দিকে রওনা দেয়। 


..


রকি আজও তার R15 টা নিয়ে ভার্সিটিতে প্রবেশ করে। বাইক টা পার্ক করে ক্লাস রুমের দিকে আসবে তখনই কোথা যেন একটা মেয়ে এসে রকিকে জরিয়ে ধরে। রকি অবাক হয়ে যায় হঠাৎ করে অজানা অচেনা একটা মেয়ে এমন কাজ করবে ভাবতেই পারছে না। 


• এই কে আপনি আর আমাকে এভাবে জরিয়ে ধরার মানে কি।(রকি)


• আমি নীলা তুমার সাথেই পরি, কাল তুমাকে দেখে তুমার উপর ক্রাশ খেয়েছি জীবনের প্রথম কোনো ছেলেকে দেখে আমার এত পছন্দ হয়েছে, আমি তোমাকে ভালোবাসি।(নীলা)


• হোয়াট ?? কি বলছেন আপনি আপনার মাথা ঠিক আছে। কালকের দেখায় আজই ভালোবাসে ফেলেছেন আমাকে,, এগুলোকে ভালোবাসা বলা  হয় না আবেগ সব কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে।(রকি)


• রকি সত্যি আমি তোমাকে ভালোবাসে ফেলেছি,, এটা আবেগ না এটা আমার ভিতর থেকে আসা অনুভুতি বিশ্বাস করো আমাকে প্লিজ এক্সেপ্ট করে নেও আমাকে।(নীলা)


• দেখোন নীলা আপনাকে আমি আজ প্রথম দেখেছি আর আজই ভালোবাসি বলে দিবো এটা সম্ভব না। ভালোবাসার প্রধান অস্ত্র হলো মন, দুইটা মন মিল থাকলে ভালোবাসা হয় কিন্তু আমি এখনো আপনার প্রতি কিছু ফিল করতে পারছি না। তাই এটা কে বোকামি ছাড়া আর কিছুই বলবো না আমি।(রকি)


• আচ্ছা সময় নেও কিন্তু বেশি সময় আমি দিতে পারবো না আর আরেকটা কথা তুমি এখন আমার জিনিস কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাবে না,, বুঝতে পারছো আমার কথা।(নীলা)


• রকি বিরক্ত বোধ করছে নীলার সাথে কথা বলতে, মেয়েটা বেশি কথা বলে যা রকির একটুও ভালো লাগে না তাই মাথাটা নাড়িয়ে ক্লাসের দিকে চলে আসে। ক্লাসে এসেই চোখ যায় পিছনের ছিটে আবিরের সাথে কিছু ছেলে মজা করছে আর আবির মাথাটা নিচু করে সব সহ্য করছে। রকির যেন একটা সহ্য হয় না তাই রেগে সেখানে যেয়ে বলতে থাকে- এখানে কি হচ্ছে, সবাই আবিরের সাথে এমন করছো কেনো।(রকি)


• পিছন থেকে রকির গলার আওয়াজ পেয়ে সবাই পিছনে ফিরে তাকায় দেখে রকি রাগি মুডে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেগুলোর মধ্যে থেকে ইয়াছিন নামের ছেলেটা হাসতে হাসতে বলে-- সবাই দেখ আবিরের বড়লোক বন্ধু চলে এসেছে,, সালা যে কি করেছে কে জানে যার জন্য রকির মতো ধনী একটা ছেলে ক্ষেতটার সাথে বন্ধুত্ব করেছে।(ইয়াছিন)


• এই ছেলে মুখ সামলে কথা বলো, আবির প্রথমে এসে আমার সাথে বন্ধুত্ব করে নি বরং আমিই আগে যেয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তুমাদের যা বলার আমাকে বলো আবির কে এগুলো বলছো কেনো।(রকি)


• রকির কথা শুনে সবাই অবাক,, রকি ছেলেটা বলে কি এত ধনী হয়েও গরীব ছেলের সাথে নিজ ইচ্ছায় বন্ধুত্ব করেছে। ছেলেগুলো সেখানে আর দাঁড়ায় না চলে আসে নিজ নিজ সিটে। রকি যেয়ে আবিরের পাশে বসে আবির মাথাটা উচু করে রকিকে বলে-- রকি আমার জন্য তকে অনেক কথা শুনতে হবে, এর চেয়ে ভালো হবে তুই আমার সাথে আর বন্ধুত্ব না রাখ।(আবির)


• আবিরের কথা শুনে রকি মুচকি হেসে বলে-- বন্ধুত্ব যখন করেছি সেটা ধরে রাখার শক্তি আমার আছে। কথায় আছে না যে পিছু লোকে কিছু বলে ঠিক তেমনই অনেকে অনেক কিছু বলবে কিন্তু তকে থামা যাবে না তাহলেই তুই উচ্চ শিখরে পৌছাতে পারবি। আচ্ছা আবির তুই আমাদের ক্লাসের নীলা নামের মেয়েটা কে চিনিস।(রকি)


• হু ভালো করেই চিনি, কেনো তুই হঠাৎ নীলার কথা জিজ্ঞেস করছিস কেনো কিছু হয়েছে।(আবির)


• না তেমন কিছু হয় নি, ক্লাসে আসার আগে আমাকে প্রপোজ করেছে কিন্তু আমি সময় নিয়েছি, বলতে পারিস বিরক্ত লাগে মেয়েটাকে এখন নীলার সম্পর্কে তুই যা জানিস আমাকে বল।(রকি)


• নাহিদের ছোট বোন নীলা খুবই রাগি একটা মেয়ে, আমাকে একদমই সহ্য করতে পারে না। গরীবদের দুচোখে দেখতেই পারে না,, বড়লোকের মেয়ে ভাব একটু বেশি দেখায়, ভালো না মেয়েটা আমার কাছে মনে হয় এবার তুই ভেবে দেখ সম্পর্কে করবি নাকি করবি না।(আবির)


• আমার কাছেও মেয়েটা ভালো মনে হয় নি, আবার সামনে আসলে না করে দিবো আর আমি ভালো মেয়ে না পেলে এইসবে জড়াবো না।(রকি)


• আবির কিছু বলতে যাবে এর আগেই স্যার ক্লাসে প্রবেশ করে। সবাই স্যার কে সম্মান জানায়, ক্লাস করাতে করাতে একসময় স্যার রকি কে প্রশ্ন করে-- এই নতুন ছেলে রকি তুমি দাঁড়াও। (স্যার)


• রকি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর বলে-- জ্বি স্যার 


• স্যার এমন একটা প্রশ্ন করে যা শুনে রকি মুচকি হেসে জবাব দিতে শুরু করে...........


@@@ চলবে @@@


[ গল্প টা কেউ YOUTUBE এ আপলোড দিতে পারবেন না কারণ গল্প টা আমার কাছ থেকে একজন YouTuber নিয়েছে। যদি কেউ অনুমতি ছাড়া আপলোড দেন তাহলে চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ কর হবে  ]ধন্যবাদ 


wait for the next part.

টোকাই যখন মাফিয়া কিং--পর্ব:-১----RAJA Bhuiya. (মি.440)

মাফিয়া সিরিজ 



# টোকাই যখন মাফিয়া কিং 

#RAJA Bhuiyan.(মি.440)


# পর্ব: >> ১ <<

.............


  দামি মডেলের বাইক R15 নিয়ে রকি  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতর প্রবেশ করে,,পড়নে তার সাদা কালারের ট্রি শার্ট, কালো কালারের জিন্স পেন্ট, ডান হাতে ড্রাগনের ট্যাটু করা, চোখে স্টাইলিস চশমা, গলায় মোটা চেইন, ট্রি শার্টের ভিতর দিয়ে সিক্স প্যাক বডি টা ভালোই বুঝা যাচ্ছে। প্রায় অনেক ছেলে মেয়ে চেয়ে আছে রকির দিকে, কিছু ছেলের হিংসা হচ্ছে রকির প্রতি আর কিছু মেয়ের মুখে রাগের আভা ফুটে উঠেছে করণ রকি তাদের বয়ফ্রেন্ডদের থেকে বেশিই সুন্দর। রকি বাইক টা পার্ক করে আশেপাশে তাকায় অনেক মেয়ে তার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। রকি মুচকি হেসে মাথাটা উচু করে ক্লাসের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। 


...


ছেলেটা কে আর ভার্সিটিতে নতুন মনে হচ্ছে এত স্টাইল করে ভার্সিটিতে আসার কি দরকার ওর সম্পর্কে আমার সব ডিটেইলস চাই,, কথাটা বলে থামে নাহিদ। ভার্সিটির সভাপতির ছেলে নাহিদ বড় ছোট সবার জন্য নাহিদ একটা আতংক, বড় ছোট সবাইকে র্যাগ দেয় সে। এত ক্ষন বসে বসে রকির দিকে তাকিয়ে ছিলো সে আর দেখছিলো রকির এটিটিওড, প্রায় সব মেয়েই চেয়ে আছে রকির দিকে যার জন্য নাহিদ রেগে যেয়ে তার বন্ধুদের কথাটা বলে। নাহিদ পকেট থেকে আরেক টা সিগারেট বের করে জ্বালায় আর বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো মুক্ত বাতাসে ছেড়ে দেয়। পিছন থেকে আরাফ নামের একটা ছেলে দৌড়ে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে নাহিদের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে.. 


• নাহিদ নতুন ছেলেটার নাম রকি, ৩য় বর্ষে পড়ে আমাদের থেকে ১ ক্লাস নিচে। (আরাফ)


• আরাফের কথা শুনে নাহিদ সিগারেট টানতে টানতে বলে-- তাহলে তো বেশ ভালো হবে আমার, কারন সে তো আমার জুনিয়র,, হাহাহাহাহা(নাহিদ)


• নাহিদ সামনে চেয়ে দেখ ভাই একটা গরম মাল আসতাসে। ( সিয়াম)


• সিয়ামের কথা শুনে নাহিদ ক্যাম্পাসের গেটের দিকে তাকায় দেখে একটা মেয়ে আসতেছে পরনে তার হলুদ একটা জামা, চোখে স্টুডেন্ট চশমা ব্যাগ টা কাঁধে ঝুলিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছে। নাহিদ সিয়াম কে বলে-- সিয়াম মাল টা কে ডাক দে, নাহিদের অনুমতি পেয়ে সিয়াম মেয়েটা কে ডাক দেয়।


..


মিম মধ্যবিত্ব পরিবারের মেয়ে তার বাবা সরকারি চাকরি করে, ছোট একটা ভাই আছে সে ক্লাস 9 এ পড়ে।মিমের ছোট  থেকেই স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে, তাই কলেজ পাশ করেই, ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ১ম বর্ষে ভর্তি হয়। আজ তার ভার্সিটির প্রথম দিন তাই হলুদ একটা জামা পড়ে ব্যাগ টা কাঁধে ঝুলিয়ে ক্যাম্পাসে ডুকে পরে। ক্যাম্পাসটা খুবই সুন্দর আর বড় তাই সে ঘুরে দেখছিলো তখনই পিছন থেকে কেউ “ এই হলদে পরি ” কথাটা বলে জোরে ডাক দেয়। মিম চমকে উঠে পিছনে ফিরে তাকায় দেখে বাইকের উপর আরাম করে একটা ছেলে বসে বসে সিগারেট টানছে আর  তিনটা ছেলে পাশে দাঁড়িয়ে আছে। মিম বুঝতে পারছে না কাকে ডাকছে হলদে পরি বলে তাই সে আবার ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে ক্যাম্পাসটা। কিন্তু আবার কেউ “ এই চোখে চশমা হলুদ ড্রেস তুমাকেই ডাকছি ” কথাটা বলে ডাক দেয়। মিম আশপাশে তাকিয়ে দেখে ক্যাম্পাসে এমন হলুদ ড্রেস সে ছাড়া আর কেউ পড়ে নি, তাই সে ছেলেগুলো কাছে যেতে থাকে। মিম সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে-- জ্বি ভাইয়া আমাকে এভাবে ডাকার কি কারণ।(মিম)


• মিমের কথা শুনে নাহিদ হালকা করে ছোট একটা হাসি দেয়। সিয়াম মিম কে বলে-- মামনি কি ভার্সিটিতে নতুন এসেছো।(সিয়াম)


• মিম বুঝতে পারছে তার সাথে এখন কি হবে তাই সে জবাব দেয়-- জ্বি ভাইয়া ১ম বর্ষে ভর্তি হয়েছি।(মিম)


• আরাফ নিজের জায়গা থেকে হালকা সরে এসে মিমের পাশে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে-- তা মামুনি দেখতে তো খুব সুন্দর, রূপে তো আগুন ধরছে তা সেই আগুনে পোড়ার একটু সুযোগ দেও আমাদের। (আরাফ)


