Tuesday, June 15, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ১৩ -- RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ 




“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”



লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব:->>[( ১৩ )]<<-



..............




“ আশফি তার পিস্তলের ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই একটা গুলির শব্দ হয়, গুলিটা আশফির পিস্তল থেকে বের হয় নি,,গুলিটা পাশে থেকে করা হয়েছে। গুলিটা যেয়ে আশফির হাতের কব্জি তে লাগে,,

আশফির হাত থেকে গান টা পরে যায়। সবাই চেয়ে আছে অপরিচিত আগন্তুককের দিকে যার পরনে কালো ভয়ংকর ড্রেস। আগন্তুক টা আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। সে এসে রাফির বাঁধন খুলে দিলো,,রাফি চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায়,,অনেক্ক্ষণ যাবত সে বসে বসে অস্থির বোধ করছিল। আগন্তুক টা নিচে থেকে সিগারেট উঠিয়ে মাক্সের কাটা  অংশ দিয়ে সিগারেট টা জোরে জোরে টানছে আর শব্দ করে হাসে।





• রাফি কেবল সেদিকে চেয়ে আছে তার কাছে সব কিছু অচেনা মনে হচ্ছে। রাফি যেয়ে টেবিলের উপরে থাকা সিগারেটের পেকেট থেকে একটা সিগারেট জ্বালায়,, ধোঁয়া গুলো উপরের দিকে ছাড়তে থাকে,,সে নিজের মাইন্ড টাকে ঠান্ডা করছে।




• সজিব একবার রাফির দিকে চায় আরেক বার আগন্তুকের দিকে তাকায়। রাফি সিগারেট টানছে এটা কি করে সম্ভব,, তাকে তু সবাই মিলে খাওয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু সে কিছু তো খাই নি বলছে সে কোনো সময় এগুলো খাই নি কিন্তু আজ আমি নিজের চোখে এটা কি দেখছি। কে এই রাফি, আজ তাকে অন্য দিনের চেয়ে আলাদা লাগছে,,আর ভাবছে হঠাৎ কোথা থেকে এই আগন্তুক টা আসছে। সজিব বোকার মতো চেয়ে আছে পাশে আশফি তার এক হাত আরেক হাতের উপর চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আগন্তুক টা বেশি কথা না বলে সজিবের পায়ে একটা গুলি চালায়,, সজিব চিৎকার দিয়ে উঠে। 




• রাফির কাছেও আগন্তুক টা কে কেমন যেন অচেনা লাগছে,,

তবে আগন্তুক টা মাফিয়া দের মতো করে গুলি চালায় আবার তার স্টাইল টাও কেমন যেন অদ্ভুত,, কে এই আগন্তুক রাফি বুঝে উঠতে পারছে না। আজ মনে হচ্ছে এই রুমে বুলেটের বর্ষণ হবে আর কিছু লোকের চিৎকার কিন্তু 

 কেউ আসবে না তাদের বাঁচাতে, হয়তো রক্ত আর লাশের গন্ধে হিংস্র জীবজন্তু এসে খুবরে খুবরে খাবে তাদের নিথর দেহ। ভাবতেই রাফি সামনে চায়। রুমের ভিতর আরেটা গুলির শব্দ হয় কিন্তু এভার আগন্তুকের পিস্তল থেকে গুলি বের হয় নি।  সবার পিছন থেকে শফিক গুলিটা চালায় কেমন যেন করে সে বসে আছে আধ শোয়া অবস্থায় ডান হাত দিয়ে গুলিটা চালায় সোজা গুলিটা যেয়ে লাগে, আগন্তুকের হাতে তার হাত থেকে গান টা নিচে পরে যায়। ঘর টায় এখন নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে, কারো জানা নেই এখানে কে মরবে আর কে বাচঁবে।



• আশফি এভার একটু শব্দ করে হাসে শফিক কে বলে সাবাস বেটা ভালো একটা কাজ করছিস।

সালা কোথা থেকে এসে আমার লোক কে মেরে দিয়ে চলে যাবি।কি ভেবছিস তুই তকে ছেড়ে দিবো সালা বা*




• আগন্তুক টা উচ্চ সরে হাসতে থাকে কিন্তু কোনো কথা বলে না। পাগল হয়ে গেছে মনে হয় লোকটা কিন্তু সে এতক্ষণ তো ঠিকই ছিলো। আশফি বলে- কিরে পাগল হয়ে গেছিস নাকি এমন ভাবে হাসতেছিস কেনো৷ তবু আগন্তুক টা কিছু বলে না। 




• সজিব বসা থেকে উঠে কোনো রকমে এসে রাফির শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে শার্ট টা ছিরে ফেলে রাফি কিছু বলছে না শুধু দেখছে সজিব কি করে তার সাথে,, মা** তর জন্য এই সব হচ্ছে তকে আজ আমি মেরে ফেলবো বলে কোনো রকমে  রাফি কে একটা গুসি মারে রাফি একটু দূরে যেয়ে পরে। রাফি মুচকি হেসে সজিব কে বলে-- সজিব বাঁচতে চাইলে পালিয়ে যা নয়তো তর এমন অবস্থা করবো যে কুকুর পর্যন্ত তকে দেকে দূরে সরে যাবে। সজিব রাফির কথা না শুনে নিচে থেকে স্টীক টা তুলে রাফিকে বারি মারতে যাবে তখনি রাফি টেবিলের উপর থেকে আগন্তুকের বড় টুপি টা মাথায় দিয়ে হাতে গান টা নিয়ে সোজা একটা গুলি করে,, গুলিটা যেয়ে লাগে শফিকের কাপলে সাথে সাথে কপাল থেকে রক্ত বের হতে থাকে। রাফি আরেকটা গুলি চালায় সেটা যেয়ে লাগে সজিবের বাম পায়ে, সজিব চিৎকার দিয়ে নিচে পরে যায়। আগন্তুক টা আবারো হাসে। আশফি সাটার টা খুলে বের হতে যাবে তখনই আশফির 

পিঠে যেয়ে একটা গুলি লাগে আশফি নিচে পরে যায়। আশফির দেহ টা ছটফট করছে সে মনে হয় তার যম ধুত কে দেখে ফেলছে। আশফির এমন অবস্থা দেখে সজিব কান্না করে দেয়। রাফি যেয়ে সামনের চেয়ার টায় পায়ের উপর পা তুলে বসে পরে ডান হাতে পিস্তল, বাম হাতে জ্বলন্ত সিগারেট, মাথায় বড় টুপি, সাদা শরীরে বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ। রাফি কে দেখে যে কেউ বলে দিবে সে কোনো মাফিয়া কিন্তু সে কি আসলেই মাফিয়া জানা নেই সব ধুয়াশা। 




• সজিব কান্না করতে করতে বলে -- ভাই কে আপনারা আমাদের সাথে এমন করছেন কেনো। 




• আগন্তুক টা উচ্চ সরে হাসতে থাকে আর সিগারেট টানতে থাকে,,সে যেয়ে চেয়ারে চুপ করে বসে থাকে।




• রাফি হাত দিয়ে গান টা নারাচ্ছে আর হাসতেছে। সজিব তুই এখন বল আমাকে এখানে ধরে আনার মনে কি?




• সজিব একটা ডুক গিলে বলে ফেলে-- রাফি ঐই দিন তুমার জন্য আমাকে থানায় যেতে হয়েছে তাই আমি তোমার উপর প্রতিশোধ নিতে এখানে আনছি প্লিজ আমাকে মাফ করে দেও। বলে চিৎকার দিয়ে কান্না করতে থাকে। 




• রাফি মুচকি হেসে জবাব দেয় -- তোদের উচিৎ ছিল আমাকে আরো আগে মেরে ফেলার কিন্তু সবাই যেই ভুলটা করে তুরাও সেই একই ভুল করছিস। তুই ভার্সিটিতে আমাকে অনেক অপমান করেছিস, তাই বলে আমি সবসময় চুপ করে থাকবো তা আর হবে না,, তুই যেমন তর অপমানের প্রতিশোধ নিতে আমাকে ধরে এনেছিস,,এখন আমি আমাকে অপমান করার প্রতিশোধ নিবো, তাহলে কেমন হবে গেমটা। বলে জোরে জোরে হাসতে থাকে। 




• সজিব অনেক কান্না কাটি করছে কিন্তু রাফির কানে যেন এগুলো যাচ্ছে না। সজিব কিছু বলতে যাবে কিন্তু তা আর বলতে পারে না। করণ রাফি একটা গরম বুলেট সজিবের মাথায় মেরে দেয়। সজিব নিস্তব্ধ হয়ে শুয়ে পরে,,ঘরে এখন পিনপিন নিরবতা বিরাজ করছে,,হলদে আলোর নিচে দু জন বসে আছে পুরো ঘরে রক্তের গন্ধে ম ম করছে,, ফ্লোরে পরে আছে চারজনের লাশ, 

রাফির মাথার টুপি টা খুলে টেবিলে রাখে, হাতের গান টাও টেবিলে রেখে আগন্তুক টা কে প্রশ্ন করে-- কে আপনি আর আমাকে এভাবে বাঁচানোর মানে কি। 




• আগন্তুক টা কিছু না বলে জোরে জোরে হাসতে থাকে।




• কি হলো বলেন কে আপনি আর এভাবে হাসতেছেন কেনো। (রাফি)




• এভার আগন্তুক টা হাসি থামিয়ে জবাব দেয় -- আমি কে সেটা না জানাই ভালো,,

আমি শুনছি তুমি নাকি অনেক বুদ্ধিমান তাহলে আমাকে নিয়ে ভাবো, দেখ আমি কে আসি আবার দেখে হবে কোনো এক বিষেশ সময়ে। বলে উপরের দিকে সিগারেটের ধোঁয়া ছেরে বেরিয়ে পরে রুম থেকে এক সময় দেখতে দেখতে সে অদৃশ্য হয়ে যায়। 




• রাফি কেবল চেয়ে থাকে আগন্তুকের চলে 

 যাওয়ার দিকে। রাফি তার ছেড়া শার্ট টা গায়ে দিয়ে বেরিয়ে পরে,,বাসার উদ্দেশ্য। 



...............




“ আজ তকে আর বাসার ভিতর ডুকতে দিবো না,,তুই প্রতিদিন  

 অনেক সময় করে বাড়িতে এসে আমার ঘুম নষ্ট করিস যা আজ যা হবার হবে তুকে আমি ডুকতে দিবো না ”

এতক্ষণ আনাফ সাহেবের বাড়ির দারোয়ান মফিজ মিয়া রাফিকে বাড়িতে ঢুকতে নিষেধ করছেলো, তার এক কথা সে আজ গেট খুলবে না। কোনো উপায় না পেয়ে রাফি মাথাটা ঠান্ডা করে বলে-- মফিজ কাকা আজ শেষ বার ডুকতে দেও কাল থেকে আর দেরি হবে না। খুলে দেও দয়া করে কাল থেকে আর দেরি হবে না বল্লাম তো।




• মফিজ মিয়া আর কিছু না বলে গেটা খুলে দিয়ে বলে -- দেখো শুধু আজই শেষ বার কাল থেকে দেরি করে আসলে আমি আর গেট খুলবো না। মফিজ মিয়া তার হাতের লাইট টা ভালো করে রাফির দিকে ধরে দেখে রাফির শার্ট টা ছিড়ে গেছে শরীরে ময়লায় ভরা। মফিজ মিয়া অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল-- তুমার কি হইছে কোথাও কোনো এক্সিডেন্ট করছো নাকি যে শরীরের এমন অবস্থা। 




• রাফি মুচকি হেসে বলে -- হু ছোট একটা এক্সিডেন্ট করছি সমস্যা নেই ডাক্তার দেখিয়ে আসছি। আর এই জন্যই আজ দেরি হয়ে গেছে আমি যাই তাহলে। রাফি গোসল করছে আর ভাবছে কে ঐই আগন্তুক আর 

 আমাকে এগুলো বলে গেলো কেন,, তাহলে কি না না এটা তো হতে পারে না৷ আর কালকে সকালে কি হবে। 







** ব্রেকিং নিউজ কাল রাতে কে বা কারা যেন 

মেয়র শহীদ হোসেনের ছেলে সজিব ও ছাএলীগের নেতা আশফি, আর তার দুজন লোককে মারাত্মক ভাবে খুন করে। পুলিশ এখনো বলতে পরছেন না যে কে বা কারা খুন টা করছে। এতক্ষণ শুনছিলেন সকাল ৮ টার খবর,, আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।  নিউজ টা দেখে নুসরাত বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় তার যেন বিশ্বাস হচ্ছে না সজিব মারা গেছে,, ফোনটা নিয়ে সে আয়ান কে ফোন করে তার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে। আবার রিদয় কে ফোন দেয় কিছুক্ষন ফোন বাজার 

 পর সে ফোন ধরে কান্না করে দেয়। 




• রিদয় কান্না করতে করতে বলে -- নুসরাত সজিব কে কারা যেন খুন করে ফেলছে আমি তাদের বাসায় আছি,, তুমি চলে এসো সবাই এখানে চলে এসেছে। রিদয় ফোনটা কেটে দেয়।




• নুসরাতের ও খারাপ লাগছে এত দিন চলাফেরা করেছে,,

তাকে বিরক্ত করছে ঠিক আছে কিন্তু তবু নুসরাতের খারাপ লাগছে। সে রেডি হয়ে চলে যায় সজিবদের বাড়ি।





‘ স্যার কোনো ক্লো পাই নি ’



যেখানে খুন টা হয়েছে সেই এরিয়া টা মেহেরাবের এরিয়া তাই ওনার উপর কেসের দ্বায়িত্ব টা পরছে। মেহেরাব পুরো 

 জায়গা টা পরিদর্শন করছিল,,রক্তে পুরো ঘর ছেয়ে আছে, একজন আরেকজনের উপর পরা,,একজন সাটারের সাথে লেগে আছে, ষাট ওয়াটের বাল্ব টা এখনো জ্বলছে। টেবিলের উপর দুটো সিগারেটের পেকেট, ফ্লোরে জুতার ছাপ স্পষ্ট। এগুলো দেখছিলো মেহেরাব তখনই সাইফুল কথাটা বলে। 




• মেহেরাব রেগে বলে- কোনো ক্লো পাওয়া যায় নি মানে কি খুনি কি কোনো ক্লো রেখে যায় নি।




• সাইফুল কথাটা শুনে  

 মাথাটা নিচু করে জবাব দেয় -- স্যার এমন কোনো ক্লো পাওয়া যায় নি যেটা দিয়ে আমরা খুনিদের কাছে পৌঁছাতে পারবো। স্যার ৬ টা বুতাম পাওয়া গেছে কিন্তু সব গুলো রক্ত লেগে আছে। 




• মেহেরাব আর কিছু ভাবতে পরছে না,,এটা 

 কি করে সম্ভব খুনি কোনো প্রমাণ রেখে যায় নি। তাহলে এই খুনের পিছনে কার হাত থাকতে পারে। সজিব আর আশফি কি খুনির প্রধান টার্গেট ছিলো। যদি সজিবের শত্রু থাকে তাহলে সে আবার আশফি কে মারলো কেনো। সজিব আর আশফি এরা দু জন এক সাথে হলো কিভাবে। একজন ভার্সিটির স্টুডেন্ট আর 

 একজন রাজনৈতিক নেতা। তাহলে কি না না মেহেরাব আর ভাবতে পারছে না,,সব 

 তার কাছে ধুয়াশা মনে হচ্ছে। তখনই মেহেরাবের কাছে একটা ফোন আসে, ফোনে এমন কথা শুনে সে চমকে উঠে.............. 




### চলবে ###




[ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-- আমি নতুন একটা গ্রুপ খুলেছি, আপনারা চাইলে আসতে পারেন সমস্যা নেই। ঐই গ্রুপে সর্ব  প্রথম আমি গল্প পোস্ট করবো। আর গল্প টা পড়ে ভালো লাগলে ভালো মন্তব্য আশা করছি ] ধন্যবাদ






wait for the next part.

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ১০--RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ   



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব:>>[ (  ১০  ) ]<<


.........


