Friday, July 16, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড-- পর্ব-২৪---RAJA Bhuiya. (মি : 440)

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



#খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

# RAJA Bhuiyan.(মি.440)

# পর্ব:>> ২৪ <<


................


সাদা কালারের গাড়ি থেকে  কালো কোর্ট পড়া একটা আগন্তুক নামে মাথায় বড় লম্বা হুড ওয়ালা  টুপি পড়ানোর যার জন্য মুখটা বোজা যাচ্ছে না মুখে সিগারেট লাগিয়ে রাজদের কাছে আসতে থাকে। একটা ছেলে চেয়ার এনে দিলে আগন্তুক টা পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট টানতে থাকে। এবার আগন্তুক টা তার লম্বা টুপি টা হালকা সরিয়ে রাজের দিকে তাকায়।


• রাজ অবাক হয়ে যায়, মুখ ফুটে বলে ‘ মেহেরাব ’।(রাজ)


• মেহেরাব হাসতে থাকে আর রাজ কে বলতে থাকে--রাজ তকে একদিন চ্যালেন্স করে বলছিলাম , আমার সাথে মাইন্ড গেম খেলতে তুইও রাজি হয়ে গেলি বাছ শুরু করলাম মাস্টার মাইন্ড গেম খেলা। আসলে আমি অনেক টা বোকা, না হলে পাঁচ বছর ধরে যাকে ধরার জন্য এত কিছু করছি সে আমাকে বোকা বানিয়ে আমার সাথে আমার বাসায় থেকেছে অথচ আমি তা বুঝতেও পারি নি। তুই ভালোই খেলছিলি কিন্তু একটা জায়গায় এসে ভুলটা করে ফেলেছিস জানিস কোনটা শুন তাহলে-- সাব্বিরের লাশের পাশে দুইটা মারবেল পাওয়া যায় যেটা আমি আর সাইফুল ছাড়া কেউ জানতো না। আমি জানতাম রাফসান তার মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য দু হাতে দুইটা মারবেল ব্যবহার করতো, তাই আমি শিউর হই যে সাব্বিরের খুন টা রাফসানই করছে। আমি প্রতিদিন ই লক্ষ্য করতাম তর বাম হাতে সবসময় দুইটা মারবেল থাকতো মাঝে মধ্যে তর কেবিনে গেলেও মারবেল তর টেবিলের উপর রাখা থাকতো কিন্তু আমি বুঝতে পারি নি যে তুই ছিলি আসল খুনি। ইকবালের কিছু কথায় তর উপর আমার সন্দেহ হয় তাই তর কেবিনে গিয়ে তর কিছু কথা শুনে ফেলি আর তর উপর আমার সন্দেহের জাল বিছিয়ে দেই। ফরহাদ তকে এই শহরে পাঠিয়েছে, হঠাৎ কেনো পাঠালো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। আমি চিন্তা করতে থাকলাম যে ফরহাদ এত অল্প বয়সে কিভাবে সিএম হলো। তাই ফরহাদের সম্পর্কে তথ্য বের করতে থাকলাম কিন্তু ফরহাদের কোনো বেজাল ছিলো না,,তবে ফরহাদও একটা ভুল করে ফেলে, যেটা আমার জন্য রহস্য উন্মোচন করার এক ধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করে,, ভুল টা হলো-- কিছু সার্টিফিকেট এ তার ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দেওয়া। খুনির পিছনে আর নিজের মাইন্ড গেম টা খেলাতে চাই না, বন্ধ দিলাম কিছুদিনের জন্য লেগে পড়লাম ফরহাদের পিছনে আর তার সম্পর্কে সব তথ্য পেয়ে যাই। ফরহাদের সাথে একটা পারসোনাল মিটিং এর আয়োজন করলাম,, ফরহাদও রাজি হয়ে গেলো, এক এক করে যখন সব তথ্য ফরহাদের সামনে রাখতে শুরু করি সে এটা দেখে ঘাবরে যায়। আমি তাকে একটা অফার করি, রাফসান আর রাফিন কে আমাট চাই এর বদলে আমার কছে যতগুলো তথ্য আছে সব গুলো তাকে দিয়ে দিবো। (মেহেরাব)


* মেহেরাব কথা গুলো বলে এভার থামে হাতে থাকা সিগারেট টা শেষ হয়ে আসছে মেহেরাব আরেক টা টান দিয়ে শেষ অংশ টুকু মাটিতে ফেলে দেয় * মেহেরাবের কথা শুনে রাজ অবাক হয়ে যায় কারণ সে মেহেরাব কে যতটা বোকা ভেবেছিলো তত টা সে না। রাজ নিজেকে কেমন যেন একাকিত্ব অনুভব করছে যেন আজ তার মাইন্ড গেম খেলার দিন। এত দিন সে সবাইকে মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে ব্যবহার করতো কিন্তু আজ নিজের অজান্তেই সে আরেক জনের মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে চলছে। রাজ এখন বেঁচে যাবে, যদি সে তার শেষের মাস্টার মাইন্ড গেমের গুটি টা চালতে পারে। রাজ হিহিহিহিহি করে হেসে সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে --


• আমাকে এখনই মেরে দে, আমি যদি কোনো ভাবে বেঁচে যাই তাহলে কিন্তু একটাকেও ছাড়বো না  সব কটাকে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত হতে ধরে নিয়ে আসবো। পিস্তলের বুলেট মিস হতে পারে কিন্তু এই রাফসানের কথা কখনো মিস হয় না,,তাই বলছি আমাকে মেরে দে। (রাজ)


• ফরহাদ হাসতে হাসতে বলে -- রাফসান তর যেমন রক্তের নেশা, ঠিক তেমনই ক্ষমতা টা আমার কাছে নেশা। মেহেরাবের ডিল টা আমার কাছে ভালো লেগেছিলো, যার কারণে তর সাথে হালকা মাইন্ড গেম আর বেইমানী টা করলাম। আমি জানি তুই ঠান্ডা মাথার খেলোয়ার কিন্তু আজ তর কোনো মাইন্ড গেমই কাজে আসবে না। পাশে দেখছিস কতো বডিগার্ড আছে দূর থেকে স্নাইপার ফিট করা,, হয়তো একটা বুলেটই যথেষ্ট তর মতো মাফিয়া কে মারার জন্য। (ফরহাদ)


• হিহিহিহিহি.... তুই জানিস বেইমান আমার পছন্দ না আমি বেইমান কে খুবই কষ্ট দিয়ে মারি। আর রাফসান সব জায়গায় তার মাইন্ড গেম খেলতে প্রস্তুত। আমি আমার শত্রু কে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেই কিন্তু বেইমান কে কোনো সুযোগ দেই না। রাফিন চলে এলে তরা আর কিছু করতে পারবি না এখনই আমাকে মেরে দে। (রাজ)


• রাফসান তর জন্য আমার অনেক কষ্ট লাগছে,, কেমন করে নিজের হাতে তদের দুটা কে মারবো, এক সাথে গ্যাং লিড দিতাম কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে আমি তদের সাথে বেইমানি করলাম। সুযোগ তৈরী করে তদের সাথে ছোট একটা মাইন্ড গেম খেললাম। (সালমান)


“ রাফি তার গাড়িটা রাস্তার পাশে দাঁড় করায়, গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশে তাকায়, কিছু কালো কোর্ট পরা ছেলে হাতে AK 47  নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দূরে তিনটা গাড়ি রাখা আছে একটা গাড়ির আলো জ্বালানো সেই আলোয় স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে একজন কে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছ, তার সামনে তিনজন বসে বসে সিগারেট টানছে,,হয়তো কোনো আগন্তুকের অপেক্ষায় বসে আছে। রাফি তার হাতের পিস্তল টা রিলোড দিয়ে পিছনে পেন্টের গুজেঁ। রাফি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এমন সময় তার সামনে স্নাইপারের বুলেট এসে পরে রাফি দু পা পিছিয়ে যায়, আশেপাশে তাকায় দেখে একটা ছেলে হাতের ইশারায় তাকে জিজ্ঞেস করছে, রাফির পরিচয়  রাফি কিছু না বলে চেয়ারে বসে থাকা লোকগুলোর কাছে যায়। চেয়ারে বেঁধে রাখা ছেলেটা মাথাটা নিচু করে বসে আছে, এবার হালকা করে সে তার মাথাটা উচু করে। রাফি অবাক হয়ে যায় রাজকে এভাবে বাঁধা অবস্থায় দেখে,, দৌড়ে রাজের কাছে যায়। ”


• রাজ আগন্তুক টা কে দেখে জোরে জোরে হাসতে হাসতে ফরহাদ, সালমান, মেহেরাব কে উদ্দেশ্য করে বলে -- মারতে পারলি না আর আমাকে , অনেক সময় দিয়েছি কিন্তু মাইন্ড গেম খেলার জন্য আমাকে মারলি না। এবার আর আমি সেই ভুল করবো না, আমার পিস্তল থেকে তিনটা বুলেট বের হবে সে গুলো সব তদের তিনটার কপালে। নো মোর চান্স। (রাজ)


• রাজের এমন জোরে জোরে হাসা আর কথা গুলো শুনে সবাই আগন্তুক টার দিকে তাকায় দেখে, লম্বা কালো কোর্ট, মুখে কাটা মাক্স, আঙুল বের করা কালো মুজা, মাথায় বড় হুড ওয়ালা টুপি, যার জন্য মুখ টা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। আগন্তুক টা মাফিয়াদের স্টাইলে সিগারেট টানছে। কেউ বুঝতে পারছে না কে এই অচেনা অজানা আগন্তুক। তাই সালমান চিৎকার দিয়ে বলে-- ফরহাদ এটা রাফিন আমি ওকে দেখি নি কিন্তু তার আগমন সম্পর্কে আমার অজানা নয় । (সালমান)


• হিহিহিহিহিহি....আমি এম  রাফিন মাস্টার  মাইন্ড গেমার ইন মাফিয়া সিটি। এই শহরে কোনো এক মাস্টার মাইন্ড গেম খেলতে ছদ্মবেশ নিয়ে আসা। কথাটা বলে রাফি তার কাটা মাক্স টা হালকা সরায়,, সবাই রাফিকে দেখে অবাক হয়ে যায়। রাফি মুচকি হেসে বলে -- আমি জানি সবাই আমাকে দেখেছো কিন্তু তখনকার পরিচয় টা ছিলো অন্য, গরীব, ক্ষেত বোকা ছেলে যার নাম রাফি। (রাফি)


• রাফির কথা শুনে সালমান অবাক কারণ ভার্সিটির কোনো এক ঝামেলার জন্য সালমান ভার্সিটিতে যায় আর সেখানেই রাফিকে ক্ষেত স্টাইলে দেখে কিন্তু সে বুঝতে পারছিলো না যে সেই ক্ষেত ছেলেটাই মাফিয়া সিটির মাইন্ড গেমার। সালমান হাহাহাহাহা করে হাসতে হাসতে বলে -- তকে ভার্সিটিতে গরীব ক্ষেত অবস্থায় দেখেছি কিন্তু আজ তর এমন অবাক করা স্টাইল দেখে আমি আসলেই বোকা হয়ে গেছি। (সালমান)


• মেহেরাব নিজেও প্রায় অবাক কারণ সে রাফি কে আগে থেকে চিনতো,, কোনো এক বৃষ্টির দিন রাফির সাথে মেহেরাবের পরিচয় হয়, মেহেরাব কে ছাতা দিয়ে সাহায্য করেছিলো রাফি।  সেদিন কার রাফি ছিলো বোকা গরীব কিন্তু আজ তার এমন অবাক করা আগমনে সত্যি মেহেরাব অবাক হয়ে গেছে। তাই সে রাফি কে উদ্দেশ্য করে  বলে -- আসলেই তুই ভালো একটা মাইন্ড গেমার কিন্তু আজ সেই মাইন্ড গেম দিয়ে কিছু হবে না। আমার হাতের  একটা ইশারায় তদের দুজনেরই মৃত্যে হয়ে যাবে, কিন্তু আমার তর সাথে মাইন্ড গেম খেলার অনেক দিনের ইচ্ছে। আমি যাদের ধরার জন্য পাঁচ বছর ধরে পিছনে পরে আছি তারা সবাই আমার সাথে দেখা করেছে আমার বাসায় থেকেছে অথচ আমি ধরতেই পারি নি। (মেহেরাব)


• হিহিহিহিহিহি......মাইন্ড গেম বলে সিগারেটে আরেকটা টান দেয় -- মাইন্ড গেম কথা টা অতি ক্ষুদ্র কিন্তু এর ব্যাখা টা অনেক বড়। আমি সবাই কে আমার মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে  ব্যাবহার করি। কথাটা বলে রাফি পিছন থেকে পিস্তল টা বের করে মেহেরাবের দিকে তাক করে বলে -- তকেও আমার মাইন্ড গেমের গুটি হিসেবে ব্যাবহার করেছি তাও আবার তর নিজের অজান্তেই। শুনবি কিভাবে,, তকে সেই দিন বৃষ্টিতে পড়তে হলো কারণ তর গাড়ি টা আমার একটা লোক নষ্ট করে দেয় যার কারণে তুই বাস দিয়ে বসায় যাবি আমি তকে ফলো করি চেয়েছিলাম অন্য কোনো ভাবে তর সাথে পরিচয় হবো কিন্তু আমার ভাগ্য টা ভালো ছিলো যার কারণে বৃষ্টির জন্য আমার ছাতা দিয়ে তর সাথে পরিচয় হলাম। আমি জানতাম ভার্সিটিতে কোনো ঝামেলা করলে আমাকে তর থানায় নিয়ে যাবে আর তর উপকার করেছি বলে তুই আমাকে তেমন কিছু বলবি না তুইও আমাকে সাহায্য করবি। কেমন খেল্লাম তর সাথে মাইন্ড গেম। (রাফি)


“ রাফি রিলোড দেওয়া পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই একটা সাইলেন্সার লাগানো স্নাইপারের বুলেট এসে রাফির পিস্তলে লাগে। রাফির হাতের পিস্তল টা খানিকটা দূরে যেয়ে পরে। সবাই অবাক কোথা থেকে স্নাইপারের বুলেট এসে লাগলো আর মেহেরাব কে বাঁচিয়ে দিলো। মেহেরাব জোরে জোরে হাসতে থাকে, হঠাৎ ই যেন জায়গা টা নিস্তব্ধতা হয়ে গেছে,, রাফি যেয়ে রাজের বাঁধন টা খুলে দেয় কেউ কিছু বলে না। রাজ কোনোমতে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় চোখে মুখে তার ক্লান্তি ছেয়ে গেছে রাফি পকেট থেকে একটা সিগারেটের পেকেট বের করে তার থেকে একটা সিগারেট রাজের ঠোঁটে দেয়,, লাইটার দিয়ে সিগারেটে আগুন জ্বালায়। কোথা থেকে যেন স্নাইপার চালানো হচ্ছে স্নাইপারের বুক কাঁপানো আওয়াজে চমকে উঠে সবাই, স্নাইপারের দুইটা  বুলেট এসে লাগে পাশে AK 47 নিয়ে দাঁড়ানো দুইটা বডিগার্ডের কপালে। ফরহাদ, সালমান, মেহেরাব বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়, রাফির দিকে চেয়ে দেখে রহস্যময় ছেলেটা কেমন যেন উৎফুল্ল ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে। চারপাশে পিন পিন নিরবতা বিরাজ করছে দূর থেকে দেখা যাচ্ছে একটা ব্ল্যাক কালারের গাড়ি এদিকেই আসছে,, গাড়িটা এসে মেহেরাবের পাশে দাঁড়ায় সবাই আগ্রহের দৃষ্টিতে চেয়ে আছে গাড়ির দিকে, গাড়ি থেকে একটা আগন্তুক নামে যার পরণে সাদা কালারের একটা কোর্ট, লম্বা হুড ওয়ালা টুপি, মুখে সিগারেট ঝুলছে, বড় টুপি টার জন্য মুখটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না। গাড়ি থেকে আরেক টা আগন্তুক নামে যার পরণে মাফিয়া বান্ডেল, একই রকম ভঙ্গিতে হেটে রাজদের সামনে এসে দাঁড়ায়। কেউ বুঝতে পারছে না কারা এই আগন্তুক আর এখানে কি উদ্দেশ্য এসেছে। নিঃশব্দ পরিবেশে শুধু শোনা যাচ্ছে উপস্থিত মানুষগুলোর ঘনঘন শ্বাস নেওয়ার শব্দ। নিরবতা ভেঙে দ্বিতীয় আগন্তুক টা মাথা থেকে হুড ওয়ালা টুপি টা সরায়।


• আগন্তুক টা কে দেখে রাফি জোরেই বলে -- রিয়াজ তুই। (রাফি)


• হু আমি  ( রিয়াজ ) 


• রাফি জোরে হেসে বলে -- এসে গেছে আমার ছোট ভাই, এবার খেলাটা খেলতে আমার দারুণ মজা হবে। (রাফি)


• রাফির কথা শুনে রিয়াজ হাসে। রাফিন ভাই আমি তোমার জন্য আসি নি,, এসেছি ছোট একটা মাইন্ড গেম খেলতে। সব সময় তুমাদের সাথে কাজ করেছি দেখেছি তুমাদের মাস্টার মাইন্ড গেম, কত সুক্ষ্ম ভাবে খেলো। সবাই তুমাদের নাম শুনলে ভয় পায় কিন্তু আমাদের কেউ মানে না। আমার চাই ক্ষমতা, পাওয়ার যেটা পেতে হলে তুমাদের সরাতে হবে তাই ছোট একটা মাইন্ড গেম খেলতে চলে এলাম। (রিয়াজ)


• রিয়াজের কথা শুনে রাজ অবাক হয়ে বলে -- রিয়াজ ক্ষমতা লাগলে আমাকে বলতি দিয়ে দিতাম কিন্তু পিছন থেকে বেইমানি টা না করলেও পারতি। আমার সাথে শত্রুতা করিস না রিয়াজ, পিস্তল টা তরই থাকবে আর লাশ টা তর পাওয়া যাবে,, আমি আমার শত্রু কে খুবই কষ্ট দিয়ে মারি।  (রাজ)


• রিয়াজের পাশে থাকা সাদা কোর্ট পরা আগন্তুক টা অর্ধেক পোড়া  সিগারেট টা মাটিতে ফেলে বলতে থাকে -- মাইন্ড গেম,, হাহাহহাহহা কত বছরের অপেক্ষায় আজ আমার গেম টা সম্পূর্ণ হবে। মাস্তানি জগৎের মাফিয়া কিং হতে চেয়েছি কিন্তু কিছু বন্ধু নামক শত্রুর জন্য তা পারি নি। আজ আমার সেই অনাকাঙ্ক্ষিত দিন চলে এসেছে। আজ হবে ফাইনাল মাইন্ড গেম খেলা যে যত বেশি মাইন্ড গেম খেলবে তার হবে জয় আর যে পারবে না তার হবে মৃত্যু। (আগন্তুক) 


• মেহেরাবের কাছে আগন্তুকের গলার কন্ঠ খুবই পরিচিত মনে হচ্ছে তাই সে আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে -- কে তুই আর কিসের মাইন্ড গেমের কথা বলছিস। (মেহেরাব)


• আগন্তুক টা একটু শব্দ করে হেসে মাথার হুড ওয়ালা টুপি টা সরায় -- মুখে ক্লিন শেপ দেওয়া মুখটা শ্যামলা বর্ণের, ঠোঁট গুলো অনেক কালো মনে হয়, দিনে অনেক সিগারেট টানে। আগন্তুকের চেহারা দেখে কম বেশি সবাই অবাক হয়ে চয়ে আছে -- হাই গায়েজ আই এম আনাফ,, যাকে সবাই ঢাকার টপ বিজনেসম্যান আনাফ চৌধুরী বলে জানে কিন্তু বিজনেস ছাড়া আমার একটা আলাদা জগৎ আছে তা কেবল আমিই জানি। ( আনাফ)


• রাফি অনেক টা অবাক হয়ে বলে -- আনাফ সাহেব আপনি এটা কিভাবে সম্ভব। (রাফি)


• হাহাহাহাহা,,, হে আমি অবাক হয়েছিস মনে হয়। পৃথিবীতে মানুষের কাছে অসম্ভব বলতে কিছু নেই। আমি মাফিয়া কিং হওয়ার জন্য দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ধরে মাইন্ড গেম খেলে আসছি কিন্তু হঠাৎ ই  রাফিন আর রাফসান নামক দুইটা ছেলে আমার সেই তৈরী করা সিংহাসন নিজের আয়ত্তে করে নেই। ( আনাফ)


• সবাই আগ্রহের দৃষ্টিতে আনাফের দিকে চেয়ে আছে,, আনাফ কি বলতে চলছে এটা জানার সবারই অনেক ইচ্ছা........ 