• মিম বুঝতে পারছে না কি বলছে এগুলো তাই সে প্রশ্ন করে-- ভাইয়া কি বলছেন বুঝতে পারছি না। (মিম)


• মিমের কথা শুনে নাহিদ বাইক থেকে নেমে সিগারেটের শেষ অংশে জোরে একটা টান দিয়ে মুখের সমস্ত ধোঁয়া গুলো মিমের মুখের উপর ছাড়ে। মিম জোরে জোরে কাশতে থাকে যেন নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। মিমের অবস্থা দেখে সবাই জোরে জোরে হাসতে থাকে, নাহিদ মিমের একেবারে কাছাকাছি চলে আসে, দুজনের নিশ্বাস দুজনের মুখের উপর পড়ছে, মিমের খারাপ লাগছে তবুও নাহিদ কে কিছু বলছে না। নাহিদ ডান হাত দিয়ে মিমের চুলের পিছন চাপ দিয়ে ধরে কানের কাছে মুখটা নিয়ে বলতে থাকে- তকে আমার পছন্দ হয়ে গেছে, তুই শুধু একটা রাত আমার বিছানা টা গরম করে দিবি,,তর এই রূপের আগুনে আমি নিজেকে পুরাতে চাই। (নাহিদ)


• নাহিদের কথাটা শেষ হওয়ার সাথে সাথে মিম সামান্য দূরে যেয়ে নাহিদের বাম গালে কষে একটা চড় মেরে চিৎকার করে বলে-- তুই কি আমাকে সেই সব মেয়েদের মতো পেয়েছিস যারা  দেহ বিক্রি করে খায়,,আমি কি পতিতা, এতই যদি মেয়েদের দেহের লোভ থাকে তাহলে পতিতালয়ে চলে যা। কথাটা বলে মিম থামে না দৌড়ে ক্লাসের দিকে চলে আসে আর নাহিদ সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাম গালে হাত দিয়ে রাগে ফুসতে থাকে। 


“ এই ছেলে তুমি অনেকক্ষন ধরে দেখছি বাইরের দিকে চেয়ে আছো, নতুন এসেছো আর এখনই ক্লাসে মনোযোগ নেই, বাইরে তাকিয়ে কি দেখো ” কথাটা শুনে রকি বাইরে থেকে দৃষ্টি টা সরিয়ে সামনে থাকা স্যারের দিকে তাকায় তিনিই রকি কে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। রকি এতক্ষণ বাইরের নাহিদের কর্ম কান্ড দেখছিলো আর রাগে ফুসছিলো। রকির ক্লাসের জালানা দিয়া ভালো করেই বুঝা যায়, যেখানে নাহিদ রা বসে থাকে। রকি নিজের মাথাটা কে ঠান্ডা করে স্যার কে জবাব দেয়-- স্যার কিছু দেখছিলাম না,, এমনি ভালো লাগতেছিলো না তাই বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।(রকি)


• স্যার চশমা টা ঠিক করে রকিকে বলে-- নতুন জায়গায় প্রথম প্রথম এমন মনে হবে, আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। তা তুমি কোথা থেকে এসেছো। (স্যার)


• রকি উওর দেয় - আমার নিজের কোনো শহর নেই, যেই শহরে পা রাখি ঐটাই আমার শহর হয়ে যায়। রকির এমন উওর শুনে সবাই অবাক বলে কি ছেলেটা নিজের কোনো নির্দিষ্ট শহর নেই। রকি সবার দিকে চেয়ে ছোট করে একটা মুচকি হাসি দেয়। স্যার ক্লাস সম্পূর্ণ করে বাইরে চলে যায়, অনেক স্টুডেন্ট রকির সাথে বন্ধুত্ব করতে আসে কিন্তু রকি ধনী পরিবারের কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে চায় না। রকির দৃষ্টি যায় সবার লাস্ট বেঞ্চে বসে থাকা একটা ছেলের দিকে যার পরণে ময়লা ঢিলেঢালা সাদা কালারের শার্ট, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, চুলগুলো খানিক টা বড় মুখে দাঁড়িতে ভরে গেছে, শরীরের রঙটা হালকা কালো। কিন্তু কেউ ছেলেটার পাশে বসছে না কারণ ক্লাসের সবাই ধনী পরিবারের সন্তান, ভালো ভালো জামাকাপড় পড়া কিন্তু ছেলেটা গরীব শরীরে নেই ভালো জামাকাপড় তাই তার পাশে কেউ বসছে না। রকি নিজের ছিট থেকে উঠে দাঁড়ায় আর ছেলেটির পাশে যেয়ে বসে। রকিকে দেখে ছেলেটা অবাক হয়ে যায় কেননা যেখানে কোনো স্টুডেন্ট তার আশেপাশে বসে না তার সাথে বন্ধুত্ব করে না কিন্তু আজ হঠাৎ করে নতুন একটা ধনী পরিবারের  ছেলে নিজ ইচ্ছায় তার পাশে বসছে এটা যেন তার বিশ্বাস হচ্ছে না। রকি ছেলেটার হালকা উজ্জ্বল মুখ টা দেখে মুচকি হেসে ছেলেটা কে বলে-- নাম কি তুমার?? (রকি)


• ছেলেটা মাথাটা নিচু করে জবাব দেয়-- আবির। 


• আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি,,আমি রকি,, বলেই হাতটা বাড়িয়ে দেয় আবিরের দিকে। আবির অবাক হয়ে যায়, বলে কি ছেলেটা গরীব ছোটলোক একটা  ছেলের সাথে ওর মতো স্মার্ট ছেলে ফ্রেন্ড হওয়ার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে,, বুঝতে পারছে না আবির কি করবে।তবুও ভদ্রতার জন্য আবির কাঁপতে কাঁপতে হাত টা রকির সাথে মিলায়। রকি স্মিথ হাসে,,রকি কখনো ধনীদের পছন্দ করে না, গরীবের প্রতি সে নিজের একটা টান অনুভব করে তাই সে গরীবের উপর অত্যাচার সহ্য করতে পারে না। রকি আবির কে নিয়ে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে আসে ক্যাম্পাসের আম গাছের নিচে বসে পরে,,আবির রকির সাথে কথা বলতে কেমন যেন একটা লজ্জা লজ্জা লাগছে। রকি আবির কে প্রশ্ন করে-- আবির ঐইখানে কতগুলো ছেলে বাইকের উপর বসে থাকে ওরা কারা,জানিস বা চিনিস তুই। (রকি)


• আবিরের খুবই পরিচিত ছেলেগুলো, নাহিদ, সিয়াম,আরাফ, সাকিন যারা ভার্সিটির প্রথম দিন থেকে আবিরকে র্যাগ দেয়। আবির চায় না নাহিদদের কাছে যাতে রকি র্যাগ খায় তাই সে সাবধান করার জন্য বলে দেয়-- বাইকের উপর আরাম করে যে বসে থাকে ওর নাম নাহিদ, এই ভার্সিটির সভাপতির ছেলে খুবই খারাপ, ছোট বড় সবার জন্য একটা আতংক কারন সে প্রতিদিন ই কারো না কারো সাথে র্যাগিং করে। আর পাশে যারা থাকে সবাই তার বন্ধু, বড় লোক ঘরের সন্তান তাই ক্ষমতার জোরে এগুলো করে। তুই নাহিদদের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবি।(আবির)


• রকি হাসতে থাকে আবিরের কথা শুনে আর বলতে থাকে-- আবির তুই হয়তো জানিস না আমি কে আমার ক্ষমতা কতটুকু, তাই ঐই নাহিদ কে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, হতে পারে আমার পরিচয় পেলে আমার সাথে এমন করবে না, আমি দেখি সে আমার সাথে কি কি করতে পারে। (রকি)


• আবির সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রকির দিকে,, সে বুঝতে পারছে না রকির কি এমন ক্ষমতা আছে যার কারণে সে নাহিদ কে ভয় পাচ্ছে না। তাই সে প্রশ্ন করে ফেলে-- রকি তর কি এমন ক্ষমতা যার জন্য তুই নাহিদ কে ভয় পাচ্ছিস না। (আবির)


• রকি কাছে আবিরের করা প্রশ্ন টা ভালো লাগে কিন্তু রকি এখনই তার পরিচয় কাউকে দিতে চায় না। তাই আবির কে বলে- আবির তুই কি MK (মি.KING) কে চিনিস। আবির মাথা নাড়ায় যার মানে সে MK কে চিনে। জানিস ই তো  তার কি ক্ষমতা আছে,, আমার একটা বড় ভাই আছে যে MK সাথে কাজ করে। এখন যদি নাহিদ আমার সাথে খারাপ কিছু করে তাহলে বড় ভাই কে বল্লে সে এসে নাহিদ কে যা করার তাই করবে, তবে আমি দেখতে চাই সে আমার সাথে কিছু করে কি না।(রকি)


• রকির কথা শুনে আবিরের কেমন যেন বুকের ভিতর প্রশান্তির বাতাস বয়ে যায় যেন অনেক দিনের কিছু আশা পূরন হতে যাচ্ছে। ‘আচ্ছা রকি তুই তো কত ধনী পরিবারের সন্তান কিন্তু তুই নিজে স্মার্ট হয়ে কেনো একটা বসতির গরীব ছেলের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করলি,,তুই চাইলেও ত কত ধনী ছেলে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারতি কিন্তু তা করিস নি কেনো।(আবির)


• রকি নিজের চোখ জোরা বন্ধ করে সামনে ভেসে উঠে তার মায়ের রক্তাক্ত দেহ টার কথাটা। সে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে আবির কে জবাব দেয়--জানিস আমিও তর মতো কোনো এক সময় গরীব, বসতিতে থাকতাম কিন্তু সময়ের সাথে সব বদলে আমার জীবন টা উচ্চ শিখরে পৌছে গেছে, আমার মার নিষেধ ধনী পরিবারের সন্তানের সাথে যেন  চলাফেরা না কি আর এমনিতেই আমার এই বিলাশিতার জীবন ভালো লাগে না। তাই মূলত আমি তর সাথে বন্ধুত্ব করেছি, এই আর কি, আর কি না।(রকি)


• রকির এরকম উওরে রকির প্রতি আবিরের শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়। আবির আবারও রকিকে প্রশ্ন করে-- আচ্ছা রকি তখন যে স্যার তকে জিজ্ঞেস করেছিলো তুই কোন শহর থেকে এসেছিস তখন এমন রহস্যময় উওর দিয়েছিস কেনো সেটা বল।(আবির)


• রকি মুচকি হেসে জবাব দেয়--আমি রহস্যময় ছেলে হতে পারি কিন্তু সব জায়গায় রহস্যময় কথা বলি না। আমার ঐই কথার মানে চাইলেই স্যার বের করতে পারবে,,এখন তকে আর বলতে হবে না তুই নিজেই আমার কথার উত্তর পেয়ে যাবি। কথাটা বলে রকি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর আবিরকে বলে -- চল আবির তকে বাসা পর্যন্ত ড্রপ করে দিয়ে আসি।(রকি)


• আবিরও বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর রকিকে বলে--ভাই তুই গরীবের সাথে চলাফেরা করতে পারিস কিন্তু গরীবের বাড়িতে যেতে পারবি না কারণ গরীবদের বাসার অবস্থা অনেক খারপ যা তুই সহ্য করতে পারবি না।(আবির)


• রকি মুচকি হাসে--চোখটা বন্ধ করলে ছোটবেলার কিছু দৃশ্য তার চোখের সামনে ভেসে উঠে। রকি আবিরের পিঠে হালকা বারি দিয়ে, পকেট থেকে বাইকের চাবি টা বের করে হাতে ঝাকাতে ঝাকাতে বাইকের কাছে যায়। রকি বাইকটা জোরে টান দিয়ে আবিরের সামনে এনে থামায়,, হাতের ইশারায় বাইকে উঠতে বলে আবিরকে। আবির কিছু একটা ভেবে বাইকের পিছনে উঠে বসে। ভার্সিটির অনেকের কাছে এটা যেন সহ্য হচ্ছে না,,এত ধনী পরিবারের ছেলে একটা গরীব ক্ষেত ছেলেকে তার বাইকের পিছনে বসিয়েছে। রকি বাইক টা ছোট একটা বসতির সামনে থামায়,, আবির বাইক থেকে নেমে রকি কে বলে-- ভদ্রতার জন্য বলতাম বাসায় আসার জন্য কিন্তু ব্যাচেলার মানুষ একা থাকি আবার বাসার পরিবেশ ভালো না তাই বাসায় আসার জন্য বল্লাম না,, কিছু মনে করিস না।(আবির)


• রকি মুচকি হেসে বলে-- আরে তুই না বল্লেও আমি যেতাম কিন্তু আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে যার জন্য আজ যেতে পারবো না অন্য আরেক দিন অবশ্যই যাবো তুই না করলেও।(রকি)


• আবির ঠোঁটের কোনে হাসির রেখা ফুটিয়ে রকি কে বিদায় জানায়। আর ভাবতে থাকে রকির সম্পর্কে,, হঠাৎ কোথা থেকে যেন আবিরের কাছে উদয় হলো এক অজানা অচেনা আগন্তুক আর এসেই ভাইয়ের মতো বন্ধুর হাত বাড়িয়ে দেয়। 


..