• আগন্তুক টি জ্বলন্ত সিগারেট টা ফেলে দিয়ে জোরে জোরে হাসতে থাকে আর বলে -- কিরে চলে যাস কেনো আসছিলাম তো তদের সাথে একটু 

খোস গল্প করতে। 


জিসান: এই মাঝরাতে 

তর সাথে বসে বসে গল্প করব আমরা। সর 

সামনে থেকে এত রাতে এখানে ঝামেলা করতে চাই না। এ কথা শুনে আগন্তুক টা  

হো হো করে হেসে বলে-- রাতের আগন্তুক তো শুধু রাতেই গল্প করার জন্য আসে। দিনের বেলা তাদের অস্তিত্ব থাকলেও মানুষের ভিরে চেনে যায় না। তাই চাচ্ছিলাম আর কি তদের সাথে একটু গল্প করতাম,, বলে আবার হাসতে থাকে। 


আশিক: দেখ ভাই তুই রাস্তা থেকে বাইক টা সরা,, তুই কালকে সকালে এসে আমাদের সাথে গল্প করিস। আগন্তুক এবার বেশ গম্ভীর গলায় বলতে থাকে -- মুন্নার মার গায়ে কে প্রথম হাত দিয়েছিস।


কথাটা শুনে একজন আরেকজনের দিকে চাওয়া চায়ি করছে,,সবাই বাইক থেকে নামে,জিসান বলে-- কেনো কি হয়েছে হাত দিয়েছি বলে ঐ শালি বেস্যার** জন্য তুই এখন আমাদের জিজ্ঞাসা বাধ করবি। আগন্তুকের যেন কথাটা সহ্য হয় না। তাই সে আবার বলে তদের মধ্যে থেকে কে প্রথম হাত দিয়েছিস সেটা বল। সানি বলে -- আমি দিয়েছি হাত প্রথমে। কথাটা বলতে দেরি কিন্তু আগন্তুক টা  

তার পিছন থেকে   “পয়েন্ট থার্টি এইট” রিবাল বার টা বের করে সানির পায়ে গুলি করে। পরিবেশ টা এখন বেশ থমথমে চারপাশে পিন পিন নিরবতা দূরে দূরে কুকুর গুলো গেউ গেউ,,করছে    ল্যাম্পোস্টের ঘোলাটে আলো চারিপাশ ভরে গেছে,,কারো মুখে কোনো কথা নেই। আগন্তুক টা এভার বেশ জোরেই বলে-- কেনো তরা মুন্নার মার সাথে এমন করেছিস। জিসান ভয়ে ভয়ে বলতে থাকে-- খুব বড় একটা পার্টি ছিলো ওকে নিয়ে গেলে আমাদের অনেক লাভ হতো কিন্তু শালি আসছিলো না তাই জোর করে তুলে আনছি। আর তর,, ঐ বেশ্যা** মাগির জন্য এত দরদ কেনো নাকি তুই সেদিন কার কাস্টমার ছিলি। কথাটা জিসান বলা মাএ একটা গুলির শব্দ হয় এভার আর কারো পায়ে গুলি টা লাগে নি,,

সোজা জিসানের কপালে লাগে,,জিসান

এর দেহটা নিস্তেজ হয়ে গেছে। এটা দেখে আশিক চিৎকার দিয়ে পিছন থেকে গান বের করে আগন্তুক কে গুলি করবে যাবে এর আগেই পর পর দুটা গুলির করার শব্দ হয়,

100°c তাপমাত্রার দুটা বুলেট যেয়ে আশিকের বুকের ডান পাশে লাগে,আশিকের দেহটা মাটিতে লুটিয়ে পরে সে শেষে একটা কথা বলে,,সানি তুই পালিয়ে যা এ তকে মেরে দিবে চলে যা।

সানি এভার খুরাতে খুরাতে আগন্তুকের পায়ের পরে যায় আর বলতে থাকে -- ভাই কে আপনি আমাদের সাথে এমন করছেন কেনো ওদের মেরে দিছেন কেনো,, আমাকে ছেড়ে দেন ভাই বলে জোরে জোরে কান্না করতে থাকে। এ কথা শুনে আগন্তুক টা উচ্চ সরে হাসতে হাসতে বলে-- আমি, আমি কোনো এক অশান্ত শহরের শান্ত মাইন্ড গেমার। তদের কিভাবে ছেড়ে দেই বল,,কাজ সেটা ছোট হোক কিংবা বড় তার সম্মান করতে হবে। ছোট কাজ থেকেই মানুষের জীবন যাএা শুরু হয়, কিন্তু তরা কি করলি, থাক তা আর নাই বলি

কিন্তু দুঃখের কথা হলো তকেও এখন মরতে হবে। সানি এবার বলে ভাই আমি

এই শহর থেকে চলে যাব আমাকে মাফ করে দেন দয়া করে। আগন্তুক টা সানির দিকে রিবাল বার টা তাক করে, যেন র্টিগার 

টায় চাপ দিলেই গরম বুলেটে সানির কপাল টা ভেদ করে পিছন দিয়ে বেড়িয়ে যাবে। সানি সময় নষ্ট না করে হুট করে আগন্তুকের থেকে গান 

টা নিয়ে নেয় কোনো মতে এক পায়ের উপর ভর দিয়ে পকেট 

থেকে সিগারেটের পেকেট আর মেছ বের করে,, একটা সিগারেট  জ্বালায় আর সেটা টানতে টানতে বলতে থাকে -- শত্রু কে কখনো সামনে রেখে বেশি কথা বলবি না,,এতে তর ই সময় নষ্ট হবে, পিস্তল এমন একটা জিনিস এটা যার হাতে থাকবে সেই রাজা। শুন এতক্ষণ কন্নাকাটি 

করার এক টাই করন,, তর সময় নষ্ট করা আর মাথায়টাকে একটু চাপ মুক্ত করা। তর উপরে যাওয়ার সময় চলে এসেছে,, বলে সানি আগন্তুকের মাথায় তাক করে। কিন্তু অবাক করার বিষয় আগন্তুক টা জোরে জোরে হাসতে থাকে। সানি রেগে বলে।


•সানি: কিরে এমন পাগলের মতো হাসছিস কেনো,ভয় পেয়ে পাগল হয়ে গেলি নাকি।


• আগন্তুক টা ঠোঁটের কোণায় হাসি রেখে বলে-- শুন তকে একটা কথা বলি,,“বুদ্ধিমানেরা তখন কথা বলে যখন তাদের কিছু বলার থাকে। বোকারা কথা বলে কারণ তারা ভাবে তাদের কথা বলতে হবে” তেমন ই তর সাথে একটু মাইন্ড গেম খেলবো।  সানি আর সময় নষ্ট করতে চায় না। তাই সে র্টিগারের  চাপ দেয় কিন্তু কোনো গুলি বের 

হলো না দু তিন বার চাপ দিচ্ছে কাজ হচ্ছে না। এটা দেখে আগন্তুক টা হাসতে হাসতে বলে-- বল্লাম তো তুই যদি মাইন্ড গেমার হস তাহলে আমি মাস্টার মাইন্ড গেমার। এখানে ছোট্ট একটা গেম খেল্লাম তর সাথে,, পিস্তলে কোনো বুলেট নেই আমি আগে থেকে বের করে নিয়েছি। জানতাম তুই এমন কিছু একটা করবি বাঁচার জন্য,,এটা বলে আগন্তুক টা নিচে থেকে সিগারেট নিয়ে জ্বালিয়ে টানতে থাকে,

সানিকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে পায়ের বুট থেকে একটা গান বের করে পর পর চার টা গুলি করে,, গরম বুলেটে সানির কপালটা ভেদ করে বেড়িয়ে আসে,, আর তিনটা বুলেট তার বুকটা ঝাঁজরা হয়ে যায়,, সানি মাটিতে লুটিয়ে পরে।  চারদিকে জোনাকিপোকারা নিভু নিভু করে জ্বলছে  

হিমেল হাওয়ায় পরিবেশ টা মনোরম হয়ে উঠেছে। কিন্তু চারিপাশে রক্তের গন্ধে 

ম ম করছে,, পরিবেশ টার সাথে রক্ত টা মিলছে না। হয়তো কিছুক্ষন পর রাস্তার কুকুর গুলো লাশ গুলো খুবরে খুবরে খাবে। আগন্তুক টা মুখের সিগারেট টা ফেলে বাইকে এসে বসে আর নিস্তব্ধ আধারে মিলিয়ে যায়।


•• ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩ টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ এই লাশ ৩ টি কে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কে বা কারা এই খুন গুলো করেছে তা এখনো জানা যায় নি। তবে পুলিশের বক্তব্য তারা আসামিদের ধরে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করবে।এই হত্যা কান্ড

 টির তদন্ত চালাবে

‘ মেহেরাব চৌধুরী ’ ও তার দলের কিছু সদস্য। এই ছিল সকাল ৮ টার খবর। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। খবরটা দেখে চায়ের দোকান থেকে বেড়িয়ে যায় রাফি,, আর জোরে জোরে হাসতে থাকে রাস্তার অনেকে রাফিকে দেখে বলছে মনে হয় পাগল হয়ে গেছে।  রাফি মনে মনে বলতে থাকে মুন্নার মার সাথে জোরাজোরি করার শাস্তি ছেলে গুলো পেয়েছে।


........


** কি হচ্ছে এগুলো কিছু বুঝতে পারছে না 

মেহেরাব। সে সবাইকে  

দিয়ে নিজে মাইন্ড গেম খেলে কিন্তু আজ মনে হচ্ছে সেই কারো মাইন্ড গেমের গুটি হয়ে যাচ্ছে। এই খুনে, খুনি কোনো প্রমাণ রেখে যায় নি,, এর আগের খুনটা তো এমন ধরনের ছিলো না। কিন্তু কি করে এমন ভাবে খুন হয়,,ভেবে পাচ্ছে না মেহেরাব।


• স্যার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চলে এসেছে দেখেন একটু।


হঠাৎ সাইফুলের কথায় ধ্যান ভাঙ্গে তার 

সে সামনে থেকে রিপোর্ট টা নিয়ে দেখতে থাকে যে,,রিপোর্ট আসছে খুন যে বা যারা করছে তারা ভিকটিমদের কিছু দূরত্ব রেখে গুলি চালিয়েছে। আর ওরা মরার আগে মদ পান করছে। রিপোর্টে আর কিছু লেখা নেই। মেহেরাবের মনে মনে চিন্তা করছে,,কিছু দিনের ভিতর শহরে অনেক কিছু হয়ে গেছে। মেহেরাব চায় খুনিদের সাথে মাইন্ড গেম খেলতে কিন্তু সে এখনো বুঝতে পারছে না যে কে আসল খুনি। 


• আজ ভার্সিটিতে এমন একটা ঘটনা ঘটার জন্য পুলিশের কড়া নির্দেশ যে অর্ধেক ক্লাস করিয়ে ছুটি দিয়ে দিতে। রাফি ভার্সিটিতে এসে সোজা 

যেয়ে আম গাছের নিচে বসে পড়ে। কিছুক্ষণ পর সেখানে ফুল নিয়ে মুন্না আসে,,এসেই রাফির পাশে বসে রাফির দিকে সন্দেহের সৃষ্টি তে চেয়ে থাকে। রাফি সেটা খেয়াল করে বলে-- কিরে এমন করে আমার দিকে চেয়ে কি দেখিস,, আবার মনে হয় সন্দেহের সৃষ্টি তে চেয়ে আছিস,, বেপার কি??


মুন্নাঃ দেখতাছি তুমি যে কালকা কইলা হেগ 

মাইরা লাইবা,, হেডা দেখি আজকা সত্যি হইছে। তয় তুমার চেহারা দেইহা মনে হয় না যে তুমি হেগো মারতে পারবা।


রাফিঃ আমাকে দেখে তর কেমন মনে হয় আমি।


মুন্নাঃ তুমার চেহারা দেইহা মনে হয় তুমি একটা মুরগী জুব করলে তোমার হাত কাপবো,,বলে মুন্না হি হি হি করে হাসতে থাকে। তয় আমার মনে একটা প্রশ্ন যে কে এই খুন গিলা করছে। তারে তো আবার ধন্যবাদ দিতে হইব। রাফি আর কিছু না বলে ক্লাসের দিকে চলে আসে। স্যার ক্লাসে ক্লাস করাচ্ছিলো হঠাৎ ই স্যার একটা প্রশ্ন করে ফেলে। প্রশ্ন টা হলো যে -- ধর তুমি তীব্র জ্বরে আক্রান্ত তুমার মনে হয় ঠান্ডা অনুভব করছ কিন্তু অন্য কারো কাছে তুমার শরীর টা গরম মনে হয় কেনো। 


ক্লাসের অনেকেই একে অপরের দিকে চাওয়া চায়ি করছে কি হতে পারে উওর। প্রথম বেঞ্চ থেকে সবারই একই উওর তারা কোনো সময় এমন প্রশ্ন শোনে নি,,

শেষের বেঞ্চে রাফি মাথাটা নিচু করে বসে আছে এবার রাফির পালা স্যারের প্রশ্নের জবাব তার কাছে আছে। স্যার বলে তুমাকে কি আবার প্রশ্ন টা করবো নাকি এমনই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে,,উত্তর জানা থাকলে বল। রাফি মাথাটা নিচু করেই বলতে শুরু করে-- স্যার প্রশ্ন টা সবার কাছে কঠিন মনে হলেও আমার কাছে মনে হচ্ছে সহজ। তীব্র জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা পরিবেশের তাপমাত্রা অপেক্ষা বেশি থাকে। যার কারণে শরীর খেকে তাপশক্তি পরিবেশে সঞ্চারিত হয় এবং আমার নিজের ঠান্ডা অনুভব হয়। কিন্তু অন্য কেউ জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে তার শরীরে তাপ প্রবাহিত হয়। যার ফলে আমাদের কাছে এমন মনে হয়,, এটা বলে রাফি থামে মাথাটা উচু করে দেখে অনেকেই অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।  স্যার বলে-- সঠিক উওর। আশা করি আরো ভালো করে পড়াশোনা করবে। রাফি ছেলেটা অন্য রকম সবাই তাকে অনেক অপমান করে কিন্তু সে সব মাথা পেতে নেয়। সবাই ক্লাস করে বের হয়ে যায় আড্ডা দেওয়ার উদ্দেশ্য,, আর ক্লাস হবে না আজ কিছুক্ষণ পর ছুটি হয়ে যাবে তাই।


.......


নুসরাত, স্নেহা,রিয়া,

সামিয়া,সজিব,রিদয়,সোহাগ,আয়ান,

রিয়াজ বসে আছে গাছ তলায়,, আয়ান খুব ভালো গান গাইতে পারে তাই সে গিটার দিয়ে সুর তুলতে ছিলো,, এমন সময় সামনে দিয়ে রাফি চলে যেতে থাকে। সজিবের হাতের ইশারায় আয়ান গিটার 

বাজানো বন্ধ করে। সজিব রাফিকে উদ্দেশ্য করে বলে--- এই রাফি না সাফি,

কি যেন নাম তর, যাই হক এদিকে আয়। রাফি চাচ্ছিলো না অাজ ওদের হাতে র্যাগ হতে তাই সে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিলো তখন ই সজিব তাকে ডাক দেয়,,বাধ্য হয়ে রাফি ওদের সামনে আসে।


সজিবঃ কিরে তকে না একদিন বলছিলাম বড় ভাইদের সালাম দিতে।


রাফিঃ আস্সালামু আলাইকুম ভাইয়ারা আর আপুরা। সবাই জবাব দেয়। এবার রিয়া বলে-- সজিব চলো আজ ক্ষেত টার সাথে একটা গেম খেলি।


সজিবঃ হু খেলবো পরে,, এখন তুই বল তুই নুসরাত দের বাড়িতে থাকিস কেনো। রাফি সোজা উওর দেয় -- আংকেল ই আমাকে থাকতে দিয়েছে তাই থাকি। ওনি যেদিন যখন বলবে আমি সেদিন ই চলে যাবো। এটা বলতে দেড়ি কিন্তু রাফির বাম গালে একটা চড় পরতে দেড়ি হলো না। রাফির কথাটা শোনে সজিব দাঁড়িয়ে চড় মারে। এটা দেখে রিয়াজ বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়,,কিন্তু রাফির চোখের ইশারার কারণে কিছু বলতে পারে না। সবাই এটা লক্ষ্য করছে যে রিয়াজ রাগ করেই উঠে দাঁড়িয়ে ছিল। এখন এর সাথে খেলা শুরু করবো,,কি দেওয়া যায়।


রিয়াঃ এখন আমাদের সামনে দিয়ে প্রথম যে মেয়ে যাবে তাকে এই ক্ষেতটা প্রপোজ করবে। রাফি মাথাটা নিচু করে আরচোখে রিয়াজের দিকে তাঁকায়। রিয়াজ বলে-- হেই এগুলা বাদ দেও ও পারবে না

এছাড়া আমরা তো এখন আয়ানের গান শুনবো বাদ দেও তোমরা,, এই তুমি যাও তুমি। সবাই দেখতে পাচ্ছে রিয়াজ কাথা গুলো বলতে বলতে ঘেমে গেছে। মনে হচ্ছে সামনে কোনো আতঙ্ক দাঁড়িয়ে আছে। রিয়াজের চোখে ভয় বিরাজ করছে যা সবাই দেখতে পারছে। কিন্তু সবার মাথায় আসছে না যে রিয়াজ রাফিকে দেখে ভয় পাবে কেনো

