রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ
#খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড
# RAJA Bhuiyan.(মি.440)
# পর্ব:>> ২৪ <<
................
সাদা কালারের গাড়ি থেকে কালো কোর্ট পড়া একটা আগন্তুক নামে মাথায় বড় লম্বা হুড ওয়ালা টুপি পড়ানোর যার জন্য মুখটা বোজা যাচ্ছে না মুখে সিগারেট লাগিয়ে রাজদের কাছে আসতে থাকে। একটা ছেলে চেয়ার এনে দিলে আগন্তুক টা পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট টানতে থাকে। এবার আগন্তুক টা তার লম্বা টুপি টা হালকা সরিয়ে রাজের দিকে তাকায়।
• রাজ অবাক হয়ে যায়, মুখ ফুটে বলে ‘ মেহেরাব ’।(রাজ)
• মেহেরাব হাসতে থাকে আর রাজ কে বলতে থাকে--রাজ তকে একদিন চ্যালেন্স করে বলছিলাম , আমার সাথে মাইন্ড গেম খেলতে তুইও রাজি হয়ে গেলি বাছ শুরু করলাম মাস্টার মাইন্ড গেম খেলা। আসলে আমি অনেক টা বোকা, না হলে পাঁচ বছর ধরে যাকে ধরার জন্য এত কিছু করছি সে আমাকে বোকা বানিয়ে আমার সাথে আমার বাসায় থেকেছে অথচ আমি তা বুঝতেও পারি নি। তুই ভালোই খেলছিলি কিন্তু একটা জায়গায় এসে ভুলটা করে ফেলেছিস জানিস কোনটা শুন তাহলে-- সাব্বিরের লাশের পাশে দুইটা মারবেল পাওয়া যায় যেটা আমি আর সাইফুল ছাড়া কেউ জানতো না। আমি জানতাম রাফসান তার মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য দু হাতে দুইটা মারবেল ব্যবহার করতো, তাই আমি শিউর হই যে সাব্বিরের খুন টা রাফসানই করছে। আমি প্রতিদিন ই লক্ষ্য করতাম তর বাম হাতে সবসময় দুইটা মারবেল থাকতো মাঝে মধ্যে তর কেবিনে গেলেও মারবেল তর টেবিলের উপর রাখা থাকতো কিন্তু আমি বুঝতে পারি নি যে তুই ছিলি আসল খুনি। ইকবালের কিছু কথায় তর উপর আমার সন্দেহ হয় তাই তর কেবিনে গিয়ে তর কিছু কথা শুনে ফেলি আর তর উপর আমার সন্দেহের জাল বিছিয়ে দেই। ফরহাদ তকে এই শহরে পাঠিয়েছে, হঠাৎ কেনো পাঠালো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। আমি চিন্তা করতে থাকলাম যে ফরহাদ এত অল্প বয়সে কিভাবে সিএম হলো। তাই ফরহাদের সম্পর্কে তথ্য বের করতে থাকলাম কিন্তু ফরহাদের কোনো বেজাল ছিলো না,,তবে ফরহাদও একটা ভুল করে ফেলে, যেটা আমার জন্য রহস্য উন্মোচন করার এক ধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করে,, ভুল টা হলো-- কিছু সার্টিফিকেট এ তার ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দেওয়া। খুনির পিছনে আর নিজের মাইন্ড গেম টা খেলাতে চাই না, বন্ধ দিলাম কিছুদিনের জন্য লেগে পড়লাম ফরহাদের পিছনে আর তার সম্পর্কে সব তথ্য পেয়ে যাই। ফরহাদের সাথে একটা পারসোনাল মিটিং এর আয়োজন করলাম,, ফরহাদও রাজি হয়ে গেলো, এক এক করে যখন সব তথ্য ফরহাদের সামনে রাখতে শুরু করি সে এটা দেখে ঘাবরে যায়। আমি তাকে একটা অফার করি, রাফসান আর রাফিন কে আমাট চাই এর বদলে আমার কছে যতগুলো তথ্য আছে সব গুলো তাকে দিয়ে দিবো। (মেহেরাব)