“ রকি আমি পরের বার এমপি নির্বাচন করতে চাই, তুই এটার ব্যবস্থা করে দিবে  ”


 কিছুক্ষন আগেই মেয়র সাদ্দাম খান রকি কে দেখা করার জন্য ডাকে। আবিরকে নামিয়ে দিয়েই রকি সাদ্দামের বাগায় বাড়িতে চলে আসে। দুজন দুজনের সামনাসামনি বসে আছে কারো মুখে কোনো কথা নেই, সাদ্দাম জানে রকি ঠান্ডা মাথার খেলোয়ার, তাই সে নিজ থেকে রকি কে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। রকি কিছু বলে না পকেট থেকে সিগারেটের পেকেট বের করে একটা সিগারেট জ্বালায় আর বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো নাক দিয়ে ছাড়তে থাকে,, সাদ্দাম জানে রকির এই একটা বদ অভ্যাস আছে সেটা হলো সে সিগারেটের ধোঁয়া নাক দিয়ে বেশি ছাড়ে। রকি একটু শব্দ করে হাসে যেই    হাসিতে লেগে আছে রহস্যময় কিছু আভা আর সাদ্দাম কে বলে-- 


@@@ চলবে @@@


[ প্লিজ কেউ গল্প টা YouTube এ আপলোড দিবেন না। একজন YouTuber গল্প টা আমার কাছ থেকে নিয়েছে। যদি কেউ চুরি করে আপলোড করেন তাহলে তার চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে ]


wait for the next part.

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব:-২৫ --RAJA Bhuiya. (মি.440)

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



# খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

# RAJA Bhuiyan.(মি.440)

# পর্বঃ ২৫


............


আনাফ সবার দিকে তাকায় দেখে সবাই তার দিকে আগ্রহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আনাফ মুচকি হেসে পকেট থেকে আরেকটা সিগারেট বের করে টানতে থাকে, সেখানে এক প্রকার নিরবতা বিরাজ করছে, নিরবতা ভেঙে আনাফ সাহেব বলে --  যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম। আমি মাফিয়ার সেই সিংহাসনে বসার জন্য কত কষ্ট করেছি বছরের পর বছর, মাইন্ড গেম খেলেছি কিন্তু হঠাৎ ই দুইটা ছেলে এসে আমার সব প্লেন শেষ করে দিয়েছে। আমার কাজের পরিমাণ অনেক ছিলো কিন্তু সব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আমি হাল ছাড়ি নি শুরু করলাম নতুন মাইন্ড গেম খেলা যেই খেলা শুরুও করবো আমি শেষও করবো আমি। আজ সেই খেলার সমাপ্তি ঘটবে। কি রে রাফি না মানে রাফিন অবাক হয়েছিস আমার কথা আর আগমনে। (আনাফ)


• এই রাফিন কখনো অবাক হয় না কারণ রাফিন সব জায়গায় সঠিক মাইন্ড গেম খেলতে ভালোবাসে। আমি সত্যি জানতাম না যে তর ভালো চেহারার ভিতর লুকিয়ে আছে এমন এক হিংস্র রূপ। কিন্তু আমি এখনো একটা বিষয় বুঝতে পারছি না যে তুই আমাকে কিভাবে চিনতে পেরেছিস। (রাফি)


• হাহাহাহাহা.... তদের সাথে ছোট একটা মাইন্ড গেম খেল্লাম এখানে,, নুসরাত আমার নিজের মেয়ে না সে আমারই কাছের এক বন্ধুর মেয়ে। আমার নিজের ত একটাই ছেলে আর সেটা হলো রিয়াজ,, হাহহাহা,, এখনো শেষ হয় নি আরো একটু টুয়িস্ট বাকি আছে। রিয়াজ কে মাফিয়া টিমে ডুকাই বিশ্বাসের সাথে কিছু দিন ভালো কাজ করায় তরা রিয়াজ কে তদের সাথে নিয়ে নিলি বেছ আমার কাজ শেষ, ভাবলাম তদের মাস্টার মাইন্ডের সাথে আমিও একটু খেলি। ঠিক তেমন ভাবে একটা গেম সাজাই, রিয়াজ খবর দেয় রাফিন আর রাফসান কোনো এক মিশনে ঢাকায়  এসেছে। আমি টার্গেট করি রাফিন কে তাই তো সে দিন সকালে আমার কিছু লোক দিয়ে আমার উপরই হামলা করতে বলি যেটা দেখে রাফিন আমার সাহায্য করতে চলে আসে আর আমি তাকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আমার বাসায় থাকতে দেই। রাফিনের প্রতি টা পদক্ষেপ আমি লক্ষ্য করি তার পিছু নিতে নিতে আজ গেম টা শেষ করতে চলে এলাম। (আনাফ)


• সবাই আনাফের কথা শুনে অবাক হয়ে যায়। ঢাকার একজন টপ বিজনেসম্যানের মাথায় এত কিছু ছিলো কেউ বুঝতে পারছিলো না। রাফি দাঁতে দাঁত চেপে বলে -- রিয়াজ বেইমানি টা না করলেও পারতি,, আমার সাথে মাইন্ড গেম খেলতে ভালোবাসি এর মানে এটা না যে তুই আমাকে তদের মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে ব্যবহার করবি। (রাফি)


• আনাফ পকেট থেকে একটা পিস্তল বের করে, দেখেই বুঝা যাচ্ছে পিস্তল টা আগে থেকেই রিলোড দেওয়া। আনাফ পিস্তল টা রাজের দিকে তাক করে কেউ কিছু বলার আগেই আনাফ পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দেয়, বুলেট টা যেয়ে রাজের পায়ে লাগে, রাজ ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠে, অতিরিক্ত ব্যাথা রাজ নিচে পরে যায়। এটা দেখে আনাফ জোরে জোরে হাসতে থাকে আর সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে -- আমি অনেক মাইন্ড গেম খেলেছি এবার একটু মাস্তানী টাইপের রকস্টার হয়ে গেলাম, এখানে সবাই সবার শত্রু কেউ টাকা আর ক্ষমতার লোভে এসেছে আবার কেউ প্রতিশোধের নেশায় এসেছে৷ সবার উদ্দেশ্যই আলাদা আলাদা, এত দিন মাইন্ড গেমার হয়ে ভালো লাগতেছে না তাই হাত টা কে ফ্রেশ করতে আমার হালকা মাস্তানী খেলা দেখাবে। (আনাফ)


• রাফি চিৎকার দিয়ে গালি দিয়ে বলে-- কুত্তার বাচ্চা তুই এটা কি করলি রাফসান কে গুলি করলি কেনো। তকে আজ আমি নিজ হাতে মারবো কিন্তু এখন না, আমার এখন মাইন্ড গেম খেলার নেশা চেপেছে তদের সবার সাথে মাইন্ড গেম খেলতে চাই আমি। (রাফি)


• হাহাহাহাহা,, মাইন্ড গেম,, এই খেলাটা খেলতে সময় পাবি না, আমি আর অপেক্ষা করতে পারবো না, আমি খেলাটা কে এখানেই শেষ করবো। (আনাফ)


“ আনাফ কথাটা বলে রাফির দিকে পিস্তল টা তাকে করে ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই পাশ থেকে মেহেরাব জোরে জোরে হাত তালি দিতে থাকে। সবার দৃষ্টি এখন মেহেরাবের দিকে, এতক্ষন চুপ করে থাকা ব্যক্তি টা এখন শব্দ করলো,,যেন ঘুমন্ত বাঘ হঠাৎ করে জেগে উঠেছে। মেহেরাব ঠোঁট থেকে সিগারেট টা বাম হাতে নিয়ে একটু সামনের দিকে এগিয়ে যায়। 

মেহেরাব সামনে যেয়ে একটু শব্দ করে বলে -- আনাফ খেলাটা ছিলো আমাদের হঠাৎ করে তর আগমন এটা কিন্তু ঠিক না। আমাদের খেলা আমরা খেলবো তুই চলে যা এটা তর জন্য ভালো হবে। (মেহেরাব)


• হাহাহাহাহা,, শোন মেহেরাব এক সময় তুই আমার বন্ধু ছিলি কিন্তু তর বেইমানীর কারণে তুই আমার শত্রু হয়ে গিয়েছিস। আজকের দিন টা কারো সামনে আসতো না শুধু মাএ তর বেইমানীর জন্য এই অবস্থা। (আনাফ)


• আমি বেইমানি করি নি করেছিস তুই, কিং হওয়ার জন্য তুই আমাকে মারতে চেয়েছিলি, তাই আমিও তর সাথে বেইমানী করতে বাধ্য হয়েছি। (মেহেরাব)


• সত্যি বলতে কি, তকে আরো আগে মেরে ফেলা উচিত ছিলো, তাহলে আজ তর কারণে সময় নষ্ট হতো না। (আনাফ)


• হাহহাহা,, চাইলেও তুই আজ আমাকে মারতে পারবি না।(মেহেরাব)


“ মেহরাবের কথা শুনে আনাফ তার রিলোড দেওয়া পিস্তল টা মেহেরাবের দিকে তাক করে, এটা দেখে কেউ কিছু বলছে না সবাই কেবল বোকার মতো চেয়ে আছে। আনাফ ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই দূর থেকে সাইলেন্সার লাগানো স্নাইপারের বুলেট এসে আনাফের ডান হাতের কব্জি তে লাগে। আনাফের হাত থেকে গান টা পরে যায় মাটিতে, আনাফ বাম হাত দিয়ে ব্যাথা কমানোর বৃথা চেষ্টা করে। মেহেরাব শব্দ করে হাসতে হাসতে নিচে পড়া পিস্তল টা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকে। দূর থেকে কেউ আসছে যার কারণে সামনের আলো গুলো বাধা পাচ্ছে সবার দৃষ্টি সেদিকে,, কালো রকস্টারের ড্রেস মাথায় কালো লম্বা টুপি, মুখে মাফিয়া মাক্স, হাতে কালো কালারের AWM, নিয়ে সবার সামনে দাঁড়ায়। মেহেরাব ছাড়া সবাই আগন্তুক টা কে চিনার চেষ্টা করছে, কিন্তু কেউ আগন্তুক টা কে চিনতে পারছে না। সবার দৃষ্টি যখন আগন্তুকের দিকে তখন মেহেরাব পাশে AK নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বডিগার্ডের বুকে গুলি চালায়। হঠাৎ করে গুলি চালানোর শব্দ সবাই মেহেরাবের দিকে তাকায়... 