 ক্ষেত ছেলেটাকে রিয়াজ ভয় পাবে সবাই ভাবতে থাকে। রাফি মাথাটা নিচু করেই মুচকি একটা হাসি দেয় সবাই দেখতে না পেলেও নুসরাতের চোখ এরালো না,,নুসরাত ভাবতে থাকে ছেলেটা তো খুবই রহস্যময়ী। এর মধ্যে সজিব বলে-- রিয়াজ পরে গান শুনতে পারবো এখন ক্ষেত টা প্রপোজ করবে।  এই দেখ জান্নাত আসছে যা তুই যেয়ে প্রপোজ করবি। জান্নাত নুসরাতদের সাথে একই ক্লাসে পড়ে। তার বাবা রাজনৈতিক দলের নেতা,, জান্নাত ৩য় বর্ষের ক্লাস টপার এবং খুবই ভদ্র আর রাগি মেয়ে,,তাই কোনো ছেলে তার পিছু লাগে না ভয়ে। রাফি মাথাটা উচু করে একবার জান্নাতের দিকে তাকিয়ে মাথাটা নিচু করে বলে-- ভাইয়া আমাকে অন্য কিছু দেন এটা আমি করতে পারবো না। 


সজিবঃ যা বলছি নয়তো আজ তর এমন অবস্থা করবো তুই ভাবতেও পারবি না। ঐই দিন তো ভার্সিটির সবাই তকে খালি গায়ে দেখছে। আজ কিন্তু রাস্তার সবাই কে দেখাবো।

তবুও রাফি তার নিজের জায়গা থেকে সরে না। এটা দেখে সজিব রাফির শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে গেটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে,,সবাই তাদের পিছু পিছু যায় দেখতে সজিব রাফির সাথে আজ কি করে। কিন্তু কেউ সজিবকে থামাতে পারবে না। রাফির মনে হচ্ছে এই সময় তাকে কেউ যদি বাঁচাতো তাহলে,,কিন্তু কেউ তাকে বাঁচাতে আসবে না কারণ সে গরীব, ক্ষেত, রাফি একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সাবাই রাস্তায় এসে দেখে কিছু পুলিশ তদন্তের জন্য ইনফরমেশন খুজতেছে। আর একটা অফিসার গাড়িতে হেলান দিয়ে মাথাটা উপরের দিকে করে তাকিয়ে আছে,, হাতে তার জ্বলন্ত সিগারেট। 


** এই তুমি এই ছেলেকে এবাবে রাস্তায় শার্টের কলার ধরে টানছো কেনো **

রাফিকে যখন সজিব এবাবে ধরে রাস্তায় নিয়ে আসতেছিল তখন ই পুলিশ অফিসার টা সজিব কে কথাটা বলে। রাফি পুলিশ অফিসার টা কে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে,রিয়াজ 

এগুলো দেখতে না পেরে সেখান থেকে চলে আসে।  এবার সজিব বলে-- আপনাকে বলতে হবে,,আমার যা ইচ্ছে আমি তাই করবো। আপনারা আপনাদের কাজে মন দিন এগুলো না দেখলেই হবে। এটা বলে একটা হাসি দিয়ে রাফির শার্টের বুতাম গুলো খুলতে যাবে তখনই....


.........


## চলবে ##


[ আজ মনে হয় একটু বড় করে দিয়েছি। কাল গল্প না দেওয়ার জন্য দুঃখীত। আর এই গল্পে কারো সাপোর্ট পাচ্ছি না,, জানি না পরের পাঠ গুলো দিব কি না] ধন্যবাদ 


wait for the next part.

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ৯--RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ   



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব: ##[(  ৯ )]##


.........


ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে সজিব, সোহাগ,আয়ান,শ্রাবণ,রিদয় মিলে আড্ডা দিচ্ছিলো তখন সামনে 

দিয়ে নুসরাত, রিয়া, স্নেহা,মিরা যাচ্ছিলো তাই সজিব তাদের ডাক দিয়ে থামায়। সজিব নুসরাত কে ভালোবাসে তাই সব সময় তার সাথে রাখতে চায়। নুসরাত সজিব কে একটুও দেখতে পারে না,,সজিব কে সে সহ্য ই হয় না। শুধু শুধু বিরক্ত করবে তাই সে সজিব কে একসেপ্ট করছে। কিন্তু এখনো সে তার পিছু ছাড়ছে না। ইদানীং সজিব নুসরাত কে খারাপ খারাপ ইংগিত করছে,, যেমন তার বন্ধুরা সবাই তাদের গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে রুম ডেট করে তাই। তাই সে নুসরাতের সাথে রুম ডেট নিয়ে জোরাজোরি করছে। নুসরাত সজিব কে না করে দিয়েছে, সে বলছে যে যা হবে সব বিয়ের পর হবে। কিন্তু সজিব এটা মানতে রাজি না,, সবাই নিজেদের গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে রুম ডেট করবে এটাই স্বাভাবিক। সজিবের এমন মন্তব্যে নুসরাত এখন সজিব কে এড়িয়ে চলছে। নুসরাত ও তার বান্ধবী রা সবাই বিরক্ত বোধ করে যেয়ে সজিবদের পাশে বসে। তারা সবাই নিজেদের মতো করে আড্ডা দিচ্ছিলো,

তখন ই ক্যাম্পাসের গেট দিয়ে  R15 নিয়ে একটা ছেলে প্রবেশ করে। তাকে দেখে বুঝা যাচ্ছে যে সে বড়লোক বাবার বড়লোক সন্তান। পরনে তার গোলাপি কালারের শার্ট, স্টাইলিস ছেড়া পেন্ট,

চোখে স্টাইলিস চশমা, হাতে দামি ঘড়ি, স্টেট চুল, মুখের চাপ দাঁড়ির সাথে লেগে আছে মুচকি হাসি। সবাই বলাবলি করছে,

দেখছিস ছেলেটা কত্তো কিউট,হ্যানসাম। ছেলেটা বাইক টা পার্ক করে ক্লাস রুমের দিকে চলে যাচ্ছিলো। তখন সজিব ডাক দেয় ছেলেটাকে


সজিবঃ হেই ম্যান, কি নাম তোমার।


ছেলেটা: ইয়াপ ব্রো, আমার নাম ‘ রিয়াজ ’


সজিবঃ ওহ্ সুন্দর নাম,, চলো সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। এই বলো আয়ান,সোহাগ এমন ভাবে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। 


রিয়াজ ছেলেটা অন্য শহর থেকে এসেছে,,এখানে চাচার 

বাসায় থেকে পড়াশোনা করবে। সে এভার ৩য় বর্ষে পড়ছে,,বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে।  

রিয়াজ কে সবারই ভালো লেগেছে,,অল্প সময়ে মোটামোটি সবার সাথে মিলে গেছে। 


“ রাফিকে আনাফ সাহেবের বাড়ির দারোয়ান মফিজ মিয়া 

ঢুকতে দেয় না কেমন যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাফির দিকে। মনে হচ্ছে কত বছরের চেনা শএু রক্তিম চোখে তাকিয়ে আছে মফিজ মিয়া। হুট হাট রাতের বেলা দারোয়ানের ঘুম ভাঙিয়ে রাফি চলে যায় রাতের পরিবেশ উপভোগ করতে। মফিজ মিয়ারও কিছু করার নেই কারণ বাড়ির মালিকের নির্দেশ রাফির সাথে যেন কোনো ঝামেলা না করে। বাধ্য হয়ে মফিজ মিয়া রাফিকে বাড়িতে ঢুকতে দিয়েছে।কেবল সন্ত্রাসিদের হাত থেকে বাচানোর জন্য,, রাফিকে এখানে থাকতে দেওয়া হয়েছে

তাই কেউ এটা মানতে পারছে না। তবু কেউয়ের কিছু করার নেই,, কেউ কিছু বলতে পারবে না কারণ আনাফ সাহেবের নির্দেশ কেউ অমান্ন করলে তার কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। রাফিকে বাড়ি

থেকে চলে যাওয়ার জন্য নুসরাত রাফিকে অনেক কথা শোনায়, কিন্তু রাফির একটা কথা আনাফ সাহেব বল্লে সে বাড়ি থেকে চলে যাবে।


* পরের দিন *


দেখ দেখ সবাই দেখ কেমন করে আজকে 

ও ভার্সিটিতে আসছে ক্ষেত টা। আমি আর ক্ষেত টা কে সহ্য করতে পারছি না। রিয়ার কথা শোনে সবাই গেটের দিকে তাকায় দেখে রাফি একটা ঢিলেঢালা চকলেট কালারের শার্ট পরে ক্যাম্পাছে ঢুকতেছে। দুদিন ধরে রাফি ভার্সিটিতে আসছে না,,আজ হঠাৎ আসলো। রাফি গেট দিয়ে ঢুকার সময় কারো সাথে ধাক্কা লেগে পরে যায়। রাফি তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ায়  

আর অবাক চোখে লোকটার দিকে তাকায়,,মুখে সিগারেট  

অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে, গলাতে লম্বা চেইন, দামি পোশাক,চোখে স্টাইলিস চশমা। হু ছেলেটা হচ্ছে রিয়াজ। রাফি সরি বলে আগাতে যাবে,তখন ই রিয়াজ রাফির দিকে হা করে তাকিয়ে বলে

-- লি....

রিয়াজ আর কিছু বলতে পারে না হয়তো 

রাফি চোখ দিয়ে কিছু মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে,, রিয়াজ তা বুঝতে পেড়ে আর কিছু না বলে চলে আসে। অনেকেই এই দৃশ্য দেখে কথাকোপন শুরু করেছে-- কেনো রিয়াজ রাফি ক্ষেত টা কে কিছু বলল না। রাফি ক্লাসে যাবে এমন সময় সজিব ল্যাং মেরে রাফিকে নিচে ফেলে দেয়,,সবাই উচ্চ সরে হাসতে থাকে কিন্তু রিয়াজ হাসছে না,,দেখে আয়ান বলে কি হলো তুমি হাসছো না কেনো। রিয়াজ প্রতি উওরে কিছু বলে না। হয়তো রিয়াজ বুঝতে পারছে এখানে হাসলে বড় ধরনের সমস্যা হবে যার পরিনাম খুবই খাবাপ এবং ভয়ংকর হবে,,তাই সে চুপ। রাফি নিচে থেকে উঠে দাঁড়ায় আর নিজের চশমা টা ঠিক করে,, শরীর খেকে ময়লা গুলো ভালো করে পরিষ্কার করে একবার 

সজিবদের দেখে মুচকি হেসে ক্লাসের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু সবার চোখে ধরা না পরলেও রিয়াজের চোখে মুচকি হাসি দেয়া টা  ধরা পরলো। রিয়াজ আর কিছু ভাবতে পারছে না।.....


“ এই ছেলে ক্লাসে এসে,,ক্লাসে মনোযোগ না দিয়ে বাইরের দিকে কি দেখ ”


রাফি ক্লাসে বসে,ক্লাসে 

মনোযোগ না দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে 

দেখতে থাকে,, ব্যস্ত এই ঢাকা শহর,, রাফিদের ক্লাস টা রাস্তার পাশে থাকায়, সেখান থেকে ভালো ভাবে রাস্তার সব কিছু দেখা যায়। ভিক্ষুক রা টাকার জন্য বিভিন্ন গাড়িতে ধাক্কা দিচ্ছে।কেউ খুলছে আবার কেউ খুলে কটু কথা বলছে। কিছু ছেলে মেয়ে ফুল বিক্রি করার জন্য এক গাড়ি থেকে অন্য গাড়িতে ধাক্কা দিচ্ছে। কেউ নিচ্ছে আবার কেউ নিচ্ছে না। রাফি ভালো করে দেখলো একজন  

পা ভাঙা ভিক্ষুক লাঠিটে ভর দিয়ে একটা দামি গাড়ি তে ধাক্কা দিচ্ছে কিন্তু কিছুক্ষন পর গাড়ির কাচ টা নামিয়ে একটা লোক,,ভিক্ষুক টা কে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। কিন্তু কেউ ভিক্ষুক টা কে তুলতে সাহায্য করছে না। রাফির চোখ লাল হয়ে আসছে মনে হচ্ছে এই শহরটা কে ধ্বংস করে 

দিতে। যেখানে থাকবে না ধনীদের অত্যাচার।  সবাই মিলেমিশে থাকবে,, এই সব কিছু ভাবছিলো রাফি হঠাৎ ই মেডামের কথাটা শুনে তার হুস আসে। সেটা দেখে ক্লাসের সবাই হাসতে থাকে,, রাফি মাথাটা নিচু করে নেয়। মেডাম সবাইকে থামিয়ে দিয়ে বলতে থাকে-- এই ছেলে তোমার নাম কি।


রাফিঃ ম্যাম রাফি হাসান।


মেডাম: নাম টা ত সুন্দর,, কিন্তু নামের সাথে চেহারা, পোশাকের ত কোনো মিল দেখতে পাচ্ছি না। তোমার ক্লাস মেট দের দেখছো কতো পরিপাটি হয়ে আসছে

কিন্তু তোমার কাপড় কাচোঁ না কেনো। এত অপরিষ্কার থাকো কিভাবে। মেডামের কথাগুলো রাফির মনের ভিতর তীরের মতো বিধছে। মেডামের কথার প্রতি উওরে রাফি মুচকি হেসে জবাব দেয় ---ম্যাম এখানে শিক্ষা অর্জনের জন্য এসেছি,যদি ভালো পোশাক পরে স্টাইল করে আসি তাহলে নিজেকে নিজের কাছে বড় মনে হবে, আর যার যেমন সামর্থ্য আছে সে তেমন ই করে পোশাক 

পরে আসবে,,আমার ওদের মতো সামর্থ্য নেই তাই ভালো পোশাক পরতে পারি না। ম্যাম অাল্লাহ্ তায়ালা সবাইকে একি 

রকম করে সৃষ্টি করে নি একজন কে কালো আরেকজনকে সাদা এটা তে তো আমার কিছু করার নেই। ম্যাম 

আমার কথায় কষ্ট পেলে মাফ করবেন। 

ম্যাম রাফিকে আর কি না বলে ক্লাস করাতে থাকেন। রাফি ক্লাস শেষ করে চলে আসে ক্যাম্পাসের পুকুরের দিকে। কিছুক্ষণ পর ফুলের ঝুড়ি নিয়ে আসে মুন্না।রাফিকে দেখে বলতে থাকে -- কেমন আছেন ভাই।

রাফি পাশে চেয়ে দেখে মুন্না নামের ছেলেটি তাকে জিজ্ঞেস করলো। রাফি মুচকি হেসে জবাব দেয় -- ভালো তুই কেমন আছিস। আর তর মা কি পরের দিন সকালে চলে আসছিলো।


মুন্না: আই ছিলো তয় মায়ের অবস্থা ভালা আছিল না,, জামা কাপর ছিরা আসিলো,

আমি জিগাই ছিলাম কি হইছে কিন্তু আমারে কিছু কয় নাই। মায়রে নিয়া থানাতেও গেছিলাম।মুন্না এটা বলে মুখটা কালো করে ফেলে। রাফি তাড়াতাড়ি প্রশ্ন করে --পরে কি হইছে।


মুন্না: আফনার আর হুনন লাগবো না


রাফিঃ একটা দিবো আমাকে বল।


মুন্না: মায়রে লইয়া থানাত গেছি মতো,, মায়রে একটা পুলিশ খারাপ খারাপ কথা বলে। আর আমারে দুইডা থাপ্পড় মারে। আমারে কয় আমার মা নাকি বেস্যা** তাই আমাগো কোনো বিচার হুনবো না। রাফির চোখ দুইটা লাল হয়ে আসছে মনে 

হচ্ছে সে পৃথিবীর সবচেয়ে হিংস্র। রাফির চোখ লাল দেখে মুন্না বলে-- ভাই আমনের চোখ এমন লাল হইয়া রইছে কেন


রাফিঃ শুন পুলিশ কোনো বিচার করবে না তুই কি ঐ দিনের লোক গুলোকে চিনতে পারবি। 


মুন্না: হ পারুম না কেন। এহন ও তো দেইহা আইছি দোকান পারে বইসা আছিল। মুন্নার কথা শুনে রাফি উঠে দাঁড়ায় আর বলতে থাকে-- আমাকে নিয়া চল দোকান পারে। মুন্না রাফিকে দোকান পারে নিয়ে লোকগুলোকে দেখায়। রাফি লোকগুলোকে তার মাথায় সেট করে নেয়। 

মুন্না বলে-- ভাই আমনে হেগো দেইহা কি করবেন।


রাফিঃ যদি ওদের মেরে ফেলি। মুন্না জোরে জোরে হাসতে হাসতে বলতে থাকে -- আফনার যেই না শরীর। হেরা একটা মারলে আমনেরে আর পাওয়া যাইব না। 

আর হেগ ডাই সব সময় গুলি থাহে আমি দেখছি। রাফি আর কিছু না বলে সে তার গন্তব্যে দিকে অগ্রসর হয়.........