* মেহেরাব কথা গুলো বলে এভার থামে হাতে থাকা সিগারেট টা শেষ হয়ে আসছে মেহেরাব আরেক টা টান দিয়ে শেষ অংশ টুকু মাটিতে ফেলে দেয় * মেহেরাবের কথা শুনে রাজ অবাক হয়ে যায় কারণ সে মেহেরাব কে যতটা বোকা ভেবেছিলো তত টা সে না। রাজ নিজেকে কেমন যেন একাকিত্ব অনুভব করছে যেন আজ তার মাইন্ড গেম খেলার দিন। এত দিন সে সবাইকে মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে ব্যবহার করতো কিন্তু আজ নিজের অজান্তেই সে আরেক জনের মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে চলছে। রাজ এখন বেঁচে যাবে, যদি সে তার শেষের মাস্টার মাইন্ড গেমের গুটি টা চালতে পারে। রাজ হিহিহিহিহি করে হেসে সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে --
• আমাকে এখনই মেরে দে, আমি যদি কোনো ভাবে বেঁচে যাই তাহলে কিন্তু একটাকেও ছাড়বো না সব কটাকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হতে ধরে নিয়ে আসবো। পিস্তলের বুলেট মিস হতে পারে কিন্তু এই রাফসানের কথা কখনো মিস হয় না,,তাই বলছি আমাকে মেরে দে। (রাজ)
• ফরহাদ হাসতে হাসতে বলে -- রাফসান তর যেমন রক্তের নেশা, ঠিক তেমনই ক্ষমতা টা আমার কাছে নেশা। মেহেরাবের ডিল টা আমার কাছে ভালো লেগেছিলো, যার কারণে তর সাথে হালকা মাইন্ড গেম আর বেইমানী টা করলাম। আমি জানি তুই ঠান্ডা মাথার খেলোয়ার কিন্তু আজ তর কোনো মাইন্ড গেমই কাজে আসবে না। পাশে দেখছিস কতো বডিগার্ড আছে দূর থেকে স্নাইপার ফিট করা,, হয়তো একটা বুলেটই যথেষ্ট তর মতো মাফিয়া কে মারার জন্য। (ফরহাদ)
• হিহিহিহিহি.... তুই জানিস বেইমান আমার পছন্দ না আমি বেইমান কে খুবই কষ্ট দিয়ে মারি। আর রাফসান সব জায়গায় তার মাইন্ড গেম খেলতে প্রস্তুত। আমি আমার শত্রু কে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেই কিন্তু বেইমান কে কোনো সুযোগ দেই না। রাফিন চলে এলে তরা আর কিছু করতে পারবি না এখনই আমাকে মেরে দে। (রাজ)
• রাফসান তর জন্য আমার অনেক কষ্ট লাগছে,, কেমন করে নিজের হাতে তদের দুটা কে মারবো, এক সাথে গ্যাং লিড দিতাম কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে আমি তদের সাথে বেইমানি করলাম। সুযোগ তৈরী করে তদের সাথে ছোট একটা মাইন্ড গেম খেললাম। (সালমান)
“ রাফি তার গাড়িটা রাস্তার পাশে দাঁড় করায়, গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশে তাকায়, কিছু কালো কোর্ট পরা ছেলে হাতে AK 47 নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরে তিনটা গাড়ি রাখা আছে একটা গাড়ির আলো জ্বালানো সেই আলোয় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে একজন কে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছ, তার সামনে তিনজন বসে বসে সিগারেট টানছে,,হয়তো কোনো আগন্তুকের অপেক্ষায় বসে আছে। রাফি তার হাতের পিস্তল টা রিলোড দিয়ে পিছনে পেন্টের গুজেঁ। রাফি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এমন সময় তার সামনে স্নাইপারের বুলেট এসে পরে রাফি দু পা পিছিয়ে যায়, আশেপাশে তাকায় দেখে একটা ছেলে হাতের ইশারায় তাকে জিজ্ঞেস করছে, রাফির পরিচয় রাফি কিছু না বলে চেয়ারে বসে থাকা লোকগুলোর কাছে যায়। চেয়ারে বেঁধে রাখা ছেলেটা মাথাটা নিচু করে বসে আছে, এবার হালকা করে সে তার মাথাটা উচু করে। রাফি অবাক হয়ে যায় রাজকে এভাবে বাঁধা অবস্থায় দেখে,, দৌড়ে রাজের কাছে যায়। ”