@@@ চলবে @@@


“ গল্প টা দিতে দেরি হচ্ছে কারণ এই গল্প টা চুরি করে কেউ নাম চেইঞ্জ করে YouTube  এ আপলোড দিচ্ছে। আর পরের পাঠ টা দিতে দেরি হবে। কারো সাড়া পাচ্ছি না এটা হলো বড় কথা ”


wait for the next part.

Sunday, July 4, 2021

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব:-২৩ --RAJA Bhuiya.(মি.440)

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



# খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

#লেখক: RAJA Bhuiyan. (মি.440)


পর্বঃ >> ২৩ <<

..................




“ আপু আপনি এত রাতে আমার রুমে কি করছেন ”কথা টা বলে রাফি উওরের অপেক্ষায় চেয়ে থাকে নুসরাতের দিকে। 


নুসরাত আজ অনেক কিছু জানার জন্য রাফির কাছে আসে,, কিন্তু এসে দেখে রাফি রুমে নেই তাই সে নিজেই রুমে ডুকে রাফির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।কিছুক্ষন পর রাফি রুমে প্রবেশ করলে নুসরাত কে দেখে কথাটা বলে। রাফির কথা শুনে নুসরাত অবাক হলো না। নুসরাত মুচকি হেসে বলে-- আমাকে আপু বলা লাগবে না। আর এখন রাত কোথায় তর জন্য তো এটা সকালই।(নুসরাত) 



• রাফি একটু অবাক হয়ে বলে-- আপনি আমার বড়,,আবার বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে আপনাকে আপু না বল্লে আর কি বলবো। আমার জন্য এখন সকাল হতে যাবে কোনো,,আপনার জন্য রাত যা আমার জন্যও তো একই। সবচেয়ে বড় কথা হলো আপনি বন্ধ রুমে ডুকলেন কি করে। (রাফি)



• নুসরাত রাফির মুখের সামনে চাবির ছড়াটা ঝাকাতে ঝাকাতে বলে--রাফি আমার মনে হয় না আমি তর থেকে বেশি ধনী হবো। এই চাবি টা দেখছিস এটা দিয়ে রুমে ডুকেছি,, তর সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। (নুসরাত)



• রাফি বলে-- জ্বি আপু বলেন কি গুরুত্বপূর্ণ কথা। 




• নুসরাত বিছানার উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় আরেকটা সিগারেট রাফির দিকে ঢিল দেয়। রাফি সিগারেট টা ঠোঁটে চাপে আর পাশে থাকা চেয়ার টা টেনে বসে পরে। নুসরাত হেসে বলে - তাহলে রাফিন কি অবস্থা তর।(নুসরাত) 



• রাফি চমকে উঠে কথাটা শুনে-- আমতা আমতা করে বলে- আপু রাফিন কে।(রাফি)




• নুসরাত ধোঁয়া গুলো উপরের দিকে ছেড়ে বলে-- আমি জানি তুই রাফি না রাফিন যে কি না রাফিয়ান শহরের মাইন্ড গেমার। কথাটা বলে নুসরাত বিছানার পাশ থেকে ব্যাগ টা বের করে রাফির সামনে রাখে। রাফি কি বলনে বুঝতে পারছে না সে তার মাথাটা ঠান্ডা করে নুসরাত কে বলে-- আপু আমি রাফিন হতে যাবো কেন আমি তো রাফি আর আপনি আমার ব্যাগ ধরছেন কেনো।(রাফি)



• রাফিন আমি সব জেনে গেছি আর তর ব্যাগ তো আমি আগেই চেক করেছি। হঠাৎ ভার্সিটিতে ২য় বর্ষে ক্ষেত গরীব একটা ছেলে ভর্তি হয় যার রেজাল্ট খুবই খাবাপ আবার ভার্সিটির ভিপি রাকিব ভাই তকে দেখে ভয় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা,, ঐই দিন সজিব যখন তকে র্যাগ দেয় তখন কেউ কিছু বল্লো না কিন্তু পুলিশ অফিসার তকে বাচিয়ে নিলো তুই সেটা দেখে মুচকি হেসেছিলি,,পরের দিন সকালে সজিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, কিন্তু তিন ধরে তকে আর দেখা যায় না, আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঐই দিন রাতে জঙ্গলে ছেলেগুলো কে মারার সময় আমিই গাছের আরালে দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখছিলাম,,তো মি. রাফিন তুই এখন যতই না করিস বা নাটক করিস এখন লাভ হবে না কারণ তুই ধরা পরে গেছিস। কথাটা বলে জোরে সিগারেটে একটা টান দেয় নুসরাত। রাফি সময় নষ্ট করতে চায় না তাই পিছন থেকে গান টা বের করে নুসরাতের মাথার দিকে তাক করে, সিগারেট টা টান দেয়। ট্রিগারে চাপ দিবে কিন্তু তা আর পারে না এর আগেই নুসরাত চোখের পলকে রাফির হাত থেকে গান টা নিয়ে রাফির কপাল বরাবর তাক করে। রাফির কেবল মুখ টা হা হয়ে যায়,, এমন ভাবে তার হাত থেকে গান টা নিয়ে নিবে ভাবতে পারে নি রাফি। নুসরাতের মোবাইলে একটা মেসেজ আসে, বিছানার উপর থেকে মোবাইল টা নিয়ে মেসেজ টা পড়তে থাকে,, মেসেজ টা পড়া শেষ হলে নুসরাত জোরে জোরে হাসতে থাকে আর বলতে থাকে, আমি মাইন্ড গেম খেলতে ভালোবাসি না তবে যারা মাইন্ড গেম খেলে  তাদের খুঁজে বের করা  আমার কাজ তকে একটা সুযোগ দিলাম, দ্বিতীয় বার সুযোগ টা নাও পেতে পারিস।(নুসরাত) 




• নুসরাত বাইরে চলে যাবে এমন সময় রাফি হাসতে হাসতে বলে-- রাফিন কে সুযোগ দেওয়ার মতো কেউ এখনো জন্ম নেয় নি, এখন তর সাথে একটা ছোট মাইন্ড গেম খেল্লাম জানিস সেটা কেমন কথাটা বলে বিছানার উপর থেকে গান টা নিয়ে গুলি করে কিন্তু কোনো বুলেট বের হয় না আবারও তিনটা গুলি করে কিন্তু সব গুলো গুলিই মিস ফায়ার হয়। নুসরাত বুঝতে পারছে না কেনো পিস্তল থেকে বুলেট বের হলো না। রাফি মুচকি হেসে বলে-- অবাক হচ্ছিস তাই তো কেনো বুলেট বের হয় নি তার কারণ এই পিস্তলে কোনো বুলেট ছিলো না,,এটাই আমার মাইন্ড গেম আর না শিখিয়া ওস্তাদি করিও না।(রাফি)




• নুসরাত রাফির মাস্টার মাইন্ড গেম দেখে অবাক হয়ে যায়। নুসরাত রাফিকে বলে-- রাফসান কে বাঁচাতে চলে যা। কথাট বলে দাঁড়ায় না আর চলে যায় নুসরাত। রাফি পিছনে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকে কি বলে গেলো নুসরাত। রাফি পেকেট থেকে মোবাইল ফোন টা বের করে কাকে যেন কল দেয় কিন্তু ঐই পাশের মোবাইলটা বন্ধ দেখাচ্ছে রাফি অস্থির হয়ে যায়।




..



 “ ভাইয়া তুমি এখানে এসো না, মেরে ফেলবে তুমাকে রাফসান ভাই কে নিয়ে চলে গেছে ” 


রাফি উওেজিত হয়ে সাকিব কে ফোন দেয়,, তিন বার রিং হওয়ার পর সাকিব ফোন ধরে কান্না করে কথা গুলো বলতে থাকে। রাফির বুকের ভিতর ধুকপুক ধুকপুক করছে হালকা ভয়ের আভাস পাচ্ছে সে হয়তো আজই শেষ হতে যাচ্ছে মাস্টার মাইন্ড গেমের গুটির তালিকা। রাফি আনাফ সাহেবের বাসা থেকে বেড়িয়ে পরে সাকিবদের উদ্দেশ্য,, প্রতিদিনের মতো  আজও রাফির জন্য একটা কালো রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। রাফি দেড়ি করতে চায় না গাড়ির ভিতর বসে পরে গন্তব্য এখন সাকিবদের কাছে,,রাতের হালকা চাঁদের আলোয় বুঝা যাচ্ছে সামনে কিছু লোক রাস্তায়  শুয়ে আছে, রাফি গাড়ি থেকে নেমে গান টা হাতে নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়,,যেয়ে এমন একটা দৃশ্য দেখার জন্য সে প্রস্তুত ছিলো না। আজমির কে কেউ গুলি করে মেরে দিয়েছে, ওসমানের শরীর খেকে মাথাটা আলাদা করা, রফিকের বুকে মধ্যে কেউ ছুরি দিয়ে অনেক গুলো আঘাত করেছে, সাকিব কে হাতে পায়ে গুলি করা হয়েছে, রাফি সাকিব কে ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে থাকে সাকিব রক্ত মাখা মুখ দিয়ে হালকা করে ছোট একটা হাসি দিয়ে বলে-- ভাইয়া তুমাদের সাথে অনেক দিন কাজ করছি আমাদের অনেক স্নেহ করেছো কিন্তু আমরা রাফসান ভাইকে বাঁচাতে পারলাম না তুমি চলে যাও শহর থেকে ওরা সবাই তুমাকে মেরে দিবে চলে যাও। (সাকিব)




• রাফি জোরে চিৎকার করে বলে-- সাকিব কিছু হবে না তর আমি তকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো, বলেই সাকিব কে পাজা কোলে উঠাতে যাবে, তখন কোথা থেকে যেন একটা স্নাইপারের বুলেট এসে সাকিবের শরীরে লাগে,, সাকিব জোরে চিৎকার দিয়ে বলে-- ভাইয়া কোনো বেইমান কে বাঁচতে দিবে নাহ..... সাকিব আর কিছু বলতে পারে না, রাফির কোলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায়। রাফি জোরে চিৎকার দিয়ে কান্না করে দেয় কারণ রাফি আর রাফসান সবাইকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতো কিন্তু আজ এমন একটা দিন দেখতে হবে ভাবতেই পারছে না রাফি, অজরে কান্না করতে থাকে। রাফির চোখ যায় দূরে পড়ে থাকা কাগজের টুকরার দিকে,, বসা থেকে উঠে কাগজটা হাতে নেয়, পাশে আবার একটা ভয়ংকর ট্যাটু আঁকা যার ব্যাখা রাফির ভালো করেই জানা।



“ মাইন্ড গেম খেলতে ভালোবাসি আমি আবার খেলাতেও ভালোবাসি,, হবে আজ গেম বেঁচে থাকবে আসল মাফিয়া যার অস্তিত্ব ছড়িয়ে যাবে সবখানে ”... হিহিহিহিহি



কাগজের রহস্যময় কথা পড়ে রাফি ভাবতে থাকে কে লিখলো কথা গুলো কাগজের পিছনের দিকে একটা ঠিকানা দেওয়া আছে রাফি রওনা দেয় ঠিকানার উদ্দেশ্য......... 




.......




 পূর্নিমার আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে হিমেল হাওয়ার গতিবেগ পরিবর্তন হচ্ছে,, চাঁদের আলোয় রাজের জ্ঞান ফিরে নিজেকে চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় আবিষ্কার করে সে। চোখ জোরা দিয়ে চারিদিকের পরিবেশ টা দেখছে রাজ,, আশেপাশে কিছু গাছপালা আছে মধ্যে খোলা মাঠ চাঁদের আলোয় জায়গাটা অনেক টুকু স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে,, কিছু ছেলে হাতে AK47 নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, দূরে বসে আছে কিছু পরিচিত মুখ। রাজের চোখের সামনে সকালের দৃশ্য টা ভেসে উঠে,, পিছন থেকে কেউ শক্ত কিছু দিয়ে বারি দেওয়ার কারণে রাজ অজ্ঞান হয়ে যায়, এর পর কি হয়েছিলো জানা নেই রাজের। রাজের জ্ঞান ফিরেছে দেখে একটা ছেলে, সামনে বসে থাকা কালো পাঞ্জাবি পড়া আগন্তুক কে ডাক দেয়। আগন্তুক টা পিছন থেকে ডাক শুনে সেদিকে তাকায়,, আগন্তুক টা কে দেখে রাজের মুখ থেকে একটা শব্দ বেড়িয়ে আসে-‘ সালমান ’। রাজ যেন এটা বিশ্বাস ই করতে পারছে না সালমান তার সাথে এমন করবে,, রাজের কাছে মনে হচ্ছে সে শুধু শুধু মাইন্ড গেম খেলছে, নিজের কাছে কেমন যেন হিংস্রতা আর ভয় কাজ করছে কিন্তু শএুর সামনে তা প্রকাশ করা যাবে না। তাই রাজ দাঁতে দাঁত চেপে বলতে থাকে-- সালমান আমাকে এখানে ধরে আনার মানে কি, তুই জানিস না আমার এগুলো পছন্দ না।(রাজ)




• সালমান পিছন থেকে চেয়ার টা টেনে পায়ের উপর পা তুলে বসে,  সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালায় আর এক মনে টানতে থাকে, দুজন দুজনের অনেক পরিচিত মাস্তানী শহরের দুই সিংহ সামনাসামনি বসে আছে কারো পরিচয় এই শহরে পুলিশ অফিসার রাজ হিসেবে আবার আরেকজনের পরিচয় শহরের বড় সন্ত্রাস সালমান ভাই হিসেবে। সালমান হাসতে হাসতে বলে-- মাফিয়া কিং, রাফিয়ান সিটির কিং, মাস্টার মাইন্ড গেমার,(রাফসান ভাই) এখন বাঁধা  রক্তাত্ব শরীর নিয়ে  অামার সামনে বসে আছে। ভাবা যায় বিষয় টা যেখানে কি না রাফসান ভাই নিজের ভাগ্য টা নিজেই লেখে, কিন্তু আফসুসের বিষয় হলো নিজের মাইন্ড গেমে নিজেই ফেঁসে গেলে রাফসান ভাই,,কথাটা বলে হাসতে থাকে সালমান।( সালমান)




• সালমানের কথা শুনে রাজ মুচকি হাসে কিন্তু হাসিটা প্রকাশ করে না। সালমান কে উদ্দেশ্য করে বলে-- সালমান তুই হয়তো জানিস আমি কেমন মাইন্ড গেমার আমাকে বেকাপ দেওয়ার জন্য আমার পিছনে একটা BaD man আছে,,কিন্তু তর কিছু ছেলে আর কিছু অস্ত্র নিয়ে রাফসানের সাথে এসেছিস যুদ্ধ ঘোষণা করতে। সে আসবে আর আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে, সালমান আগের বার তকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেওয়াটা আমার বড় ভুল ছিল কিন্তু আমি এবার আর কোনো ভুল করতে চাই না। (রাজ)





• রাজের কথা শুনে বাঁকা হাসে সালমান। রাফিন মাস্তানী শহরের টপ মাস্টার মাইন্ড গেমার, যার মাইন্ড গেম দিয়ে রাফিয়ান জগৎের সমস্ত গুটি সাজানো হয়। রাফসানের ভাই, কিন্তু রাফসান কে অনেকে দেখে থাকলেও রাফিনকে খুবই কম দেখা যায়। যার আভাস পাওয়া যায় ঝড়ের বেগে,,  রাতের আধারের এসেই রাতের আধারের মিলিয়ে যায়,,মাস্তানী টাও যেন কম যানে না। সালমান রাফিন কে নিয়ে কিছুটা চিন্তিত কিন্তু রাজ কে তা বুঝতে দেওয়া যাবে না তাই সে বলে-- রাফিন,, হাহাহাহাহা.. আসলে আমি ভেবেছিলাম রাফিন হয়তো বড় মাইন্ড গেমার কিন্তু আসলে সে কোনো মাইন্ড গেমারই না,, ভুল ভুল আর অন্ধ বিশ্বাস করাটা জীবনের কোনো একটা সময় বড় সমস্যায় ফেলতে পারে। ঠিক তেমনই রাফিন কে একটা গোলক ধাঁধাঁর মধ্যে ফেলে দিয়েছি যা থেকে চাইলেও সে বেড়িয়ে আসতে পারবে না।(সালমান)



..



“ বেইমানি টা ভালোবাসার মানুষের সাথে করলে জমে না কিন্তু মাস্তানীর শহরে করলে সবচেয়ে বেশি মজা পাওয়া যায় ” 


পিছন থেকে কেউ কথাটা বলে, কন্ঠ টা রাজের অতি পরিচিত তাই সে মাথাটা হালকা ঘুড়ায়, মুখে লম্বা মোটা সিগারেট জ্বলছে , গলায় সোনালী কালারের মোটা চেইন, সাদা শার্ট হাতা গুলো ভাঙানো, চাঁদের আলোয় চেহারা টা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ছেলেটা ফরহাদ। রাজ অবাক হয়ে যায় ফরহাদ কে এখানে দেখে, তাহলে সেই দিনের রহস্যময় কথাটার মানে এটাই যে ফরহাদ ক্ষমতার লোভে রাজের সাথে বেইমানি করবে কিন্তু রাজ বুঝতে পারছিলো না ফরহাদ এমন একটা মাস্টার মাইন্ড খেল্লো তার সাথে। ফরহাদ সিগারেট টানতে টানতে সালমানের পাশে দাঁড়ায় পাশ থেকে একটা ছেলে চেয়ার এনে দিলে পায়ের উপর পা তুলে বসে। 



• কেমন লাগলো আমার মাইন্ড গেম টা। তর মাইন্ড গেম দিয়েই তকে নিজের  জালে ফাঁসিয়েছি।(ফরহাদ)




• রাজ রাগে বাম পা টা দিয়ে মাটিতে হিট করে বলতে থাকে -- ফরহাদ আমাকে এখনই মেরে দে নয়তো সময় যত বাড়বে আমার মাইন্ড গেম তত বেড়ে যাবে। হয়তো কিছুক্ষন পর এখানে কেউ বেঁচে থাকবি না,,তুই জানিস আমি শত্রু কে ছেড়ে দিলেও বিশ্বাসঘাতকে ছাড়ি না।(রাজ)




• সালমান আর ফরহাদ রাজের কনফিডেন্স দেখে হালকা অবাক হয় কিন্তু তা প্রকাশ করে না। সালমান হালকা হাসে, তুই চিন্তা করিস না রাফসান রাফিন আসলেই দুটা কে একেবারে মেরে দিবো। (সালমান)




• পৃথিবীতে সবাই ধোঁয়াসার মধ্যে বাস করি তুই হয়তো জানিস রাফসান আর রাফিন কে পিছন থেকে মারার সাহস সবারই থাকে কিন্তু সামনে এসে ফুলের টুকা দেওয়ার সাহস কারো নেই।(রাজ)




• কথাটা শুনে সালমান রেগে রাজের বাম গালে কষে একটা চড় মারে। রাজের গায়ে সকালের সাদা গেঞ্জি টা এখনো পরা, সাদা কালারের গেঞ্জি লাল রক্তের ছেয়ে গেছে। সালমানের চড় খেয়ে রাজের ঠোঁট কেটে রক্ত বের হতে থাকে, হালকা লম্বা চুল গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কপালের আশেপাশে মুখে হালকা বড় বড় ঘন কালো দাঁড়ি, মুখে লেগে আছে রক্ত এখন রাজকে পুরো মাস্তানী জগৎের রাফিয়ান মনে হচ্ছে। সালমানের চড় মারা দেখে ফরহাদ বলে-- বাচ্চা ছেলেকে কেউ এমন করে চড় দেয়, তুমিও না সালমান একে হাত দিয়ে মারবো না মাইন্ড দিয়ে মারবো তাহলেই মজা পাবো। (ফরহাদ)





• ফরহাদ স্যার ওনি এখনো আসছে না কেনো আমার আর ভালো লাগতেছে না মন চাচ্ছে এখনই মেরে দেই কুত্তার বাচ্চা টা কে। (সালমান)




• আরে সালমান অপেক্ষা করো জানো তো একটা কথা, অপেক্ষা করার ফল মিষ্টি হয়।(ফরহাদ)




* দূর থেকে গাড়িট হলদে আলোয় বুঝা যাচ্ছে কেউ আসতেছে। সাদা কালারের গাড়ি টা এসে রাজদের পাশে থামে গাড়ি থেকে একটা আগন্তুক নামে রাজ আগন্তুক টা কে দেখে অবাকের শেষ পর্যায় চলে গেছে. এমন একজন কে এখানে দেখবে ভাবতে পারছে না............