“ রাজ আমি চিন্তা করছি,, তুমি রাফসান ও রাফিনের কেসটা দেখো। আর ফরহাদ স্যার কে বলে CBI অফিসার ‘ রিফাত ’ কে দিয়ে হ্যাকার টিম টা ধারাতে বলবো ”


রাজ ও মেহেরাব দুজন সামনাসামনি বসে আছে। হঠাৎ ই মেহেরাব এ কথাটা বল ওঠে। রাজ প্রতি উওরে বলে বলে জ্বি স্যার আমি ওদের দুজনের একটা আর্টিকেল পড়তেছি। ওদের মাস্টার মাইন্ড দিয়ে ওদের ধরবো। মেহেরাব রাজের একটা  জিনিস লক্ষ্য করছে যে,,রাজ সব সময় তার হাতের মধ্যে দুইটা মারবেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। কিন্তু এমন তো করে রাফিন তবে না না রাজ হতে যাবে কেনো। মেহেরাবের মাথায় বুদ্ধি আসে যে ঐই দুইটা মারবেলের  ফিঙ্গার প্রিন্ট আর রাজের ফিঙ্গার প্রিন্ট মেচ করে দেখবে মিলে কি না।


রাজ: ওকে স্যার তাহলে আমি এখন আসি। মেহেরাব সেখানে বসে বসে ভাবতেছে সে কি এই রহস্যের উন্মচন করতে পারবে।


“ রাত ১:৫০ মিনিট ”

সানি, আশিক, জিসান 

মদের আড্ডা থেকে আসছিল। হঠাৎ সামনে দেখতে পায় কে যেন রাস্তার মাঝে বাইক নিয়ে বসে আছে,, পরনে তার কালো পোশাক,, বাইকের উপর আরাম করে বসে বসে সিগারেট টানছে। জিসান যেয়ে আগন্তুক 

এর বাইকের সামনে যেয়ে হর্ণ বাজায় কিন্তু আগন্তুক বাইক থেকে নামে না দেখে,, সানি নেমে আগন্তুকের থেকে সিগারেট টা নিয়ে টানতে থাকে আর বলতে থাকে -- কি সমস্যা তোর রাস্তার মাঝে বাইক নিয়ে বসে আছিস। সামনে থেকে সর এখন কোনো ঝামেলা করবো না,,কথাটা বলে সানি বাইকে যেয়ে বসবে এমন সময় আগন্তুক টা হাসতে হাসতে বলতে থাকে...........


## চলবে##


[ এই পর্ব টা বড় করে দিয়েছি,, আশা করি সবারই ভালো মন্তব্য। আর গল্প টা পড়েন কিন্তু সবাই শুধু লাইক দেন,, লাভ দিলে কি কোনো সমস্যা,,গল্প টা কি অতটা ভালো হয় না নাকি। যাক এখন আপনাদের ইচ্ছা। ]


wait for the next part.

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ৮--RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ   



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


লেখক: RAJA Bhuiyan. 


পর্ব:-##[ ( ৮ ) ]##


“ এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না , যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে””


“ অগ্নি শিখায় ঝাঁপিয়ে পড়ে মরে পতঙ্গরা ”


আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও তোমার প্রাণে


“ রাত ১১:৪০ মিনিট ”

রাহাত আর  সালমান ভাই সামনাসামনি বসে আছে।  পরিবেশ টা থমথমে নিরব, আজ আবার পূর্ণিমা চারিদিকে চাঁদর আলো। রাতের আধার 

দূর হয়েছে চাঁদের কিরণ লেগে। পূর্ণিমার শশী যেন হাসে সারা রাত। হৃদয়ে নাচন তোলে চন্দিমা রাত। বেশ কিছুক্ষণ পর পর ই,, সালমান বলে--- শুনলাম সাব্বির আর তর উপর কেউ আক্রমণ করছে। সাব্বির আর তর লোকদের নাকি মেরে দিয়েছে। তাহলে তুই বাচলি কি করে??


রাহাত: ঐ দিনের ঘটনা বলতে থাকে,,শেষের ঘটনার আগন্তুকের কথা বলতে যেয়ে থেমে যায় রাহাত। 


সালমান: কি হলো বল 

তারপর কি হয়েছে।


রাহাত: আগন্তুক টা আমাকে বলল“ শক্রু কে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু বেইমান কে নয় ” খেলবো তোদের শহরে ,, আর মারবো তোদের ই স্টাইলে।  এক নিশ্বাসে বলে রাহাত থামে।

চারপাশে হিমেল হাওয়া থাকতেও রাহাত ঘেমে একাকার


সালমান বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় সে চিন্তিত 

হয়ে গেছে। কিছুক্ষণের জন্য তার মাথার কাজ করা বন্ধ হয়ে গেছে।  সালমানের লোকেরা বুঝতে পারছে না যে সালমান কেনো এমন করছে। এতক্ষণে রাহাত বুঝতে পারছে আগন্তুক টা যেই হক না কেনো,, বড় ধরনের মাফিয়া।


সালমান একটার পর একটা সিগারেট শেষ করছে,, তবুও তার চিন্তা দূর হচ্ছে না। 

সালমান রাহাতকে বলে-- রাহাত ওরা এই শহরে এসে পরছে।


রাহাত: কে এসছে ভাই,,  আপনি বল্লে লোক দিয়ে তুলে আনবো।


সালমান উচ্চ স্বরে হাসতে হাসতে জবাব দেয়-- কাদের তুলে আনার কথা বলসিস তুই। রাফিন আর রাফসান কে চিনিস তো,, তর সামনে ঐদিন রাফিন এসেছিলো। আমি ওদের সঙ্গে কাজ করছি,, তর কথা অনুযায়ী সেটা রাফিন। আমিই তাদের সাথে বেইমানি করেছি,, সেই প্রতিশোধ নিতে তারা এই শহরে এসেছে। রেডি থাকিস যুদ্ধের সময় হয়ে এসেছে। কথা গুলো বলে সালমান তার লোকগুলো নিয়ে চলে আসে।


রাহাত বুঝে উঠতে পারছে না যে সে কি করবে তবে সে........


“ ভার্সিটির গেট দিয়ে কালো বাইক নিয়ে একটা ছেলে প্রবেশ করে।” পরনে তার ব্ল্যাক শার্ট, ব্ল্যাক পেন্ট, চোখে স্টাইলিস চশমা, ছেলেটা আর কেউ না এই ভার্সিটির ভিপি প্লাস বড় ভাই ‘রাকিব’।  রাকিব তার বাইক টা থামায় রাফিদের সামনে। রাকিব কে ভার্সিটির সবাই জমের মতো ভয় পায়। অনেকে এতক্ষণে ক্লাসে চলে গেছে। রাকিব বাইক থেকে নেমে রাফিদের সামনে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু রাকিব রাফিকে দেখে কিছু বলতে যাবে, তখন ই রাফি চোখ দিয়ে কিছু ইশারা করে মুচকি হাসি দেয়,, যেই হাসির 

মানে রাকিব বুঝে যায়। রাকিব সবার উদ্দেশ্য করে বলে--- এখানে কি হচ্ছে। 


রিয়া: কিছু না ভাইয়া। আমরা তো আড্ডা দিচ্ছিলাম।


রাকিব: ক্লাসে চলে যাও। আর এই ছেলে তুমিও চলে যাও।


সবাই চলে যেতে থাকে,,রাফি পিছন থেকে রাকিবের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দেয়...... 


রাকিব ভাবতে থাকে, রাফি এখানে কি করে.।।


“ স্যার সাব্বিরদের যেখানে খুন করা হয়েছে সেখান থেকে এটা পাওয়া গেছে ”


মেহেরাব  শহরটা দেখতে যখন ব্যস্ত ছিল,, তখন ই ইন্সপেক্টর ‘ সাইফুল ’ কথাটা বলে। মেহেরাব 

বাইরে দিকের দৃষ্টি ত্যাগ করে,,সাইফুলের  

আনা জিনিস টা দেখতে থাকে। মেহেরাব বলে যে -- সাইফুল এটার মধ্যে তু দুই টা মারবেল। এগুলো ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় নি।


সাইফুলঃ না স্যার আর তেমন কিছু পাওয়া যাই নি।


মেহেরাব: সাইফুল তুমি এবার আসতে পারো।


সাইফুল সেখান থেকে চলে যায়। আর মেহেরাব ভাবতে থাকে খুনি মারবেল দিয়ে কি করছে। হঠাৎ  

মেহেরাব তার ডয়ের থেকে,,“মিফিয়া কিং” আর্টিকেল টা বের পড়তে থাকে,, কিছু অংশ পড়ে দেখে সেখানে  লেখা আছে,, “রাফিন সব সময় মাইন্ড গেম খেলার সময়, দুই টা মারবেল হাত দিয়ে নারায় আর মাথাটা ঠান্ডা করে” মেহেরাব এবার সিউর 

হয় যে  খুনি টা হচ্ছে রাফিন। রাফিন ছাড়া সাব্বিরের শরীরে হাত দেওয়ার কারো সাহস নেই। মেহেরাব আরো কিছু ভেবে হাসতে থাকে,.........


“ রূপ জিনিস টা কার পছন্দ নয়? সবাই  রূপবতী তরুণী পছন্দ করেন। সবাই চায় সুন্দরী হতে। অনেকে আবার রূপ বিক্রি করে খায়। নারী আসলে যা, তার বদলে যখন সে অন্য কিছুর প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়,, তখন তার আকর্ষণ করার শক্তি হাজার গুণ বেড়ে যায়। নারীদের তৃতীয় নয়ন থাকে।  এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে। পুরুষের খারাপ দৃষ্টিও বুঝে ফেলে। রাত ২ টার পর থেকে নিশিরাতের পরীদের আনাগোনা দেখা যায়। আর ঠিক ৩ টার পর থেকে ঐ নিশিরাতের পরীদের চিৎকার শোনা যায় ”


রাফি আনাফ সাহেবের সাথে আসার আগেই বলে দিয়েছে যে,, সে রাতের বেলা হাঁটতে বের হয়।  তাই আনাফ সাহেব তার দারোয়ান কে বলে দিয়েছেন যে রাফি রাতে কোথাও বের হলে গেটা খুলে দিতে।  রাফি আজ রাতের নিলিবিলি পরিবেশ টা উপভোগ করবে তাই সে বেরিয়ে পরে হাটার উদ্দেশ্য।  আর নারীদের সম্পর্কে ভাবতে থাকে। নারীরা ব্যক্তিগত চাহিদার কাছে কখনো হেরে যায় না।


হঠাৎ রাফির সামনে

 ৯ থেকে ১০ বছরের একটা ছেলে আসে। ছেলেটার পরনে ছেঁড়া শার্ট, একটা র্থিকোয়াটার। মনে হচ্ছে সে অনেকক্ষণ ধরে দৌরাচ্ছে,,রাফিকে দেখে সে থামে আর জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে। রাফি কেবল ছেলেটাকে দেখেই যাচ্ছে,, কিছু বলছে না। এবার ছেলেটা বলে উঠলো--

“ ভাই আমাকে একটু সাহায্য করেন,,ওরা ওরা আমার মাকে নিয়ে চলে গেছে” রাফি ভাবছে এত 

রাতে কে তার মাকে নিয়ে চলে গেছে। তাই রাফি জিজ্ঞেস করল--

কে তোমার মাকে নিয়ে গেছে। আর তোমার নাম কি।


ছেলেটা: ভাই আমার নাম মুন্না। দয়া করে আমার সাথে আসেন।

রাফির ও মায়া লাগলো তাই মুন্নার সাথে যেতে থাকে। কিছু দূর যাওয়ার পর মুন্না থামে,, হাত দিয়ে ইশারা করে বলে এটা আমার বাড়ি। এবার রাফি মুন্নাকে জিজ্ঞেস করে --- আচ্ছা আমাকে ঘটনা টা খুলে বলো।


আমার বাবা চোখে দেখে না,, হেইলেইগা মা টাকা রোজকার করে আমাদের খাওয়ায়। জানি না মা কি কাজ করে তয় প্রতিদিন রাইতে বাসা থেইকা বার হয়ে যায়। আর সকালে চইলা আসে। আজ মায়ের শরীর ভালা আছিলো না তাই ঘরে শুইয়া আছিল,,কিন্তু তিনটা

পোলা আইসা মারে জোর কইরা লইয়া গেছে গা। রাফি বুঝতে পারছে মুন্নার মা হচ্ছে নিশিরাতের পরি। মুন্না আবার বলতে থাকে --

ভাই সবাই আমারে বলে আমার মা নাকি বেইস্যা**। ইস্কুলের কেউ আমার লগে মিশে না।


রাফির চোখ লাল হয়ে আসছে,, মনে হচ্ছে এই শহর টা বড়ই নিষ্টুর। রাফি বলে -- কাল সকালে তর মা চলে আসবে,, তর মাকে নিয়ে থানা কেস করে আসবি। আর তুই কি করিস।


মুন্না: ভাই আমি তো হারা দিন ফুল বেছি। আফনেরে তো আমি হেদিন কলেজে দেখছি।


রাফি মুন্নার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে আসে,, বাসার উদ্দেশ্য। এই শহর টা আসলেই নিষ্ঠুর  কেউ কারো প্রতি দয়া মায়া নেই যে যাকে পারছে অত্যাচার করে যাচ্ছে।কোনো বিচার নেই। এক সময় রাফি অন্ধকারে মিলিয়ে যায়............. 


## চলবে##


[ হয় তো বা মুন্নার কথা গুলো  আপনাদের বুঝতে একটু সমস্যা হবে। আশা করি মানিয়ে নিবেন]


wait for the next part.

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ৭-- RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ   



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


লেখকঃ RAJA Bhuiyan. 


পর্ব : ##[ ( ৭) ]##


“ বাইরে আকাশে হালকা মেঘ জমেছে,, পরিবেশ টা ঠান্ডা হয়ে আছে। ব্যালকণির দরজা টা খোলা,, হিমেল হাওয়া এসছে,, সব কিছুতে এক অদ্ভুত ভালো-লাগা আর স্বস্থি নিয়ে এসেছে।  রিমি ব্যালকণিতে এসে দাঁড়িয়েছে,, সে ভাবছে রাজ ছেলেটা অনেক গম্ভীর মুখো,,কিন্তু হলেও মনের দিক দিয়ে  ছেলেটা অনেক ভালো।  তা না হলে  সে বাসায় আসার পর থেকে আমাকে খারাপ নজরে দেখে নাই। আজ কাল তো এমন ছেলে পাওয়া যায় না, যারা মেয়েদের কে ভালো চোখে দেখে।

কিন্তু রাজা ছেলেটা অনেক সুন্দর,, বড় বড় চোখ,, মুক্তোর মতো মানিক,, সরু নাক,, সুন্দর কালো চুল,,জীম করা ফিগার,, মুখের চাপ দাঁড়ি,, গোলাপি ঠোঁট, আর একটু রাগলে আরো আকর্ষনীয় দেখায়। একটা মেয়ে মানুষের মনে সুপ্ত অনুভূতি তৈরি করতে তার মুচকি হাসি যথেষ্ট।  ছেলেটাকে দেখলে বার বার দেখতে ইচ্ছে করে।  কিন্তু কেনো? রিমি উওর খোঁজে পায় না। অবশ্য রিমি রাজের প্রতি একটু রেগে আছে,, কারণ সে তার 

পছন্দের রুম টা দখল 

করে নিয়েছে।  রিমি বুঝতে পারছে না কেনো বার বার রাজের ফেসটা তার চোখের সামনে ভেসে উঠছে,,আর তার মনে কেমন যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু রিমি এই অনুভূতির কি নাম দিবে বুঝতে পারছে না। আবার ভাবে যদি রাজের কোনো গার্লফ্রেন্ড থাকে তবে,,রিমি চায় না তার সুখের অনুভূতির গায়ে কোনো কষ্টের আচর লাগোক,,তাই সে সে এই অজানা অনুভূতির নাম দিতে চায় না।......