• রাজ আগন্তুক টা কে দেখে জোরে জোরে হাসতে হাসতে ফরহাদ, সালমান, মেহেরাব কে উদ্দেশ্য করে বলে -- মারতে পারলি না আর আমাকে , অনেক সময় দিয়েছি কিন্তু মাইন্ড গেম খেলার জন্য আমাকে মারলি না। এবার আর আমি সেই ভুল করবো না, আমার পিস্তল থেকে তিনটা বুলেট বের হবে সে গুলো সব তদের তিনটার কপালে। নো মোর চান্স। (রাজ)
• রাজের এমন জোরে জোরে হাসা আর কথা গুলো শুনে সবাই আগন্তুক টার দিকে তাকায় দেখে, লম্বা কালো কোর্ট, মুখে কাটা মাক্স, আঙুল বের করা কালো মুজা, মাথায় বড় হুড ওয়ালা টুপি, যার জন্য মুখ টা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। আগন্তুক টা মাফিয়াদের স্টাইলে সিগারেট টানছে। কেউ বুঝতে পারছে না কে এই অচেনা অজানা আগন্তুক। তাই সালমান চিৎকার দিয়ে বলে-- ফরহাদ এটা রাফিন আমি ওকে দেখি নি কিন্তু তার আগমন সম্পর্কে আমার অজানা নয় । (সালমান)
• হিহিহিহিহিহি....আমি এম রাফিন মাস্টার মাইন্ড গেমার ইন মাফিয়া সিটি। এই শহরে কোনো এক মাস্টার মাইন্ড গেম খেলতে ছদ্মবেশ নিয়ে আসা। কথাটা বলে রাফি তার কাটা মাক্স টা হালকা সরায়,, সবাই রাফিকে দেখে অবাক হয়ে যায়। রাফি মুচকি হেসে বলে -- আমি জানি সবাই আমাকে দেখেছো কিন্তু তখনকার পরিচয় টা ছিলো অন্য, গরীব, ক্ষেত বোকা ছেলে যার নাম রাফি। (রাফি)
• রাফির কথা শুনে সালমান অবাক কারণ ভার্সিটির কোনো এক ঝামেলার জন্য সালমান ভার্সিটিতে যায় আর সেখানেই রাফিকে ক্ষেত স্টাইলে দেখে কিন্তু সে বুঝতে পারছিলো না যে সেই ক্ষেত ছেলেটাই মাফিয়া সিটির মাইন্ড গেমার। সালমান হাহাহাহাহা করে হাসতে হাসতে বলে -- তকে ভার্সিটিতে গরীব ক্ষেত অবস্থায় দেখেছি কিন্তু আজ তর এমন অবাক করা স্টাইল দেখে আমি আসলেই বোকা হয়ে গেছি। (সালমান)
• মেহেরাব নিজেও প্রায় অবাক কারণ সে রাফি কে আগে থেকে চিনতো,, কোনো এক বৃষ্টির দিন রাফির সাথে মেহেরাবের পরিচয় হয়, মেহেরাব কে ছাতা দিয়ে সাহায্য করেছিলো রাফি। সেদিন কার রাফি ছিলো বোকা গরীব কিন্তু আজ তার এমন অবাক করা আগমনে সত্যি মেহেরাব অবাক হয়ে গেছে। তাই সে রাফি কে উদ্দেশ্য করে বলে -- আসলেই তুই ভালো একটা মাইন্ড গেমার কিন্তু আজ সেই মাইন্ড গেম দিয়ে কিছু হবে না। আমার হাতের একটা ইশারায় তদের দুজনেরই মৃত্যে হয়ে যাবে, কিন্তু আমার তর সাথে মাইন্ড গেম খেলার অনেক দিনের ইচ্ছে। আমি যাদের ধরার জন্য পাঁচ বছর ধরে পিছনে পরে আছি তারা সবাই আমার সাথে দেখা করেছে আমার বাসায় থেকেছে অথচ আমি ধরতেই পারি নি। (মেহেরাব)