@@@ চলবে @@@





[ এই গল্প টা কিছু দিন বন্ধ থাকবে যার জন্য আমি অনেক দুঃখীত। সবাই গঠন মূলক কমেন্ট করবেন আশা করি ]





wait for the next part.  



Saturday, July 3, 2021

রঙের ফেরিওয়ালা--পর্ব--১--RAJA Bhuiya.(মি.440)


রোমান্টিক সিরিজ  


রঙের ফেরিওয়ালা 

লেখকঃ RAJA Bhuiyan.(মি.440)

পর্ব :--- ১


“ সময় টা ২০১৫” আমি তখন ক্লাস ১০ এ পড়ি।


সকাল বেলা কোচিং করার উদ্দেশ্য বেরিয়ে 

পরেছি। আজ পরিবেশ টা অন্যদিনের চেয়ে বেশি 

আকর্ষণীয়। বসন্ত এক রোমান্টিক ঋতু। শীতের শূন্যতাকে তাড়িয়ে যৌবনের বার্তা আর রোমান্টিকতার আমেজ নিয়ে মহা সমারোহে হাজির হয় বসন্ত। বসন্তের প্রকৃতি  

খুবই মনোরম ও আকর্ষণীয়। নতুন পাতায় আর ফুলে ফুলে তখন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সবুজ বন-বনানি। আমার কাছে সকালটা অসম্ভব ভালো লাগতেছে। হঠাৎই দেখতে পাই শ্রাবণীকে সাইকেল চালিয়ে কোচিং সেন্টারের গেটের ভিতর ঢুকলো। আজ শ্রাবণী আকাশি কালারেরে জামা আর সাদা কালারের প্লাজো 

পরছে। শ্রাবণী মেয়েটা 

দেখতে অসম্ভব সুন্দর

ঘন কালো চুল,, দৈর্ঘ্য আঁখি পল্লব,, দুধে আলতো গায়ের রঙ,, বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্ট চেহারা,, চোখে আবার চশমা পরে যার কারণে তাকে অনেক কিউট লাগে। বসন্তের এই প্রথম সকালে তাকে দেখে মনের মধ্যে একটা অনুভূতি সৃষ্টি হলো,,জানি না কি এই 

অনুভূতির নাম। শ্রাবণী ক্লাস ৮ এ পড়ে, আমার থেকে ২ বছরের জুনিয়র কিন্তু তার সাথে আমার দেখা হলেও কথা হয় না। স্কুলে অনেকে বলতো শ্রাবণী আমাকে নাকি পছন্দ করতো,, আমার দিকে চেয়ে থাকতো। কিন্তু আমি তাদের কথা শুনতাম না। আজ সকালে কেন যেন তাকে দেখে মনের ভিতর একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হচ্ছে তবে তা কি আমার জানা নেই। 


“ এসএসসি ”পরীক্ষার জন্য জন্য স্কুল ও কোচিং যাওয়া বন্ধ,,  আজ প্রায় ১৫ দিনের মতো হলো শ্রাবণীকে দেখি না। মনটা কেমন 

কেমন যেন করে, মনে হয় এক বার দেখলে বুকের ভিতর প্রশান্তি

বয়ে আনে। এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে,  ভালো রেজাল্ট করছি। কিন্তু সমস্যা হয়ে গেলো ঢাকাতে একটা সরকারি কলেজে চান্স পেয়েছি। কিন্তু মনটা চাচ্ছে না সেখানে ভর্তি হই। নিজের এলাকা, মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব, আর ঢাকায় গেলেতো শ্রাবণী কে দেখতে পারবো না। 


আজ  আমাকে ঢাকায় চলে যেতে হবে 

ভাবতেই মনটা কেমন যেন করে উঠছে। ভাবলাম স্কুলে যেয়ে শ্রাবণী কে একবার দেখে আসব, যেই ভাবা সেই কাজ চলে আসলাম স্কুলে দেখলাম শ্রাবণী শহীদ মিনারে মন খারাপ করে বসে আছে। না আমি এখন ওর সামনে যাব না,, গেলে আমার মনের সুপ্ত লোকানো অনুভূতি গুলো প্রকাশ হয়ে যাবে। বন্ধুদের সাথে দেখা করে,  স্যারদের সাথে দেখা করে,,শেষ বারের মতো স্কুলটা দেখে থেকে বেড়িয়ে পরলাম বাড়ির উদ্দেশ্য, কত স্মৃতি, হাসি, খেলা, ঝগড়া, বন্ধুদের সাথে মজা করা,  অনেক মিস করবো,,চোখ থেকে দু ফোটা জল বেরিয়ে পড়লো। হঠাৎ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে, শ্রাবণী তার সাইকেল টা আমার সামনে থামায়,, সাইকেল থেকে নেমে আমার সামনে দাঁড়ায়,, অবাক হয়ে তার দিকে 

চেয়ে আছি সে আমাকে কিছু না বলে আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে সাইকেল টা নিয়ে চলে 

যায়। আমি বুকার মতো শ্রাবণীর চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছি,,সে দূরে যেয়ে একবার আমার দিকে চেয়ে,, চলে যায় হয়তো দেখা হতেও পারে আবার নাও হতে 

পারে।


ঢাকায়, আমার পাশের গ্রামের এক বড় ভাই থাকে। ওনার সাথে কথা বলে ওনাদের মেসে উঠছি। আমার এই বড় ভাইয়ের নাম ‘আসিফ’

এভার অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ছে। মেসে আমরা ৬ জন থাকি। রাতে ঘুমানোর আগে মনে হলো শ্রাবণীর দেওয়া কাগজের কথা,, বেগ থেকে কাগজ টা বের করে পড়া শুরু করলাম---


প্রথমে  আমার সালাম নিবেন,


আশা করি ভালো আছেন, ‘ রায়ান ’


প্রথমে বলে রাখি আপনাকে সবাই ‘রাজা’ বলে ডাকলেও আমি আপনাকে রায়ান বলে সম্মোধন করি,, আর সিনিয়র হিসেবে আপনাকে ভাইয়া না বলার একটা করণ আছে,,ভালোবাসার মানুষ কে কখনো ভাইয়া ডাকা যায় না। হে আমি আপনাকে ভালোবাসি,, কোনো এক শীতের সকালে,..


আজ আমি (........) বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হবো। শীতের সকাল ৯:৩০ হবে কুয়াশা ভেদ করে হালকা রোদ্র দেখা যাচ্ছে, আমি স্কুলের গেইট দিয়ে প্রবেশ করার সময়,, হঠাৎ শহীদ মিনারে দাঁড়ানো একটা ছেলেকে দেখে চোখ আটকে যায়। পরনে তার সাদা শার্টের ওপর কালো কালারের শর্ট জ্যাকেট,, নেভি ব্লু পেন্ট,,চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা,, পায়ে স্কুল শু। ছেলেটা হেসে  

হেসে সামনে দাঁড়ানো দুটো ছেলের সাথে কথা বলতেছে। ছেলেটা কে দেখে আমার বুকের বা পাশটা কোনো কিছুর আগাম সংকেত দিচ্ছিলো। অসম্ভব ভালো লাগা মনের ভিতর বয়ে যেতে থাকে।  বয়স টা তখন একটু কম ছিলো তাই বুঝতে পারছিলাম না কি কারণে এই অনুভূতি। আস্তে আস্তে 

স্কুল যাওয়া শুরু করি,,  আর সেই ছেলেটার সম্পর্কে জানতে থাকি,, যেই দিন ছেলেটার নাম জানতে পারি, 

“রায়ান রহমান রাজা ”

সেই দিন থেকে নামটা মনের ভিতর গেথে গেছে। জানি না আমার সম্পর্কে কি ধারনা তার মনের ভিতর।  আর সেই ছেলেটা রায়ান আপনি, আমি আপনাকে ভালোবাসি।  জানি আপনি মনে করবেন এগুলো সব আমার আবেগ,, কিন্তু এটা আপনার ভুল ধারনা। আমি এখন ক্লাস নাইনে পড়ি বয়সের সাথে সাথে ভিবেক বুদ্ধি ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শেষে শুধু এইটুকই বলবো আমার মনের সুপ্ত অনুভূতি গুলো মিথ্যা না। ঢাকায় গিয়েছেন ভালো মতো পড়াশোনা করবেন। আর আমি আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকবো। ভূলে যাব না আপনাকে কখনো।


ইতি..

ছোট শ্রাবণী. 


##চলবে##


wait for tha second part

Friday, July 2, 2021

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড-- পর্ব:-২২---RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



# খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড

#RAJA Bhuiayan. (মি. 440)


পর্ব: >> ২২

..............…



রিমি ভাবতেও পারে নি এত সকালে সিএম ফরহাদ তাদের বাড়িতে আসবে। ফরহাদ কে দেখে রাজ একটু শব্দ হসে। মেহেরাব নিজের জায়গায় আরাম করে বসে আছে,, ফরহাদ কে দেখে যে অবাক হবে কিন্তু সে তা হচ্ছে না। তাকে দেখে মনে হচ্ছে,, যে ফরহাদ আগে থেকেই আসবে এখানে সেটা মেহেরাব জানতো। ফরহাদ যেয়ে সিঙ্গেল সোফায় বসে,, রাজ সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে ফরহাদের সানের ঢিল মারে। ফরহাদ রাজের কাহিনী দেখে একটু মুচকি হাসে। রাজ সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো উপরের দিকে ছেড়ে মেহেরাব কে উদ্দেশ্য করে বলে--



• মেহেরাব আমি বলছিলাম পৃথিবীর এমন কোনো জেল নেই যেখানে আমাকে আটকিয়ে রাখবে। তুই আমাকে ধরার জন্য পাঁচ বছর ধরে পরে আছিস কিন্তু আজ আমি তর সামনে বসে আছি কিন্তু তুই আমাকে কিছু করতে পারবি না,,,,,,হিহিহিহি। (রাজ)



• মেহেরাব একটু মুচকি হেসে রাজ কে বলে-- তর সাথে ফরহাদের অনেক আগে থেকেই পরিচয়। ফরহাদের নামে ১৯ টা মাডার কেস রয়েছে কিছু ডাকাতি আর ছোট খাটো কিছু মামলা রয়েছে কিন্তু সে কিভাবে এত অল্প বয়সে সিএম হয়ে গেছে বুঝতে পারছিলাম না আর ফরহাদের সম্পর্কে অনেক তথ্য ভুল এবং নকল। অনেকেই বলতো রাফিন আর রাফসানের কারণে ফরহাদ সিএম হতে পেরেছে। তুই জানিস কি রাজ পৃথিবী টা অনেক ছোট কিন্তু এত ছোট পৃথিবী তে বেইমান লোকের অভাব নেই ধর আজ তেমনই কেউ বেইমানি করবে তর সাথে। (মেহেরাব)



• রাজ মেহেরাবের কথাটা বুঝতে পারছে কিন্তু বেইমানি করবে কে সেটা তার জানা নেই। রাজ কখনো বেইমান কে বাচিয়ে রাখে না,, শত্রু কে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু বেইমান কে নয়।.... হিহিহিহিহি...রাজের সাথে বেইমানি, সম্ভব না কারণ আমি বেইমান কে বাচিয়ে রাখি না।(রাজ)



• যদি সেই বেইমান টা কে মারার জন্য তুমি বেঁচে না থাকো তাহলে কেমন হবে। হঠাৎ করেই সিঙ্গেল সোফায় শান্ত হয়ে বসে থাকা ফরহাদ রাজ কে উদেশ্য করে কথাটা বলে। রাজ ফরহাদের মুখ থেকে এমন কথা শুনে হালকা অবাক হয়ে যায়। ফরহাদ তা দেখে মুখের জ্বলন্ত সিগারেটের ছোট টুকরা টা ট্রি, টেবিলের উপর স্টেটা তে রেখে রাজ কে বলতে থাকে। রাজ আমি ক্ষমতার পাগল তুমি যেমন মাফিয়াদের কিং ঠিক তেমনই আমার প্রয়োজন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা বান হওয়ার কিন্তু তুমাকে সেটা বলার পর তুমি আমাকে না করে দিলে। তাই তুমার সাথে আমি একটা মাইন্ড গেম খেল্লাম আর মাইন্ড গেম টা এত শূখ্য ভাবে খেলেছি যা তুমি নিজেও ধরতে পারো নি।(ফরহাদ)



• মেহেরাব কথাটা শুনে একটু মুচকি হাসি দিয়ে পাঞ্জাবির পিছন থেকে পয়েন্ট 68 একটা পিস্তল বের করে হাত দিয়ে নাড়াতে থাকে। রাজ কে উদেশ্য করে বলে-- আমার কি মনে হয় জানিস রাজ, তর সাথে ফরহাদই বেইমানি করবে। (মেহেরাব)



• রাজ আরেকটা সিগারেট জ্বালায়,, সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধে পরিবেশ টা মম করছে। রাজ জানে শত্রুর সামনে নিজেকে কখনো দুর্বল পরিচয় দেওয়া ঠিক হবে না। তাই সে শান্ত মাথায় মাইন্ড গেম খেলবে এখানে তবে ফরহাদ তার সাথে বেইমানি করে নিজের বিপদ নিজে ডেকে এনেছে। রাজ এবার একটু জোরেই বলে -- রাজ কখনো বেইমান আর দুর্বল দের সঙ্গে মাইন্ড গেম খেলতে পছন্দ করে না। (রাজ)



• রাজের সামনে বসে থাকা ফরহাদ আর মেহেরাব জানে রাজ খুবই ভালো মাইন্ড গেমার কিন্তু এখানে বসে বসে শান্ত হয়ে সে কিভাবে বেচে যাবে এটা চিন্তা করেই অবাক হয়ে যাচ্ছে। মেহেরাবও শান্ত প্রকৃতির মাইন্ড গেমার তাই সে ঠোঁটের কোণে হাসির রেখা ফুটিয়ে ফরহাদ কে বলে-- আচ্ছা ফরহাদ রাজ যে রাফসান কিন্তু রাফিন কে তাকেও তো ধরতে হবে।(মেহেরাব)



• ফরহাদ কিছু বলবে কিন্তু এর আগেই রাজ জোরে হাসতে হাসতে বলে-- রাফিন রাফিন কে দেখবি সম্ভব না কারণ সে আমার থেকেও দূত মাইন্ড গেমার। রাজ মনে মনে ভাবে,, ফরহাদ তো কখনো রাফিন কে দেখে নি তাহলে কিভাবে তাকে ধরবে এটা ভেবেই রাজ হাসে।



• মেহেরাবের প্রশ্নের কি জবাব দিবে জানা নেই ফরহাদের, করণ ফরহাদ কখনো রাফিন কে দেখে নি। ফরহাদের কোনো বিশেষ জরুরি দরকার থাকলে রাফসান তা সমাধান করে দিতো কিন্তু ফরহাদ কখনো রাফিনের অভয় দেখে নি। ফরহাদ মুখ টা কে ছোট করে উওর দেয়-- আমি রাফিন কে কখনো দেখি নি সে কেমন কি তার উদেশ্য আমি তা কখনো অনুভব করি নি।(ফরহাদ)



• রাজ কথাটা শুনে মুচকি হাসে। মেহেরাবও কিছু একটা ভেবে মুচকি হাসে যেই হাসিতে আছে রহস্যে ভরা। মেহেরাব বলে মাফিয়ার মাস্তানী শহরে এবার ভাইকে বাঁচাতে আরেক ভাই কে আসতেই হবে। রাফসান কে বাঁচাতে রাফিন আসবেই,, খেলবো আবার রাফিনের সাথে মাইন্ড গেম দেখাবো মাস্তানী শহরে আমার মাস্তানী।(মেহেরাব)



• রাজ আর সময় নষ্ট করতে চায় না তাই উঠে দাড়িয়ে মেহেরাবের কাছ থেকে পিস্তল টা নিয়ে রিমির মাথায় ধরে যেন ট্রিগার টা চাপ দিলে গরম বুলেটে রিমির মাথা টা বেদ করে বুলেট টা বের হয়ে যাবে। রিমি ভাবতেও পারে নি রাজ তার সাথে এমন কিছু করবে,, রিমি এখন বুঝতে পারছে সে একটা ভুল মানুষ কে ভালোবেসেছে। আজ বুঝতে পারছে কেনো রাজ তাকে ছাঁদে দাঁড়িয়ে রহস্যময় কথা গুলো বলতো। রিমি ভয় পেয়ে যায় রাজ এমন অবাক করা কান্ডে। ফরহাদ বাসা থেকে উঠে দাড়াঁয় কিন্তু মেহেরাব নিজের জায়গায় স্থির হয়ে বসে আছে সামনে যে এত কিছু হয়ে গেছে সেদিকে যেন তার কোনো খেয়াল নেই। রাজ মুচকি হাসি দিয়ে রিমি কে বলে-- রিমি আমি জানতাম আমার সাথে এমন কিছু একটা হবে তাই তুমাকে রিজেক্ট করে দিতাম। আজ যদি তুমাকে ভালোবাসতাম তাহলে তুমার মাথায় পিস্তল ধরে এখান থেকে বেড়িয়ে যেতে পারতাম না। রিমি মাস্তানি শহরটা পুরো কালো আমাদের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই আর যারা রাফিয়ান তাদের কোনো পিছুটান থাকতে নেই। কোনো রাফিয়ানের যদি দুর্বল পয়েন্ট থাকে তাহলে তার মাইন্ড গেম খেলার চাপ টা একটু বেশি থাকে।(রাজ)



• রিমি রাজের কান্ড দেখে সামান্য ভয় পায় আর তার কথা শুনে রেগে বলতে থাকে-- কি মনে করেছো কি আমি খেলার পুতুল আমাকে নিয়ে তুমরা পুতুল খেলা খেলবে। রাজ এই মুহূর্তে তুমি আমাকে ছেড়ে দেও নয়তো এখানে কি হবে তা আমি নিজেও জানি না,, বলে রিমি রাজের থেকে ছুটে দৌড়ে রুমের দিকে চলে আসে। রাজ তার ডান পা টা দিয়ে সোফায় জোরে একটা দাথিঁ দেয়। 



• মেহেরাব বসা থেকে উঠে দাড়ায় রাজের সামনে যেয়ে হাসতে হাসতে বলে-- রাজ তকে এখন যেতে হবে আমার সাথে। (মেহেরাব)



• রাজ হাসতে হাসতে বলে-- আমি যাবো না আমাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এখানেই তদের দুটা কে মেরে চলে যাবো,,কথটা বলেই রাজের হাতে থাকা পিস্তল টা দিয়ে মেহেরাবের দিকে তাক করে। মেহেরাব উচ্চ সরে হাসতে থাকে,, রাজ রেগে পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দেয় কিন্তু কোনো বুলেট বের হয় না পর পর তিন টা চাপ দেয় কিন্তু কোনো বুলেট বের হয় না। 



• মেহেরাব আবারো হাসতে হাসতে বলে-- ভুল, ভুল করলি রাজ তুই,, তর সাথে হালকা মাইন্ড গেম খেল্লাম বলেই পাঞ্জাবির পকেট থেকে পাঁচ টা বুলেট বের করে রাজের সামনে ঝাকাতে থাকে। রাজ এটা সহ্য করতে না পেরে মেহেরাবের পাঞ্জাবির কলার ধরতে যাবে এমন সময় একাটা গুলি করার শব্দ হয়,, পিছন থেকে ফরহাদ গুলি টা করে,, বুলেট টা যেয়ে রাজের বাম পায়ে লাগে রাজ ফ্লোরে লুটিয়ে পরে চিৎকার দিয়ে বলে-- ফরহাদ তুই কাজ টা ঠিক করলি না, আমি জানি তরা আমাকে এখন মারবি না কিন্তু বলছি আমাকে মেরে ফেল নয়তো আমি বেচে গেলে কিন্তু বেইমানির শাস্তি তকে পেতেই হবে সেটা কিন্তু হবে অথবা ভয়া.....রাজ আর কথাট বলতে পারে না এর আগেই মেহেরাব ছোট ট্রি টেবিল টা দিয়ে রাজের মাথায় বারি মারে রাজের মাথা দিয়ে অঝরে রক্ত পড়তে থাকে,, তার চোখ দুটু ঝাপসা হয়ে আসছে এত বুঝি মৃত্যু তাকে হ্রাস করে ফেলেছে শেষ বারের মতো শুনতে পায় মেহেরাব আর ফরহাদের উচ্চ সরে হাসির শব্দ,,  কিছু ছেলে রাজের কাছে হেঁটে আসছে........