** রাত ৯:৩০ মিনিট,, নুসরাত তার বাবাকে বলে-- বাবা, মা বলল তুমি নাকি আমাদের চিলেকোঠার রুম টা ভাড়া দিয়ে দিয়েছো।


প্রতি উওরে নুসরাতের বাবা বলে-- আরে না ভাড়া দেই নাই,, ভাড়া কেনো দিবো। সেখানে একটা ছেলেকে থাকতে দিয়েছি। আর ছেলেটা খুব ভালো। আজ সে না থাকলে কি যে হতো,, সে আজ আমাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাচিয়েছে,, তাই ভাবলাম এখন এমন ছেলে পাওয়া যায় না,, তাই তাকে চিলেকোঠার রুম টায় থাকতে দিয়েছি,, এমনিতেই ঐ রুম টা ফাঁকা পরে থাকে। 


নুসরাত,, হুম নুসরাত  হলো আনাফ সাহেবের একমাত্র মেয়ে, নুসরাত চৌধুরী


নুসরাত এখনো দেখে নি যে কাকে তার বাবা এখানে থাকতে দিয়েছে।


“ ইতি মধ্যে মেঘের বিরাট ঘর্ষণ কমে গেছে,, বাইরে হিমেল হাওয়া বইছে,, তবে হালকা হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে,,পরিবেশে এক 

প্রকার শান্তি বিরাজ করছে। মনে হচ্ছে শহরের সব ধরনের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে গেছে।  ব্যস্ত শহর টা পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছে,,সব কিছু এখন সঠিক ভাবে হবে,,কি যেন আজকের আকাশ বাতাস কিছু বলতে চাইছে। রাতে ছাঁদে বসে বসে রাফি পরিবেশ টা দেখছিলো, উপভোগ করছিলো, আর এগুলো ভাবতেছিল। রাফি আবারো ব্যস্ত শহর টা দেখছে আর নিজে নিজে বলছে----

“ এই শহর ভীষণ রঙিন চোখ ধাধানো আলো, কিন্তু আমার শহর টা আমার মতো অন্ধকার আর কালো। এই ব্যস্ত শহরের মানুষ গুলো টাকার পিছনে দৌড়ায়। আর গরিব দুঃখীদের প্রতি তাদের কোনো মায়া নেই। হঠাৎ গ্রাম থেকে আসা রাফিকে সবাই এমন ভাবে অপমান করলো রাফি তা একদম মেনে নিতে পারছে না। রাফির মনে হলো ছোট বেলার পুরনো কথা গুলো। কিন্তু যারা অতীত কে নিয়ে বেশি ভাবে তাদের এক চোখ নষ্ট,  আর যারা  অতীত কে নিয়ে একেবারে না ভাবে তাদের দুটো চোখ ই নষ্ট।  রাফি আর বেশি কিছু না ভেবে ঘুমাতে চলে যায়........


সকালে ঘুম থেকে উঠে নুসরাত ছাঁদে চলে যায়,,যেয়ে এমন কিছু দেখবে আশা করে নি। করণ নুসরাত ছাঁদে যেয়ে দেখে ভার্সিটির ক্ষেত ছেলেটা ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে।  নুসরাত রেগে রাফির কাছে যেয়ে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে ---- কি তুই এখানে কি করিস। 


হঠাৎ পাশ থেকে কারো গলার আওয়াজ শোনে রাফি 

সেদিকে তাকিয়ে দেখে যে ভার্সিটির চড় 

দেওয়া মেয়েটা,, রাফি  

নুসরাত কে এখানে দেখবে ভাবতে পারে নি,,, তাই সে নুসরাতের কথার জবাবে বলে-- আপু আপনি,  আপনি এখানে কি করেন?? 


নুসরাত: তা এখানে আমি থাকবো না ত কে থাকবে।  তার আগে বল তুই এখানে কেনো। 


রাফি: আনাফ আংকেল আমাকে এখানে থাকতে দিয়েছে। 


নুসরাতঃ অ তার মানে বাবা তুকেই এই চিলেকোঠার রুমে থাকতে দিয়েছে। আর শুন আমি আনাফ চৌধুরীর মেয়ে নুসরাত চৌধুরী। 

অগ্নি চোখে কথাটা বলে নুসরাত নিচে চলে আসে। আর ভাবতে থাকে,,  ভার্সিটির কেউ যদি শুনে ক্ষেত টা আমার বাসায় থাকে,, তাহলে আমার কেউ চলবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওকে এখন থেকে তাড়াতে হবে।


রাফি শুধু নুসরাতের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,, ভাবতে থাকে গরিব দের কেউই সহ্য করতে পারে না, রাফি একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে......


“ রিমি আজ থেকে তুমাকে রাজ ভার্সিটিতে দিয়ে, আসবে ”


রিমি: কিন্তু বাবা আমি তো একা যেতে পারবো।


মেহেরাব: দেখো রিমি দেশের অবস্থা বেশি একটা ভালো না। তুমাকে নিয়ে আমি অনেক সিরিয়াস। রাজ তুমি রিমিকে ভার্সিটিতে দিয়ে, থানায় চলে আসো।


রাজঃ জ্বি স্যার।


রাজ রিমিকে ভার্সিটিতে দিয়ে চলে যায় থানায়,, কিন্তু সে থানায় যেয়ে এমন কিছু দেখবে আশা করে নি। রাজ মেহেরাবের কেবিনে এসে দেখে যে মেহেরাব ইকবালের সাথে কথা বলছে। রাজ থানায় ইকবাল কে দেখবে ভাবতে পারে নি। সে নিজেকে ঠিক করে অনুমতি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। 


ইকবাল রাজ কে দেখে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়,, মেহেরাব এটা 

ঠিকই লক্ষ্য করেছে। রাজ বসে আছে কিন্তু ইকবাল বসছে না দেখে মেহেরাব বলল-- কি হলো ইকবাল বস দাঁড়িয়ে আছো কেনো। 


ইকবাল: স্যার আমি এখন আসি, পরে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।


রাজ মেহেরাব কে প্রশ্ন করে-- কে স্যার এই ইকবাল।


মেহেরাব: সে একজন বড় মাপের হ্যাকার,, সে আমাদের কেসটাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। 


রাজ মুচকি হেসে বলে -- ও স্যার,,  সে কি হ্যাকারের সন্ধান আমাদের দিতে পারবে।


মেহেরাব: দেখা যাক কি হয়।


“নুসরাত দেখ দেখ ক্ষেত টা আসতেছে”

অনির কথায়  নুসরাত দেখে রাফি, ময়লা একটা হলদে শার্ট, সাদা পেন্ট, পরে মাথাটা নিচু করে অসতেছে। রিয়া বলে চল আজ আবার ক্ষেত টার সঙে মজা করি। নুসরাত বলে থাক ওর সাথে মজা করে লাভ নেই। 


রিয়া: কেনো।


নুসরাত: আরে আর বলিস না বাবা এই ক্ষেত টা কে আমাদের চিলেকোঠার রুম টা তে থাকতে দিয়েছে।


সবাই অবাক হয়ে বলল -- কিহ্ কেনো।


নুসরাত: বাবা কে কাল গুন্ডাদের হাত থেকে বাচিয়েছে তাই। এখন যদি ওকে র্যাগ দেই তাহলে আবার বাবার কাছে বিচর দিতে পারে।


মিথিলা: আরে তুই বসে বসে দেখ শুধু আমরা কি করি।


নুসরাত: যা কিন্তু আমার যাতে সমস্যা না হয়।


রিয়াঃ তাহলে তুই এখানে বস,, আমরা যাই,, চল সবাই। 


হঠাৎ রাফির সামনে কতগুলো মেয়ে এসে দাড়ায়।  রাফি দেখে সেদিন কার কাগজ দেওয়া মেয়ে গুলো। তাই সে কিছু না বলে পাশ কাটিয়ে চলে যাবে এমন সময়,, রিয়া বলতে থাকে -- কিরে কই যাস। 


রাফিঃ জ্বি আপু ক্লাসে।


মেয়েগুলো হো হো করে হাসতে হাসতে বলতে থাকে -- তুই আবার কি ক্লাস করবি। স্যার কি তকে ক্লাসে ঢুকতে দিবে। 


রাফি তার মাথাটা নিচু করে নেয়।


রিয়া আবার বলে-- তকে আজকে একটা সহজ কাজ দিবো,, তুই সেটা করে দেখাবি।


রাফি: আপু দুঃখীত আমি আপনাদের কোনো কাজ করছে পারবো না।


রিয়া: কি বল্লি তুই পারবি না,, দাঁড়া দেখাচ্ছি তকে,, এই সামিয়া বেত টা নিয়ায় তো। সামিয়া চলে যায় বেত আনতে। বল তুই এখান কাজ টা করবি না বেতের বারি খাবি।


রাফি মাথাটা নিচু করেই জবাব দেয় কি কাজ বলেন আপু।


রিয়া: তুই এখন ছাদিয়াকে প্রপোজ করবি।


ছাদিয়া: কিহ্ এই ছোটলোকটা আমাকে প্রপোজ করবে। রিয়া তুই অন্য কাউকে বল প্রপোজ করতে।


রিয়া: আরে দেখি কি হয় বলে ছাদিয়া কে চোখ টিপ দেয়। 


রাফি কি করবে বুঝতে পারছে না। এখন যদি কেউ এসে রাফিকে বাঁচিয়ে নিতো,, তাহলে ভালো হতো কিন্তু রাফির ভাগ্যে কেউ সহায় হয় নি।


কিরে প্রপোজ করিস না কেনো তাড়াতাড়ি কর। 


রাফি সেই জায়গায় ই দাঁড়িয়ে আছে। রিমিরা 

রাফিকে অনেক কিছু বলছে কিন্তু রাফি তা শুনতে বা বুঝতে পারছে না। 


হঠাৎ ই একটা বাইক এসে থামে রাফিদের সামনে,, বাইকের আগন্তুক টা কে দেখে.........


## চলবে ## 


[ নতুন একটা রোমান্টিক গল্প লিখছি যদি বলেন তো, পোস্ট করবো]


গল্প টা পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই একটা ভালো মন্তব্য দিবেন আশা করছি।

Monday, June 14, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ৬--- RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ   



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


লেখকঃ RAJA Bhuiyan 


পর্ব: #[(   ৬  ) ]#


“ সকাল ৬:২০ মিনিট”

কাকের ডাকে রাজের ঘুম ভেঙে যায়। সে আবারো ঘুমানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ঘুম আর রাজের চোখে হানা দেয় না। শহরেরে কাক গুলো এমনই, কারণ ছাড়া কাঁ কাঁ করতে থাকে। রাজ বিরক্ত হয়ে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে এসে ভাবতে থাকে ছাদে গেলে মন্দ হয় না। যেই ভাবা সেই কাজ,,  ছাঁদে এসে রাজের মন টা ভালো হয়ে যায়। কারণ   চারিদিক থেকে শীতল হাওয়া,  হালকা হালকা করে সূর্য তার আলো ছড়াচ্ছে, শান্ত পরিবেশ মাঝে মধ্যে গাড়ির হর্ণ দিচ্ছে,, তার সাথে কাকের বিরক্ত করা ডাক। রাজ সময় এবং পরিবেশ টা মন দিয়ে উপভোগ করছে।


“ এত সকালে আপনি ছাঁদে কি করছেন ” 

হঠাৎ পিছন থেকে মেয়েলি কন্ঠে কেউ কথাটা বলে,, রাজ পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে, একটা হলদে পরি দাঁড়িয়ে আছে।  রিমি মেয়েটা অসম্ভব পরিমাণে সুন্দর।  যাকে একবার দেখলে পরের বার মানুষ ফিরে তাকিয়ে দেখবে,, লম্বা লম্বা চুল কোমড় ছড়িয়ে পড়েছে,  ঘন কালো লম্বা চোখের পল্লব,  বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্ট চেহারা, গায়ের রঙটা উজ্জ্বল শ্যামলা।  যে কোনো পুরুষ মানুষের মনে সুপ্ত অনুভূতি তৈরি করতে তার চখের চাহনি যথেষ্ট।  কিন্তু রাজ এই মায়ায় জড়াতে চায় না।


রিমির বলা কথায় রাজ উত্তর দেয়--


রাজ: না তেমন কিছু না হঠাৎ ঘুম টা ভেঙে যাওয়ায় ছাঁদে চলে আসলাম,  এখন মন টা ভালো হয়ে গেলো।


রিমি বিরক্ত হয়ে বল্ল--অহ্


রাজঃ আসার পর থেকে তো তুমার সাথে কোনো কথাই হলো না।  তা তুমি এত সকালে ছাদে কি করো।


রিমিঃ আমি প্রতিদিনই 

সকালে ছাদে আসি,  আর পরিবেশ টা কে মন দিয়ে অনুভব করি।


রাজঃ আচ্ছা রিমি তুমি কি কোনো কারণে আমার সাথে রেগে আছো।


রিমিঃ হু আপনাকে আমার সহ্য হয় না।


রাজ অবাক হয়ে ভাবতে থাকে কি করণে সে আমার  ওপর রেগে আছে,  আমি তো এমন কোনো কিছু করি নি যাতে সে রাগ করবে। রাজ ভাবতে ভাবতে প্রশ্ন করে ফেলে--- কেনো সহ্য হয় না আমাকে। কি করেছি আমি?? 


রিমিঃ কারণ আপনাকে বাবা আমার রুমটা দিয়ে দিছে,, সেই রুম টা ছিলো আমার পছন্দের রুম। আর আপনি ভুলেও ঐই রুমের,  আমার পছন্দের জিনিসে হাত দিবেন না। বাবার কারণে শুধু আপনাকে কিছু বলছি না,, নয়তো।। 


রাজঃ তুমি সকালের এই পরিবেশ টা কে উপভোগ না করে আমার সাথে ঝগড়া করছো কেনো।


রিমিঃ কিহ্ আমি আপনার সাথে ঝগড়া করছি। আচ্ছা আমার পছন্দের জিনিসের জন্য না হয় ঝগড়া করবোই।


রাজঃ শুনো “ বুদ্ধিমানেরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে না” রাজ এটা বলে সিস বাজাতে বাজাতে ছাঁদ থেকে নেমে আসে।


** আজ শহর থেকে দূরে নির্জন এলাকা থেকে পুলিশ ৭ টা লাশ উদ্বার করছে।

লাশগুলোকে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কে বা কারা এই হত্যাকান্ডটি চালিয়েছে তা এখনো জানা যায় নি। এই ছিল সকালের ৮ টার খবর। এতক্ষণ পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ”


মেহেরাব খবর টা শুনে রাজকে ডাকতে থাকে।  রাজ পুরু রেডি হয়ে মেহেরাবের সামনে এসে অনুমতি নিয়ে বসে পরে।


রাজঃ স্যার ডেকেছিলেন, কোনো সমস্যা। 


মেহেরাবঃ রাজ সমস্যা তো অনেক। শহরে একটার পর একটা “ খুন” হয়ে যাচ্ছে।  কিন্তু আসল খুনি কে সেটাই তো বুঝতে পারছি না। 


রাজঃ স্যার আজ যেখানে খুন হয়েছে সেখানে কে তদন্ত করছে। 


মেহেরাবঃ টিভিতে দেখলাম ‘ আফজাল ’

সেখানে আছে। তাহলে মনে হয় সে এই কেসের দ্বায়িত্ব নিছে। কিন্তু আমার কি মনে হয় জানো রাজ, খুন টা রাফিন বা রাফসান করেছে।


রাজ নরম এবং ভয় পাওয়া কন্ঠে বলল--- কেনো স্যার আপনার এমন মনে হলো।


মেহেরাব: দেখো খুন হওয়া লোক গুলোর মধ্যে,  ঢাকার বড় ড্রাগ ব্যাবসায়ী “সাব্বির” কেও সেখানে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা সাব্বির হলো সি এম ফরহাদ স্যারের কাছের লোক। তাই সাব্বিরকে মারার সাহস কেউ করবে না।


রাজ মুচকি হেসে বলে -- হয় তো স্যার সাব্বির টাকার লোভে তার শক্রদের সাথে হাত মিলিয়েছে, তাই কোনো রহস্যময়ী আগন্তুক তাকে মেরে চলে গেছে।


মেহেরাব রাজের কথা কিছুটা বুঝতে পেরে মুচকি হেসে, রাজকে নিয়ে থানায় চলে আসে.........