মেহেরাব একটু হাসে, একবার আগন্তুক টার দিকে চেয়ে জোরে জোরে বলতে থাকে -- চলে এসেছে আমার খেলোয়ার, নিজ হাতে তৈরী করেছি আমি তাকে। মাস্তানির এই জগতে আমি মাস্টার মাইন্ড খেলতাম আর মাস্তানী করতো সে। এখন খেলাটা শেষ করে আমি আমার অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটাবো। (মেহেরাব)


* সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আগন্তুক টার দিকে বুঝার চেষ্টা করছে কে এই আগন্তুক যাকে মেহেরাব নিজ হাতে তৈরী করেছে। কিন্তু সবার চিন্তা চেতনা বৃথা যায় কেউ চিনতে পারছে না তাকে। সবার এমন অবাক হওয়া চাওয়া দেখে আগন্তুক টা মুচকি হেসে, মাথার লম্বা টুপি টা সরায়, মুখ থেকে মাক্স টা সরায়। 


• আগন্তুক টা কে দেখে রাফি মুখ ফোটে বলে উঠে -- নুসরাত তুমি। (রাফি)


• Yes আই এম নুসরাত,, মাস্তানী শহরের ছোট একটা মাস্তান। ছোট থেকেই মাফিয়াদের স্টাইল আমার কাছে ভালো লাগতো কিন্তু কখনো সামনে থেকে সেই ভয়ংকর মাফিয়া গুলোর মুখ দেখতে পেতাম না। আজ আমার কিছু স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে নিজ হাতে কিছু মাফিয়া শিকার করবো। কথাটা বলেই AWM টা রিয়াজের দিকে তাক করে চোখের পলকের আগে নুসরাতের স্নাইপার থেকে একটা বুলেট যেয়ে রিয়াজের কপাল টা বেদ করে বাইরে চলে যায়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আনাফ যেন বিশ্বাস ই করতে পারছে না, নুসরাত এমন কিছু করবে আনাফ ভয় পেয়ে যায়। নুসরাত স্নাইপার টা রিলোড দিয়ে আনাফের দিকে তাকে করে বলে -- Get ready for death Mr. Anaf. (নুসরাত) 


• আনাফ কথাটা শুনে ভয়ে একটা ঢোক গিলে বলে -- নুসরাত তুই ত আমার একমাত্র মেয়ে তুই আমার সাথে এটা কিভাবে করতে পারিস। হাত থেকে গান টা নামা আমার লেগে যেতে পারে। (আনাফ)


• হাহাহাহাহা,, আমি জানি মি.আনাফ আপনি আমার বাবা না, আমার বাবার নাম শামিম আহম্মেদ যে এক সময় আপনার অতি কাছের বন্ধু ছিলো কিন্তু আপনি আমার বাবার সাথে বেইমানি করে মেরে ফেলেছেন। আমাকে ছোট থেকে নিজের মেয়ে হিসেবে লালিত পালিত করেছেন। আমি আজকের এই দিন টার জন্য অপেক্ষা করছিলাম,, আজ তা এসে গেছে। (নুসরাত)


• নুসরাত মামুনি এগুলো মিথ্যা কথা আমি তোমার আসল বাবা, তুমি আমার নিজের মেয়ে। (আনাফ)


• হাহাহাহাহা,, আনাফ আজ যতই মিথ্যা বলিস না কেনো বাঁচতে পারবি না তুই। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে আছিস তুই এখন সত্যি টা বলে দে। (মেহেরাব)


• কি সত্যি বলবো আমি, এটা যে শামিম কে আমি মারি নি। নুসরাত শুন আমার কথা তর বাবাকে মেরেছে.........  আনাফ আর কোনো কথা বলতে পারে না নুসরাতের হাতে থাকা স্নাইপার থেকে একটা বুলেট বের হয় যেটা গিয়ে আনাফের গলায় লাগে, পরিবেশ টা নিস্তব্ধ হয়ে যায়। আশেপাশে শুনা যাচ্ছে মানুষ গুলোর নিশ্বাস ছাড়ার শব্দ। এবার নুসরাত বলে -- মেহেরাব সাহেব আমার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া শেষ এবার আপনার খেলাটা শেষ করার পালা কাকে শেষ করতে হবে। (নুসরাত) 


• মেহেরাবে হাতে থাকা সিগারেট টা প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে একটা জোরে টান দিয়ে ধোঁয়া গুলো নিরবচ্ছিন্ন মুক্ত  বাতাসে ছেড়ে দেয়। তিনি এবার বেশ গম্ভীর গলায় বলতে থাকে -- গেম খেলা শেষ কিন্তু একসন ত এখন শুরু হবে। নুসরাত  আমার মাইন্ড গেমের সেই মাস্তান। (মেহেরাব)


• রাফি আর দেরি করতে চায় না। পায়ের কাভার পয়েন্ট থেকে ছোট পিস্তল টা বের করে একটা গুলি করে বুলেট টা যেয়ে নুসরাতের বাম হাতে লাগে,, নুসরাতের হাত থেকে AWM টা নিচে পরে যায়। রাফি হাসতে হাসতে বলে --  তদের খেলা খেলতে খেলতে আমার সময় নষ্ট করে ফেলেছিস আমি আর বেশি টাইম নষ্ট করতে চাই না, এখানে যত সময় নষ্ট হবে মৃত্যু তত তার কাছে হানিয়ে আসবে। মাস্তানীর জগৎ টা শুধু রক্তের খেলা এখানে সবাই রক্তের নেশায় মেতে উঠে। যার পিস্তল থেকে যত তাড়াতাড়ি সঠিক নিশানায় বুলেট বের হবে সেই বেচে যায়। যারা পিছন থেকে মেরে দেয় তারা লুজার না তারাই আসল মাস্তান। (রাফি)


• সবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সালমান একটার পর একটা সিগারেট টেনে যাচ্ছে এভার সে একটু সামনে যেয়ে বলতে থাকে -- তদের এই বিরক্তিকর  কাহিনী আমার কাছে ভালো লাগতেছে না। আমি মাফিয়া কিং হতে চাই, এখন তদের কাউকে বাঁচত দিবো না। সালমান কথাটা বলে কোমরের পিছন থেকে একটা পিস্তল বের করে, চোখের পলকের আগে দুইটা গুলি করে, প্রথম বুলেট টা যেয়ে নুসরাতের কপালে লাগে গরম বুলেটে নুসরাতের নরম চামড়া বেদ করে মাথার পিছন দিয়ে বেড়িয়ে যায়। দ্বিতীয় বুলেট টা যেয়ে সোজা মেহেরাবের ডান পায়ে লাগে। মেহেরাব ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে নিচে পরে যায়। সবাই অবাক সালমানের এমন কান্ডে। সালমান নিচে পরে থাকা সিগারেটের পেকেট আর লাইটার টা হাতে নিয়ে তার থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালায়। মনের সুখে বড় করে একটা টান দিয়ে বলে-- আমি জানি মেহেরাব মাফিয়া কিং হওয়ার জন্য আমাকে আর ফরহাদ কে ব্যবহার করছে। মেহেরাব বেইমানি করে আমাদের দুজন কে মেরে দিবে তাই নিজ হাতে গুলি টা করলাম তাকে। (সালমান)


• সালমান তুই এটা কি করলি আমি রাফিন আর রাফসান কে মেরে তকে মাফিয়া কিং বানিয়ে দিতাম তবে কেনো তুই পিছন থেকে আমার সাথে বেইমানি টা করলি। ( মেহেরাব)


 • হাহহাহা,, পিছন থেকে মারাটা আমার স্টাইল তাও আবারো ছোট থেকে। (সালমান)


“ পরিবেশ টা থমকে গেছে সালমানের অবাক করা কান্ডে। রাফি আর রাজ জানে সালমান সবার সাথে বেইমানি করে কিন্তু সবার সামনে এবাবে বেইমানি করবে ভাবাচ্ছে দুজন কে। রাজ এতক্ষণ মাটিতে পরে ব্যাথায় কাতরাচ্ছিল কিন্তু এখন উঠে দু হাঁটু বাজ করে বসে হাতে একটা পিস্তল নাড়াচাড়া করছে। সবার দৃষ্টি টা এখন রাজের দিকে,, এবার রাজ শব্দ করে হেসে বলে... 


• মাফিয়ার শহরে রাফিয়ানের শত্রু থাকবেই, তাই বলে কি শত্রুকে কিছু না বলে ছেড়ে দিবো। আমি শত্রুর সামনে নিজেকে দুর্বল করি, কারণ হলো শক্তিশালী শত্রু কখনো দুর্বল কে মারে না। আমি চান্স দিতে নয় চান্স নিতে ভালোবাসি। আমার মাইন্ড গেম খুবই আলাদা টাইপের, আমি কাউকে কপি করে মাইন্ড গেম খেলি না নিজে নিজের মতো করে গেম সাজাই আর সেটা জিতে বাড়ি ফিরি। (রাজ)


• অনেকক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি - ফরহাদ এবার রেগে কথা বলতে শুরু করে -- সালমান এই সালাকে আগে মারার দরকার,, বেশি কথা বলে ফেলছে কিন্তু। (ফরহাদ)


• ফরহাদের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে রাজ একটা গুলি করে বুলেট টা যেয়ে ফরহাদের বুকের বাম পাশে লাগে। ফরহাদ বুকে হাত দিয়ে মাটিতে পরে যায়,, মুরগীর বাচ্চার মতো করে হাত পা নাড়াচাড়া করতে করতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। এটা দেখে সালমানের হাতে থাকা পিস্তল টা রাজের দিকে তাজ করে  জোরে জোরে বলতে থাকে -- এই কুত্তার বাচ্চা তুই কি করলি এটা ফরহাদ কে মেরে দিলি কেনো,, তকে আমি এখনই শেষ করবো । (সালমান)


“ হিহিহিহিহিহি.... আমার গেম খেলা এখনো শেষ হয় নি,, আরেকটা খেলা দেখবি, দেখ তাহলে রাজ কথাটা বলে শেষ করার সাথে সাথে আশেপাশের সব বডিগার্ড গুলো নিচে পড়তে থাকে। কোথা থেকে যেন সাইলেন্সার লাগানো স্নাইপার চালানো হচ্ছে যার কারণে কারো কপালে কারো বুকে এসে বুলেট গুলো পতিত হচ্ছে। “


• সালমান তুই আমাদের সাথে বেইমানি করেছিস,, সেটার কঠিন শাস্তি তুই এখন পেয়ে যাবি। (রাজ)


“  রাজের কথা শুনে সালমান ভয় পেয়ে যায় আর পিছাতে থাকে। রাফি হাতে গান টা নিয়ে, সালমানের চুল গুলো ধরে সালমানের মুখটা হা করিয়ে পর পর তিন টা গুলি করে। সব গুলো বুলেট সালমানের মুখের ভিতরে খরচ হয়। রাফি উঠে এসে মেহেরাবের সামনে দাঁড়ায়,, আর রাজ কোনো মতে পরে, থাকা চেয়ার টা টান দিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসে একটা সিগারেট জ্বালায়। রাফি মেহেরাবের মাথা বরাবর পিস্তল টা তাক করে পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই দুইটা ব্ল্যাক কালারের বাইক এসে থামে তাদের সামনে। বাইকের হালকা ধাক্কায় রাফির হাত থেকে পিস্তল টা নিচে পরে যায়, রাফি তার ডান হাতে হালকা ব্যাথা পায়। বাইক থেকে আগন্তুক দুইটা নামে পরনে তাদের মাফিয়া রকস্টার কালো ড্রেস। এবার আগন্তুক দুইটা নিজেদের জুকার মাক্স খুলে ফেলে।” 


 রাফি আর রাজ আগন্তুক দুটোর চেহারা দেখে  বলে  -- রিমি,,, জান্নাত। 


রিমি যেয়ে মেহেরাবের সামনে দাঁড়ায়। 


• মেহেরাব নিচে হালকা করে দু হাঁটু বাজ করে বসার চেষ্টা করে। হাহাহাহাহা করে হাসতে হাসতে বলে -- চলে এসেছে আমার মেয়ে এখন তদের সব কটাকে মেরে শেষ করে দিবে। (মেহেরাব)


• মেহেরাবের কথা শুনে রিমি মুচকি হেসে বলে -- আজ আমি তোমাকে বাঁচাতে আসি নি বাবা, আমার মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে এসেছি। (রিমি)


• মেহেরাব অবাক হয়ে বলে-- মানে? (মেহেরাব)


• হিহিহিহিহি... তুমি আমাকে মিথ্যা একটা গল্প শুনিয়েছিলে যে আমার মাকে তুমার বড় ভাই মেরেছে। কিন্তু আমি তুমার গোপন ডাইরিটা পড়ে সব জেনে গিয়েছি,, আজ আমি সেই প্রতিশোধ নিবো। (রিমি)


“ মা এটা মিথ্যা কথ..... মেহেরাব আর কথা বলতে পারে না এর আগেই রিমি পিছন থেকে দুইটা পিস্তল বের করে গুলি করতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত বুলেট শেষ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত গুলি করতে থাকে। মেহেরাব ফ্যালফ্যাল করে আছে আকাশে দিকে। রিমি পিস্তল দুইটা নিচে ফেলে দিয়ে রাজদের কাছে আসে। রিমি যেয়ে রাজের পাশে দাঁড়ায়,, ”


জান্নাত রাফির সামনে এসে হাঁটু বাজ করে রোমান্টিক ভাবে প্রপোজ করার স্টাইলে বসে বলতে থাকে -- জীবনটা অনেক সুন্দর, যদি কারো ভালোবাসায় এ জীবন পূর্ণতা পায়, যদি কেউ তোমার কষ্টটা ভাগ করে নিতে চায়। আর আমি তোমার কষ্ট গুলো নিতে চাই। আমার সকল আনন্দ তোমার মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই। ভালোবেসে সারাজীবন ভালোবাসায় বেঁধে রাখবো,যদি একটি বার সাড়া দাও। বিধাতাও কষ্ট পাবে যদি তুমি আমার না হও। জীবনে মরণে বেঁধে রাখিবো প্রিয়তম জনম জনম ধরে, সখা যদি হাত দুটি বাড়াও। ভালোবাসার সংজ্ঞা আমার জানা নেই। যদি কাউকে দেখার জন্য বারবার মন আনচান করার নাম ভালোবাসা হয়, তবে আমি তোমাকে ভালোবাসি। যদি শয়নে স্বপনে তাঁকে নিয়েই হৃদয় মাঝে ছবি আঁকানোর নাম ভালোবাসা হয় তবে আমি তোমায় ভালোবাসি। যদি অনুমতি দাও, সারাজীবন ভালবাসতে চাই,, ভালোবাসি রাফি অনেক ভালোবাসি তুমাকে।( জান্নাত) 


“ শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি. ' রাফি জান্নাত কে নিচে থেকে উঠে দাঁড় করিয়ে জরিয়ে ধরে। এটা দেখে রাজ ও রিমি মুচকি হেসে দুজন দুজনকে ভালোবাসার আভেসে জরিয়ে ধরে ”


--------------- শুভ সমাপ্তি ---------------


[ গল্প টা অনেক দিন ধরে লিখছি অনেকে পাশে ছিলো যারা সাপোর্ট করেছে তাদের জন্য  অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো। যারা গল্প টা পড়েছেন দয়া করে ভালো করে এক লাইনের একটা মন্তব্য করবেন আজ] ধন্যবাদ 


----------- ❤❤❤❤❤❤-----------

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড-- পর্ব-২৪---RAJA Bhuiya. (মি : 440)

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



#খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

# RAJA Bhuiyan.(মি.440)

# পর্ব:>> ২৪ <<


................