• হিহিহিহিহিহি......মাইন্ড গেম বলে সিগারেটে আরেকটা টান দেয় -- মাইন্ড গেম কথা টা অতি ক্ষুদ্র কিন্তু এর ব্যাখা টা অনেক বড়। আমি সবাই কে আমার মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে ব্যাবহার করি। কথাটা বলে রাফি পিছন থেকে পিস্তল টা বের করে মেহেরাবের দিকে তাক করে বলে -- তকেও আমার মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে ব্যাবহার করেছি তাও আবার তর নিজের অজান্তেই। শুনবি কিভাবে,, তকে সেই দিন বৃষ্টিতে পড়তে হলো কারণ তর গাড়ি টা আমার একটা লোক নষ্ট করে দেয় যার কারণে তুই বাস দিয়ে বসায় যাবি আমি তকে ফলো করি চেয়েছিলাম অন্য কোনো ভাবে তর সাথে পরিচয় হবো কিন্তু আমার ভাগ্য টা ভালো ছিলো যার কারণে বৃষ্টির জন্য আমার ছাতা দিয়ে তর সাথে পরিচয় হলাম। আমি জানতাম ভার্সিটিতে কোনো ঝামেলা করলে আমাকে তর থানায় নিয়ে যাবে আর তর উপকার করেছি বলে তুই আমাকে তেমন কিছু বলবি না তুইও আমাকে সাহায্য করবি। কেমন খেল্লাম তর সাথে মাইন্ড গেম। (রাফি)
“ রাফি রিলোড দেওয়া পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই একটা সাইলেন্সার লাগানো স্নাইপারের বুলেট এসে রাফির পিস্তলে লাগে। রাফির হাতের পিস্তল টা খানিকটা দূরে যেয়ে পরে। সবাই অবাক কোথা থেকে স্নাইপারের বুলেট এসে লাগলো আর মেহেরাব কে বাঁচিয়ে দিলো। মেহেরাব জোরে জোরে হাসতে থাকে, হঠাৎ ই যেন জায়গা টা নিস্তব্ধতা হয়ে গেছে,, রাফি যেয়ে রাজের বাঁধন টা খুলে দেয় কেউ কিছু বলে না। রাজ কোনোমতে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় চোখে মুখে তার ক্লান্তি ছেয়ে গেছে রাফি পকেট থেকে একটা সিগারেটের পেকেট বের করে তার থেকে একটা সিগারেট রাজের ঠোঁটে দেয়,, লাইটার দিয়ে সিগারেটে আগুন জ্বালায়। কোথা থেকে যেন স্নাইপার চালানো হচ্ছে স্নাইপারের বুক কাঁপানো আওয়াজে চমকে উঠে সবাই, স্নাইপারের দুইটা বুলেট এসে লাগে পাশে AK 47 নিয়ে দাঁড়ানো দুইটা বডিগার্ডের কপালে। ফরহাদ, সালমান, মেহেরাব বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়, রাফির দিকে চেয়ে দেখে রহস্যময় ছেলেটা কেমন যেন উৎফুল্ল ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে। চারপাশে পিন পিন নিরবতা বিরাজ করছে দূর থেকে দেখা যাচ্ছে একটা ব্ল্যাক কালারের গাড়ি এদিকেই আসছে,, গাড়িটা এসে মেহেরাবের পাশে দাঁড়ায় সবাই আগ্রহের দৃষ্টিতে চেয়ে আছে গাড়ির দিকে, গাড়ি থেকে একটা আগন্তুক নামে যার পরণে সাদা কালারের একটা কোর্ট, লম্বা হুড ওয়ালা টুপি, মুখে সিগারেট ঝুলছে, বড় টুপি টার জন্য মুখটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। গাড়ি থেকে আরেক টা আগন্তুক নামে যার পরণে মাফিয়া বান্ডেল, একই রকম ভঙ্গিতে হেটে রাজদের সামনে এসে দাঁড়ায়। কেউ বুঝতে পারছে না কারা এই আগন্তুক আর এখানে কি উদ্দেশ্য এসেছে। নিঃশব্দ পরিবেশে শুধু শোনা যাচ্ছে উপস্থিত মানুষগুলোর ঘনঘন শ্বাস নেওয়ার শব্দ। নিরবতা ভেঙে দ্বিতীয় আগন্তুক টা মাথা থেকে হুড ওয়ালা টুপি টা সরায়।