“ রাফি সকালে হেঁটে হেঁটে ভার্সিটিতে যাওয়ার সময়,,, 

 হঠাৎ কারো বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে রাফি পিছনে ফিরে তাকায় দেখে ৬ জন লোক, একটা লোক কে জোরা জোরি করছে।  কিন্তু একজন লোক ৬ জনের সাথে পেরে উঠতে পারছে না। ৬ জনের থেকে ৪ জনের কাছে পিস্তল আছে। তাই রাফি তার পকেট থেকে পুরনো আমলের একটা বাটন 

সেট বের করে কাকে যেন ফোন দেয়। কিন্তু নেটওয়ার্কের কারণে ফোনটা বন্ধ দেখাচ্ছে। 

রাফি গুটি গুটি পায়ে সেখানে যেতে থাকে, ছেলেগুলো মধ্যে থেকে নেতা টাইপের ‘রাসেল’ নামের ছেলেটি রাফিকে দেখে রেগে বলতে থাকে ---- কিরে কে তুই এখানে কি করিস।


রাফির ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে,  আর নিরব পরিবেশ টা কে অনুভব করছে, কাকের কাঁ কাঁ করা ডাক, কিছুক্ষণ পর পর গাড়ির হর্ণ আর রাফির বুকের ধুক পুক আওয়াজ।  রাফি ভয়ে ভয়ে বলতে থাকে ---- ভা.. ভাইয়া পি.. পিছন থেকে চিৎকার শুনে এখানে এসেছি,  দেখলাম লোকটা বিপদে পরছে তাই সাহায্য করতে এলাম। রাফির কথা শুনে লোকগুলো হো হো করে হাসতে থাকে আর বলতে থাকে ---  কি তুই ওকে সাহায্য করবি, দেখেতো মনে হয় বসতি থেকে এসছিস আবার মনে হয় দু দিন ধরে কিছু খাস না।,  রাসেল তার বন্ধুক টা রাফির মাথায় ধরে বলে, এখানে ৫ টা বুলেট আছে  বাঁচতে চাইলে চলে যা, নয়তো একটা খা একেবারে শান্ত হয়ে যাবি।


রাফি ভয়ে ভয়ে নরম গলায় বলতে থাকে -- ভাই ওনি কি করেছেন

ওনাকে এভাবে মারছেন কেনো।


রাসেলঃ সে এই শহরে ব্যাবসা করে অথচ ‘ সালমান ভাই কে চাঁদা  না দিয়ে। আজ ওকে মেরে সালমান ভাই কে 

গিফট করবো। রসেল এসে রাফির কলার ধরে, আর রাফি রাসেলের কানে কানে বলতে থাকে -- আমার 

কলার ধরা মনে, বাঘের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা।  রাফি এবার সবার সামনে বলতে থাকে--- ভাই আমাকে মারবেন না,  ভাই আমাকে ছেড়ে দেন। 


রাসেল: এই ধর দুই শালাকে একে বারে ঠান্ডা করে দেই।  গুলির ট্রিগার চাপ দিবে এমন সময় পুলিশের জিপ এসে থামে সবার সামনে।  তা দেখে রাসেল ও তার দলের লোকেরা দৌড়ে পালাবে, কিন্তু পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। ‘এস আই ’ কামরুল এসে লোকটাকে সালাম দিয়ে বলতে থাকে -- স্যার কোনো ক্ষতি হয় নি তো।

আনাফ চৌধুরী ঢাকার ১০ জন ব্যাবসায়ীর মধ্যে একজন প্রচোর সম্পদের মালিক। 

আনাফ এস আই এর প্রতিউওরে বলে--- না আমার কিছু ক্ষতি হয় নি।  ওদের থানায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করেন।


পুলিশ চলে গেলে, আনাফ সাহেব আমাকে প্রশ্ন করে-- বাসা কোথায় তোমার। 


রাফি: স্যার চট্টগ্রাম।


আনাফ: স্যার বলতে হবে না আংকেল বইলো। আর তুমি ঢাকায় কি করো। 


রাফিঃ জ্বি আংকেল আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি।


আনাফ কিছুক্ষণ ভাবার পর রাফিকে বলল-- তুমিতো আমার জীবন বাঁচিয়ে ছো। বলো তুমি আমার কাছে কি চাও।


রাফিঃ কি যে বলেন আংকেল  এটা তো আমার কর্তব্য  আপনি শুধু আমার জন্য দোয়া করবেন। 


আনাফ সাহেব কিছু একটা ভেবে রাফিকে বলে-- আমি একটা কথা বলবো তোমাকে কিন্তু রাখতে হবে।


রাফিঃ জ্বি আংকেল বলেন রাখার চেষ্টা করবো। 


আনাফঃ দেখো তুমি এখন থেকে আমার সাথে আমার বাসায় থাকবে,,, এটা তুমি না করতে পারবে না। 


রাফি চিন্তা করে দেখে সে কি খায় না খায় কোথায় ঘুমায় তার থেকে ভালো আনাফ সাহেবের বাসায় চলে যাওয়া। রাফি একটু দূরে যেয়ে মোবাইলে কার সাথে যেন কথা বলে হাসি মুখে চলে আসে। 


রাফি আর আনাফ সাহেবের গন্তব্য এখন,,  আনাফের বাসায়.........


##- চলবে -##


[আশা করি গল্প টা পড়ে আপনাদের সবার সঠিক মন্তব্য প্রকাশ করবেন]

খুনি দ্যা মাস্টার মাই.-পর্ব: ৫---RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ   



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”

লেখক: RAJA Bhuiyan

পর্ব :--৫--_


“আজ দু দিন পর রাফি আবারো ভার্সিটিতে যাচ্ছে। কিন্তু যেতে না যেতে সজিবের গ্যাং এর সাথে দেখা হয়ে যায়। রাফি মাথা নিচু করে ওদের সামনে দিয়ে চলে আসবে এমন সময় সজিব রাফিকে ডাক দেয় আর বলতে থাকে... 


সজিবঃ কিরে তর নামটা যেন কি মনে পরছে না।


রাফিঃ ভাই আমার নাম রাফি হাসান।


সজিবঃ তা তুই কেমন আসিছ।


রাফিঃ জ্বি ভাই, ভালো। আমি আসি এখন।


সজিব বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে রাফির গালে কষে একটা চড় মারে। আর বলতে থাকে....


সজিবঃ প্রথমত তুই বড় ভাইদের দেখে সালাম দেছ নাই। দ্বিতীয়ত আমি তকে ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু তুই জিজ্ঞেস করলি না।


রাফি নরম গলায় জবাব দেয়-- আর হবে না ভাই।


সজিবঃ পরের বার থেকে যেন এমন আর না হয়। যা এখন এখান থেকে।


রাফি কিছু না বলে গালে হাত দিয়ে মাথাটা নিচু করে ক্লাসের দিকে চলে আসে। কিন্তু সে বুঝতে পাড়ছে না কোনটা ওর ক্লাস। সে কাউকে জিজ্ঞেস করতে যাবে এমন সময়, পিছন থেকে মেয়েলি কন্ঠের ডাকে রাফি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে যে ৬ টা মেয়ে গাছের নিচে বসে আছে। মেয়েগুলোর মধ্য থেকে স্নেহা নামের মেয়েটি বলতে থাকে..


স্নেহা: এই নীল শার্ট, এদিকে আয়।


রাফির পরনে ছিল ঢিলাঢালা একটা নীল রঙের শার্ট, কালো পেন্ট। রাফি আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে থাকে তাকে ডাকছে না কি অন্য কাউকে।


স্নেহা আবারো বলতে থাকে -- এই এদিক ওদিক তাকাস না তকেই ডাকছি, এদিকে আয়। রাফি গুটি গুটি পায়ে ওদের সামনে যেয়ে দাঁড়ায়।  আর বলতে থাকে ---আপু আমাকে ডেকেছেন। 


স্নেহা: হু ডেকেছি, তর নাম কি?? 


রাফিঃ জ্বি আমার নাম রাফি হাসান।


স্নেহা: তা তুই এসব ড্রেস পরে ভার্সিটিতে কেনো আসিছ।


রাফিঃ আমার তো এই রকম জামা কাপর ছাড়া অন্য কোনো জামা কাপর নেই।


রাফির এই কথা শুনে,,, পাশ থেকে ‘মিরা’ নামের মেয়েটি বলতে থাকে.... 


মিরা: কেনো রে, তর কাছে কি ভালো কাপড় কিনার টাকা নাই। তাহলে এক কাজ করতে পারিস, ভার্সিটির গেটের সামনে থালা নিয়ে বসে পরবি সবাই তকে টাকা দিবে। সেই টাকা দিয়ে ভালো জামা কাপর কিনবি। এগুলো বলে সবাই হো হো করে হাসতে থাকে।


রাফি তার চশমাটা ঠিক করে মাথাটা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ রিয়া নামের মেয়েটি রাফিকে বলতে থাকে---কোন ইয়ারে পরিস তুই।


রাফিঃ ২য় বর্ষে।


রিয়া: তাহলে তো তুই আমাদের জুনিয়র,, যা 

এই কাগজটা নিয়ে ঐ যে সাদা ড্রেস পরা মেয়েটা কে দিবি।


রাফিঃ আপু এই কাগজে কি লেখা আছে?


রিয়াঃ তকে দিয়ে আসতে বলছি তুই দিয়ে আয়। এত প্রশ্ন করিস কেনো,,যা তাড়াতাড়ি।


“রাফি কাগজটা নিয়ে, মেয়েটাকে পিছন থেকে ডাক দেয়, মেয়েটা পিছনে ফিরলে রাফি দেখে যে 

ঐই দিনের চড় দেওয়া 

মেয়েটা। রাফির হাত গালে চলে যায়। আর বলতে থাকে ---- আপু এই কাগজটা গাছের নিচে বসা একটা মেয়ে  

আপনাকে দিতে বলছে। নুসরাত নামের মেয়েটি কাগজটা নিয়ে পড়তে থাকে, আর পড়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে ‘নুসরাত’  রাফির গালে কষে একটা চড় মারে। রাফি তার চশমা টা ঠিক করে নুসরাত কে জিজ্ঞেস করে---- আপু আপনি আমাকে মারলেন কেনো, আমি কি করেছি।


নুসরাত: কি করেছিস জানিস না? তর সাহস কি করে হলো আমাকে প্রেম নিবেদন 

করার।


রাফিঃ অবাক হয়ে বলল, আপু চিঠিটা তো আমি লিখি নি।  আর আমি তো আপনাকে চিনিও না। ঐখান কার আপু গুলো আমাকে বলছে আপনাকে কাগজ টা দেওয়ার জন্য।  আমি তো জানি না এই কাগজে কি লেখা আছে।


নুসরাত: কই ওখানে তো কোনো মেয়ে নেই। আর আমাকে মেয়েরা প্রেমের চিঠি দিতে যাবে কেনো? তুই আমাকে পাগল পেয়েছিস,,,সর এখান থেকে.


রাফি মাথাটা নিচু করে 

সেখান থেকে চলে আসে। আর একটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করে ২য় বর্ষের ক্লাস রুমে চলে আসে।  রাফি দেখে যে সেখানে দু তিনজন ছাড়া কেউ নেই,  তাই সে পিছনে যেয়ে বসে পরে। কিছুক্ষন পর আস্তে আস্তে রুমটা ভরে যায় স্টুডেন্ট দিয়ে। কিন্তু কেউ রাফির আশেপাশে বসে না।  স্যার ক্লাস রুমে প্রবেশ করলে সবাই দাঁড়িয়ে যায়। স্যার ক্লাস করাচ্ছিল এমন সময় স্যার বলে-- এই পিছনের বেঞ্চের ছেলে দাঁড়াও তুমি। তুমি কি নতুন। তুমার নাম কি? 


রাফি: দাড়িয়ে বলতে থাকে, জ্বি স্যার আমি নতুন, আমার নাম রাফি হাসান।


স্যার: তা তুমি কই ছিলে এতদিন।


রাফিঃ স্যার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টি সি নিয়ে এসছি।


স্যার: তা তোমার ড্রেসের এমন অবস্থা কেনো।


রাফি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলতে থাকে ----““ জীবনে যে কোনোদিন দুঃখ ভোগ করেনি তার পক্ষে দুঃখীর দুঃখ উপলব্ধি করা সহজ নয়। যে ব্যাক্তি সারা জীবন প্রাচুর্য ও বিলাসের মধ্যে জীবন যাপন করে, সে কি করে গরিবের অন্তরের জ্বালা অনুভব করবে”” কঠোর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে হয় আমাকে। আর সেই অল্প টাকা দিয়ে মাস চলতে হয়। তাই স্যার ভালো জামা কাপর কিনার টাকা আমার কাছে নেই। রাফি তার চোখ দুটো মুছে নয়। 


স্যার দুঃখ প্রকাশ করে বলে---- তুমিই জীবনে কিছু করতে পারবে। দোয়া করি।


স্যার ক্লাস শেষ করে চলে যায়। কিছু ছেলে এসে রাফির সাথে মজা করা শুরু করে।  রাফি এইসব সহ্য করতে না পেরে, বেগটা নিয়ে ক্লাস  থেকে বের হয়ে যায়। পুকুর পারে বসে বসে রাফি বলতে থাকে 

“ “এই শহরে কত রঙ কত লোকের আনাগোনা, শুধু আমার গলির চাপাকান্না এই শহরে যায় না শুনা””


** রাজ কেসটা নিয়ে কত দূর এগিয়েছো** 


রাজ থানায় বসে বসে কিছু ফাইল দেখতে ছিল, হটাৎ মেহেরাব তার কেবিনে এসে উক্তি টা বলে ---


রাজঃ স্যার একটা কথা বলি, 

““ সত্যিকারের জ্ঞানী, গুণী ও বিদ্বান ব্যক্তিদের আত্মপ্রচারের প্রয়োজন হয় না। স্যার 

যে যেখানে আছে তাকে সেখানে থাকতে দেন, তবেই তার স্বাভাবিক রুপ টা ফুটে 

উঠবে।


মেহেরাবঃ রাজ তুমি কি বলতে আর কি বুঝতে চাচ্ছ আমি বুঝতে পারছি না, আমাকে বুঝিয়ে বল।


রাজ: থাক না স্যার কিছু কথা বুঝতেও হবে না।  আমি জানি আপনিও মাইন্ড গেম খেলতে  ভালোবাসেন,

তাই কথা টার অর্থ আপনার অজানা থাকবে না।,, আর আপনাকে একটু রহস্যময় করে তুলি।।। 

বলে রাজ কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে আর রহস্যময় মুচকি হাসি হাসতে থাকে-------


“ রাত  ১০:১০ মিনিট ” 

সাব্বির ভাই আর রাহাত ভাই, সামনাসামনি বসে আছে। এলাকা টা শহর থেকে দূরে কোলাকোহল মুক্ত জায়গা। চারদিকে জোনাকিপোকার ডাক 

দূর থেকে ভেসে আসা শেয়াল কুকুরের ডাক। পিন পিন নিরবতা,


 সাব্বির বলে--- রাহাত দেখ এই ডিলটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ৪ কোটি টাকা লাভ হবে তাই আমি এটা মিছ করতে চাই না।


রাহাত তার হাতের জ্বলন্ত সিগারেট টা জোরে জোরে টান দিয়ে বলতে থাকে---


রাহাত: দেখ সাব্বির ডিলটা যেমন তর গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমন ই আমারও গুরুত্বপূর্ণ।  

কিন্তু.....


সাব্বিরঃ কিন্তু কি রাহাত, 


রাহাতঃ দেখ সালমান ভাই চায় না তুই কোনো ঝামেলা করিস 

এই ডিল টা নিয়ে। তবেই তুই ডিলটা পাবি। 


সাব্বিরঃ বল্লাম তো কোনো ঝামেলা করবো না। তর বেগটা দে আমারটা নিয়ে জা।


সাব্বির ও রাহাতের হাতের ইশারায় তাদের  লোকেরা বেগ আদান প্রদান করে। 


যখন সাব্বির আর রাহাত বসা থেকে উঠবে তখনই।,


একটা বাইক এসে থামে তাদের সামনে.. 

বাইকের উপর আরাম করে বসে পায়ের উপর পা তুলে সিগারেট টানছে আগন্তুক টি,,,, পড়নে তার মাথায় লম্বা টুপি,কালো পেন্ট,কালো বুট, মুখে রকস্টার মাক্স..........


সাব্বির বলতে থাকে-- কে তুই এখানে কি জন্য এসেছিস।


আগন্তুক টা কিছু না বলে সিগারেট টায় আবার টান দিয়ে হো হো করে হাসতে থাকে। 


রাহাতের রাগ উঠে যায় সে তার পিছন থেকে গান বের করে টিগারে চাপ দিবে,  এমন সময় আগন্তুক টি সিগারেট টা মাটিতে 

পিসে বলতে থাকে ---- আহা এত তাড়াহুরা কিসের, আয় বসি বসে শান্তিতে কথা বলি  এত উওেজিত হলে তো হবে না।


সাব্বির: কি চাস তুই। এখানে কেনো আসলি।


আগন্তুক টি হো হো করে হেসে বলতে থাকে,,, --উুম তদের এই ডিল থেকে 65% শেয়ার আমার চাই। 


সব্বির আর রাহাত, হাসতে হাসতে বলে,  কিহ্ তকে 65% দিতে হবে।


সাব্বির তার গান টা বের করে টেবিলের উপর নাড়াতে নাড়াতে বলে --- যদি এক % ও না দেই তাহলে কি করবি। 


আগন্তুক টা উচ্চ সরে হাসতে হাসতে বলতে থাকে --- যদি তরা কিছুক্ষণ পর আমার পা ধরে বলিস 90% শেয়ার আমাকে দিবি তখন কেমন লাগবে।


রাহাত আর সময় নষ্ট না করে আগন্তুকের মাথায় গান টা ধরে, 


আর আগন্তুক জোরে জোরে হাসতে থাকে। 

বলতে থাকে,, একটু পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখ।। 


সাব্বির ও রাহাত পিছনে ফিরতে দেখে তাদের একটা একটা লোক পরে যাতে থাকে। কারো কপালে কারো বুকে গরম বুলেটের আস্তরন পরে আছে। বুঝা যাচ্ছে কোথা থেকে যেন স্নাইপার চালানো হচ্ছে।


পরিবেশ টা থমথম পিন পিন নিরবতা,,, চাঁদের আলোয় জায়গাটা অনেক টুকু পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে। আর চারিপাশে সাব্বির আর রাহাতের লোকের নিথর দেহ পরে রইছে।  কিছুক্ষণ পর ই লাশ গুলো খেক শিয়াল খুবরে খুবরে খাবে।। আর সাব্বির ও রাহাত আগন্তুকের পায়ের কাছে বসে আছে। 


সাব্বির ও রাহাতঃ ভাই ডিলের পুরা টাকাই আপনি নিয়ে চলে যান। আমাদেরকে দয়া করে ছেড়ে দেন।


আগন্তুক হো হো করে হাসতে থাকে আর বলতে থাকে --- কিরে বলেছিলাম না আমার পা ধরে ক্ষমা চাইবি। হাহহহা।... 