সাদা কালারের গাড়ি থেকে  কালো কোর্ট পড়া একটা আগন্তুক নামে মাথায় বড় লম্বা হুড ওয়ালা  টুপি পড়ানোর যার জন্য মুখটা বোজা যাচ্ছে না মুখে সিগারেট লাগিয়ে রাজদের কাছে আসতে থাকে। একটা ছেলে চেয়ার এনে দিলে আগন্তুক টা পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট টানতে থাকে। এবার আগন্তুক টা তার লম্বা টুপি টা হালকা সরিয়ে রাজের দিকে তাকায়।


• রাজ অবাক হয়ে যায়, মুখ ফুটে বলে ‘ মেহেরাব ’।(রাজ)


• মেহেরাব হাসতে থাকে আর রাজ কে বলতে থাকে--রাজ তকে একদিন চ্যালেন্স করে বলছিলাম , আমার সাথে মাইন্ড গেম খেলতে তুইও রাজি হয়ে গেলি বাছ শুরু করলাম মাস্টার মাইন্ড গেম খেলা। আসলে আমি অনেক টা বোকা, না হলে পাঁচ বছর ধরে যাকে ধরার জন্য এত কিছু করছি সে আমাকে বোকা বানিয়ে আমার সাথে আমার বাসায় থেকেছে অথচ আমি তা বুঝতেও পারি নি। তুই ভালোই খেলছিলি কিন্তু একটা জায়গায় এসে ভুলটা করে ফেলেছিস জানিস কোনটা শুন তাহলে-- সাব্বিরের লাশের পাশে দুইটা মারবেল পাওয়া যায় যেটা আমি আর সাইফুল ছাড়া কেউ জানতো না। আমি জানতাম রাফসান তার মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য দু হাতে দুইটা মারবেল ব্যবহার করতো, তাই আমি শিউর হই যে সাব্বিরের খুন টা রাফসানই করছে। আমি প্রতিদিন ই লক্ষ্য করতাম তর বাম হাতে সবসময় দুইটা মারবেল থাকতো মাঝে মধ্যে তর কেবিনে গেলেও মারবেল তর টেবিলের উপর রাখা থাকতো কিন্তু আমি বুঝতে পারি নি যে তুই ছিলি আসল খুনি। ইকবালের কিছু কথায় তর উপর আমার সন্দেহ হয় তাই তর কেবিনে গিয়ে তর কিছু কথা শুনে ফেলি আর তর উপর আমার সন্দেহের জাল বিছিয়ে দেই। ফরহাদ তকে এই শহরে পাঠিয়েছে, হঠাৎ কেনো পাঠালো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। আমি চিন্তা করতে থাকলাম যে ফরহাদ এত অল্প বয়সে কিভাবে সিএম হলো। তাই ফরহাদের সম্পর্কে তথ্য বের করতে থাকলাম কিন্তু ফরহাদের কোনো বেজাল ছিলো না,,তবে ফরহাদও একটা ভুল করে ফেলে, যেটা আমার জন্য রহস্য উন্মোচন করার এক ধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করে,, ভুল টা হলো-- কিছু সার্টিফিকেট এ তার ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দেওয়া। খুনির পিছনে আর নিজের মাইন্ড গেম টা খেলাতে চাই না, বন্ধ দিলাম কিছুদিনের জন্য লেগে পড়লাম ফরহাদের পিছনে আর তার সম্পর্কে সব তথ্য পেয়ে যাই। ফরহাদের সাথে একটা পারসোনাল মিটিং এর আয়োজন করলাম,, ফরহাদও রাজি হয়ে গেলো, এক এক করে যখন সব তথ্য ফরহাদের সামনে রাখতে শুরু করি সে এটা দেখে ঘাবরে যায়। আমি তাকে একটা অফার করি, রাফসান আর রাফিন কে আমাট চাই এর বদলে আমার কছে যতগুলো তথ্য আছে সব গুলো তাকে দিয়ে দিবো। (মেহেরাব)


* মেহেরাব কথা গুলো বলে এভার থামে হাতে থাকা সিগারেট টা শেষ হয়ে আসছে মেহেরাব আরেক টা টান দিয়ে শেষ অংশ টুকু মাটিতে ফেলে দেয় * মেহেরাবের কথা শুনে রাজ অবাক হয়ে যায় কারণ সে মেহেরাব কে যতটা বোকা ভেবেছিলো তত টা সে না। রাজ নিজেকে কেমন যেন একাকিত্ব অনুভব করছে যেন আজ তার মাইন্ড গেম খেলার দিন। এত দিন সে সবাইকে মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে ব্যবহার করতো কিন্তু আজ নিজের অজান্তেই সে আরেক জনের মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে চলছে। রাজ এখন বেঁচে যাবে, যদি সে তার শেষের মাস্টার মাইন্ড গেমের গুটি টা চালতে পারে। রাজ হিহিহিহিহি করে হেসে সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে --


• আমাকে এখনই মেরে দে, আমি যদি কোনো ভাবে বেঁচে যাই তাহলে কিন্তু একটাকেও ছাড়বো না  সব কটাকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হতে ধরে নিয়ে আসবো। পিস্তলের বুলেট মিস হতে পারে কিন্তু এই রাফসানের কথা কখনো মিস হয় না,,তাই বলছি আমাকে মেরে দে। (রাজ)


• ফরহাদ হাসতে হাসতে বলে -- রাফসান তর যেমন রক্তের নেশা, ঠিক তেমনই ক্ষমতা টা আমার কাছে নেশা। মেহেরাবের ডিল টা আমার কাছে ভালো লেগেছিলো, যার কারণে তর সাথে হালকা মাইন্ড গেম আর বেইমানী টা করলাম। আমি জানি তুই ঠান্ডা মাথার খেলোয়ার কিন্তু আজ তর কোনো মাইন্ড গেমই কাজে আসবে না। পাশে দেখছিস কতো বডিগার্ড আছে দূর থেকে স্নাইপার ফিট করা,, হয়তো একটা বুলেটই যথেষ্ট তর মতো মাফিয়া কে মারার জন্য। (ফরহাদ)


• হিহিহিহিহি.... তুই জানিস বেইমান আমার পছন্দ না আমি বেইমান কে খুবই কষ্ট দিয়ে মারি। আর রাফসান সব জায়গায় তার মাইন্ড গেম খেলতে প্রস্তুত। আমি আমার শত্রু কে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেই কিন্তু বেইমান কে কোনো সুযোগ দেই না। রাফিন চলে এলে তরা আর কিছু করতে পারবি না এখনই আমাকে মেরে দে। (রাজ)


• রাফসান তর জন্য আমার অনেক কষ্ট লাগছে,, কেমন করে নিজের হাতে তদের দুটা কে মারবো, এক সাথে গ্যাং লিড দিতাম কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে আমি তদের সাথে বেইমানি করলাম। সুযোগ তৈরী করে তদের সাথে ছোট একটা মাইন্ড গেম খেললাম। (সালমান)


“ রাফি তার গাড়িটা রাস্তার পাশে দাঁড় করায়, গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশে তাকায়, কিছু কালো কোর্ট পরা ছেলে হাতে AK 47  নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরে তিনটা গাড়ি রাখা আছে একটা গাড়ির আলো জ্বালানো সেই আলোয় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে একজন কে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছ, তার সামনে তিনজন বসে বসে সিগারেট টানছে,,হয়তো কোনো আগন্তুকের অপেক্ষায় বসে আছে। রাফি তার হাতের পিস্তল টা রিলোড দিয়ে পিছনে পেন্টের গুজেঁ। রাফি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এমন সময় তার সামনে স্নাইপারের বুলেট এসে পরে রাফি দু পা পিছিয়ে যায়, আশেপাশে তাকায় দেখে একটা ছেলে হাতের ইশারায় তাকে জিজ্ঞেস করছে, রাফির পরিচয়  রাফি কিছু না বলে চেয়ারে বসে থাকা লোকগুলোর কাছে যায়। চেয়ারে বেঁধে রাখা ছেলেটা মাথাটা নিচু করে বসে আছে, এবার হালকা করে সে তার মাথাটা উচু করে। রাফি অবাক হয়ে যায় রাজকে এভাবে বাঁধা অবস্থায় দেখে,, দৌড়ে রাজের কাছে যায়। ”


• রাজ আগন্তুক টা কে দেখে জোরে জোরে হাসতে হাসতে ফরহাদ, সালমান, মেহেরাব কে উদ্দেশ্য করে বলে -- মারতে পারলি না আর আমাকে , অনেক সময় দিয়েছি কিন্তু মাইন্ড গেম খেলার জন্য আমাকে মারলি না। এবার আর আমি সেই ভুল করবো না, আমার পিস্তল থেকে তিনটা বুলেট বের হবে সে গুলো সব তদের তিনটার কপালে। নো মোর চান্স। (রাজ)


• রাজের এমন জোরে জোরে হাসা আর কথা গুলো শুনে সবাই আগন্তুক টার দিকে তাকায় দেখে, লম্বা কালো কোর্ট, মুখে কাটা মাক্স, আঙুল বের করা কালো মুজা, মাথায় বড় হুড ওয়ালা টুপি, যার জন্য মুখ টা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। আগন্তুক টা মাফিয়াদের স্টাইলে সিগারেট টানছে। কেউ বুঝতে পারছে না কে এই অচেনা অজানা আগন্তুক। তাই সালমান চিৎকার দিয়ে বলে-- ফরহাদ এটা রাফিন আমি ওকে দেখি নি কিন্তু তার আগমন সম্পর্কে আমার অজানা নয় । (সালমান)


• হিহিহিহিহিহি....আমি এম  রাফিন মাস্টার  মাইন্ড গেমার ইন মাফিয়া সিটি। এই শহরে কোনো এক মাস্টার মাইন্ড গেম খেলতে ছদ্মবেশ নিয়ে আসা। কথাটা বলে রাফি তার কাটা মাক্স টা হালকা সরায়,, সবাই রাফিকে দেখে অবাক হয়ে যায়। রাফি মুচকি হেসে বলে -- আমি জানি সবাই আমাকে দেখেছো কিন্তু তখনকার পরিচয় টা ছিলো অন্য, গরীব, ক্ষেত বোকা ছেলে যার নাম রাফি। (রাফি)


• রাফির কথা শুনে সালমান অবাক কারণ ভার্সিটির কোনো এক ঝামেলার জন্য সালমান ভার্সিটিতে যায় আর সেখানেই রাফিকে ক্ষেত স্টাইলে দেখে কিন্তু সে বুঝতে পারছিলো না যে সেই ক্ষেত ছেলেটাই মাফিয়া সিটির মাইন্ড গেমার। সালমান হাহাহাহাহা করে হাসতে হাসতে বলে -- তকে ভার্সিটিতে গরীব ক্ষেত অবস্থায় দেখেছি কিন্তু আজ তর এমন অবাক করা স্টাইল দেখে আমি আসলেই বোকা হয়ে গেছি। (সালমান)


• মেহেরাব নিজেও প্রায় অবাক কারণ সে রাফি কে আগে থেকে চিনতো,, কোনো এক বৃষ্টির দিন রাফির সাথে মেহেরাবের পরিচয় হয়, মেহেরাব কে ছাতা দিয়ে সাহায্য করেছিলো রাফি।  সেদিন কার রাফি ছিলো বোকা গরীব কিন্তু আজ তার এমন অবাক করা আগমনে সত্যি মেহেরাব অবাক হয়ে গেছে। তাই সে রাফি কে উদ্দেশ্য করে  বলে -- আসলেই তুই ভালো একটা মাইন্ড গেমার কিন্তু আজ সেই মাইন্ড গেম দিয়ে কিছু হবে না। আমার হাতের  একটা ইশারায় তদের দুজনেরই মৃত্যে হয়ে যাবে, কিন্তু আমার তর সাথে মাইন্ড গেম খেলার অনেক দিনের ইচ্ছে। আমি যাদের ধরার জন্য পাঁচ বছর ধরে পিছনে পরে আছি তারা সবাই আমার সাথে দেখা করেছে আমার বাসায় থেকেছে অথচ আমি ধরতেই পারি নি। (মেহেরাব)