.............



আজ পাঁচ দিন পর জান্নাতকে আবার ভার্সিটিতে দেখা গেছে কিন্তু আজ সে আর আগের মতো আসে নি মর্ডান বোরকা নতুন হিজাপ দেখেই আগের থেকে পরিবর্তন মনে হচ্ছে। জান্নাত ভার্সিটি তে এসেই আম গাছের দিকে তাকায় যেখানে রাফি প্রতিদিন বসে থাকে। জান্নাত চেয়ে দেখে রাফির সাথে কিছু বখাটে ছেলেরা ঝামেলা করছে,, জান্নাত সেদিকে এগিয়ে যায়। 




* ভাই আমাকে ছেড়ে দিন আমার কাছে কিছু নেই প্লিজ আমাকে মারবেন না* 

 বখাটে ছেলেগুলো ধারালো ছুরি দিয়ে রাফিকে ভয় দেখাচ্ছে। রাফি চায় না ভার্সিটি তে কোনো ঝামেলা হক তাই সে ছেলেগুলোকে বলছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু ছেলেগুলো রাফির কথা না শুনে তার সাথে জোড়াজুড়ি করতে থাকে। ঠিক তখনই সেখানে উপস্থিত হয় জান্নাত,, রাফি যেন জান্নাত কে একটু ভরসা পেলো।  



• জান্নাত ভালো করেই ছেলেগুলো কে বলে-- ভাইয়ারা আপনারা সবাই ওর সাথে এমন করছেন কেনো,, কি করেছে সে।(জান্নাত)



• ছেলেগুলোর মধ্যে থেকে মামুন নামের ছেলেটা বলে-- তকে কেন বলবো কে তুই, এখানে কি করছিস। (মামুন)



• পাশ থেকে আরেকটা ছেলে বলে-- এই মামুন তুই চুপ থাক,, দেখছিস এর ফিসার টা কি, চল আজ ওকে দিয়ে আমাদের খাট গরম করাই। কথটা বলেই সবাই মিলে হাসতে থাকে আর জান্নাতের সাথে বাজে ব্যবহার করছে। জান্নাত এগুলো সহ্য করতে না পেরে একটা ছেলেকে কষে চড় মেরে, ব্যাগ থেকে একটা পিস্তল বের করে,, সবাই পিস্তল দেখে ভয় পেয়ে চলে যায়। রাফি অবাক হয়ে যায় জান্নাতের মতো সাধারণ একটা মেয়ের কাছে পিস্তল দেখে। তাই সে জান্নাতকে প্রশ্ন করে ফেলে-- আচ্ছা আপনার কাছে এই পিস্তল আসলো কোথা থেকে। (রাফি)



• জান্নাত ছোট করে একটা মুচকি হাসি দিয়ে রাফিকে বলে-- রাফি চলো বসে শান্তিতে কথা বলি,, রাফি আর জান্নাত গাছের নিচে বসে পরে। জান্নাতই প্রথম বলা শুরু করে -- রাফি তুমি আমাকে কি একটা সাধারণ মেয়ে মনে করছিলে??।(জান্নাত)




• এটা আবার কেমন প্রশ্ন! আমি তো আপনাকে সবসময় একজন সাধারণ মেয়ের মতো দেখে এসেছি এখানে আবার অসাধারণতার কি আছে সেটাই তো বুঝতে পারছি না।(রাফি)




• রাফির উওর শুনে জান্নাত একটু হাসি দিয়ে বলে- আসলে রাফি আমি একজন CBI এর সদস্য, আমার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করবো তাই পড়াশোনা  করার পাশাপাশি CBI এ জয়েন হই। আর সিলেট থেকে এখানে আসি একটা বড় আসামি কে ধরার জন্য,,তাই পরিচয় গোপন রেখে এই ভার্সিটিতে ভর্তি হই। (জান্নাত)



• রাফি জান্নাতের কথা শুনে একটু ভয় পেয়ে যায় আর জান্নাতের কাছ থেকে দূরে যেয়ে বসে,, জান্নাত কে জিজ্ঞেস করে -- আচ্ছা আপনি এমন একটা গোপন কথা আমাকে কেন বল্লেন।(রাফি)



• জান্নাত স্মিথ হেসে বলে-- রাফি তুমি কি জানো তুমি কতো বোকা আর ইনোসেন্ট আর আমি তুমাকে কথাটা বলছি কারণ তুমার উপর আমার একটা বিশ্বাস আছে,, যে তুমি এই কথাটা কাউকে বলবে না।(জান্নাত)



• জান্নাতের কথা শুনে রাফি একটা রহস্যময় মুচকি হাসি দিয়ে বলে- জানেন জান্নাত এই ছোট্ট পৃথিবীতে কাউকে বিশ্বাস করা ঠিক না আপনি যাকে মন দিয়ে এক আস্থায় বিশ্বাস করবেন দেখা গেছে সে ই আপনার সাথে বেইমানি করে চলে গেলো।(রাফি)



• আমি সেটা জানি তবে তুমি যে আমার সাথে বেইমানি করবে না সেটা আমি জানি। রাফি কিছু বলে না, মাথাটা নিচু করে বসে থাকে। দুজনের মধ্যে নিরবতা বিরাজ করছে নিশ্বাস ত্যাগ করার শব্দ পর্যন্ত। জান্নাত নিরবতা বেঙে বলে ফেলে-- রাফি আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?? (জান্নাত)



• রাফি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় আর উত্তেজিত কন্ঠে বলে- দেখুন জান্নাত আমি আপনার মতো সবাই কে বিশ্বাস করতে পারি না,আমার লাইফ আর আপনার লাইফ রা ব্যাতিক্রম।(রাফি)



• জান্নাত প্রশ্ন করে- মানে বুঝি নি আমার লাইফ আর তুমার লাইফ পার্থক্য কি?? (জান্নাত)



• যেমন ধরেন চোর পুলিশের মতো। কথাটা বলেই রাফি আর এক মূহুর্ত না দাঁড়িয়ে দূত সেখান থেকে চলে আসে। জান্নাত অবাক হয়ে যায় দুইবার একটা ছেলে তার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে নি রাগে তার অবস্থা খারাপ আর রাফি তাকে কেন এই রহস্যময় কথা বলে চলে গেলো ভাবতে থাকে জান্নাত..........



@@@ চলবে @@@




[ আমার আইডি টা তিন দিনের জন্য locked হয়ে গিয়েছিলো। যার কারণে গল্প টা পোস্ট করতে পারি নি'' সবাই সাপোর্ট করেন ]ধন্যবাদ 





Wait for the next part.

Tuesday, June 29, 2021

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব--২১--♥RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



#খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

# RAJA Bhuiyan

# পর্ব>>>>:- ২১ 

.................




ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ম হলে সাফল্যই তোমার  দিকে আকৃষ্ট হবে। রাজ খাবার শেষ করে সোফায় বসে বসে চিন্তা করছে কে আজকে বাসা থেকে চলে যাবে। আর মেহেরাব কেন আজ এত রহস্যময় কথা বলছে বুঝতে পারছে না রাজ ঠিক তখনই মেহেরাব সোফায় বসতে বসতে কথাটা বলে রাজকে। রাজ কথাটার মানে বুঝতে পারছে না তাই মেহেরাব কে প্রশ্ন করে ফেলে --- স্যার আপনার কথার মানে বুঝতে পারছি না। (রাজ)



• মেহেরাব ঠোঁটের কোনে হাসির ঝলক রেখে বলে-- তখন বল্লাম না যে আমি রাফিন আর রাফসানের থেকে একজন কে ধরে ফেলছি কিন্তু কাকে ধরছি তার নাম টা কি সেটাই বুঝতে পারছি না। (মেহেরাব) 



• রাজ একটু আগ্রহ নিয়ে বলে-- স্যার ঐ দুইটা বড় মাফিয়া কে তো কেউ কখনো দেখে নি কিন্তু আপনি কিভাবে বুঝলেন যে সে বড় মাফিয়া।(রাজ)



• মেহেরাব জানে রাজ একটু বেশিই মাইন্ড গেম খেলতে পছন্দ করে, রাজ সবসময় তার মাইন্ড দিয়ে যে কোনো ব্যক্তির সাথে ভাব তৈরী করতে পারে। কিন্তু মেহেরাব তাদের কাতারে পরতে চায় না সে নিজেও একজন মাইন্ড গেমার। এবার রাজ কে বলে -- তুমি জানো কি না জানি না, আরো পাচঁ বছর আগে রাফিন আর রাফসানের সম্পর্কে একটা আর্টিকেল বের হয়েছে। আমি পাঁচ বছর ধরে সেই আর্টিকেল টা নিয়ে গবেষণা করেছি বলতে গেলে পুরো বই টা আমার মুখস্ত। সেই বইয়ের রাফিন আর রাফসানরা কিভাবে মাইন্ড গেম খেলে প্রায় সবই লেখা আছে।(মেহেরাব)



• মেহেরাবের কথা শুনে রাজ একটু অবাক হয় কারণ মাফিয়াদের নিয়ে মেহেরাব পাঁচ বছর ধরে পরে আছে। রাজের একটা বদ অভ্যাস আছে সেটা হলো রাজ তার মাইন্ড টা ঠান্ডা রাখার জন্য হাতে সবসময় দুই টা মারবেল রাখে। মেহেরাবের কথা শুনে রাজ তার মারবেল দুটু নাড়াতে থাকে। 



• মেহেরাব খেয়াল করে দেখে রাজ তার হাত দিয়ে দুইটা মারবেল নাড়াচাড়া করছে এটা দেখে মেহেরাব মুচকি হাসে। মেহেরাব আজ সাদা কালারের পাতলা একটা পাঞ্জাবি পরছে সেই পাঞ্জাবির পকেট থেকে প্রথমে একটা ছোট সাদা কালারের পেকেট বের করে,, দুইটা মারবেল স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে পেকেটের মধ্যে। মেহেরাব আবারো একটা ছোট সাদা কালারের পেকেট বের করে যার ভিতর তিনটা পিস্তলের বুলেট স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। মেহেরাব রাজ কে উদ্দেশ্য করে বলে--- রাজ দেখো তো চিন্তে পারছো কি না।(মেহেরাব)



• রাজ সাদা পেকেটে মুড়ানো দুইটা জিনিস দেখে একটু অবাক হয় কিন্তু মেহেরাব কে তা বুঝতে দেয় না। রাজ হালকা মুচকি হেসে জবাব দেয়-স্যার  আমি জিনিস গুলো তো চিন্তে পারছি কিন্তু এগুলো কার সেটা তো আপনিই ভালো বলতে পারবেন।(রাজ)



• মেহেরাব একটু অবাক হয় কারণ রাজ যে এত শান্ত ভাবে উত্তর দিবে তা আশা করে নি মেহেরাব। রাজ জানো কি রাফসান যখন কোনো মিশনে বের হয় তখন সে তার মাইন্ড টা কে ঠান্ডা রাখার জন্য দুইটা মারবেল ব্যবহার করে। আমি তো জানতাম রাফসান তার মিশনের কোনো প্রমাণ রেখে যায় না কিন্তু সে সাব্বিরের খুন টা করার সময় একটা ভুল করে ফেলে আর সেটা হচ্ছে  তার পিস্তল থেকে ছোরা এই তিনটা বুলেট। (মেহেরাব)



• রাজ তার বাম হাত দিয়ে হালকা করে সোফায় একটা বারি দেয়। মেহেরাবের চোখ এড়ালো না সে শান্ত একটা মুচকি হাসে। রাজ নিজেকে স্বাভাবিক করে মেহেরাব কে বলে-- স্যার আজ কি থানায় যাবো না? সময় তো প্রায় হয়ে গেছে রেডি হয় নাকি!!(রাজ).



• মেহেরাব রিমি কে উদ্দেশ্য করে বলে-- রিমি তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেনো এসে আমার পাশে বসো। রিমি তার বাবার কথা অনুযায়ী তার পাশে যেয়ে বসে। এবার রাজ কে উদ্দেশ্য করে বলে- না আজ থানায় যাবো না আমি তোমাদের একটা গল্প বলবো!! কি শুনবে তো রাজ? (মেহেরাব) 



• রাজ মেহেরাবের এমন কথা আশা করেছিলো না।রাজের কেন জানি মনে হচ্ছে আজ এই শহরে তার ছদ্মবেশী পরিচয় টা প্রকাশ হতে চলছে।রাজ বিনয়ী কন্ঠে বলে-- স্যার থানাতে কোনো সমস্যা না হলে আমার গল্প শুনতেও কোনো সমস্যা হবে না। (রাজ.)



• মেহেরাব মুচকি হাসি দেয়,, যেটা রহস্যময়। রাজ তুমি জানো, তুমি যদি পুলিশের চাকরি না করে কোনো চলচিত্রে কাজ করতে তাহলে খুবই ভালো অভিনয় করতে পারতে এখন যেমন অভিনয় করছো কারো ধরার ক্ষমতা নেই। (মেহেরাব)



• রাজে বুঝতে পারছে না কেনো মেহেরাব আজ এত রহস্যময় কথা বলছে তবে কোনো!! রাজ তার মুখ টা কে হালকা বাঁকা করে উত্তর দেয়- স্যার আমি অভিনয় করতে পারবো কিভাবে যেখানে আমি এই সব বিষয় থেকে দূরে দূরে থাকি আর আপনি বলছেন আমি অভিনয় করি।(রাজ)



• আচ্ছা এগুলো বাদ দেও এখন একটা গল্প বলবো,, রাজ তুমি আবার গল্প টা শুনতে বিরক্ত বোধ করো না।(মেহেরাব) 



• রাজ তার মস্তিষ্ক টা  কে কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থির রেখে এক বার সামনে মেহেরাব আর তার পাশে বসা নীল রঙের ড্রেস পরা রিমির দিকে চেয়ে মেহেরাব কে বলে- স্যার বলেন আমি বিরক্ত বোধ করবো না।(রাজ)



• মেহেরাব তার চোখ থেকে চশমাটা খুলে সামনের ট্রি টেবিলের সংবাদপত্রের উপর রাখে। একবার রাজ আর রিমির দিকে চেয়ে মুচকি হেসে বলতে শুরু করে --


 সময় টা আরো অনেক বছর আগে আমি আর রিমির মা দুজন দুজনকে ভালোবাসতাম কিন্তু বাসা থেকে আমাদের মেনে নেয় নি তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই পালিয়ে যাব। আমরা চলে আসি অচেনা অজানা দূর একটা শহরে। প্রায় এক বছর  পর পর ই আমাদের ছোট সংসারে আলো ফোটে রিমি জন্ম নেয়।   রিমির যখন পাঁচ বছর বয়স তখন আমরা আমাদের বাসায় যাই কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয় আমাদের কেউ মেনে নেয় না। কিন্তু  আমার আপন বড় ভাই আরমান আমাদের যেতে দেয় না সবাই কে ভালো করে বুঝিয়ে আমাদের মেনে নিতে বলে। সবই ভালো ভাবে চলছিলো কিন্তু হঠাৎ একদিন এমন একটা ঘটনা ঘটলো যা আমরা কেউ ভাবতেও পারি নি। মেহেরাব এবার একটু থামে সামনে বসে থাকা রাজের দিকে তাকায় দেখে রাজ খুবই শান্ত আর আগ্রহের দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মেহেরাব একটু মুচকি হাসে। রাজের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে পাশে বসে থাকা রিমির দিকে তাকায় মেহেরাব। রিমি খুবই আগ্রহ নিয়ে বসে আছে কখন আবার বলা শুরু করবে। কারণ এটা কোনো গল্প নয় মেহেরাবের জীবনের  একটা অংশ । রিমিকে কখনো মেহেরাব তার ছেলেবেলার কথা বলে না কিন্তু আজ হঠাৎ বলছে তাই সে একটু অবাক হয়। মেহেরাব সময় নষ্ট করতে চায় না তাই আবার বলা শুরু করে- ‘ আমাদের সব কিছু সুখেই চলছিল কিন্তু এক রাতের ব্যবধানে সব শেষ হয়ে যায়। আমি ঐই দিন রাতে একটু রাত করেই বাসায় ফিরছিলাম কিন্তু বাসায় যেয়ে এমন একটা দৃশ্য দেখতে হবে আমাকে, আমি বলার ভাষা হাড়িয়ে ফেলেছিলাম। কারণ গলায় দড়িঁ দিয়ে ফেনের সাথে ঝুলে আছে রিমির মা আর পাশে রক্ত মাখা দেহ নিয়ে পরে আছে আমার বড় ভাই আরমান। কেউ বলতে পারছিলো না এটা কিভাবে হয়েছে,, পুলিশ এসে ঘটনা টা তদন্ত করে জানায় রিমির মা মারা যাবার আগে তাকে যৌন হয়রানি করেছে আর সেটা করেছে আমার বড় ভাই আরমান। যার জন্য রিমির মা আরমান ভাই কে মেরে নিজেও ফাঁসিতে ঝুলে যায়। রিমির মা মারা যাওয়ার আগে চিঠি তে লিখেছে কথা গুলো যা পরে সবাই জানতে পারি। আরমান ভাই এর দুই টা ছেলে ছিলো কিন্তু কি নাম মনে করতে পারছি না। আমাদের অনেক সম্পদ ছিলো যায় কারণে ভাবি আর তার ছেলেদের কোনো সমস্যা হয় নি। আমি পাঁচ বছরের রিমিকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসি অচেনা অজানা শহরে এসেই পুলিশের ছোট পদে একটা চাকরি পাই আর আস্তে আস্তে আমি এখন কমিশনার পদে এসেছি। কথা গুলো বলে মেহেরাব থেমে যায় পরিবেশ টা এখন নিরবতায় ছেয়ে আছে  সেকেন্ডে সেকেন্ডে শুনা যাচ্ছে দীর্ঘ নিশ্বাসের শান্ত শব্দ। 




• রিমির চোখে পানি চিকচিক করছে যেন চোখের পলক ফেল্লে পানি বেয়ে পরবে। তার মনে পরে যায় ছোটবেলার সেই ভয়ংকর ঘটনা -- সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে রিমি দেখতে পায় তার মা ফেনের সাথে ঝুলে আছে জ্বিব্বা টা অর্ধেক বেড়িয়ে আছে,,রিমি এটা দেখে কান্না শুরু করে কিন্তু তার কান্না থামানোর মতো কেউ সেখানে ছিলো না। কারণ তার জননী পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।  রিমি আর কিছু মনে করতে পারে না কারণ সে প্রতিদিন রাতে এই স্বপ্ন টা দেখে। রিমির চোখ জোরা থেকে অজরে পানি পড়তে থাকে। মেহেরাব রিমির কান্না থামায় না কারণ সে আজ তার ছোটো বেলার কথা শুনে ইমোশনাল হয়ে পড়েছে।