আগন্তুক টা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে, গানটা হাতে নিয়ে ট্রিগারে চাপ দিয়ে  পর পর ৫ এটা বুলেট সাব্বিরের বুকে নষ্ট করে। এটা দেখে রাহাত কান্না করতে করতে আগন্তুকের পায়ে ধরে। আগন্তুক উচ্চসরে হেসে বলতে থাকে --- তকে মারবো না, তুই যেয়ে সালমান  কে বলে দিবি,,,““ শক্র কে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু বেইমান কে নয়”” খেলবো তোদের শহরে, আর মারবো তোদের ই স্টাইলে।।

বলে আগন্তুক তার বাইক নিয়ে চলে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। 


রাহাত সেখানে বসে না গাড়িতে এসে বসে আর ভাবতে থাকে কে এই আগন্তুক ---------


## চলবে##


[ কিছু কিছু ভাইয়ারা গল্পের এমন মন্তব্য করছেন,,,যে আমি কপি করে গল্পটা লিখছি। আপনাদের সম্পূর্ণ ধারণা ভুল। গল্প টা নিজেই লিখছি। কিন্তু গল্পটা সামান্য নিলয় ভাইয়ের গল্পের সাথে মিলে যাচ্ছে, সমস্যা নেই গল্পে আরো টোয়িস্ট বাকি আছে। আর অনুরোধ করছি এমন মন্তব্য করে গল্প লেখার মন মানসিকতা নষ্ট করবেন না,প্লিজ 🙏🙏🙏]]

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ৪-- RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ   



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


পর্বঃ ৪


লেখকঃ RAJA Bhuiyan 


"ব্রেকিং নিউজ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী 'নিজামউদ্দিন হাওলাদার' কে গত কাল রাতে কে বা কারা যেন মারাত্মক ভাবে খুন করেছে।""

নিউজ টা দেখে মেহেরাব বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়, মোবাইলটা বের করে থানায় ফোন করে, বেড়িয়ে পরে মেহেরাব......


এদিকে রাজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে নিচে নেমে দেখে কেউ নেই তাই সে মেহেরাবের রুমের সামনে যেয়ে নক করে 

কিন্তু ভিতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পায় না। চিন্তিত হয়ে সে মেহেরাবকে ফোন লাগায়...২ বার রিং হওয়ার পর ধরে...


রাজঃ হ্যালো স্যার কোথায় আপনি??


মেহেরাবঃ রাজ তুমি রেডি হয়ে থানায় চলে আসো।


রাজঃ কিন্তু স্যার আমার তো কালকে জয়েন হবার কথা ছিল।


মেহেরাবঃ আজই চলে আসো আমি সব কিছুর ব্যবস্থা করছি।।গুরুত্বপূর্ণ একটা কেস চলে এসেছে। তাড়াতাড়ি আসো।


রাজঃ ওকে স্যার।


রাজ রেডি হয়ে মেহেরাবের বাসার গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরে। কিন্তু মাঝ পথে যেয়ে দেখতে পায় তিনটা ছেলে ১টা মেয়েকে জোর করে গলি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাজ গাড়ি থেকে নেমে সেখানে যায় এবং বলতে থাকে......


রাজঃ ভাই আপনারা মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।


---প্রতি উত্তরে লোকগুলো রাজকে দেখে বলতে থাকে দেখ পুলিশ চলে এসেছে, এটা বলে হাহহাহা করে হাসতে থাকে। শুন অফিসার আমরা সাব্বির ভাই এর লোক। আমরা যা ইচ্ছা তাই করবো,,,,তুই চলে যা বেশি ঝামেলা করলে খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু।


রাজ নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করে আবারো.বলে......


রাজঃ কি কারণে তরা মেয়েটিকে নিয়ে যাচ্ছিস।


--তাদের মধ্যে থেকে একজন বলল,,এই মেয়েকে আমি প্রপোজ করছি বলে সে আমাকে সবার সামনে চড় মারছে, তাই আজ ওকে আমরা 'রেপ' করে আমার প্রতিশোধ নিব।


রাজঃ দেখ ভাই আমি ঝামেলা করতে চাই না 

তাই ঝামেলা করার আগেই মেয়েটা কে ছেড়ে দে বলছি।


--লোকগুলোর মধ্যে থেকে একজন এসে রাজের কলার ধরে মারতে যাবে এমন সময় কোথা থেকে যেন একটা বুলেট শক 

করে ছেলেটির মাথায় লাগে। গরম বুলেট তার মাথাতে লেগে তাজা ' রক্ত ' রাস্তা টা ভিজে যায়। সেটা দেখে বাকি ২টা ছেলে মেয়েটাকে ছেড়ে রাজকে মারতে যাবে এমন সময় কোথা থেকে যেন দুই টা বুলেট এসে একজনের গলায় লাগে,, আর আরেক জনের বুকে।  তাজা রক্তে রাস্তা টা ভিজে গেছে।।। মেয়েটা চিৎকার দিয়ে এসে রাজের পিছনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকে।রাজ অবাক হয়ে লাশ গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে,, আর ভাবতে থাকে কে তাকে বাঁচাতে ৩ জন কে মেরে দিলো। হঠাৎ একটা ছেলে সাইকেল  

থেকে নেমে এসে রাজের হাতে একটা বক্স দিয়ে দ্রুত সাইকেল চালিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে 

সেখানে মেহেরাব চলে আসে এবং এসব কি করে হলো জানতে চায়। রাজ তাকে প্রথম থেকে ঘটনা টা খুলে বলে....মেহেরাব গম্ভীর হয়ে রাজকে বলে প্রথম দিনই ঝামেলা করে ফেল্লে...

মেহেরাব রাজের হাত থেকে বক্স টি নিয়ে বলে, খুলে দেখ কি আছে এর ভিতর,, সাবধানে।।  বক্স খুলে দেখতে পায় একটা চিঠি আর রাজের একটা ছবি আর কিছু গোলাপ ফুলের পােপড়ি।।  রাজ চিঠি টা পড়তে শুরু করে সেখানে লেখা.......


" ওয়েলকাম ওয়েলকাম মি. রাজ, আমার মাফিয়া মাস্টার মাইন্ড সিটিতে। খেলবো তোমায় নিয়ে আমার মাইন্ড সিটিতে।  রেডি থেকো...হাহাহহহাহা...

প্রিয়

........ তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী.


চিঠি টা পড়ে রাজ চিন্তায় পরে যায় কে দিলো চিঠি টা। রাজের 

হাত থেকে মেহেরাব চিঠি টা নিয়ে পড়তে থাকলো,,, তিনিও চিন্তায় পরে গেলো। সব জেনো গোলক ধাঁধাঁর মতো......


থানায় এসে মেহেরাব ভাবতে থাকে, যেই দিন রাফিন ও রাফসান এই শহরে আসে আবার সেই দিনই ব্যাংক থেকে ১৫০ কোটি টাকা চুরি হয়। পরের দিন সি এম  রাজকে এই শহরে আনে,, আর সবচেয়ে অবাক করার 

বিষয় ঢাকায় এত অফিসার থাকতে কেনো আমার বাসায় রাজকে থাকতে দিলো। আবার কালকে রাতে  নিজামউদ্দিন খুন,,, আর আজ রাজকে চিঠি কে দিলো।। সব কিছু মেহেরাব কে অনেক কিছু ভাবাচ্ছে।

মেহেরাব ও শান্তশিষ্ঠ মাথার একজন মাইন্ড গেমার।  তাহলে সে কি নিজেই,, নিজেকে গুলিয়ে ফেলতেছেন.?


“ রাত ২:৪৫ মিনিট ”

নাইট ক্লাব থেকে গাড়িতে করে ফিরছে সজিব,আয়ান,সোহাগ, শামিম, রিদয়। ওরা প্রতিদিন ই নাইট ক্লাবে     

যায়। গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ সজিব দেখলো কে যেন রাস্তার মাঝে বাইকের উপর এক পা আরেক পায়ের উপর দিয়ে বসে আছে। পড়নে তার লম্বা টুপি, মুখে মাক্স কিন্তু মাক্সের ঠুটের অংশ টুকু কাটা,  লম্বা একটা জ্যাকেট,  কালো পেন্ট,  কালো বুট। বাইকের উপর আরাম করে বসে বসে সিগারেট টানছে।  সজিব দূর থেকে হর্ণ দিচ্ছে কিন্তু আগন্তুক টি সেখানেই স্থির হয়ে বসে রয়েছে।  সজিবের এভার রাগ ওঠে যায় যার কারণে গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে.... 


সজিবঃ এই কে তুই,  এইভাবে রাস্তার মধ্যে বসে আছিস কেনো। 


*চারিদিকে পিন পিন নিরবতা হঠাৎ করে রাস্তার পাশে থাকা কুকুর গুলো গেউ গেউ করছে,,,পাশে লেম্পোস্টের আলো ছড়িয়ে পড়ে আছে**


আগন্তুক টা কিছু বলছে না দেখে সজিব 

রেগে গিয়ে তার কলার ধরতে যাবে, এমত অবস্থায় আগন্তুক টা উঠে এসে 

সজিব কে স জোরে একটা চড় বসিয়ে দেয়। তখন গাড়ি থেকে সবাই নেমে আগন্তুক টা মারতে যাবে তখনি, আগন্তুক পিছন থেকে একটা ৫ বুলেটের M500 গান বের করে, শামিমের পায়ে গুলি করে দেয়। শামিম ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে উঠে,। সবাই ভয়ে পিছিয়ে যায়, আর বলতে থাকে ভাই কে আপনি গুলি করলেন কেনো। 

আগন্তুক টা জোরে জোরে হাসতে থাকে, আর বলতে থাকে.... 


আগন্তুকঃ কি রে শুনলাম ভার্সিটিতে নাকি র্যাগিং করিস।


সবাই মাথাটা নিচু করে চুপ করে থাকে। তাদের এমন ভয় পেতে দেখে আগন্তুক টা আবারো হাসতে থাকে আর বলতে থাকে......... 


আগন্তুকঃ আর যদি ভার্সিটিতে যেয়ে র্যাগিং করিস তাহলে,,,এখন তো শুধু একটার পায়ে 

পায়ে গুলি করছি

পরে কিন্তু সব গুলোর, গরম বুলেট দিয়ে মাথার খুলিটাই উড়াইয়া দিবো। আর আমি কিন্তু সবাইকে ২ বার ই চান্স দেই। প্রথম বার বুঝাই,,, আর তা না বুঝলে দ্বিতীয় বার গরম বুলেট দিয়ে মাথাটা টা ঠান্ডা করে দেই।  কথা টা বলে আগন্তুক টা বাইক নিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।


শামিম বুলেটের ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হাড়ায়। সবাই তাকে ধরে গাড়িতে উঠিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসে।  কিন্তু গুলি খাওয়া রোগি পুলিশ কেস তাই কেউ তাকে ভর্তি করায় না।  সজিব মেয়রের ছেলে হওয়ায় কিছুক্ষণ পর সব ব্যাবস্থা হয়ে যায়।  সবাই শামিমের মা-বাবাকে খবর দিয়ে এনে,, সজিব রা চলে যায়।। সজিব ভাবতে থাকে কে সেই ‘আগন্তুক’ হঠাৎ এসে অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো.......কি রহস্য টা কি বুঝতে পারছে না..................


## চলবে ##


[ কেউ কেউ বলতেছেন যে আমি গল্পটা কপি করে লিখছি, আর গল্প টা নিলয় ভাইয়ের গল্পের মতো হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই,,,  আমি গল্প টা নতুন লিখছি আর তাই নিলয় ভাইয়ের গল্পের থেকে সামান্য ধারণা নিচ্ছি,,,,কেউ এমন কমেন্ট করবেন না যাতে মনে কষ্ট পাই🙏🙏🙏😓😓🙏]

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড--পর্ব: ১২--RAJA Bhuiya.

রহস্যময় মাফিয়া সিরিজ   



“ খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


লেখকঃ RAJA Bhuiyan



পর্বঃ >>[( ১২ )]<<


...........




“ দুপুর ১টা ১৫ ” নুসরাত থানার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে ভিতরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। সে কোনো দিন থানার আসে পাশে যায় নি। কিন্তু আজ রাফি ছেলেটা সম্পর্কে

 জানার জন্য সে থানায় আসছে। নুসরাত ভেবে পায় না হঠাৎই অচেনা ছেলের সম্পর্কে জানার জন্য তার কেনো এমন আগ্রহ। সে আর কিছু না ভেবে থানাতে প্রবেশ করে। অনেক অফিসার রা নুসরাতের দিকে চেয়ে আছে,,তারা সবাই আগ্রহের দৃষ্টিতে চেয়ে আছে কেনো এই মেয়ে থানায় এসেছে। নুসরাত যেয়ে একজন 

 কনস্টেবল কে জিজ্ঞেস করে-- স্যার কালকে এই থানাতে একজন অফিসার মেয়রের ছেলে কে ধরে নিয়ে এসেছে,, ঐ স্যারের কেবিন টা কোনটা। 




• কনস্টেবল টা বলে-- কেনো ওনাকে কি প্রয়োজন,,কোনো কেস লিখতে আসছেন তাহলে আমাকে বলেন।




• নুসরাত বলে-- প্লিজ বলেন ওনার কেবিন টা কোনটা ওনাকে আমার খুবই প্রয়োজন




• কনস্টেবল টা কিছুক্ষন নুসরাতের দিকে চেয়ে বলে-- ঐ যে বাম পাশের কেবিন  টা রাজ স্যারের। 



• নুসরাত কনস্টেবল টা কে ধন্যবাদ দিয়ে রাজের কেবিনের দিকে চলে আসে। 




** স্যার ভিতরে আসতে পারি **

রাজ বসে বসে মনোযোগ দিয়ে কিছু ফাইল দেখছিলো তখনই কেউ কথাটা বলে। রাজ সামনে চেয়ে দেখে একজন মেয়ে ভিতরে আসার জন্য অনুমতি চাচ্ছে। 




• রাজ বলে-- প্লিজ আসেন। নুসরাত ভিতরে যেয়ে অনুমতি নিয়ে বসে। 



• রাজ বলে-- ম্যাম আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি। 



• নুসরাত বলে-- স্যার আপনার কাছে আসছি একজনের সম্পর্কে জানার জন্য। 



• জ্বি বলেন কার সম্পর্কে জানতে থানায় এসেছেন।




• নুসরাত একটু বেশি আগ্রহ নিয়ে বলে-- স্যার কালকে আপনি আমাদের ভার্সিটি থেকে একজন কে ধরে নিয়ে এসেছেন,,

যার নাম সজিব।




• রাজ একটু রাগান্বিত হয়ে বলে-- ঐ বেয়াদব ছেলেটার ইনফরমেশন জানার জন্য এসেছেন।



• রাজের রাগ দেখে নুসরাত একটু ভয় পেয়ে বলে-- আ..আসলে স্যার ওর সম্পর্কে জানতে চাই না।



• তাহলে??