• হিহিহিহিহিহি......মাইন্ড গেম বলে সিগারেটে আরেকটা টান দেয় -- মাইন্ড গেম কথা টা অতি ক্ষুদ্র কিন্তু এর ব্যাখা টা অনেক বড়। আমি সবাই কে আমার মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে  ব্যাবহার করি। কথাটা বলে রাফি পিছন থেকে পিস্তল টা বের করে মেহেরাবের দিকে তাক করে বলে -- তকেও আমার মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে ব্যাবহার করেছি তাও আবার তর নিজের অজান্তেই। শুনবি কিভাবে,, তকে সেই দিন বৃষ্টিতে পড়তে হলো কারণ তর গাড়ি টা আমার একটা লোক নষ্ট করে দেয় যার কারণে তুই বাস দিয়ে বসায় যাবি আমি তকে ফলো করি চেয়েছিলাম অন্য কোনো ভাবে তর সাথে পরিচয় হবো কিন্তু আমার ভাগ্য টা ভালো ছিলো যার কারণে বৃষ্টির জন্য আমার ছাতা দিয়ে তর সাথে পরিচয় হলাম। আমি জানতাম ভার্সিটিতে কোনো ঝামেলা করলে আমাকে তর থানায় নিয়ে যাবে আর তর উপকার করেছি বলে তুই আমাকে তেমন কিছু বলবি না তুইও আমাকে সাহায্য করবি। কেমন খেল্লাম তর সাথে মাইন্ড গেম। (রাফি)


“ রাফি রিলোড দেওয়া পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই একটা সাইলেন্সার লাগানো স্নাইপারের বুলেট এসে রাফির পিস্তলে লাগে। রাফির হাতের পিস্তল টা খানিকটা দূরে যেয়ে পরে। সবাই অবাক কোথা থেকে স্নাইপারের বুলেট এসে লাগলো আর মেহেরাব কে বাঁচিয়ে দিলো। মেহেরাব জোরে জোরে হাসতে থাকে, হঠাৎ ই যেন জায়গা টা নিস্তব্ধতা হয়ে গেছে,, রাফি যেয়ে রাজের বাঁধন টা খুলে দেয় কেউ কিছু বলে না। রাজ কোনোমতে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় চোখে মুখে তার ক্লান্তি ছেয়ে গেছে রাফি পকেট থেকে একটা সিগারেটের পেকেট বের করে তার থেকে একটা সিগারেট রাজের ঠোঁটে দেয়,, লাইটার দিয়ে সিগারেটে আগুন জ্বালায়। কোথা থেকে যেন স্নাইপার চালানো হচ্ছে স্নাইপারের বুক কাঁপানো আওয়াজে চমকে উঠে সবাই, স্নাইপারের দুইটা  বুলেট এসে লাগে পাশে AK 47 নিয়ে দাঁড়ানো দুইটা বডিগার্ডের কপালে। ফরহাদ, সালমান, মেহেরাব বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়, রাফির দিকে চেয়ে দেখে রহস্যময় ছেলেটা কেমন যেন উৎফুল্ল ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে। চারপাশে পিন পিন নিরবতা বিরাজ করছে দূর থেকে দেখা যাচ্ছে একটা ব্ল্যাক কালারের গাড়ি এদিকেই আসছে,, গাড়িটা এসে মেহেরাবের পাশে দাঁড়ায় সবাই আগ্রহের দৃষ্টিতে চেয়ে আছে গাড়ির দিকে, গাড়ি থেকে একটা আগন্তুক নামে যার পরণে সাদা কালারের একটা কোর্ট, লম্বা হুড ওয়ালা টুপি, মুখে সিগারেট ঝুলছে, বড় টুপি টার জন্য মুখটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। গাড়ি থেকে আরেক টা আগন্তুক নামে যার পরণে মাফিয়া বান্ডেল, একই রকম ভঙ্গিতে হেটে রাজদের সামনে এসে দাঁড়ায়। কেউ বুঝতে পারছে না কারা এই আগন্তুক আর এখানে কি উদ্দেশ্য এসেছে। নিঃশব্দ পরিবেশে শুধু শোনা যাচ্ছে উপস্থিত মানুষগুলোর ঘনঘন শ্বাস নেওয়ার শব্দ। নিরবতা ভেঙে দ্বিতীয় আগন্তুক টা মাথা থেকে হুড ওয়ালা টুপি টা সরায়।


• আগন্তুক টা কে দেখে রাফি জোরেই বলে -- রিয়াজ তুই। (রাফি)


• হু আমি  ( রিয়াজ ) 


• রাফি জোরে হেসে বলে -- এসে গেছে আমার ছোট ভাই, এবার খেলাটা খেলতে আমার দারুণ মজা হবে। (রাফি)


• রাফির কথা শুনে রিয়াজ হাসে। রাফিন ভাই আমি তোমার জন্য আসি নি,, এসেছি ছোট একটা মাইন্ড গেম খেলতে। সব সময় তুমাদের সাথে কাজ করেছি দেখেছি তুমাদের মাস্টার মাইন্ড গেম, কত সুক্ষ্ম ভাবে খেলো। সবাই তুমাদের নাম শুনলে ভয় পায় কিন্তু আমাদের কেউ মানে না। আমার চাই ক্ষমতা, পাওয়ার যেটা পেতে হলে তুমাদের সরাতে হবে তাই ছোট একটা মাইন্ড গেম খেলতে চলে এলাম। (রিয়াজ)


• রিয়াজের কথা শুনে রাজ অবাক হয়ে বলে -- রিয়াজ ক্ষমতা লাগলে আমাকে বলতি দিয়ে দিতাম কিন্তু পিছন থেকে বেইমানি টা না করলেও পারতি। আমার সাথে শত্রুতা করিস না রিয়াজ, পিস্তল টা তরই থাকবে আর লাশ টা তর পাওয়া যাবে,, আমি আমার শত্রু কে খুবই কষ্ট দিয়ে মারি।  (রাজ)


• রিয়াজের পাশে থাকা সাদা কোর্ট পরা আগন্তুক টা অর্ধেক পোড়া  সিগারেট টা মাটিতে ফেলে বলতে থাকে -- মাইন্ড গেম,, হাহাহহাহহা কত বছরের অপেক্ষায় আজ আমার গেম টা সম্পূর্ণ হবে। মাস্তানি জগৎের মাফিয়া কিং হতে চেয়েছি কিন্তু কিছু বন্ধু নামক শত্রুর জন্য তা পারি নি। আজ আমার সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দিন চলে এসেছে। আজ হবে ফাইনাল মাইন্ড গেম খেলা যে যত বেশি মাইন্ড গেম খেলবে তার হবে জয় আর যে পারবে না তার হবে মৃত্যু। (আগন্তুক) 


• মেহেরাবের কাছে আগন্তুকের গলার কন্ঠ খুবই পরিচিত মনে হচ্ছে তাই সে আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে -- কে তুই আর কিসের মাইন্ড গেমের কথা বলছিস। (মেহেরাব)


• আগন্তুক টা একটু শব্দ করে হেসে মাথার হুড ওয়ালা টুপি টা সরায় -- মুখে ক্লিন শেপ দেওয়া মুখটা শ্যামলা বর্ণের, ঠোঁট গুলো অনেক কালো মনে হয়, দিনে অনেক সিগারেট টানে। আগন্তুকের চেহারা দেখে কম বেশি সবাই অবাক হয়ে চয়ে আছে -- হাই গায়েজ আই এম আনাফ,, যাকে সবাই ঢাকার টপ বিজনেসম্যান আনাফ চৌধুরী বলে জানে কিন্তু বিজনেস ছাড়া আমার একটা আলাদা জগৎ আছে তা কেবল আমিই জানি। ( আনাফ)


• রাফি অনেক টা অবাক হয়ে বলে -- আনাফ সাহেব আপনি এটা কিভাবে সম্ভব। (রাফি)


• হাহাহাহাহা,,, হে আমি অবাক হয়েছিস মনে হয়। পৃথিবীতে মানুষের কাছে অসম্ভব বলতে কিছু নেই। আমি মাফিয়া কিং হওয়ার জন্য দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ধরে মাইন্ড গেম খেলে আসছি কিন্তু হঠাৎ ই  রাফিন আর রাফসান নামক দুইটা ছেলে আমার সেই তৈরী করা সিংহাসন নিজের আয়ত্তে করে নেই। ( আনাফ)


• সবাই আগ্রহের দৃষ্টিতে আনাফের দিকে চেয়ে আছে,, আনাফ কি বলতে চলছে এটা জানার সবারই অনেক ইচ্ছা........ 


@@@ চলবে @@@


“ গল্প টা দিতে দেরি হচ্ছে কারণ এই গল্প টা চুরি করে কেউ নাম চেইঞ্জ করে YouTube  এ আপলোড দিচ্ছে। আর পরের পাঠ টা দিতে দেরি হবে। কারো সাড়া পাচ্ছি না এটা হলো বড় কথা ”


wait for the next part.

Sunday, July 4, 2021

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব:-২৩ --RAJA Bhuiya.(মি.440)

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



# খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

#লেখক: RAJA Bhuiyan. (মি.440)


পর্বঃ >> ২৩ <<

..................




“ আপু আপনি এত রাতে আমার রুমে কি করছেন ”কথা টা বলে রাফি উওরের অপেক্ষায় চেয়ে থাকে নুসরাতের দিকে। 


নুসরাত আজ অনেক কিছু জানার জন্য রাফির কাছে আসে,, কিন্তু এসে দেখে রাফি রুমে নেই তাই সে নিজেই রুমে ডুকে রাফির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।কিছুক্ষন পর রাফি রুমে প্রবেশ করলে নুসরাত কে দেখে কথাটা বলে। রাফির কথা শুনে নুসরাত অবাক হলো না। নুসরাত মুচকি হেসে বলে-- আমাকে আপু বলা লাগবে না। আর এখন রাত কোথায় তর জন্য তো এটা সকালই।(নুসরাত) 



• রাফি একটু অবাক হয়ে বলে-- আপনি আমার বড়,,আবার বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে আপনাকে আপু না বল্লে আর কি বলবো। আমার জন্য এখন সকাল হতে যাবে কোনো,,আপনার জন্য রাত যা আমার জন্যও তো একই। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি বন্ধ রুমে ডুকলেন কি করে। (রাফি)



• নুসরাত রাফির মুখের সামনে চাবির ছড়াটা ঝাকাতে ঝাকাতে বলে--রাফি আমার মনে হয় না আমি তর থেকে বেশি ধনী হবো। এই চাবি টা দেখছিস এটা দিয়ে রুমে ডুকেছি,, তর সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। (নুসরাত)



• রাফি বলে-- জ্বি আপু বলেন কি গুরুত্বপূর্ণ কথা। 




• নুসরাত বিছানার উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় আরেকটা সিগারেট রাফির দিকে ঢিল দেয়। রাফি সিগারেট টা ঠোঁটে চাপে আর পাশে থাকা চেয়ার টা টেনে বসে পরে। নুসরাত হেসে বলে - তাহলে রাফিন কি অবস্থা তর।(নুসরাত) 



• রাফি চমকে উঠে কথাটা শুনে-- আমতা আমতা করে বলে- আপু রাফিন কে।(রাফি)




• নুসরাত ধোঁয়া গুলো উপরের দিকে ছেড়ে বলে-- আমি জানি তুই রাফি না রাফিন যে কি না রাফিয়ান শহরের মাইন্ড গেমার। কথাটা বলে নুসরাত বিছানার পাশ থেকে ব্যাগ টা বের করে রাফির সামনে রাখে। রাফি কি বলনে বুঝতে পারছে না সে তার মাথাটা ঠান্ডা করে নুসরাত কে বলে-- আপু আমি রাফিন হতে যাবো কেন আমি তো রাফি আর আপনি আমার ব্যাগ ধরছেন কেনো।(রাফি)