• মেহেরাবের বলা  ঘটনা টা শুনে রাজের ছেলেবেলার কথা মনে পরে যায় কিন্তু সে তার অতীত নিয়ে ভাবতে চায় না কারণ মানুষ অতীত নিয়ে বেশি ভাবলে তার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা কমে যায়। রাজ অতীত কে নিয়ে ভাবে না সে ভবিষ্যত নিয়ে একটু বেশিই চিন্তা করে। তবে ঘটনা টা রাজের কাছে পরিচিতই মনে হচ্ছে।



• মেহেরাব রাজ কে জিজ্ঞেস করে-- রাজ তুমার দেশের বাড়ি যেন কোথায়। (মেহেরাব)



• রাজ হালকা মুচকি হেসে জবাব দেয়-- চট্টগ্রামে কোনো এক গ্রামে। 



• মেহেরাব এভার রিমিকে উদ্দেশ্য করে বলে- আচ্ছা রিমি তুই কি এমন কাউকে ভালোবাসবি যে কি না প্রতিদিন রাতে রক্ত নিয়ে খেলা করতে ভালোবাসে।(মেহেরাব)



• রিমি চমকে উঠে কেন তার বাবা তাকে এমন প্রশ্ন করলো। বুঝতে পারছে না যে সে এই প্রশ্নের জবাব কি দিবে। রিমির মনে পরে যায় রাজের ঐই দিনের কথাটি। রিমি আমতা আমতা করে বলে-- ন..না বা..বাবা তেমন কাউকে আমি আমার জীবনের সাথে  জুড়াবো না।(রিমি)



• রাজ প্রশ্ন টা শুনে অবাক হয়ে যায়। অধির আগ্রহ নিয়ে রিমির উওরের অপেক্ষা করে,, রিমির উওর শুনে রাজ নিচের দিকে চেয়ে মুচকি হাসে। 



• রিমি আমি জানি তুমি রাজ কে পছন্দ এবং ভালোবাসাে।আচ্ছা যদি তুমি শুনো- তুমি যাকে ভালোবাসো তার বাবা তুমার মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ি তাহলে কি তুমি তাকে ভালোবাসবে।(মেহেরাব)



• মেহেরাবের কথাটা শুনে রাজ শান্ত হয়ে নিজের জায়গায়ই বসে আছে। কিন্তু রিমি বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় তার বাবাকে প্রশ্ন করে ফেলে -- কি বলতে চাচ্ছো বাবা বুঝিয়ে বলো,,আমি বুঝতে পারছি না। (রিমি)



• মেহেরাব একটু মুচকি হাসে,, রিমি তুমি হয়তো ভালো করে জানো না তুমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে সে আসলে কোনো পুলিশ অফিসার না সে আমারই বড় ভাই আরমান এর ছেলে। কথাটা শুনে রাজ নিজের জায়গায় ই শান্ত হয়ে বসে আছে,, মেহেরাব জানতো রাজ কেবল ঠান্ডা মাথায় গেম খেলতে ভালোবাসে কিন্তু তার যে আসল পরিচয় ফাস হয়ে গেছে সেই দিকে তার কোনো চিন্তাই নেই এমন ভাবে বসে আছে যেন এখানে কিছু ঘটেই নি। 



• রাজ নিজের জায়গায় বসে আছে আর মুচকি হেসে মেহেরাব কে বলে-- স্যার আপনার সামনে কি আমি একটা সিগারেট জ্বালাতে পারি। মেহেরাব অবাক হয়ে কিছুক্ষন চেয়ে থাকে রাজের দিকে। সিগারেট খাওয়ার কোনো অনুমতি সে দিবে না রাজ কে। কিন্তু মেহেরাব কে আরো অবাক করে দিয়ে রাজ পকেট থেকে একটা সিগারেটের পেকেট বের করে একটা সিগারেট মেহেরাব কে দেয় আরেকটা নিজের ঠোঁটে চাপে। মেহেরাব সিগারেট টা হাতে নিয়ে ময়লার ঝুড়ি তে ফেলে দেয়। রিমি কেবল বুকার মতো চেয়ে আছে রাজের সিগারেট টানার দিকে। ডান হাতে দুইটা মারবেল আর বাম হাত দিয়ে সিগারেট টানছে। 



• মেহেরাব রিমিকে বলে-- রিমি তুমি এখন তুমার রুমে যাও,, আর আশা করি  তুমি বুঝতে পেরেছো আমি কেনো ঐই দিন তুমাকে রাজের থেকে দূরে থাকার জন্য। (মেহেরাব) 



• রিমি একটু রেগেই বলে-- বাবা আমি রাজের সাথে একান্তে কথা বলতে চাই।(রিমি)



• রাজ কিছু বলে নিজের মতো করে সিগারেট টানছে। মেহেরাব উচ্চ সরে বলে-- রিমি তুমাকে আমি যেতে বলছি একটা ক্রিমিনাল এর সাথে তুমার কোনো পারছোনাল কথা নেই।(মেহেরাব)



• রিমি সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় না। রাজ মুচকি হেসে বলে-- স্যার আমাকে এখন কি করবেন,, থানায় নিয়ে যাবেন,, লাভ নেই লাভ নেই পৃথিবীতে এখনো কোনো জেল নেই যেখানে এই রাজ কে আটকে রাখবে।(রাজ)



• রাজ তুই নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছিস,, তকে বলছিলাম আমার সাথে মাইন্ড গেম খেলতে তুইও রাজি হয়ে গেলি,,গেমটা শুরু করছিস তুই কিন্তু শেষ করবো আমি।(মেহেরাব)




• রাজ একটু শব্দ করে হাসে আর বলতে থাকে-- গেম মাইন্ড গেম.. হিহিহিহিহি.. আমি খেলতে যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনই অন্য কে দিয়ে  খেলাতেও ভালোবাসি। আমাকে তুই থানায় নিয়ে পাঁচ মিনিটও রাখতে পারবি না কারণ এর আগেই সিএম ফরহাদ আমাকে বের করে আনবে।(রাজ)



• মেহেরাবও শব্দ করে হেসে হেসে বলে-- আচ্ছা তকে নিয়ে গিয়ে আমি পাঁচ মিনিটও রাখতে পারবো না তাই তো তুই দেখবি আমার কি ক্ষমতা তকে........... মেহেরাব আর কথা বলতে পারে না মেইন দরজায় কেউ কলিং বেল বাজাতে থাকে। রিমি কলিং বেলের আওয়াজে চমকে উঠে দাঁড়ায় একবার সোফায় বসে থাকা রাজের দিকে তাকায় আরেক বার দরজার দিকে তাকায়। রিমি তাড়াতাড়ি যেয়ে দরজা টা খোলে দেয়,, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আগন্তুক টা কে দেখে রিমি অবাক হয়ে যায়। আর সোফায় বসে থাকা রাজ শব্দ করে হাসতে থাকে............. 




@@@ চলবে @@@





[ গল্পে কোনো সাড়া পাচ্ছি না,,মনে হয় সবার এই গল্প পড়ার মন উঠে গেছে তাই দিতে দেরি হয়েছে। আর এই পর্বে সাড়া না পেলে পরের পাঠ কবে দিবো জানা নেই]ধন্যবাদ 





wait for the next part.

Monday, June 28, 2021

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ২০--RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



গল্প: খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

লেখক : RAJA Bhuiyan.


পর্ব: ২০

.................


রাজ কে এমন ভাবে হাসতে দেখে রিয়াদ বলে-- কিরে মৃত্যু কে সামনে দেখে কি পাগল হয়ে গেছিস। রাজ কিছু বলে না শুধু মুচকি হাসে। রিয়াদ এবার আগন্তুক টা কে উদ্দেশ্য করে বলে- দেখ ভাই এই কুত্তার বাচ্চা সব গুলো কে মেরে দিয়েছে। চল এখন একে মেরে দিয়ে এখান থেকে কেটে পরি এই কুত্তার বাচ্চা কে আমার বিশ্বাস নেই যখন তখন কিছু করে দিতে পারে। আগন্তুক টা কিছু বলে না চার পায়ার প্লাস্টিকের চেয়ার টা টেনে টেবিলের সামনে বসে, টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় দুইটা টান দিয়ে বলতে থাকে -- কিরে রিয়াদ কার রুচি এমন খারাপ হয়ে গেছে যে এই কম দামি সিগারেট খায়।


• রাজ একটু স্পষ্ট করেই হেসে বলে- বিষাক্ত জিনিস এটা দামি আর কম দামির কি আছে,, এটা তো মানুষের মাইন্ড গেম খেলতে সাহায্য করে। দামি ব্রেন্ডের সিগারেট খেলে কিন্তু বেশি ভালো মাইন্ড গেম খেলতে পারবে না। আর সামনে যা আছে তা না খেয়ে যদি আরেক টার আশা করো তাহলে কিন্তু তুমার কাছে কোনোটাই ভালো লাগবে না। (রাজ)


• আগন্তুক টা রাজের কথা শুনে হেসে হেসে জ্বলন্ত সিগারেটে আবার টান দেয়। রিয়াদ ধর তর সাথে তরই কোনো এক বন্ধু বা কাছের কেউ বেইমানি করে তাহলে কেমন লাগবে তর কাছে আবার  মৃত্যুটা হটাৎ করে হবে হয়তো অনেক প্রিয়জন খবরও পাবে না লাশ গুলো দেখে অনেকে ভয় পেয়ে দূরে সরে যাবে। রাস্তার পাতি কুকুর গুলো গেউ গেউ করে মানুষের কাছ থেকে লাশ টা টেনে নিয়ে খুবরে খুবরে খাবে কেমন হবে তখন।(আগন্তুক) 


• রিয়াদ আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে- কিরে তুই তু আগে এমন রহস্যময় কথা বলতি না এখন এত কথা বলছিস কেনো। কাজ টা শেষ করে তাড়াতাড়ি চাচার কাছে যেতে হবে।(রিয়াদ)


• রিয়াদ তুই জানিস কি ভিতুরা একটু বেশিই কথা বলে যার কারণে তারাই বেশি ঠকে। তুইও কিন্তু বেশি কথা বলিস মনে হয় না তর সাথে মাইন্ড গেম খেলতে আমার জমবে।(রাজ)


• রিয়াদ এক পায়ের উপর ভর দিয়ে কোনো রকমে রাজের সামনে এসে গেঞ্জি টা ধরে টানতে থাকে আর বলে- তুই একটু বেশিই কথা বলছিস নিজেকে অনেক বড় মনে করিস তুই।(রিয়াদ) 


• রাজ তার হাত দিয়ে রিয়াদের হাত দুটু ছাড়িয়ে নিয়ে একটা ঘুশি দেয় রিয়াদের মুখ পাজরে। রিয়াদ দূরে ছিটকে গিয়ে পরে। তকে তখনই বলেছিলাম আমাকে মেরে দে কিন্তু তুই তা শুনলি না এখন বিপদ তুই নিজেই ডেকে এনেছিস।(রাজ)


• আগন্তুক টা সিগারেট টানছে আর শব্দ করে হাসে। রিয়াদ আগন্তুক টা কে উদ্দেশ্য করে বলে- তুই বসে বসে সিগারেট টানছিস কেনো দেখতে পাচ্ছিস না আমাকে হিট করছে। (রিয়াদ)


• রাজকে এখন কোনো হিংস্রের চেয়ে কম লাগছে না মনে হচ্ছে সে পারলে এখনই তার পুরু গেম টা শেষ করে দিতে পারে কিন্তু সে একজন পাক্কা মাইন্ড গেমার তাই সে আরো মাইন্ড গেম খেলতে চায়। রিয়াদ আমি তখন চুপ করে ছিলাম এর মানে এই নয় যে আমি তদের কাছে হার মেনে নিয়েছি আমার নিরবতা আমাকে অনেক কিছু দেয় যার কারণে আমি কোনো গেমে সহজে হাড়ি না৷ আমি যেটাতে হাত দেই ঐটাই আমি সফল করেই ছাড়ি।(রাজ)


• রিয়াদ রাজকে উদ্দেশ্য করে বলে- মাদা** তকে আজ আমি নিজ হাতে মারবো,,এখানে তর কোন বাপ তকে বাঁচাতে আসবে না। কথাটা বলেই রিয়াদ বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়,,টেবিলের উপরে থাকা গান টা নিয়ে রিলোট দিয়ে নেয় সে রাজের থেকে সামান্য লম্বা হওয়ায়, রাজের কপাল বরাবরই পিস্তল টা তাক করে। রিয়াদ ট্রিগার চাপ দিলেই গরম বুলেটে রাজের কপাল টা বেদ করে বুলেট টা শূন্য বেড়িয়ে যাবে। রাজ শুধু মুচকি হাসে, তার সামনে যে মৃত্যু দূত দাঁড়িয়ে আছে সে যেন এটা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। রিয়াদ ও মুচকি হেসে উচ্চ সরে বলতে থাকে -- কিরে মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে আছিস তবুও হাসতেছিস কেনো, ভয়ে পেয়ে এবার কি সত্যি পাগল হয়ে গেছিস। (রিয়াদ)


• রাজ কেবল রিয়াদের দিকে চেয়ে মুচকি হাসে কিছুক্ষন পর এখানে কি হবে রাজ যেন এটা ভেবে নিয়েছে তাই রাজ বলে--মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে ভয় তো পাবে সে যার ভিতর মৃত্যুর ভয় আছে। কিন্তু আমি মৃত্যু কে ভয় পাই না কারণ আমি জানি যেকোনো দিন মরতে হবে তাহলে মৃত্যু কে সামনে থেকে দেখে ভয় পাবো কেনো। আর আমি জানি আমার এখনো মৃত্যুর সময় হয় নি মরবি তো এখন তুই।(রাজ)


• আগেই বলেছি তকে আত্মবিশ্বাস ভালো কিন্তু বেশি আত্মবিশ্বাস ভালো না। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে তুই বলছিস তুই মরবি না,,একটা চাপ একটাই বুলেট তর নাম টা পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাবে, বলেই ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই গুলি করার শব্দ হয় ঘর টায় এখন পিন পিন নিরবতা। কিন্তু নিরবতার মাঝেও দুই জন ছেলের উচ্চ সরে হাসার শব্দ আর এক জনের অাতংকের চিৎকার। রিয়াদ যেন কথা বলার ভাষা হাড়িয়ে ফেলছে,, পিছন থেকে আগন্তুক টা G18 দিয়ে পর পর চার টা গুলি করে চারটা বুলেট ই যেয়ে রিয়াদের পিঠ বরাবর লাগে। আগন্তুক টার বাম হাতে অর্ধেক জ্বলন্ত সিগারেট আর ডান হাতে পিস্তল। বেশ আরাম করে বসেই গুলিটা চালায় আগন্তুক টা,,রাজ উচ্চ সরে হাসতে থাকে সাথে আগন্তুক টাও সায় দিচ্ছে। আগন্তুক টা তার মুখ থেকে মাক্স টা সরিয়ে নেই ষাট ওয়াটের বাল্বের হলদে আলোয় আগন্তুকের মুখ টা স্পষ্ট দেখতে পারছে রিয়াদ। 


• রিয়াদের শরীরটা কেমন যেন দুর্বল হয়ে আসছে চাইলেও যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। সে মাটিতে ধসে পড়ছে মৃত্যু যেন তাকে এখন গ্রহণ করবে শেষে সে একটা কথা বলে-- বেইমানি কেনো করলি তুই এটা আমার সাথে।(রিয়াদ)


• আগন্তুক টা হাসতে হাসতে বলে -এই পৃথিবীতে সেই সবচেয়ে বেশি ধোকা খায়। যে নিঃসন্দেহে মানুষেকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে যায়। যেমন তুই আমাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে ধোঁকা টা খেয়ে নিলি।(আগন্তুক) 


• রিয়াদের যেন শ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তবুও আস্তে করে আগন্তুক কে উদ্দেশ্য করে বলে-- তর বেইমানীর ফল তুই পাবি চিন্তা করিস না,, রা..... রিয়াদ আর কিছু বলতে চাইছিলো কিন্তু তা আর বলতে পারলো না এর আগেই তার নিশ্বাস টা বন্ধ হয়ে যায়। 


• রাজ আগন্তুকের হাতে থাকা G18 টা নিয়ে,, নিচে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকা শাওন নামের ছেলেটির কপাল বরাবর দুইটা গুলি করে আগন্তুকের দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দেয়। টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় আর সেটা টানতে থাকে। 


• রাজের মুচকি হাসের প্রতি উওরে সেও একটা মুচকি হাসি উপহার দিয়ে বলতে থাকে--এই শহর টা আসলেই বেইমানির শহর এখানে কাউকে বিশ্বাস করা মনে নিজের কবর নিজে তৈরী করা। মনে হয় সময় চলে এসেছে গেমটা কে শেষ করার।(আগন্তুক) 


• রাজ কিছু বলে না সোজা হাঁটা দেয় দরজার দিকে পিছনে একবার চেয়ে বলে-- বেইমানী..হিহিহিহিহি আমার সাথে বেইমানি করার আগে ওকে দশ বার চিন্তা করতে হবে। আর গেমটা একটু আলাদা টাইপের হবে প্লেন বাদে কিছু করে না এই রাজ,, সিগারেটে আরেক টা টান দিয়ে বেড়িয়ে আসে রুম থেকে। 


• রাজ বের হওয়ার সাথে সাথে আগন্তুক টা ঠোঁটের কোনে একটা হাসি ঝুলিয়ে রিয়াদের লাশের পাশে একটা ট্যাটু একেঁ বেড়িয়ে পরে তার অজানা গন্তব্যে। 


.................


“ রাত প্রায় ২টার উপর বাজে কিন্তু রাফি সন্ধ্যায় যে বাসা থেকে বের হইছে এখনো বাসায় আসে নি।” 

নুসরাত এখন দাঁড়িয়ে আছে রাফির চিলাকোঠার রুমের সামনে। ঐই দিন রাতের ঘটনার পর থেকে রাফির প্রতি জানার আগ্রহ যেন বেড়েই চলেছে নুসরাতের তাই আজ রাফির রুমটা ভালো করে চেক করে দেখবে কোনো ক্লো যদি যদি পাওয়া যায় তার সম্পর্কে। বাসার অন্য চাবি দিয়ে চিলেকোঠার রুমে ডুকে নুসরাত,, রুমের অবস্থা বেশি একটা ভালো না চারিদিকে সিগারেটের পেকেট আর ছোট ছোট সিগারেটের টোকরা,, সাদা কালারের হালকা ময়লা একটা বিছানার চাদর দুইটা বালিশ,, বিছানার পাশেই একটা ব্যাগ রাখা আছে। নুসরাত ভাবছে ব্যাগ টা চেক করবে কি না। অবশেষে সব চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যাগ টা হাতে নেয় নুসরাত। সে ব্যাগ টা খুলে এমন কিছু দেখবে আশা করে নি,, They are Mafia king. ইংরেজি নোবেল আরো কিছু ছবি যেখানে চারজন ছেলে গান হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আবার কয়েকটি ছবির উপর লাল কালি দিয়ে কিছু একটা চিহ্নিত করা। নুসরাত বুঝতে পারছে না রাফির ব্যাগে এগুলো কেনো হঠাৎ নুসরাতের চোখ আটকে যায় র্শ্ট একটা পিস্তল দেখে। ব্যাগে আর কিছু নেই তাই নুসরাত ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে চলে আসে। ঘরটাতে সিগারেটের পুরা গন্ধে কেমন যেন বমি বমি পাচ্ছিলো নুসরাতের তাই সে বাইরে চলে আসে। 


...