• আগন্তুক টা কে দেখে রাফি জোরেই বলে -- রিয়াজ তুই। (রাফি)
• হু আমি ( রিয়াজ )
• রাফি জোরে হেসে বলে -- এসে গেছে আমার ছোট ভাই, এবার খেলাটা খেলতে আমার দারুণ মজা হবে। (রাফি)
• রাফির কথা শুনে রিয়াজ হাসে। রাফিন ভাই আমি তোমার জন্য আসি নি,, এসেছি ছোট একটা মাইন্ড গেম খেলতে। সব সময় তুমাদের সাথে কাজ করেছি দেখেছি তুমাদের মাস্টার মাইন্ড গেম, কত সুক্ষ্ম ভাবে খেলো। সবাই তুমাদের নাম শুনলে ভয় পায় কিন্তু আমাদের কেউ মানে না। আমার চাই ক্ষমতা, পাওয়ার যেটা পেতে হলে তুমাদের সরাতে হবে তাই ছোট একটা মাইন্ড গেম খেলতে চলে এলাম। (রিয়াজ)
• রিয়াজের কথা শুনে রাজ অবাক হয়ে বলে -- রিয়াজ ক্ষমতা লাগলে আমাকে বলতি দিয়ে দিতাম কিন্তু পিছন থেকে বেইমানি টা না করলেও পারতি। আমার সাথে শত্রুতা করিস না রিয়াজ, পিস্তল টা তরই থাকবে আর লাশ টা তর পাওয়া যাবে,, আমি আমার শত্রু কে খুবই কষ্ট দিয়ে মারি। (রাজ)
• রিয়াজের পাশে থাকা সাদা কোর্ট পরা আগন্তুক টা অর্ধেক পোড়া সিগারেট টা মাটিতে ফেলে বলতে থাকে -- মাইন্ড গেম,, হাহাহহাহহা কত বছরের অপেক্ষায় আজ আমার গেম টা সম্পূর্ণ হবে। মাস্তানি জগৎের মাফিয়া কিং হতে চেয়েছি কিন্তু কিছু বন্ধু নামক শত্রুর জন্য তা পারি নি। আজ আমার সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দিন চলে এসেছে। আজ হবে ফাইনাল মাইন্ড গেম খেলা যে যত বেশি মাইন্ড গেম খেলবে তার হবে জয় আর যে পারবে না তার হবে মৃত্যু। (আগন্তুক)
• মেহেরাবের কাছে আগন্তুকের গলার কন্ঠ খুবই পরিচিত মনে হচ্ছে তাই সে আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে -- কে তুই আর কিসের মাইন্ড গেমের কথা বলছিস। (মেহেরাব)
• আগন্তুক টা একটু শব্দ করে হেসে মাথার হুড ওয়ালা টুপি টা সরায় -- মুখে ক্লিন শেপ দেওয়া মুখটা শ্যামলা বর্ণের, ঠোঁট গুলো অনেক কালো মনে হয়, দিনে অনেক সিগারেট টানে। আগন্তুকের চেহারা দেখে কম বেশি সবাই অবাক হয়ে চয়ে আছে -- হাই গায়েজ আই এম আনাফ,, যাকে সবাই ঢাকার টপ বিজনেসম্যান আনাফ চৌধুরী বলে জানে কিন্তু বিজনেস ছাড়া আমার একটা আলাদা জগৎ আছে তা কেবল আমিই জানি। ( আনাফ)
• রাফি অনেক টা অবাক হয়ে বলে -- আনাফ সাহেব আপনি এটা কিভাবে সম্ভব। (রাফি)
• হাহাহাহাহা,,, হে আমি অবাক হয়েছিস মনে হয়। পৃথিবীতে মানুষের কাছে অসম্ভব বলতে কিছু নেই। আমি মাফিয়া কিং হওয়ার জন্য দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ধরে মাইন্ড গেম খেলে আসছি কিন্তু হঠাৎ ই রাফিন আর রাফসান নামক দুইটা ছেলে আমার সেই তৈরী করা সিংহাসন নিজের আয়ত্তে করে নেই। ( আনাফ)
• সবাই আগ্রহের দৃষ্টিতে আনাফের দিকে চেয়ে আছে,, আনাফ কি বলতে চলছে এটা জানার সবারই অনেক ইচ্ছা........
@@@ চলবে @@@
“ গল্প টা দিতে দেরি হচ্ছে কারণ এই গল্প টা চুরি করে কেউ নাম চেইঞ্জ করে YouTube এ আপলোড দিচ্ছে। আর পরের পাঠ টা দিতে দেরি হবে। কারো সাড়া পাচ্ছি না এটা হলো বড় কথা ”
wait for the next part.