• রাফিন আমি সব জেনে গেছি আর তর ব্যাগ তো আমি আগেই চেক করেছি। হঠাৎ ভার্সিটিতে ২য় বর্ষে ক্ষেত গরীব একটা ছেলে ভর্তি হয় যার রেজাল্ট খুবই খাবাপ আবার ভার্সিটির ভিপি রাকিব ভাই তকে দেখে ভয় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা,, ঐই দিন সজিব যখন তকে র্যাগ দেয় তখন কেউ কিছু বল্লো না কিন্তু পুলিশ অফিসার তকে বাচিয়ে নিলো তুই সেটা দেখে মুচকি হেসেছিলি,,পরের দিন সকালে সজিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, কিন্তু তিন ধরে তকে আর দেখা যায় না, আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঐই দিন রাতে জঙ্গলে ছেলেগুলো কে মারার সময় আমিই গাছের আরালে দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখছিলাম,,তো মি. রাফিন তুই এখন যতই না করিস বা নাটক করিস এখন লাভ হবে না কারণ তুই ধরা পরে গেছিস। কথাটা বলে জোরে সিগারেটে একটা টান দেয় নুসরাত। রাফি সময় নষ্ট করতে চায় না তাই পিছন থেকে গান টা বের করে নুসরাতের মাথার দিকে তাক করে, সিগারেট টা টান দেয়। ট্রিগারে চাপ দিবে কিন্তু তা আর পারে না এর আগেই নুসরাত চোখের পলকে রাফির হাত থেকে গান টা নিয়ে রাফির কপাল বরাবর তাক করে। রাফির কেবল মুখ টা হা হয়ে যায়,, এমন ভাবে তার হাত থেকে গান টা নিয়ে নিবে ভাবতে পারে নি রাফি। নুসরাতের মোবাইলে একটা মেসেজ আসে, বিছানার উপর থেকে মোবাইল টা নিয়ে মেসেজ টা পড়তে থাকে,, মেসেজ টা পড়া শেষ হলে নুসরাত জোরে জোরে হাসতে থাকে আর বলতে থাকে, আমি মাইন্ড গেম খেলতে ভালোবাসি না তবে যারা মাইন্ড গেম খেলে  তাদের খুঁজে বের করা  আমার কাজ তকে একটা সুযোগ দিলাম, দ্বিতীয় বার সুযোগ টা নাও পেতে পারিস।(নুসরাত) 




• নুসরাত বাইরে চলে যাবে এমন সময় রাফি হাসতে হাসতে বলে-- রাফিন কে সুযোগ দেওয়ার মতো কেউ এখনো জন্ম নেয় নি, এখন তর সাথে একটা ছোট মাইন্ড গেম খেল্লাম জানিস সেটা কেমন কথাটা বলে বিছানার উপর থেকে গান টা নিয়ে গুলি করে কিন্তু কোনো বুলেট বের হয় না আবারও তিনটা গুলি করে কিন্তু সব গুলো গুলিই মিস ফায়ার হয়। নুসরাত বুঝতে পারছে না কেনো পিস্তল থেকে বুলেট বের হলো না। রাফি মুচকি হেসে বলে-- অবাক হচ্ছিস তাই তো কেনো বুলেট বের হয় নি তার কারণ এই পিস্তলে কোনো বুলেট ছিলো না,,এটাই আমার মাইন্ড গেম আর না শিখিয়া ওস্তাদি করিও না।(রাফি)




• নুসরাত রাফির মাস্টার মাইন্ড গেম দেখে অবাক হয়ে যায়। নুসরাত রাফিকে বলে-- রাফসান কে বাঁচাতে চলে যা। কথাট বলে দাঁড়ায় না আর চলে যায় নুসরাত। রাফি পিছনে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকে কি বলে গেলো নুসরাত। রাফি পেকেট থেকে মোবাইল ফোন টা বের করে কাকে যেন কল দেয় কিন্তু ঐই পাশের মোবাইলটা বন্ধ দেখাচ্ছে রাফি অস্থির হয়ে যায়।




..



 “ ভাইয়া তুমি এখানে এসো না, মেরে ফেলবে তুমাকে রাফসান ভাই কে নিয়ে চলে গেছে ” 


রাফি উওেজিত হয়ে সাকিব কে ফোন দেয়,, তিন বার রিং হওয়ার পর সাকিব ফোন ধরে কান্না করে কথা গুলো বলতে থাকে। রাফির বুকের ভিতর ধুকপুক ধুকপুক করছে হালকা ভয়ের আভাস পাচ্ছে সে হয়তো আজই শেষ হতে যাচ্ছে মাস্টার মাইন্ড গেমের গুটির তালিকা। রাফি আনাফ সাহেবের বাসা থেকে বেড়িয়ে পরে সাকিবদের উদ্দেশ্য,, প্রতিদিনের মতো  আজও রাফির জন্য একটা কালো রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। রাফি দেড়ি করতে চায় না গাড়ির ভিতর বসে পরে গন্তব্য এখন সাকিবদের কাছে,,রাতের হালকা চাঁদের আলোয় বুঝা যাচ্ছে সামনে কিছু লোক রাস্তায়  শুয়ে আছে, রাফি গাড়ি থেকে নেমে গান টা হাতে নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়,,যেয়ে এমন একটা দৃশ্য দেখার জন্য সে প্রস্তুত ছিলো না। আজমির কে কেউ গুলি করে মেরে দিয়েছে, ওসমানের শরীর খেকে মাথাটা আলাদা করা, রফিকের বুকে মধ্যে কেউ ছুরি দিয়ে অনেক গুলো আঘাত করেছে, সাকিব কে হাতে পায়ে গুলি করা হয়েছে, রাফি সাকিব কে ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে থাকে সাকিব রক্ত মাখা মুখ দিয়ে হালকা করে ছোট একটা হাসি দিয়ে বলে-- ভাইয়া তুমাদের সাথে অনেক দিন কাজ করছি আমাদের অনেক স্নেহ করেছো কিন্তু আমরা রাফসান ভাইকে বাঁচাতে পারলাম না তুমি চলে যাও শহর থেকে ওরা সবাই তুমাকে মেরে দিবে চলে যাও। (সাকিব)




• রাফি জোরে চিৎকার করে বলে-- সাকিব কিছু হবে না তর আমি তকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো, বলেই সাকিব কে পাজা কোলে উঠাতে যাবে, তখন কোথা থেকে যেন একটা স্নাইপারের বুলেট এসে সাকিবের শরীরে লাগে,, সাকিব জোরে চিৎকার দিয়ে বলে-- ভাইয়া কোনো বেইমান কে বাঁচতে দিবে নাহ..... সাকিব আর কিছু বলতে পারে না, রাফির কোলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায়। রাফি জোরে চিৎকার দিয়ে কান্না করে দেয় কারণ রাফি আর রাফসান সবাইকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতো কিন্তু আজ এমন একটা দিন দেখতে হবে ভাবতেই পারছে না রাফি, অজরে কান্না করতে থাকে। রাফির চোখ যায় দূরে পড়ে থাকা কাগজের টুকরার দিকে,, বসা থেকে উঠে কাগজটা হাতে নেয়, পাশে আবার একটা ভয়ংকর ট্যাটু আঁকা যার ব্যাখা রাফির ভালো করেই জানা।



“ মাইন্ড গেম খেলতে ভালোবাসি আমি আবার খেলাতেও ভালোবাসি,, হবে আজ গেম বেঁচে থাকবে আসল মাফিয়া যার অস্তিত্ব ছড়িয়ে যাবে সবখানে ”... হিহিহিহিহি



কাগজের রহস্যময় কথা পড়ে রাফি ভাবতে থাকে কে লিখলো কথা গুলো কাগজের পিছনের দিকে একটা ঠিকানা দেওয়া আছে রাফি রওনা দেয় ঠিকানার উদ্দেশ্য......... 




.......




 পূর্নিমার আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে হিমেল হাওয়ার গতিবেগ পরিবর্তন হচ্ছে,, চাঁদের আলোয় রাজের জ্ঞান ফিরে নিজেকে চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় আবিষ্কার করে সে। চোখ জোরা দিয়ে চারিদিকের পরিবেশ টা দেখছে রাজ,, আশেপাশে কিছু গাছপালা আছে মধ্যে খোলা মাঠ চাঁদের আলোয় জায়গাটা অনেক টুকু স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে,, কিছু ছেলে হাতে AK47 নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, দূরে বসে আছে কিছু পরিচিত মুখ। রাজের চোখের সামনে সকালের দৃশ্য টা ভেসে উঠে,, পিছন থেকে কেউ শক্ত কিছু দিয়ে বারি দেওয়ার কারণে রাজ অজ্ঞান হয়ে যায়, এর পর কি হয়েছিলো জানা নেই রাজের। রাজের জ্ঞান ফিরেছে দেখে একটা ছেলে, সামনে বসে থাকা কালো পাঞ্জাবি পড়া আগন্তুক কে ডাক দেয়। আগন্তুক টা পিছন থেকে ডাক শুনে সেদিকে তাকায়,, আগন্তুক টা কে দেখে রাজের মুখ থেকে একটা শব্দ বেড়িয়ে আসে-‘ সালমান ’। রাজ যেন এটা বিশ্বাস ই করতে পারছে না সালমান তার সাথে এমন করবে,, রাজের কাছে মনে হচ্ছে সে শুধু শুধু মাইন্ড গেম খেলছে, নিজের কাছে কেমন যেন হিংস্রতা আর ভয় কাজ করছে কিন্তু শএুর সামনে তা প্রকাশ করা যাবে না। তাই রাজ দাঁতে দাঁত চেপে বলতে থাকে-- সালমান আমাকে এখানে ধরে আনার মানে কি, তুই জানিস না আমার এগুলো পছন্দ না।(রাজ)




• সালমান পিছন থেকে চেয়ার টা টেনে পায়ের উপর পা তুলে বসে,  সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালায় আর এক মনে টানতে থাকে, দুজন দুজনের অনেক পরিচিত মাস্তানী শহরের দুই সিংহ সামনাসামনি বসে আছে কারো পরিচয় এই শহরে পুলিশ অফিসার রাজ হিসেবে আবার আরেকজনের পরিচয় শহরের বড় সন্ত্রাস সালমান ভাই হিসেবে। সালমান হাসতে হাসতে বলে-- মাফিয়া কিং, রাফিয়ান সিটির কিং, মাস্টার মাইন্ড গেমার,(রাফসান ভাই) এখন বাঁধা  রক্তাত্ব শরীর নিয়ে  অামার সামনে বসে আছে। ভাবা যায় বিষয় টা যেখানে কি না রাফসান ভাই নিজের ভাগ্য টা নিজেই লেখে, কিন্তু আফসুসের বিষয় হলো নিজের মাইন্ড গেমে নিজেই ফেঁসে গেলে রাফসান ভাই,,কথাটা বলে হাসতে থাকে সালমান।( সালমান)




• সালমানের কথা শুনে রাজ মুচকি হাসে কিন্তু হাসিটা প্রকাশ করে না। সালমান কে উদ্দেশ্য করে বলে-- সালমান তুই হয়তো জানিস আমি কেমন মাইন্ড গেমার আমাকে বেকাপ দেওয়ার জন্য আমার পিছনে একটা BaD man আছে,,কিন্তু তর কিছু ছেলে আর কিছু অস্ত্র নিয়ে রাফসানের সাথে এসেছিস যুদ্ধ ঘোষণা করতে। সে আসবে আর আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে, সালমান আগের বার তকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেওয়াটা আমার বড় ভুল ছিল কিন্তু আমি এবার আর কোনো ভুল করতে চাই না। (রাজ)





• রাজের কথা শুনে বাঁকা হাসে সালমান। রাফিন মাস্তানী শহরের টপ মাস্টার মাইন্ড গেমার, যার মাইন্ড গেম দিয়ে রাফিয়ান জগৎের সমস্ত গুটি সাজানো হয়। রাফসানের ভাই, কিন্তু রাফসান কে অনেকে দেখে থাকলেও রাফিনকে খুবই কম দেখা যায়। যার আভাস পাওয়া যায় ঝড়ের বেগে,,  রাতের আধারের এসেই রাতের আধারের মিলিয়ে যায়,,মাস্তানী টাও যেন কম যানে না। সালমান রাফিন কে নিয়ে কিছুটা চিন্তিত কিন্তু রাজ কে তা বুঝতে দেওয়া যাবে না তাই সে বলে-- রাফিন,, হাহাহাহাহা.. আসলে আমি ভেবেছিলাম রাফিন হয়তো বড় মাইন্ড গেমার কিন্তু আসলে সে কোনো মাইন্ড গেমারই না,, ভুল ভুল আর অন্ধ বিশ্বাস করাটা জীবনের কোনো একটা সময় বড় সমস্যায় ফেলতে পারে। ঠিক তেমনই রাফিন কে একটা গোলক ধাঁধাঁর মধ্যে ফেলে দিয়েছি যা থেকে চাইলেও সে বেড়িয়ে আসতে পারবে না।(সালমান)



..