* তুই না আর কোনো সময় রাতের বেলা বাসায় আসবি না তাহলে আজ এত রাতে আসলি কেনো*

মফিজ মিয়ার কথায় রাফি চুপ হয়ে যায়। রাফির কোনো জরুরি কাজ থাকায় আজকে এত রাত হয়েছে বাসায় আসতে। এই কথাটাই সে মফিজ মিয়া কে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ রাফির চোখের দৃষ্টি  ছাঁদের দিকে গেলে। ছাঁদে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে নুসরাত তার দিকে। রাফি বুঝতে পারছে আজ তার কপালে কোনো না কোনো বিপদ নিশ্চয়ই আছে তাই সে মফিজ মিয়ার সাথে কথা না বাড়িয়ে দৌড়ে ছাঁদে চলে আসে। সে নুসরাত কে দেখেও না দেখার ভান করে রুমের দিকে চলে আসতে যাবে তখনই পিছন থেকে নুসরাত রাগি কন্ঠে বলে।


• কিরে তকে তু নিষেধ করছিলাম এত রাতে বাসায় আসবি না তবুও কোন সাহসে তুই এটা করলি বল।(নুসরাত) 


• রাফি বুঝতে পারছে না কি বলবে এখন,, নুসরাতের সামনে দাঁড়ালেই কেমন যেন তার জবাব বন্ধ হয়ে যায়। রাফি মাথাটা নিচু করেই আমতা আমতা করে জবাব দেয় -- আপু দেশের বাড়ি থেকে একটা বড় ভাই ঢাকায় আসছে তাই ওনার সাথে দেখা করতে করতে রাত হয়ে গেছে,, কাল থেকে আর এমন হবে না।(রাফি)


• নুসরাতের কাছে রাফির উত্তর টা একটুও বিশ্বাস হয় না। কারণ রাফির চোখে মুখে ছিল আতংকের ছাপ। নুসরাত রাফির কথার প্রতি উওরে একটা মুচকি হাসি দেয়। তা গ্রামের বড় ভাই এখন কোথায় আছে শহরে আছে নাকি চলে গেছে। (নুসরাত) 


• রাফির কাছে নুসরাতের মুচকি হাসি টা কেমন যেন রহস্যময় রহস্যময় লাগছে। রাফি এটাই বুঝতে পারছে না কেন নুসরাত তাকে এত প্রশ্ন করছে,, আগে তো এমন করে কখনো গুরুত্ব দিয়ে কথা বলতো না কিন্তু এখন তাই বুঝতে পারছে না রাফি। জ্বি আপু বড় ভাই এখানেই একটা বাসায় থাকে। (রাফি)


• রাফি তকে একটা কথা বলি- মানুষই একমাত্র প্রাণী যে পুরোপুরি সফল জীবনযাপন করে আফসোস নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। তুই আবার নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে রেখে আফসোস করিস না। মুচকি হেসে চলে যায় নুসরাত আর ছাঁদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নুসরাতের রহস্যময় কথা গুলো ভাবতে থাকে রাফি, তবে কি রাফির পরিচয় কোনো ভাবে জেনে গেছে নুসরাত।.. 


.........


“ রাজ তুমার সাথে আমার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে,, খাবার শেষ করে আরাম করে বসে কথা বলবো”


ডাইনিং টেবিলে উপর খাবার রাখা, আজ যেন এই দুতলা বাসায় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাজ তার চেয়ার টা টেনে বসার সময়ই মেহেরাব রাজ কে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। রাজ বসে মুচকি হাসি দিয়ে বলে-- সমস্যা নেই স্যার খাওয়া দাওয়া করে কথা বলব। আর স্যার আজ এত আয়োজন করা হয়েছে কেনো কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান নাকি।(রাজ)


• মেহেরাব রাজের কথা শুনে মুচকি হেসে বলে-- কি আর বিশেষ অনুষ্ঠান হয়তো আজ কেউ বাসা ছেড়ে চলে যাবে তাই তাকে ভালো মন্দ খায়িয়ে বিদাই দিবো।(মেহেরাব)


• রাজ বুঝতে পারছে না কার জন্য এত আয়োজন করা হয়েছে আর কেই বা আজ বাসা থেকে চলে যাবে।  তাই সে প্রশ্ন করে ফেলে -- স্যার বাসা থেকে কে চলে যাবে আর কই সে ব্যাক্তি যার জন্য এত আয়োজন। (রাজ)


• মেহেরাব রাজের কৌতূহল আর অস্থিরতা দেখে ঠোঁটের কোনে হাসি ঝুলিয়ে বলে-- আগে খাবার টা শেষ করো পরে না হয় দেখবে কে বাসা থেকে চলে যাবে আর কার জন্যই বা এত আয়োজন। (মেহেরাব) 


• রাজ আর কিছু না বলে তার খাবার টা শেষ করে। খাবার টা শেষ করে একবার রিমির দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দিয়ে সোফার দিকে চলে আসে। রাজ বসে বসে চিন্তা করছে কি এমন জরুরি কথা যার জন্য মেহেরাব তাকে এত গুরুত্ব দিয়ে কথা টা বললো। 


* রাজ আমি তো রাফিন আর রাফসানের থেকে একজন কে ধরে ফেলেছি কিন্তু কে কোন টা সেটাই বুঝতে পারছি না **


মেহেরাবের এমন কথা শুনে রাজ যেন আকাশ থেকে পড়লো। এমন কথা বলছে মেহেরাব এর উত্তর রাজ কিভাবে দিবে বুঝতে পারছে না রাজ,,,,তাহলে কি.................


@@@ চলবে @@@


[ পর্ব টা দেরি করে দেওয়ার জন্য দুঃখীত। আর এই পর্বে সবার একটা একটা করে ভালো করে মন্তব্য আশা করছি। ]ধন্যবাদ 


wait for the next part.

খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড---পর্ব:১৯--RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ



“ খুনী দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”

লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব : ১৯

..............


“হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট। কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়” 

যেমন এখন নুসরাত রাফিকে এমন একটা প্রশ্ন করেছে যা শুনে সে হতভম্ব হয়ে যায়। 


• কিরে এমন করে মুর্তির মতো করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন। যা বলছি সেটার উওর দে।(নুসরাত) 


• রাফি ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না যে কি উত্তর দিবে কারণ নুসরাতের এই প্রশ্নের জবাব রাফির কাছে নেই,,সে কিছু না বলে মাথাটা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।


• নুসরাত নিজের রাগ টা কে কন্ট্রোল করে বলে -- আরেক বার বলছি,, কাল রাতে তুই কোথায় গিয়েছিলি আবারো এত রাতে, উত্তর দে।(নুসরাত) 


• রাফি মাথাটা নিচু করেই জবাব দেয়-- আসলে আপু আমি মাঝেমধ্যেই রাতে হাঁটতে বের হই।(রাফি)


• সেটাই তো জিজ্ঞেস করলাম এত রাতে কই হাঁটতে বের হস।(নুসরাত) 


• আপু আমি বাসার কাছ দিয়েই হাটা হাটি করি,,বেশি দূর কোথাও যাই না।(রাফি)


• নুসরাত ঠিক বুঝতে পারছে রাফি মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু রাফিকে বুঝতে দেওয়া যাবে না যে সে এটা ধরতে পেরেছে। তকে যেন আর না দেখি রাতে বেলা বাসা থেকে বেড়িয়ে হাটা হাটি করতে,, তুই এখন যা এখান থেকে। (নুসরাত) 


• রাফি তার মাথাটা নাড়ায় যার মানে হলো হ্যাঁ, সে আর রাতে বাহিরে যাবে না। রাফি পিছনের দিকে ঘুরে চলে যাচ্ছিলো তখন পিছন থেকে শুনতে পায়..রক্তের খেলায় সবাই ই উন্মাদ কেউ রক্ত দেখে মজা পায় আবার কেউ....আর কিছু শুনতে পায় না রাফি এর আগেই পিছন থেকে হাসির আওয়াজ আসতে থাকে রাফি পিছনে ফিরে তাকায় দেখে নুসরাত হাসতেছে। 


...


ষাট ওয়াটের একটা বাল্বে হলদে আলোয় নিস্তব্ধত বদ্ধ রুমটা ছেয়ে গেছে। রুমের ভিতর একটা ছেলেকে বেধে রাখা হয়েছে পরনে তার পুলিশের পোশাক,, মনে হচ্ছে অনেকক্ষন ধরে কেউ তাকে ভালো করেই আঘাত করছে যার কারণে সবুজ রঙের শার্টের চার টা বুতাম খোলা ভিতরের সাদা গেঞ্জি টা ভালো করেই বুঝা যাচ্ছে। মুখ দিয়ে সামান্য রক্ত জমাট বেঁধেছে মনে হয় অনেকক্ষন আগে কেউ চার থেকে পাঁচ টা ঘুশি দিয়েছে,,রক্ত গুলো জমাট বেঁধে কালো হয়ে গেছে। লম্বা লম্বা এলোমেলো চুল,, লম্বা চুলের সামনের ডান পাশে হালকা করে রঙ করা।ছেলেটা কে অনেক গুলো ড্রাক্সের ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে যার কারণে সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সেই ছেলেটা আর কেউ না সয়ং রাজ নিজেই। 


কিছুক্ষন পর তিনটা ছেলে রুমের ভিতর প্রবেশ করে। কালো মোটা করে ছেলেটা নাম পলাশ তার হাতে একটা ছোট বালতি টে করে পানি নিয়ে এসেছে সেই পানি সোজা রাজের মুখে মারে।


* হঠাৎ করে মুখের উপর তরল জাতীয় কিছু পড়ায় রাজ আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকায়। চোখ খুলা মাএ ষাট ওয়াটের বাল্বের হলদে আলো রাজের চোখে এসে পরে যায় কারণে রাজ আবার চোখ জোরা বন্ধ করে ফেলে। কিছুক্ষন পর আবার চোখ খুলার পর সে নিজেকে একটা চেয়ারের সাথে বাঁধা অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করে,, রাজ হাত গুলো নাড়ানোর চেষ্টা করলে তা আর পারে না কারণ তার হাত গুলো মোটা শক্ত রশি দিয়ে বাঁধা। রাজের কেমন যেন মাথাটা ঘুর ঘুর করছে,, অধিক পরিমাণে ড্রাক্স রাজের শরীরে প্রবেশ করানো হয় যার কারণে তার এমন মনে হচ্ছে।  রাজ সামনে তাকিয়ে দেখে।  একটা মধ্যে বয়সী ছেলে পায়ের উপর পা তুলে বসে সিগারেট টানছে, দুইজন ছেলে তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে বাকি একজন রাজেরর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। রাজ মনে করার চেষ্টা করছে সকালে যখন সে পুলিশ স্টেশন যাচ্ছিলো তখন কেউ তার গাড়িটা থামিয়ে তার কাছে আসে রাজ কিছু বলার আগে সেই ব্যক্তি রাজকে অজ্ঞান করে ফেলে। চেয়ারে বসে থাকা রিয়াদ নামের ছেলেটা তার সামনের  থাকা টেবিলের উপর পা দুটো তুলে রাখে। আর  রাজকে উদ্দেশ্য করে বলে- কি রে আমাকে চিনতে পেরেছিস আমি মেয়র শহীদ এর বড় ভাই এর ছেলে রিয়াদ,, সজিবের আপন বড় চাচাতো ভাই। চাচা সজিবের খুনি হিসেবে তকে সনাক্ত করেছে তুই নাকি অনেক সাহসী আবার চাচার সাথে বড় বড় কথা বলছিস। তাই তকেই নাকি চাচার সন্দেহ লাগছে,, এখানে তকে মেরে গেলে কেউ জানবে না একটা কাক পক্ষিও জানবে না। তা পুলিশ পুলিশের মতো থাকবি,,আবার রাজনৈতিক নেতাদের সাথে তর্কাতর্কি করিস কেনো।  এখন তুই বল সজীব কে কেনো মেরেছিস কি দোষ করেছিল তর সাথে যার কারণে সজীব কে মেরে দিলি। 


• রাজ মুখ দিয়ে কেনো শব্দ করে না,, সে জোরে জোরে কয়েকটা শ্বাস ছাড়ে। এভার সে ভীতু গলায় বলতে থাকে-- আমি সজীব কে মারি নি।(রাজ)


• রিয়াদের হাতের ইশারায় পিছন থেকে কালাম নামের ছেলেটা একটা স্টীক এনে তার হাতে দেয়। রিয়াদ কিছু না বলেই হঠাৎ করেই বারি মারে রাজের হাঁটুর মাঝ বরাবর,, রাজ চোখটা বন্ধ করে ব্যথা টা সহ্য করে নেয়। রাজ কোনো প্রতি উওর করে না কারণ সে জানে “বুদ্ধিমানেরা তখন কথা বলে যখন তাদের কিছু বলার থাকে” কিন্তু রাজের এখানে বলার কিছু নেই তাই সে চুপ করে বসে আছে। রিয়াদ এটা দেখে স্টীক টা দিয়ে আবার বাম পায়ের হাঁটুর মধ্যে স্ব জোরে বারি মারে। রাজের কাছে মনে হচ্ছে এই একই জায়গায় প্রথমে আঘাত করা হয়েছে।  রাজ এই বার ও নিরবে ব্যথা টা সহ্য করে নেয়। রিয়াদ যেন  রাজের এই নিরবতা সহ্য হয় না তাই সে বলতে থাকে -- কিরে তর কি কোনো ব্যথা অনুভব হচ্ছে না তুই কিভাবে চুপ করে আছিস।


• রাজ কিছু না বলে ব্যথার মধ্যেও মুচকি হাসে। যার মানে হচ্ছে তুমি যতই দুর্বল হও না কেনো শক্রুর সামনে তা প্রকাশ করা যাবে না। তুমি যত দুর্বলতা প্রকাশ করবে সামনে থাকা শক্রু তত বেশি অত্যাচার করবে তুমার উপর। 


• রিয়াদ টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় দুই টা টান দিয়ে সব ধোঁয়া গুলো রাজের মুখের উপর ছাড়ে। রাজ কাশতে শুরু করে এটা দেখে রিয়াদ জ্বলন্ত সিগারেট টা রাজের বাম হাতের উপর চেপে ধরে।  রাজের মুখ থেকে হালকা জোরে ‘ আহ্ ’ করে একটা শব্দ হয়। এটা দেখে সবাই উচ্চ সরে হাসতে থাকে।


• বুদ্ধিমান সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে কাজের পরে। রাজ এই কথাটা চিন্তা করে মুচকি হাসছে। 


• রিয়াদের কাছে রাজের এই এই মুচকি হাসি টা যেন আর সহ্য হচ্ছে না। তাই সে রেগে বলে- কিরে তুই কি দিয়ে তৈরী, এত অত্যাচার করছি তবুও কিভাবে তুই হাসছিস।(রিয়াদ)


• রাজ বড় করে একটা শ্বাস নিয়ে বলে- তুই কি জানিস  রাগ,অভিমান ও অভিযোগ বোকা ও দূর্বলরা করে। বুদ্ধিমানরা পরিস্থিতি পরিবর্তনে বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে।(রাজ)


• তাহলে তুই কি এখন নিরবতা পালন করে বুদ্ধিমতার পরিচয় দিবি বলেই রিয়াদ রা মিলে হাসতে থাকে। 


• রাজ জানে শক্রুকে যত বেশি রাগাবে তত বেশি সে দুর্বল হয়ে যাবে তার বুদ্ধি কাজ করা বন্ধ করে দিবে। তাই সে রিয়াদ কে রাগানোর জন্য বলছে, রিয়াদ তুই কি জানিস পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে মুহূর্তের মধ্যে প্রচন্ড পারমাণবিক শক্তি মুক্ত হয় এবং ভয়াবহ ধ্বংসলীলার সৃষ্টি করে। ( রাজ) 


• রিয়াদ প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে চেয়ে রাজকে প্রশ্ন করে ফেলে-- এই কথা গুলো দ্বারা কি বুঝাতে চাইছিস সেটা খুলে বল।( রিয়াদ) 


• রাজ দেখতে পারছে রিয়াদ উত্তর টা শুনার জন্য কেমন যেন করে তাকিয়ে আছে।  হিহিহিহিহি....বলবো সব বলবো আগে আমাকে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে দে। মনের সুখে টানবো আর তর প্রশ্নের জবাব দিবো। (রাজ)


• রিয়াদ ভালো করে বুঝতে পারছে রাজের মাথায় কোনো সমস্যা আছে,, কেমন যেন সাইকো টাইপের ছেলে। সে আর কিছু না ভেবে পেকেট থেকে একটা সিগারেট  জ্বালিয়ে রাজের দিকে এগিয়ে দেয়।


• রাজ অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিয়াদের দিকে, হাত দিয়ে ইশারা করে,, যার মানে হচ্ছে রাজের হাত বাঁধা সে হাত বাঁধা অবস্থায় সিগারেট টানতে পারবে না। 


• রিয়াদ পলাশ কে বলে-- পলাশ সালার ডান হাতের বাঁধন টা খুলে দে। রিয়াদের কথা মতো পলাশ রাজের ডান হাতের বাঁধন খুলে দেয়। ‘ নে এবার সিগারেট টান আর আমার প্রশ্নের জবাব দিতে থাক’।(রিয়াদ) 


• রাজ জ্বলন্ত সিগারেট টা ঠোঁটে চাপে,,নিচের ঠোঁটের কোনে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে,, ঠোঁট টা অনেক জায়গায় বাজে বাবে কাটা যার কারণে সিগারেট টা ঠোঁটে চাপলে রাজের হালকা ব্যথা অনুভব হয়। তবুও যেন সে থেমে নেই জোরে জোরে চারটা টান দিয়ে সিগারেট টা শেষ করে ফেলে। আমরা যেখানে ছিলাম,, অ হে  তুই যতক্ষন পর্যন্ত আমাকে এখানে বেঁধে রাখবি ততই তর সমস্যা হবে কারণ আমি পারমাণবিক বোমার চেয়ে বেশি শক্তিশালি। আমাকে এখনই মেরে ফেল নয়তো পরে আবার তর আশা অপূর্ণ ই থেকে যাবে।(রাজ)


• সালা মাদা*** তকে চাইলে এখনই মেরে দিতে পারি কিন্তু তকে যে মারবে সে এখনও আসে নাই। ভাগ্য টা তর খুবই ভালো তা না হলে তুই এখন পর্যন্ত বেচে আছিস।(রিয়াদ)


• রাজের ভাগ্য সম্পর্কে সে নিজেই অবগত নেই,,রাজের খারাপ সময় সে নিজেই ঠিক করে আবার ভালো সময়ও সে নিজে ডিসাইড করে। আমি জানি আমার ভাগ্য এখন কি লেখা আছে তবে আমি এখন মরবো না এটা তো শিউর।(রাজ)


• আত্মবিশ্বাস ভালো কিন্তু এত বেশি আত্নবিশ্বাস ভালো না। (রিয়াদ)


• হিহিহিহি.. রাজ জানে তার মাইন্ড যতক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ তার কিছু করতে পারবে না।( রাজ) 


• রিয়াদ বসা থেকে উঠে এসে রাজের বাঁধন গুলো খুলতে থাকে। উপস্থিত সবাই প্রায় অবাক,, রাজ এতক্ষণ রিয়াদের সাথে কথা বলে বুঝে গেছে তার সাথে কি রকম মাইন্ড গেম খেলতে হবে তাই সে কথা টা বলছে। আর কথাটা শুনে রিয়াদ হার্ট হয়ে গেছে যার জন্য সে এমন করছে।নে খুলে দিলাম তর সব বাঁধন দেখি তুই কি করতে পারিস,, আজ তর এমন অবস্থা করবো তুই নিজে নিজেকে দেখে ভয় পেয়ে যাবি,,রিয়াদ তার শার্টের বুতাম গুলো খুলতে খুলতে রাজকে বলছে।


• রাজ বুঝে গেছে শিকার নিজে এসে ধরা দিচ্ছে তাই তাকে তেমন বাবে প্রস্তুত হলে হবে। রাজ নিচের দুই টা বুতাম খোলে শার্ট টা টেবিলের উপর রাখে,,সাদা গেঞ্জির ভিতর স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে সিক্স পেক বডি।


• রিয়াদও তার সাদা শার্ট টা খোলে টেবিলের উপর রাখে। পিছন থেকে.    পয়েন্ট 38 রিবালভার টা রাখে টেবিলের উপর,, গাড় টা হালকা ঘুড়িয়ে ব্যয়াম করে নিচ্ছে। পা টা হালকা উচু করে রাজের দিকে স্লাইড করে কিন্তু রাজ সেপ্টি নিয়ে সরে আসে,, কিন্তু রিয়াদ তার পরের এটাক টা মিছ করতে চায় না তাই ডান হাত দিয়ে রাজের তলপেটে হিট করে রাজ দুর্বল থাকায় দূরে ছিটকে পরে,, রিয়াদ যেয় রাজকে টেনে তুলে। রাজ মুচকি হেসে নিজের মাথাটা দিয়ে জোরেই একটা হিট করে রিয়াদের কপাল বরাবর,, রিয়াদ সামান্য দূরে সরে যায়। রাজ যেন এটার অপেক্ষা তেই ছিল টেবিলের উপর থাকা গান টা নিয়ে পর পর তিন টা গুলি চালায় একটা যেয়ে লাগে পলাশের কপালে, পরের টা কালামের মুখের চোয়াল বরাবর,, রাজের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার বাম পায়ে যেয়ে গুলি টা লাগে। আবদ্ধ রুমটা এখন নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে দুটা লাশ পরে আছে নিচের ফ্লোরে, পায়ে গুলি লাগা শাওন নামের ছেলেটা ব্যথা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হাড়ায়।


• রাজ এই নিস্তব্ধত রুমে জোরে জোরে হাসতে থাকে,, টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায় আর টানতে থাকে রাজ পিছনের দিকে ঘুরে একবার দেখে নেয়,, রিয়াদ যেন এটার ই অপেক্ষা করছিলো সে উঠে দৌড়ে রাজ কে মারতে আসবে তখনই একটা গুলির শব্দ হয়। গুলিটা রাজ না দেখেই চালায় সেটা যেয়ে সোজা রিয়াদের ডান হাঁটুর মধ্যে লাগে।রাজ জোরে হাসতে হাসতে বলে- রাজের নিশানা কখনো মিছ হয় না। শুন রিয়াদ   ‘যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম। আমাকে যেন কে আসবে মারতে দেখি তর কোন বাপ এসে আমাকে মারে। রাজের কথাটা শেষ হওয়ার সাথে সাথে রুমের দরজায় কেউ কড়া নাড়ে। 


• রিয়াদ উচ্চ সরে হাসতে থাকে বলে- নে আমাকে এখন ই মেরে দে নয়তো ওরা আসলে তকে কিন্তু বাঁচিয়ে রাখবে না। আমার দিকে এমন ভাবে চেয়ে না থেকে দরজা টা যেয়ে খুলে দে। (রিয়াদ)


• রাজ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে জোরেই হেসে উঠে বলে- যা তর মেহমান তুই যেয়ে তাকে ভিতরে নিয়ে আয়। (রাজ)


• রিয়াদ কোনো রকমে খুরে খুরে দরজার কাছে এসে দরজাটা খোলে দেয়,, বাইরে থেকে কোনো এক আগন্তুক ভিতরে প্রবেশ করে। 


• রাজ আগন্তুক টা কে দেখে পাগলের মতো হাসতে থাকে,,এমন ভাবে হাসছে আগন্তুক টা কে দেখে যেন কত দিনের পরিচয় আগন্তুকের সাথে আর................ 