“ বেইমানি টা ভালোবাসার মানুষের সাথে করলে জমে না কিন্তু মাস্তানীর শহরে করলে সবচেয়ে বেশি মজা পাওয়া যায় ” 


পিছন থেকে কেউ কথাটা বলে, কন্ঠ টা রাজের অতি পরিচিত তাই সে মাথাটা হালকা ঘুড়ায়, মুখে লম্বা মোটা সিগারেট জ্বলছে , গলায় সোনালী কালারের মোটা চেইন, সাদা শার্ট হাতা গুলো ভাঙানো, চাঁদের আলোয় চেহারা টা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ছেলেটা ফরহাদ। রাজ অবাক হয়ে যায় ফরহাদ কে এখানে দেখে, তাহলে সেই দিনের রহস্যময় কথাটার মানে এটাই যে ফরহাদ ক্ষমতার লোভে রাজের সাথে বেইমানি করবে কিন্তু রাজ বুঝতে পারছিলো না ফরহাদ এমন একটা মাস্টার মাইন্ড খেল্লো তার সাথে। ফরহাদ সিগারেট টানতে টানতে সালমানের পাশে দাঁড়ায় পাশ থেকে একটা ছেলে চেয়ার এনে দিলে পায়ের উপর পা তুলে বসে। 



• কেমন লাগলো আমার মাইন্ড গেম টা। তর মাইন্ড গেম দিয়েই তকে নিজের  জালে ফাঁসিয়েছি।(ফরহাদ)




• রাজ রাগে বাম পা টা দিয়ে মাটিতে হিট করে বলতে থাকে -- ফরহাদ আমাকে এখনই মেরে দে নয়তো সময় যত বাড়বে আমার মাইন্ড গেম তত বেড়ে যাবে। হয়তো কিছুক্ষন পর এখানে কেউ বেঁচে থাকবি না,,তুই জানিস আমি শত্রু কে ছেড়ে দিলেও বিশ্বাসঘাতকে ছাড়ি না।(রাজ)




• সালমান আর ফরহাদ রাজের কনফিডেন্স দেখে হালকা অবাক হয় কিন্তু তা প্রকাশ করে না। সালমান হালকা হাসে, তুই চিন্তা করিস না রাফসান রাফিন আসলেই দুটা কে একেবারে মেরে দিবো। (সালমান)




• পৃথিবীতে সবাই ধোঁয়াসার মধ্যে বাস করি তুই হয়তো জানিস রাফসান আর রাফিন কে পিছন থেকে মারার সাহস সবারই থাকে কিন্তু সামনে এসে ফুলের টুকা দেওয়ার সাহস কারো নেই।(রাজ)




• কথাটা শুনে সালমান রেগে রাজের বাম গালে কষে একটা চড় মারে। রাজের গায়ে সকালের সাদা গেঞ্জি টা এখনো পরা, সাদা কালারের গেঞ্জি লাল রক্তের ছেয়ে গেছে। সালমানের চড় খেয়ে রাজের ঠোঁট কেটে রক্ত বের হতে থাকে, হালকা লম্বা চুল গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কপালের আশেপাশে মুখে হালকা বড় বড় ঘন কালো দাঁড়ি, মুখে লেগে আছে রক্ত এখন রাজকে পুরো মাস্তানী জগৎের রাফিয়ান মনে হচ্ছে। সালমানের চড় মারা দেখে ফরহাদ বলে-- বাচ্চা ছেলেকে কেউ এমন করে চড় দেয়, তুমিও না সালমান একে হাত দিয়ে মারবো না মাইন্ড দিয়ে মারবো তাহলেই মজা পাবো। (ফরহাদ)





• ফরহাদ স্যার ওনি এখনো আসছে না কেনো আমার আর ভালো লাগতেছে না মন চাচ্ছে এখনই মেরে দেই কুত্তার বাচ্চা টা কে। (সালমান)




• আরে সালমান অপেক্ষা করো জানো তো একটা কথা, অপেক্ষা করার ফল মিষ্টি হয়।(ফরহাদ)




* দূর থেকে গাড়িট হলদে আলোয় বুঝা যাচ্ছে কেউ আসতেছে। সাদা কালারের গাড়ি টা এসে রাজদের পাশে থামে গাড়ি থেকে একটা আগন্তুক নামে রাজ আগন্তুক টা কে দেখে অবাকের শেষ পর্যায় চলে গেছে. এমন একজন কে এখানে দেখবে ভাবতে পারছে না............




@@@ চলবে @@@





[ এই গল্প টা কিছু দিন বন্ধ থাকবে যার জন্য আমি অনেক দুঃখীত। সবাই গঠন মূলক কমেন্ট করবেন আশা করি ]





wait for the next part.  



Saturday, July 3, 2021

রঙের ফেরিওয়ালা--পর্ব--১--RAJA Bhuiya.(মি.440)


রোমান্টিক সিরিজ  


রঙের ফেরিওয়ালা 

লেখকঃ RAJA Bhuiyan.(মি.440)

পর্ব :--- ১


“ সময় টা ২০১৫” আমি তখন ক্লাস ১০ এ পড়ি।


সকাল বেলা কোচিং করার উদ্দেশ্য বেরিয়ে 

পরেছি। আজ পরিবেশ টা অন্যদিনের চেয়ে বেশি 

আকর্ষণীয়। বসন্ত এক রোমান্টিক ঋতু। শীতের শূন্যতাকে তাড়িয়ে যৌবনের বার্তা আর রোমান্টিকতার আমেজ নিয়ে মহা সমারোহে হাজির হয় বসন্ত। বসন্তের প্রকৃতি  

খুবই মনোরম ও আকর্ষণীয়। নতুন পাতায় আর ফুলে ফুলে তখন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সবুজ বন-বনানি। আমার কাছে সকালটা অসম্ভব ভালো লাগতেছে। হঠাৎই দেখতে পাই শ্রাবণীকে সাইকেল চালিয়ে কোচিং সেন্টারের গেটের ভিতর ঢুকলো। আজ শ্রাবণী আকাশি কালারেরে জামা আর সাদা কালারের প্লাজো 

পরছে। শ্রাবণী মেয়েটা 

দেখতে অসম্ভব সুন্দর

ঘন কালো চুল,, দৈর্ঘ্য আঁখি পল্লব,, দুধে আলতো গায়ের রঙ,, বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্ট চেহারা,, চোখে আবার চশমা পরে যার কারণে তাকে অনেক কিউট লাগে। বসন্তের এই প্রথম সকালে তাকে দেখে মনের মধ্যে একটা অনুভূতি সৃষ্টি হলো,,জানি না কি এই 

অনুভূতির নাম। শ্রাবণী ক্লাস ৮ এ পড়ে, আমার থেকে ২ বছরের জুনিয়র কিন্তু তার সাথে আমার দেখা হলেও কথা হয় না। স্কুলে অনেকে বলতো শ্রাবণী আমাকে নাকি পছন্দ করতো,, আমার দিকে চেয়ে থাকতো। কিন্তু আমি তাদের কথা শুনতাম না। আজ সকালে কেন যেন তাকে দেখে মনের ভিতর একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হচ্ছে তবে তা কি আমার জানা নেই। 


“ এসএসসি ”পরীক্ষার জন্য জন্য স্কুল ও কোচিং যাওয়া বন্ধ,,  আজ প্রায় ১৫ দিনের মতো হলো শ্রাবণীকে দেখি না। মনটা কেমন 

কেমন যেন করে, মনে হয় এক বার দেখলে বুকের ভিতর প্রশান্তি

বয়ে আনে। এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে,  ভালো রেজাল্ট করছি। কিন্তু সমস্যা হয়ে গেলো ঢাকাতে একটা সরকারি কলেজে চান্স পেয়েছি। কিন্তু মনটা চাচ্ছে না সেখানে ভর্তি হই। নিজের এলাকা, মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব, আর ঢাকায় গেলেতো শ্রাবণী কে দেখতে পারবো না। 


আজ  আমাকে ঢাকায় চলে যেতে হবে 

ভাবতেই মনটা কেমন যেন করে উঠছে। ভাবলাম স্কুলে যেয়ে শ্রাবণী কে একবার দেখে আসব, যেই ভাবা সেই কাজ চলে আসলাম স্কুলে দেখলাম শ্রাবণী শহীদ মিনারে মন খারাপ করে বসে আছে। না আমি এখন ওর সামনে যাব না,, গেলে আমার মনের সুপ্ত লোকানো অনুভূতি গুলো প্রকাশ হয়ে যাবে। বন্ধুদের সাথে দেখা করে,  স্যারদের সাথে দেখা করে,,শেষ বারের মতো স্কুলটা দেখে থেকে বেড়িয়ে পরলাম বাড়ির উদ্দেশ্য, কত স্মৃতি, হাসি, খেলা, ঝগড়া, বন্ধুদের সাথে মজা করা,  অনেক মিস করবো,,চোখ থেকে দু ফোটা জল বেরিয়ে পড়লো। হঠাৎ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে, শ্রাবণী তার সাইকেল টা আমার সামনে থামায়,, সাইকেল থেকে নেমে আমার সামনে দাঁড়ায়,, অবাক হয়ে তার দিকে 

চেয়ে আছি সে আমাকে কিছু না বলে আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে সাইকেল টা নিয়ে চলে 

যায়। আমি বুকার মতো শ্রাবণীর চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছি,,সে দূরে যেয়ে একবার আমার দিকে চেয়ে,, চলে যায় হয়তো দেখা হতেও পারে আবার নাও হতে 

পারে।


ঢাকায়, আমার পাশের গ্রামের এক বড় ভাই থাকে। ওনার সাথে কথা বলে ওনাদের মেসে উঠছি। আমার এই বড় ভাইয়ের নাম ‘আসিফ’

এভার অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ছে। মেসে আমরা ৬ জন থাকি। রাতে ঘুমানোর আগে মনে হলো শ্রাবণীর দেওয়া কাগজের কথা,, বেগ থেকে কাগজ টা বের করে পড়া শুরু করলাম---


প্রথমে  আমার সালাম নিবেন,


আশা করি ভালো আছেন, ‘ রায়ান ’


প্রথমে বলে রাখি আপনাকে সবাই ‘রাজা’ বলে ডাকলেও আমি আপনাকে রায়ান বলে সম্মোধন করি,, আর সিনিয়র হিসেবে আপনাকে ভাইয়া না বলার একটা করণ আছে,,ভালোবাসার মানুষ কে কখনো ভাইয়া ডাকা যায় না। হে আমি আপনাকে ভালোবাসি,, কোনো এক শীতের সকালে,..


আজ আমি (........) বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হবো। শীতের সকাল ৯:৩০ হবে কুয়াশা ভেদ করে হালকা রোদ্র দেখা যাচ্ছে, আমি স্কুলের গেইট দিয়ে প্রবেশ করার সময়,, হঠাৎ শহীদ মিনারে দাঁড়ানো একটা ছেলেকে দেখে চোখ আটকে যায়। পরনে তার সাদা শার্টের ওপর কালো কালারের শর্ট জ্যাকেট,, নেভি ব্লু পেন্ট,,চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা,, পায়ে স্কুল শু। ছেলেটা হেসে  

হেসে সামনে দাঁড়ানো দুটো ছেলের সাথে কথা বলতেছে। ছেলেটা কে দেখে আমার বুকের বা পাশটা কোনো কিছুর আগাম সংকেত দিচ্ছিলো। অসম্ভব ভালো লাগা মনের ভিতর বয়ে যেতে থাকে।  বয়স টা তখন একটু কম ছিলো তাই বুঝতে পারছিলাম না কি কারণে এই অনুভূতি। আস্তে আস্তে 

স্কুল যাওয়া শুরু করি,,  আর সেই ছেলেটার সম্পর্কে জানতে থাকি,, যেই দিন ছেলেটার নাম জানতে পারি, 

“রায়ান রহমান রাজা ”

সেই দিন থেকে নামটা মনের ভিতর গেথে গেছে। জানি না আমার সম্পর্কে কি ধারনা তার মনের ভিতর।  আর সেই ছেলেটা রায়ান আপনি, আমি আপনাকে ভালোবাসি।  জানি আপনি মনে করবেন এগুলো সব আমার আবেগ,, কিন্তু এটা আপনার ভুল ধারনা। আমি এখন ক্লাস নাইনে পড়ি বয়সের সাথে সাথে ভিবেক বুদ্ধি ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শেষে শুধু এইটুকই বলবো আমার মনের সুপ্ত অনুভূতি গুলো মিথ্যা না। ঢাকায় গিয়েছেন ভালো মতো পড়াশোনা করবেন। আর আমি আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকবো। ভূলে যাব না আপনাকে কখনো।


ইতি..

ছোট শ্রাবণী. 


##চলবে##


wait for tha second part

KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪

 # গল্প :- KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪ ............. আকাশে তাজা সূর্যের তীব্র আলো। শকুন আর গাংচিলদ...