@@@ চলবে @@@


[ আমার এই আইডিতে কিছু ফ্রেন্ড লাগবে আশা করি সবাই রিকোয়েস্ট দিয়ে পাশে থাকবেন]ধন্যবাদ 


wait for the next part.

Thursday, June 24, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব--১৮--RAJA Bhuiya.

 রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড 

লেখক:RAJA Bhuiyan


পর্ব:~~( ১৮ )~~

........................


রাত ১২ টার দিকে কে এই ভাবে বাসা থেকে বের হতে পারে বুঝতে পারছে না নুসরাত,, তাই সে দৌড়ে নিচে চলে আসে, নুসরাত কে হাঁপাতে দেখে মফিজ মিয়া নুসরাত কে জিজ্ঞেস করে। 



• আপা মনি আপনি এভাবে দৌড়ে কই যাইতাছেন। (মফিজ)




• নুসরাত মফিজ মিয়া কে একদম সহ্য করতে পারে না তাই সে রেগে বলে- সেটা কি তোমাকে বলতে হবে,,তুমি আগে বলো এত রাতে তুমি কাকে গেট খুলে বাইরে যেতে দিছো।( নুসরাত) 




• নুসরাতের এমন রাগ দেখে মফিজ মিয়া ভয় পেয়ে যায় তাই সে আমতা আমতা করে জবাব দেয় --অ.আপা মনি ঐই টা তো ছিল রাফি,, আর সে তো মাঝে মধ্যে ই রাতে বাইরে বের হয়ে যায়। কথাটা শোনা মাএ নুসরাত গেট টা খুলে বেড়িয়ে পরে রাফির পিছনে পিছনে। নুসরাত একটা জিনিস বুঝতে পারছে না যে রাফি এত রাতে কোথায় যায়। ল্যামপোস্টের আলোয় দেখা যাচ্ছে রাফি তার পেন্টের পকেট থেকে ফোন টা বের করে কাকে যেন ফোন দিয়ে কথা বলছে। হঠাৎ ই রাফির সামনে কালো একটা গাড়ি এসে থামে,, নুসরাত লুকিয়ে পরে যাতে কেউ তাকে দেখতে না পারে। রাফি সেই কালো গাড়ির ভিতর ডুকে পরে,,নুসরাত ভাবতেও পারে নি রাফির মতো ক্ষেত, ছেলে এমন দামি গাড়ি তে উঠতে পেরেছে। নুসরাত আর এক মূহুর্ত দেরি না করে গাড়ির নাম্বার টা নোট করে নেয়,,লোকেশন টা অন করে মোবাইলে কানেক্ট করে নেয়। জোরে জোরে দৌরে বাসায় চলে আসে,,পছন্দের গাড়িটা বের করে লোকেশন ট্র্যাকিং করতে করতে রাফির গাড়ির পিছনে যেতে। নির্জন রাস্তা সামনে রাফির গাড়ি ২য় নাম্বার গাড়িটা নুসরাতের কিন্তু হঠাৎ একটা মোড় পেরুতে পর পর দুইটা গাড়ি নুসরাতের পিছনে পরে যায়। নুসরাত বুঝতে পারছে না এখানে আসা তার ঠিক হয়েছে কি না। রাফির গাড়িটা যেতে যেতে নির্জন জঙ্গল এলাকায় এসে থামে। নুসরাতও রাফির গাড়ির থেকে কিছু দূরে গাড়িটা থামায়,, কিন্তু নুসরাত তার গাড়ি থেকে নামে না। নুসরাত পিছনের দিকে চেয়ে দেখে তার গাড়ির পরের দুইটা গাড়ি নেই। রাফির গাড়ি থেকে তিন টা ছেলে নামে, ছেলেগুলো জিন্স জ্যাকেট, স্টাইলিস ছেড়াঁ পেন্ট, মাথায় লাল রুমাল বাধাঁ দেখতে পুরা বখাটেদের মতো লাগছে। কিন্তু রাফি নামছে না, কিছুক্ষণ পর একটা লোক গাড়ি থেকে নামে, নুসরাত অবাক হয়ে সেদিকে চেয়ে থাকে কেননা লোকটার পরনে মাফিয়াদের স্টাইলের সব কিছু পড়া। চার জন লোক সামনের দিকে এগিয়ে যায়। নুসরাত বুঝতে পারছে না রাফি কোথায় গেলো সে তো এই গাড়ির ভিতরেই ছিলো তাহলে কই গেলো সে। নুসরাত দৌড়ে সামনের গাড়ির কাছে চলে আসে কিন্তু সে দেখতে পায় গাড়ির ভিতর কেউ নেই তাহলে রাফি কই। নুসরাত আর কিছু না ভেবে সামনের দিকে এগিয়ে যায় লোকগুলোর পিছন পিছন।


..



“ এই কে তুই আমাদের এখানে কেন নিয়ে এসেছিস,, ফরহাদ স্যার যদি জানে তুই আমাদের এখানে ধরে এনে বেঁধে রেখেছিস তাহলে তদের একটা কেও ছাড়বে না”। 



• হিহিহিহিহিহি.....ইমন নামের ছেলেটির কথা শুনে সামনে বসা আগন্তুক টা উচ্চ সরে হাসতে থাকে। ফরহাদ আমাকে মারবে সেটা কিভাবে সম্ভব আমি তো খুন করে কোনো প্রমাণ রেখে যাই না, তাহলে। (আগন্তুক) 



• সোহান নামের ছেলেটা জোরে বলে উঠে-- রাফসান ভাইয়ের কানে যদি খবর টা যায় তাহলে কিন্তু পরেরটা আর নাই বল্লাম।(সোহান)




• হিহিহিহিহি.... রাফসান তাকে কি তোরা কখনো দেখেছিস। 



• রাফসান ভাই কে দেখা লাগে না, তার কথা বলে সব মায়েরা তাদের সন্তান কে ঘুম পাড়ায়,,আর তুই বলছিস তাকে দেখা লাগে না কি..(ইমন)



• আগন্তুক টা টেবিলের উপর থাকা সিগারেটের পেকেট আর পিস্তল টা নাড়াতে থাকে। সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে তার ঠোঁটে চাপে,,ডান হাত দিয়ে গান টা কে নাড়তে থাকে। আগন্তুক টা সাকিব নামের ছেলেটা কে হাতের ইশারায় বল- ওর বাঁধন টা খুলে দে।




• আগন্তুকের কথা শুনে সাকিব ওর বাঁধন খুলে দেয়। ভাইয়া এখন এই তিনটা কে কি করবো।(সাকিব)



• আগন্তুক টা একটু হাসে কিছু না বলে পর পর দুই টা গুলি করে বাঁধা দুইজন ছেলের মাথায় যেয়ে লাগে ছেলেদুটির চোখ জোরা যেন বেরিয়ে আসার উপক্রম। 



• বাঁধা থেকে মুক্তি পাওয়া ইমন যেন এটা দেখে উওেজিত হয়ে গেছে সোজা যেয়ে আগন্তুকের কালার ধরে ঝাকাতে থাকে আর বলতে থাকে -- তুই এটা কি করলি কুওার বাচ্চা এদের মেরে দিলি কেনো। (ইমন)



• আগন্তুক টা একটু হেসে জবাব দেয়- রাফির কলার ধরা মানে বাঘের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা। বলেই শক্ত বুট দিয়ে সজোরে ইমনের তলপেটে লাথি মারে,, ইমন দূরে ছিটকে পরে যায়। আগন্তুক টা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ইমনের সামনে এসে হালকা নিচু হয়ে বলে- মাফিয়া জগৎ মানে হচ্ছে রক্তের খেলা। সব রাফিয়ান রা রক্তের নেশায় মেতে উঠে,,সবার একটাই কথা হয় মারো নয় মর। তুই ও এই জগৎের একজন তাই তকেও মৃত্যুর সামনে দাঁড়াতে হবে। যেমন আজ দাঁড়িয়ে আছিস, মৃত্যু কে কখনো ভয় পাবি না। তুই যদি মৃত্যুর সামনে থেকে বেঁচে যেতে পারিস তাহলে মনে করবি তর আবার চান্স এসেছে তা তুই কাজে লাগাবি কিন্তু আজ... আগন্তুক  টা আর বেশি কিছু না বলে সোজা ইমনের বুকে তিনটা গুলি করে। ইমন যেন ভয়ক্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আগন্তুকের দিকে। আগন্তুক টা তার মাথা থেকে হুড ওয়ালা টুপি টা আস্তে আস্তে খোলে মুখ থেকে কাটা মাক্স টাও খুলে লাশের পাশে ফেলে চলে আসে গাড়ির দিকে। গাড়িতে উঠবে তখনই দেখতে পায় সাদা ড্রেস পড়া কেউ যেন ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। সাকিব কে জোরে বলে উঠে -- সাকিব দেখ ওখানে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে তাড়াতাড়ি যা পালাতে যেন না পারে।সাকিব আর শাহিন ঐ দিকে দৌড় দেয় কিন্তু দূরভাগ্য বশত তারা সেখানে যেয়ে কাউকে পায় না এর আগেই সাদা ড্রেস পরা ছায়াটা উদাও হয়ে যায়। 



• সাকিব আর শাহীন এসে আগন্তুকের সামনে মাথাটা নিচু করে নেয় আর বলে- ভাইয়া ওখানে কাউকে পেলাম না মনে হয় পালিয়ে গেছে।



• আগন্তুক টা সজোরে পা দিয়ে গাড়ির চাকয় একটা লাথি মেরে গাড়িতে উঠে বসে৷ আগন্তুক টা ভাবছে ছায়া টা হচ্ছে কোনো এক মেয়ে কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব এত রাতে কে এই ঘন জঙ্গলের ভেতর আসবে,,ঘোর ভাবে ভাবতে থাকে আগন্তুক টা....... 



................


* নুসরাত কিছুক্ষন আগের বিধ্বংসী একটা ঘটনা দেখেছে সেটা মনে করতেই তার বুক কেপেঁ উঠছে।*


নুসরাত ছেলেগুলোর পিছনে যেতে যেতে একসময় গাছের সাথে লেগে পা টা হালকা কেটে যায়। কোনো রকমে রক্ত টা বন্ধ করে আবার হাটা শুরু করে কিছু পর লোকগুলো থামে আর তাদের সামনে তিন জন ছেলেকে বেধেঁ রাখা হয়েছে। নুসরাত গাছের আরালে লুকিয়ে তাদের কাজ কর্ম দেখতে থাকে। কালো ড্রেস আপ পরা লোকটা যখন দুইটা গুলি করে মেরে দেয় তখন নুসরাত হালকা ভয় পেয়ে যায় কারণ হঠাৎ কাউকে এবাবে মেরে দিবে বুঝতে পারে নি সে। যখন আগন্তুক টা নিচে বসা ইমন নামের ছেলেটি কে মেরে মাথা থেকে টুপি আর কাটা মাক্স টা খুলল তার পুরো চেহারা টা হালকা চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পারছে নুসরাত সেটা আর কেউ না তাদের বাসার ছাদের চিলেকোঠার রুমে যেই ছেলেটা থাকে রাফি সেই। সে কিছুক্ষনের জন্য নিস্তব্ধত হলে গিয়েছিল।  ভার্সিটির সবচেয়ে ক্ষেত, গরীর ছেলেটা এভাবে তিনটা খুন করতে পারলো ভাবতে পারছে না নুসরাত।  রাফিরা যখন গাড়িতে উঠবে তখনই নুসরাত গাছের আরাল থেকে বেড়িয়ে যায় যার কারণে রাফি তাকে দেখে ফেলে। নুসরাতের জানা নেই রাফি তার মুখটা দেখতে পারছে না কি পারছে ন। নুসরাত যখন দেখলো রাফির হাতের ইশারায় দুইটা ছেলে দৌড়ে আসছিল তখন নুসরাত সেখান থেকে জোরে দৌড়ে চলে আসে।  নুসরাত জঙ্গল থেকে বেড়িয়েই খোলা একটা মাঠে চলে আসে আর ভাবতে থাকে রাফি কি করে হতে পারে মাফিয়া।......... 



...



রাজ প্রতিদিন রাতে ছাঁদে এসে সিগারেট টানে আর প্রতিদিন সেখানে রিমি চলে আসে। কিন্তু আজ রাজ অবাক হয়ে গেছে এক ঘন্টা হয়ে গেছে তবুও রিমি ছাঁদে আসছে না। তবে রাজের কাছে ভালোই লাগতেছে একা একা বসে সিগারেট টানছে। অন্য দিন হলে রিমির কথার জ্বালায় শান্তিতে সিগারেট খেতে পারতো না। রাজ একটার পর একটা সিগারেট খেয়েই যাচ্ছে কোনো মতে মাথা থেকে চিন্তা মুক্ত হতে পারছে না। পকেট থেকে আরেক বার লকেট টা বের করে দেখতে থাকে। এই পর্যন্ত সে নয় বার দেখে ফেলছে লকেট টা কিন্তু সে বুঝতে পড়েছে না কিভাবে এই সামান্য জিনিস দিয়ে খুনি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে। রাজের কাছে ফরহাদের রহস্যময় কথা গুলো কেমন যেন ভাবাচ্ছে। আবার ফরহাদের রহস্যময় কথা গুলো শুনে মেহেরাব শান্ত হয়ে মুচকি হাসি দিয়েছে। কি হতে পারে কি হতে পারে সেটাই বুঝতে পারছে না রাজ।



“ আপনার সাথে মনে হয় আমার আর কথা হবে না ”

রাজ এগুলো চিন্তা করছিলো তখন ই পিছন থেকে রিমির গলার আওয়াজ শোনে পিছনে ফিরে তাকায় দেখে,, রিমি আজ একটা কালো রঙের কামিজ পরেছে চোখের নিচে হালকা কালো দাগ, চোখ জোরা লাল, মনে হয় অনেক ক্ষন ধরে কান্না করেছে। কিন্তু কেন রিমি কান্না করেছে সেটাই বুঝতে পারছে না রাজ তাই তাড়াতাড়ি করে প্রশ্ন করে ফেলে -- রিমি তুমার এই অবস্থা কেনো,, মনে হয় কান্না করেছো কি হয়েছে।



• রিমির চোখ থেকে দু ফোটা পানি পরে, হাত দিয়ে তা মুছে বলতে থাকে-- আমি আপনাকে সত্যি ভালোবাসতাম কিন্তু আপনি আমার ভালোবাসার কোনো মূল্যই দিলেন না। সব আপনার জন্য হয়েছে সে দিন যদি আমাকে একসেপ্ট করতেন তাহলে আজ আর এই দিন দেখতে হতো না।(রিমি)



• রাজ বুঝতে পারছে না রিমির কথা তাই সে বলে-- আমি তো তুমাকে আগেই বলছিলাম আমাকে ভালো না বাসতে কিন্তু তুমি তা করলে এখন এটা ভেবে কষ্ট পেলে আমার কি করার আছে।(রাজ)



• রিমি এবার সত্যি সত্যি ই কান্না করতে করতে বলে-- বাবা বলে দিয়েছে আমি যেন আপনার থেকে দূরে দূরে থাকি। আমি আপনার সাথে দূরে দূরে থাকতে পারবো না। আমার কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। আমি বাঁচবো না আপনাকে ছাড়া।(রিমি)



• রাজ নিজের চিন্তায় নিজে বুঝতে পারছে না কি করবে এখন আবার আরেক ঝামেলা। রাজ রেগে বলে- দেখ রিমি তুমার বাবা যেহেতু না করছে আমার সাথে মিশতে তাহলে তুমি তাই করো। আমার মনে হয় সেটা সবার জন্যই ভালো হবে। আর আরেকটা কথা,, রাজ বলতে যেয়েও বলতে পারলো না,,অন্য দিকে ফিরে আরেক টা সিগারেট জ্বালায় আর বিষাক্ত ধোঁয়া গুলো মুক্ত বাতাসের সাথে তীব্র গতিতে উড়ে যাচ্ছে। রাজের অবহেলা সহ্য করতে না পেরে রিমি নিচে চলে যায়। রিমির চলে যাওয়ার আওয়াজ শোনে রাজ পকেট থেকে মোবাইল টা বেরে করে কাকে যেন ফোন দেয়.........



....



হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট। কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়। রাফি আজ একটু দেরি করে ভার্সিটিতে যায় গত কাল রাতে কথা মনে করে একটু মুচকি হাসে। গেট দিয়ে যখন ডুকবে তখনই রাফি দেখতে পায় তিনটা ছেলে মিলে নুসরাত কে বিরক্ত করছে। একটা ছেলে যেয়ে নুসরাতের  কোমর স্পর্শ করে রাফি যেন এটা মেনে নিতে পারছে না তার চোখ দুটো লাল হয়ে আসছে,, সবাই নিরব দর্শকের মতো চেয়ে চেয়ে দেখছে কারো কিছু বলার সাহস নেই কারণ ভার্সিটির সভাপতির ছেলে রিয়াদ নুসরাত কে বিরক্ত করছে। রাফি নিজের হাত টা মুষ্ঠি বদ্ধ করে নুসরাতের পাশে যেয়ে দাঁড়িয়ে রিয়াদের উদ্দেশ্য করে বলে-- ভাইয়া নুসরাত আপুর সাথে এরকম করছেন কেনো। 



• রিয়াদ রাফিকে দেখে রেগে যায় শোয়েব নামের ছেলেটা কে ইশারা দিলে সে এসে রাফির কলার ধরে টানতে থাকে কিন্তু রাফি যেন সেখানে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাই শোয়েব রাফিকে গালি দিয়ে বলে- শালা মা** দাড়িয়ে আছিস কেন, চল আমার সাথে দেখছিস না বড় ভাই কথা বলছে চল এখন থেকে। 



• রাফি যেন আর ধৈর্য ধরতে পারছে না। তাই সে তার কলার থেকে হাত টা সড়ায়। আর বিনয়ী কন্ঠে বলে- ভাইয়া আপুর সাথে এরকম করছেন কেনো এটা কিন্তু ঠিক না। ওনাকে ছেড়ে দেন প্লিজ ভাইয়া (রাফি)



• নুসরাত হালকা করে রাফির দিকে চেহে দেখে কিভাবে সুন্দর করে অভিনয় করছে। রাফি চালেই সব কটার লাশ ফেলে দিতে পারবে কিন্তু এইবাবে অভিনয় করার কি দরকার বুঝতে পারছে না নুসরাত।



• ছেড়ে দিবো যা সত্যি সত্যি ছেড়ে দিবো কিন্তু আজ রাতের জন্য হলেও এই মেয়েকে আমার চাই।বলেই রিয়াদ হাসতে থাকে। 



• রাফি দাঁতে দাঁত চেপে ধরে আছে। এই কথার জবাব কি দিবে বুঝতে পারছে না রাফি। ভাইয়া আপনার মুখের ভাষা ঠিক করুন আর ভদ্র ভাবে কথা বলুন।(রাফি)



• রিয়াদ কিছু বলবে এর আগেই নুসরাত কষে একটা চড় মারে রিয়াদের বাম গালে। আর বলতে থাকে- এতক্ষণ ধরে তর সব অন্যায় কাজ গুলো সহ্য করছি এর মানে এই নয় যে আমি তকে ভয় পাচ্ছিলাম। তর মতো রাস্তার কুকুর রা সবসময় গেউ গেউ করে আবার যখন খাবার পেয়ে যায় তখন ঠিক হয়ে যায়। কথাগুলো বলে নুসরাত সেখান থেকে চলে আসে। 



• রিয়াদ বাম হাত দিয়ে গাল টা চেপে ধরে আছে। দাঁতে দাঁত চেপে রাফিকে উদ্দেশ্য করে বলে-- আজকে রাতে তকে ধরে এনে এমন শিক্ষা দিবো যা তুই কখনো চিন্তা করতে পারবি না বলেই রিয়াদ একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসে। রাফি রিয়াদের চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে আর নিচের দিকে চেয়ে মুচকি হাসে।



..



নুসরাত কোনো ভাবে নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করতে পারছে না,,সবচেয়ে বেশি রাগ উঠছে রাফির উপর, কেন সে তখন অন্যয় দেখেও ওদের কিছু বলল না। তাই সে রাফির ক্লাসের দিকে চলে আসে।




* রাফি ক্লাসে বসে বসে ক্লাস করছিলো তখনই নুসরাত বাইরে রাফি কে উদ্দেশ্য করে বলে-- এই রাফি এখনই ক্যাম্পাসের পুকুর পারে আসবি খুবই তাড়াতাড়ি। রাফি বুঝতে পারছে না কেনো নুসরাত তাকে এইভাবে ডাকলো। তাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব রেগে আছে কিন্তু কেন সেটাই বুঝতে পারছে না রাফি। পুকুর পারে যেয়ে দেখে নুসরাত পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে। রাফিকে অবাক করে দিয়ে এমন এক প্রশ্ন করলো নুসরাত,, তার কি উওর দিবে বুঝতে পারছে না রাফি.........





@@@ চলবে @@@






[ ভালো মন্দ যেমন ইচ্ছে কমেন্ট করবেন তবে ভালো কমেন্ট ই আশা করবো।]ধন্যবাদ 






wait for the next part.

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব--১৭---RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 



“খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”

লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব:>>[(১৭)]<<


.................


রিয়াজ বুঝতে পারছে না কি বলবে সবাইকে। কোনো রকমে আমতা আমতা করে বলে-- আ..আরে আমি তো এই বইটা পড়ছি কিন্তু ঢাকায় আসার সময় বাসায় ফেলে আসছি,,কিছু অংশ পড়া বাদ আছে তাই অনেক লাইব্রেরীতে খোজ করছি কিন্তু পাই নি। সবাই অবাক কারণ একটা বাইয়ের জন্য রিয়াজ কেমন অস্থিরতা প্রকাশ করেছে। এবার নুসরাত বলে।


• দেখো রিয়াজ তুমি কিন্তু বইটা পরে নিবে। আজ আমি বই টা নিবো আমার পড়া শেষ হলে তুমি পড়িও।(নুসরাত) 


• রিয়াজ শান্ত ভাবে বলে -- ওকে সমস্যা নেই তুমার পড়া শেষ হলে আমাকে দিয়ে দিবে আগে থেকেই বলে দিলাম।(রিয়াজ)


• আয়ান রেগে বলে- আমার বই এখন পর্যন্ত আমি পড়তে পারি নাই আর তরা আমাকে পড়তে না দিয়েই কাড়াকাড়ি করা শুরু করছিস।(আয়ান)


• আয়ান আমি যত টুকু পর্যন্ত পড়েছি তত টুকু তোমাদের শুনাই।(রিয়াজ)


• বইয়ের কাহিনি টা পড়লেই একটা ফিল হবে আর মুখ দিয়ে শুনলে আরেক রকম ফিল হবে। তার চেয়ে ভালো হবে আমি পরে পড়ে নিব,,তুমাদের শেষ হলে। (আয়ান)


• এর মধ্যে রিয়া সিরিয়াসলি হয়ে বলে-- এই সবাই একটা ব্যপার খেয়াল করেছিস।( রিয়া) 


• কি..?(সবাই)


• এই যে রাকিব ভাই ভার্সিটিতে আর কোনো কড়া নির্দেশ দেয় না। কোনো ঝামেলা করে না কেমন জানি হয়ে গেছে বুঝতে পারছি না। (রিয়া)


• রিয়ার কথা শোনে রিয়াজ রহস্যময়ী একটা হাসি দেয়। কিন্তু তার হাসি টা কেউ না দেখলেও নুসরাতের চোখ এরালো না। কিন্তু কি কারণে এই রহস্যময় মুচকি হাসি বুঝতে পারছে না নুসরাত।....


.........


“ কি মি. মেহেরাব আপনারা কি করছেন আপনার টিম রা কি করছে। শহরে এত খুন খারাপি হয়ে যাচ্ছে আর আপনারা কোনো কিছু করতে পারছেন না। ”

 আজ মেহেরাব আর রাজ কে সিএম ফরহাদ নিজের অফিসে ডেকেছে। শহরের এই অবস্থা কিন্তু পুলিশ টিম কিছু করতে পারছে না তাই তিনি কিছু কথা বলার জন্য ডেকেছেন। তাদের কথা কপোনের মধ্যে ই ফরহাদ উক্ত কথা টা বলে। 


• মেহেরাব কি বলবে বুঝতে পারছে না তবু্ও আমতা আমতা করে জবাব দেয় -- স্যার আমরা আমাদের সবোচ্চ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আমরা খুনিকে ধরতে পারলে আইনের কঠিন শাস্তি দিবো।


• ফারহাদ কথাটা শুনে একটা মুচকি হাসি দিয়ে রাজকে বলে.. মি. রাজ কি অবস্থা আপনার,,আপনাকে তো শহরে আনা হয়েছিল সন্ত্রাসবাধ কমানোর জন্য কিন্তু আপনি আশার পর থেকে কেমন জানি খুন গুলো একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে,, কি করেন সারাদিন এবাবে যদি শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তবে জনগণের তো অনেক ক্ষতি। 


• রাজ চোখ জোরা ছোট্ট করে ঠোঁটের কোনে একটা হাসির ঝলক দিয়ে বলে-- স্যার আমি আমার মতো করে চেষ্টা করছি তবে আশা আছে খুব তাড়াতাড়ি আসামি কে ধরে ফেলবো। আর স্যার পুলিশ যেখানে বেশি সেখানে সন্ত্রাস একটু বেশি থাকবেই।


• ফরহাদ রহস্যময় হাসি দিয়ে বলে-- শুনলাম শহরে নাকি মাফিয়ার লোকে ভরে গেছে। তা আপনারা কি ওদের ধরতে পারবেন,,না কি আরো  ফোর্সের ব্যবস্থা করবো।


• মেহেরাব কথা বলবে কিন্তু আর বলতে পারে না,,রাজ আগেই বলে উঠে -- স্যার আমারও তাই মনে হয়  কিছু নতুন ফোর্সের ব্যবস্থা করতে হবে। যে ভাবে শহরের অবস্থা করেছে এই কয়েক দিনে আর কিছু দিন দেরি হলে মনে হয় শেষ করে দিবে শহর টা কে। 


• ফরহাদ চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায়-- আমি সব কিছুর ব্যবস্থা করছি আপনারা আপনাদের মতো চেষ্টা চালিয়ে যান। রাজ আর মেহেরাব চলে আসবে তখনই ফরহাদ একটা বলে- “দেখা হবে তোমার সাথে কোনো এক অচেনা অজানা জায়গায় খেলবো মাইন্ড দিয়ে ” 

 রাজ আর মেহেরাব কথাটা শুনে চমকে পিছনের দিকে তাকায় তাদের তাকানো দেখে ফরহাদ একটা মুচকি হাসি দেয়। রাজ প্রতি উওরে ঠোঁটের কোনে একটা হাসির ঝলক দিয়ে বাইরে বেড়িয়ে আসে। 


..


জান্নাত আজও বোরকা পড়ে ভার্সিটিতে এসেছে। চারিদিকে তাকিয়ে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। হঠাৎ তার চোখ যায়- গাছের নিচে বসা একটা ছেলের দিকে ময়লা একটা সাদা শার্টের সাথে চকলেট কালারের পেন্ট,,মোটা ফ্রেমের চশমা ঠোঁটের কোনে হাসি রেখে পাশে বসে থাকা মুন্নার সাথে কথা বলছে। জান্নাত মনে করার চেষ্টা করছে ছেলেটাকে কোথায় যেন দেখেছে,,আরেক টু এগিয়ে দেখে ছেলেটা ঐই দিনের বোকা ছেলেটা নাম রাফি। জান্নাত ক্লাসের দিকে না যেয়ে কি যেন মনে করে রাফিদের দিকে এগিয়ে যায়। 


* কি ব্যপার মুন্না আজ দেখি তর ফুল সব বেচাঁ শেষ * রাফি মুন্নাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। 


• মুন্না তার সবগুলো দাঁত বের করে একটা হাসি দিয়ে বলে-- হ ভাইজান আজকা সব ফুল বেচাঁ শেষ আমার তয়। (মুন্না)


• তবে কি..??(রাফি)


• আজকার মতো কোনোদিন ফুল বেচতে পারি নাই।(মুন্না)


• হিহিহিহিহিহিহি....  কেনো রে আগে কি কেউ ফুল নিতো না।(রাফি) 


• মুন্না মুখটাকে বড় করে জবাব দেয় -- আগে নিতো তয় আজকা একটা পুলিশ  অফিসার সব ফুল লইয়া গেছে গা। (মুন্না)


• তা পুলিশ অফিসার একসাথে এত ফুল দিয়ে কি করবে।(রাফি)


• হে ডা আমি কেমনে কমু কেরে এত ফুল নিছে।(মুন্না)


* হ্যালো মি.রাফি ধন্যবাদ * 

 রাফি আর মুন্না কথা বলছিলো তখনই পিছন থেকে রাফিকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে জান্নাত। রাফি বুঝতে পারছে না কেনো অচেনা একটা মেয়ে তাকে ধন্যবাদ দিলো। রাফি অবাক হয়ে জান্নাতের দিকে চেয়ে আছে। 


• জান্নাত সেটা বুঝতে পেরে একটা মুচকি হাসি দেয়। তা মি. আমাকে চিন্তে পেরেছেন। রাফি প্রতি উওরে মাথাটা নাড়ায় মানে চিন্তে পেরেছে।


• রাফি মুখ ফোটে বলে-- জ্বি আপু আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। তা হঠাৎ আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কি কারণ। 


• জান্নাত তার ঠোঁট টা বাকা করে বলে-- জানাটা কি বেশি জরুরী। (জান্নাত) 


• জানাটা জরুরী না, ব্যপার টা হেয়েছে এমন যে আপনি কেনো অচেনা একটা ছেলেকে এমনি এমনি তো আর ধন্যবাদ দিতে পারেন না কোনো না কোনো কারণ তো নিশ্চয়ই আছে,,সেটা জানার চেষ্টায় আছি।(রাফি)


• অ আচ্ছা, আমি আপনাকে ধন্যবাদ দিয়েছি করণ ঐ দিন আপনি আমার বলা কথায় কিছু মনে করেন নি,,আবার আপনি আমার সমস্যা টা বুঝতে পেরেছেন তাই ধন্যবাদ দিয়েছি।(জান্নাত)


• এবার বুঝতে পেরেছি।( রাফি)


• আমরা তো একই ক্লাসে পড়ি আমারা কি ফ্রেন্ড হতে পারি,, বলেই জান্নাত তার হাত টা বাড়িয়ে দেয়।কিন্তু রাফি কিছু একটা ভেবে তার হাত টা আর বাড়ায় না,, মাথাটা নিচু করে বসে থাকে। জান্নাত প্রশ্ন করে-- কি হয়েছে আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি না। 


• রাফি কঠিন গলায় উত্তর দেয় -- দেখেন এই শহরে আমার কোনো বন্ধু নেই। আমি একা থাকতে পছন্দ করি আমার কারো প্রয়োজন নেই,, কথাটা বলে রাফি সেখান থেকে চলে যায়। জান্নাত কেবল রাফির চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে। 


‘ আফা ভাইজান এমনই হেয় কারো লগে বন্ধুত্ব করে না।’

মুন্নার কথায় জান্নাতের ঘোর ভাঙে জান্নাত মুচকি হেসে মুন্নার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে আসে সেখান থেকে। সে ভেবে পায় না একটা মেয়ে তাকে বন্ধু হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু সে তা একসেপ্ট করে নি,, যে দিকে একটা মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য অনেক ছেলে পাগল। কিন্তু রাফি সেই ছেলেদের থেকে অনেক টা আলাদা। জান্নাত আর কিছু ভাবতে চায় না রওনা দেয় ক্লাসের উদ্দেশ্য...


..


“ স্যার তাহেরদের লাশের পাশে এই লকেট টা পাওয়া গেছে ”

 রাজ তার কেবিনে বসে বসে সিগারেট টানছে আর ভাবছে কে এই খুন গুলো করেছে কার এত সাহস যে ফাহাদের উপর হামলা করলো।কে সেই রাতের আগন্তুক,,সকালে আবার ঐই ফোন, ফরহাদের রহস্যময় কথা বুঝতে পারছে না রাজ তাহলে কি...ঠিক তখনই কেবিনের দরজায় কড়া নাড়ে সাইফুল,,রাজ সাইফুলের হাত থেকে লকেট না নিয়ে ঘোর ভাবে দেখতে থাকে। তবে তার জানা নেই এই লকেট থেকে কিভাবে সে আগন্তুক টা কে খুঁজে বের করবে। 


• সাইফুল তুমি ভালো করে চেক করছো জায়গা টা। (রাজ)


• জ্বি স্যার আমি ভালো করে চেক করে শুধুই এই লকেট টা পেয়েছি। (সাইফুল) 


• সাইফুল তুমি এখন আসতে পারো। (রাজ)


সাইফুল চলে যায়,,বাইরে দাঁড়িয়ে কোনো এক আগন্তুক তাঁদের দুজনের কথাকোপন শুনে মুচকি হেসে চলে যায়। 


রাজের কাছে সব যেন ধোঁয়াশা ধোঁয়াশা মনে হচ্ছে কে এই আগন্তুক। নাকি শহরে কোনো নতুন গ্যাং এর আবির্ভাব ঘটেছে। তাহলে কে ঐই গ্যাং এর লিডার,,তবে কি কেউ রাজের সাথে মাইন্ড গেম খেলতে চাচ্ছে,,খেলতে পারে শুধু মেহেরাব কিন্তু তাহেরদের মেরে ওনি আমার সাথে কি মাইন্ড গেম খেলবে,, বুঝে উঠতে পারছে না। রাজ আরেক টা সিগারেট জ্বালায় যেন ঠোঁট জোরা জ্বলন্ত আগুনে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে। রাজ মুচকি হেসে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায় রওনা দেয় অজানা উদ্দেশ্য। 


..


“ রিমি আমি কিন্তু একটা জিনিস ভালো করে খেয়াল করেছি”

 মেহেরাব আর রিমি সামনাসামনি বসে আছে। মেহেরাব সাদা পাঞ্জাবি পরে পায়ের উপর পা দিয়ে আরাম করে,,মুখটা কে গম্ভীর করে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিমির দিকে। রিমি বুঝতে পারছে না কি ব্যপার তার বাবা ভালো করে লক্ষ্য করছে তাই সে মেহেরাব কে প্রশ্ন করে


• বাবা আমি বুঝতে পারছি না তুমি কি বলছো। (রিমি)


• কি বলছি বুঝতে পারছো না কি না বুঝার ভান করছো।(মেহেরাব) 


• বাবা সত্যি কথা আমি তুমার কথা বুঝতে পারছি না। (রিমি)


• তুমি কি রাজের প্রতি কোনো ভাবে দুর্বল।(মেহেরাব) 


• রিমি ঘাবড়ে যায়,, কিভাবে তার বাবা বুঝতে পারলো আমি রাজের প্রতি দুর্বল। তাই সে আমতা আমতা করে বলে-- বা..বাবা আ..আমি রাজের প্রতি দুর্বল এটা তুমায় কে বলছে। আমি তো রাজের আশেপাশেও যাই না।(রিমি)


• মেহেরাব মুচকি হাসি দিয়ে ধোঁয়া ঊড়া গরম চায়ে চুমুক দিয়ে বলে-- তুমার মা মারা গেছে পনেরো বছর হয়েছে, তার পর থেকে তুমার সব কিছু আমি দেওয়ার চেষ্টা করছি। আর আমার মেয়ে কি করে না করে কিভাবে চলাফেরা করে,, তুমার সব মোবমেন্ট আমার জানা আছে,তুমার কাছে আমার একটা রিকোয়েস্ট। (মেহেরাব)


• কি..?(রিমি)


• আমি কষ্ট পাবো এমন কাজ তুমি করবে না,, আশা করি আমার কথাটা বুঝতে পেরেছো। কথাটা বলে  চা টা শেষ করে মেহেরাব উঠে দাঁড়ায়। 


• রিমি খুবই আবেগ নিয়ে বলে-- বাবা রাজ তো তুমার মতো পুলিশ অফিসার ই তাহলে সমস্যা কোথায় সেটা আমি বুঝতে পারছি না। (রিমি)


• মেহেরাব তার চোখের পাওয়ারের চশমা টা ঠিক করে বলে-- সেটা তুই সময় হলেই বুঝতে ও জানতে পারবি কথাটা বলেই মেহেরাব আর দাঁড়ায় না,,চলে আসে ঘরে।


• রিমি সেখানে বসে বসে ভাবতে থাকে কি বলে গেলো বাবা রাজের সম্পর্কে কি জানতে পারবো সময় হলে কিছুই ভাবতে পারছে না রিমি সেও চলে যায় ঘরে।। 


..


* সময়টা রাত ১২টার থেকেও একটু বেশি নুসরাত ছাঁদে দাড়িয়ে আছে,, সে কিছুক্ষন আগের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করছে..... 


@@@ চলবে @@@


[ অসুস্থ ছিলাম তাই দিতে দেরি হয়েছে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখীত। সবারই ভালো মন্তব্য আশা করছি। ]ধন্যবাদ 


wait for the next part.

KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪

 # গল্প :- KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪ ............. আকাশে তাজা সূর্যের তীব্র আলো। শকুন আর গাংচিলদ...