• স্যার সজিব যে একটা ছেলের শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে এসছিলো তার সম্পর্কে জানতে চাই। রাফিকে আপনি চিনেন কিভাবে, আপনার কি কোনো আত্মীয় হয়।



• রাজ মুচকি হেসে জবাব দেয় -- ঐ ছেলের নাম রাফি। আমি তো ওকে এই প্রথম দেখলাম। আর সে আমার আত্মীয় হতে যাবে কেনো। আর ঐই দিন সজিব রাফির সাথে এমন করলো কেনো।



• নুসরাত ভয়ে ভয়ে বলে-- আসলে স্যার রাফি গরীব আর আন স্মার্ট তো তাই রাফিকে  সবাই অপমান করে। ঐই দিন সজিব রাফিকে একটা কাজ দিয়েছিলো,, রাফি সেটা করবে না বলছে তাই এমন করেছে।




• ওও আচ্ছা,, তা আপনার আরো কিছু জানার আছে। না থাকলে আসতে পারেন এখন। নুসরাত  থানার বাইরে এসে মন 

 খুলে শ্বাস নিতে থাকে  

 তার মনে হচ্ছে এখন খুবই শান্তি। সে আবার ভার্সিটিতে চলে আসে।




* আজ রাফির সাথে কেউ কোনো ঝামেলা করে নি তার সাথে কেউ কোনো কথাও বলে নি,, এতে রাফি মনে মনে একটু খুশি লাগছে * অনুমান বা ধারনা থেকেই সত্যের উৎপত্তি। তাহলে কি রাফির সাথে কেউ আর খারাপ ব্যবহার করবে না। আজ সকাল থেকে ই রাফির 

 খারাপ লাগছে মনে হচ্ছে আজ তার সাথে কিছু ঘটতে চলছে। সামনে রাফির কি বিপদ তা ওর জানা নেই। 



• ভাই আমনে সব সময় একলা একলা বইসা কি করেন। আমনের কি কোনো বন্ধু নাই,, কারো লগে মিশেন ও না করণ কি ভাই।

“ হঠাৎ মুন্না কথা শুনে রাফি ভাবনার জগৎ  থেকে বেড়িয়ে আসে আর দাঁত গুলো বের করে একটা সুন্দর হাসি দিয়ে বলতে থাকে --- বন্ধু দিয়ে কি করবো যদি সেই বন্ধু বেইমানি করে। আমি এখন একাকিত্ব থাকি করণ একাকিত্ব কখনো কারো সাথে বেইমানি করে না। আমার যেই পোশাক কে আমার সাথে বন্ধুত্ব 

 করতে আসবে। 



• তাও ঠিক কতা আমরা তো গরীব,, পৃথিবীতে তো গরীব দের কোনো দাম নাই।

তা আমনে কি কোনো কাম করেন না। 




• রাফি বলে-- না তেমন কোনো কাজ করি না। তুই এখন ফুল নিয়ে বিক্রি কর,,আমার সাথে বসে থাকলে লাভ হবে না। মুন্না কিছুক্ষন থেকে চলে যায়,,রাফি আর সেখানে বসে থাকে না চলে আসে গন্তব্য। রাফি রাস্তা দিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছি লো তখন ই তার সামনে দিয়ে দুইটা বাইক নিয়ে যায় মাক্স পরা তিন টা ছেলে। রাফির সামনে এসে বাইক গুলো থামে,, দুই টা ছেলে রাফির দিকে আসছে আর একটা ছেলে বাইকের উপর আরাম করে বসে আছে। দুইটা ছেলে এসে রাফিকে বলে-- তর নাম কি রাফি।




• রাফি বলে -- জ্বি আমি রাফি। এটা বলতে দেরি কিন্তু একটা ছেলে রাফির মুখে ‘ ক্লোরোফম ’ মেরে দেয়,, রাফি আর 

 কিছু বলতে পারে না হয়তো সে অজ্ঞান হয়ে

 গেছে,,,,,,,,,


...............




“রাত ১২টা ৪০মিনিট ”

রাফি চেহারের সাথে বাঁধা অবস্থা নিজেকে অাবিষ্কার করে ”

* ষাট ওয়াটের একটা হলদে বাল্বে পুরো ঘরটা আলোকিত হয়ে গেছে। রাফির পরনে সাকালের ময়লা শার্ট,

কালো পেন্ট এখন ঘেমে একাকার হয়ে গেছে,, ঘামের গন্ধটা খুবই বিশ্রি মনে হচ্ছে রাফির কাছে। মোটামুটি ভালোভাবে রাফিকে বাঁধা হয়েছে, মুখে টেইপ, সে এখন চাইলেও চিৎকার দিয়ে পারবে না। সামনে আশফি একটা চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে সিগারেট টানছে,,আর দুইটা ছেলে রাফির পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর কেউ রুমের সাটার টা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। আশফি পিছনে তাকিয়ে দেখে সজিব আসছে, তা দেখে বলে-- দেখ তুই এই ছোট ছেলেটার জন্য আমাকে বলছিস। তুই ই ত পারবি একে শেষ করতে,আমি সামলে নিতাম সব।



• সজিব মুচকি হেসে একটা চেয়ারে বসে সিগারেট জ্বালিয়ে টানতে টানতে আশফি

 কে বলে-- আমার জন্য এটা কোনো ব্যপার ছিল না। তবে সামনে বাবার মেয়র নির্বাচন তাই তিনি কোনো ঝামেলা করতে নিষেধ করছে,,

তাই তুমাকে বল্লাম। তা ওকে এনে কি কোনো খাতির যত্ন করছো সেটা বল। 




• পিছন থেকে মাহাবুর 

 নামের একটা ছেলে বলে -- সালার জ্ঞান ফিরছে মাএ তাই এখনো কিছু করি নি।

এটা শুনে সজিব বসা থেকে উঠে এসে রাফির মুখ থেকে টেইপ টা খুলে দেয়। রাফি এখন একটু ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারছে।




• সজিব তার হাত দিয়ে রাফির মুখটা চেপে ধরে বলে- তর কারণে সে দিন আমাকে থানায় যেতে হেয়েছে। আজ তুই আর বাসায় ফিরে যেতে পারবি না, এটা আমি ঐই দিন থানায় বসে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা বলে সজিবের মুখের সিগারেট টা রাফির মুখে চেপে ধরে,, রাফি 

 সিগারেটের ধোঁয়া সহ্য করতে পারছে না তাই কাশতে শুরু করছে। এটা দেখে সবাই উচ্চ সরে হাসতে থাকে। রাফি চিৎকার করতে থাকে কিন্তু যেখানকার শব্দ সেখানেই ফিরে আসছে।



• সজিব হাসি দিয়ে বলে-- চিৎকার করে লাভ নেই, এখানে তকে কেউ বাঁচাতে আসবে না, আর তর চিৎকার বাইরের কেউই শুনতে পারবে না। সজিব চেয়ারে যেয়ে বসে শফিক নামের ছেলেটাকে বলে--শফিক ওখান থেকে রড টা নিয়ে আয়। শফিক সজিবের কথা মতো রড টা নিয়ে আসে।




• রাফির মনে হচ্ছে আজ আর কেউ তাকে বাঁচাতে আসবে না। আজ এই পৃথিবীর বুকে তার শেষ দিন,,

রাফির চোখ দুটো কেন যেন আজ হিংস্র হবার অনুপেরনা দিচ্ছে তাকে। রাফি এগুলো ভাবছিলো তখনই শফিক রড নিয়ে এসে রাফির হাঁটুর গোড়ায় বারি মারে,,সাথে সাথে রাফি ব্যাথায় চোখ বন্ধ করে ফেলে। মাহাবুর ছেলেটা তার হাতের স্টীক টা দিয়ে রাফির বা পায়ের হাটুঁর নিচে বারি মারে।রাফি ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে জোরে ‘ মা ’ বলে চিৎকার দিয়ে উঠে। রাফি কিছু একটা ভেবে কান্নার মাঝে শব্দ করে হেসে উঠে। সবার দৃষ্টি তখন রাফির দিকে পাগল হয়ে গেছে নাকি ছেলেটা।




• তার এমন হাসি যেন সজিবের সহ্য হয় না,, তাই সে রাফির বড় বড় চুল গুলো শক্ত করে ধরে মুখের কাছে মুখ এনে বলতে থাকে-- কিরে তুই এমন পাগলের মতো হসছিস কেনো,,মরার আগে মানুষ কাদে কিন্তু তুই কেদে কেদে আবার হাসছিস কেনো। 




• রাফি বলে মৃত্যু.. হাহাহাহহ...ভীতুরা মরার আগে বারে বারে মরে কিন্তু সাহসীরা মৃত্যুর স্বাদ একবারই গ্রহণ করে মি. সজিব,, বলে হাসতে থাকে রাফি।



• হঠাৎ রাফি তাকে এমন কিছু বলবে সে তা ভাবতেও পারে নি। আর রাফির গলার আওয়াজ টা কেমন যেন পরিবর্তন লাগছে। রাফির এমন কথা সহ্য হয় না যেন সজিবের তাই সে গালি দিয়ে বলে-- মা*** কে তুই বল,তর গলার স্বর ত আগে এমন ছিলো না, বল কে তুই বলে রাফির দু গালে কষে দুইটা চর মারে। রাফি আর কিছু বলে না শান্ত হয়ে বসে থাকে। সেটা দেখে সজিব মাহাবুরের কাছ থেকে স্টীক টা নিয়ে রাফিকে মারতে যাবে তখনই রুমের সাটারে কারো ধাক্কানোর শব্দ হয়। সজীব স্টীক টা ফেলে চেয়ারে এসে বসে পরে। 




• আশফির হাতের ইশারায় মাহাবুর ছেলেটা যেয়ে সাটারটা উঠায়, সাটার 

 টা উঠানোর সাথে সাথে শক করে একটা শব্দ হয়। সবাই পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে মাহাবুর নিচে পরে আছে,, মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে সে রক্ত দিয়ে ঘরটা ছড়িয়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে কেউ খুব কাছ থেকে মাহাবুরের কপালে গুলি করছে,, তার চোখ দুটো এখনো যেন কি বলতে 

 চাচ্ছে, মনে হয় সে তার মৃত্যু কে খুব কাছ থেকে দেখেছে। সারা ঘরে পিনপিন নিরবতা হলদে আলোয় আর লাল রক্তের মিশ্রণে পরিবেশ টা কেমন যেন থমথমে অবস্থা।




• রাফি এটা দেখে শব্দ করে হাসে। এই হাসির মানে কি কেউ জানে না। সবার মনে ভয় ঢুকে যায় কেনো হঠাৎ করে রাফির মতো ক্ষেত,গরীব, অসহায় ছেলেটা অচেনার মতো করে আচরণ করছে কেউ তা বুঝতে পারছে না। আশফির হাতের ইশারায় রড টা নিয়ে শফিক সাটারের কাছে যেয়ে বলতে থাকে কে বাইরে আছিস,,দেখ ভালোই ভালোই বলছি চলে যা এখান থেকে নয়তো কেউ জান নিয়ে বাড়িতে যেতে পারবি না। রাফি তাদের অবস্থা দেখে জেরে হেসে দেয়। 




• সজিব যেয়ে রাফিকে মারতে যাবে তখনি আরেকটা শব্দ হয়। রাফি মুচকি হেসে সামনের দিকে তাকাতে বলে সজিব কে,, সজিব চেয়ে দেখে শফিক পায়ে হাত দিয়ে বসে আছে তার হাত প পা দিয়ে অঝরে রক্ত পরছে। সজিব আর আশফি ভয় পেয়ে চিৎকার করে বলে-- কে বাইরে 

আছে,,সাহস থাকলে সামনে আয় কাপুরুষের মতো বাইরে দাঁড়িয়ে আছিস 

 কেনো।



• বাইরে থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে আশফি বলে-- সজিব রাফির জন্য এই সব হচ্ছে সে মনে হয় কোনো ভাবে কাউ কে বলে দিয়েছে। চল একে মেরে দিয়ে আমরা পালিয়ে যাই বলে আশফি তার পিছন থেকে গান বের করে রাফির দিকে তাক করে যেন ট্রিগারে চাপ দিলে রাফির মাথাটা ভেদ করে বুলেট টা চলে যাবে। রাফি শুধু মুচকি হাসি হাসছে,,

কেউ বুঝতে পারছে না সে কিভাবে মৃত্যু কে সামনে থেকে দেখে মাথাটা ঠান্ডা করে বসে আছে। 





আশফি যখন ই ট্রিগারে চাপ দিবে তখনই একটা গুলির শব্দ হয়, রুমটা এখন নিস্তব্ধতায় বিরাজ করছে,, কিছু মানুষের বুটের আওয়াজ আবার কারো হাসির শব্দ............. 





## চলবে ##



[ মনে হচ্ছে অনেকের এই গল্প পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। সবার কাছে ভালো কিছু আশা করছি ]





wait for the next part.

Sunday, June 13, 2021

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড- পর্ব:-৩---RAJA Bhuiyan

 

রহস্যময়  সিরিজ 




“খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”


পর্বঃ--৩

লেখকঃ__RAJA Bhuiyan 


গুটি গুটি পায়ে চারদিকে চোখ বোলাতে বোলাতে একজন ছেলে ঢাকা ভার্সিটির ক্যামপাসে প্রবেশ করল।  অনেকেই ছেলেটা কে দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে রইল।  তাকাবে নাই কেনো তার পড়নে ছিল, ঢিলা 

ঢালা পুরনো একটি শার্ট, কালো পেন্ট, মাথার চুল গুলো বড় বড়, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা।  ছেলেটি সবকিছু দেখে 

মাথা নিচু করে একটা মুচকি হাসি দেয়।  যখন সামনে এক পা বাড়াবে তখনি ছেলেটার ডান পা কিছু একটার সাথে লেগে ধপ করে পড়ে যাচ্ছে, এমন সময় কেউ তার হাতটা ধরে দাড়া করায়। ছেলেটি মোটা ফ্রেমের চশমাটি ঠিক করে সামনে তাকিয়ে দেখে একদল 

ছেলে বেশ উচ্চ স্বরেই হাসছে। ছেলেটি আবারো চোখের চশমাটা ঠিক করে নেয়। সে চুপচাপ হেঁটে সামনে এগুতে যাবে তখনি ছেলেগুলোর নেতা "সজিব" নামের ছেলেটি" তার" হাত ধরে টেনে নেয়।


সজিবঃ কিরে তর নাম কি?


ছেলেটিঃ রাফি।


সজিবঃ আয়ান একটা 

সিগারেট জ্বালিয়ে দে তো।


আয়ান নামের ছেলেটি সিগারেট জ্বালিয়ে সজিবের কাছে দেয়। সজিব জোর পূর্বক ভাবে রাফির মুখের সামনে ধরে বলতে লাগল...


সজিবঃ এই খা..খা...বলছি সিগারেট টা শেষ করতে না পারলে আজ তোকে এমন অবস্থা করবো তুই ভাবতেও পারবি না।


রাফি বিনয় এবং নরম 

গলায়ে বলতে থাকে...


রাফিঃ ভা..ভাই আ..আমি জীবনেও এসব খাই নি আমি খেতে পারবো না ভাই।


রাফির কথা শুনে সব গুলো ছেলে হো হো করে হাসতে লাগল। ছেলেগুলোর মধ্য থেকে শ্রাবণ নামের ছেলেটি রাফির মুখে সিগারেট চেপে ধরে বলল...


শ্রাবণঃ তুই খাবি না আজ,তর চোদ্দ গুষ্টি খাবে আজ। টান সিগারেট টান।


রাফির ঠোঁট সিগারেটের আগুনে লেগে কিছুটা পুড়ে যায়। রাফি কান্না করতে করতে বলে...


রাফিঃ ভাই এটা আমার দ্বারা সম্ভব না।  

আমাকে ছেড়ে দেন। 


সজিবঃ ঐ যে মেয়েটা আসছে।ওর সামনে যাবি ওর ওড়না জোরে টান দিবি। যা এখন। 


রাফিঃ ভাই পারবো না আমি।


কথাটা বলতে দেড়ি হলে কিন্তু সজিব রাফির গালে চড় বসাতে দেড়ি হলো না। রাফির চোখ লাল হয়ে আসছে সে কিছু বলতে যেও বলতে পারলো না।


আজ প্রথম র্যাগিং এ পড়েছে রাফি।


রাফির কাধে আয়ান হাত রেখে বলল..


আয়ানঃ এটাকে কি করবো ভাই।


সোহাগঃ এক কাজ কর ওর গায়ের জামা খুলে নে।


শামিমঃ আরে না না বেচারা তাহলে নেংটা হয়ে ঘুরে বেড়াবে।


সজিবঃ হাহহহাহাহা।


আয়ানঃ ভাই "ওকে" মেয়েদের সব মর্ডান ড্রেস, নাইট পার্টি তে পরে। অর্ধেক খোলা অর্ধেক ঢাকা এই ধরনের ড্রেস পড়িয়ে দেই। কেমন অবস্থা হবে।


সজিবঃ তোরা পারিসও বটে। যা ড্রেস আনা লাগবে না অন্য কি নিয়ে আয়।


শামিমঃ কি আনবো ভাই, গোবর নাকি?


সজিবঃ আর ওই শামিম দাড়া।


শামিমঃ জ্বি ভাই


সজিবঃ আসার সময় মবিলও আনিস


শামিমঃ ঠিক আছে ভাই, হাহহহাহা


রাফি খুব বাজে ভাবে র্যাগিং এ ফেসে গেসে। কিন্তু ওর কিছু করার নেই।


রাফি কেবল শামিমের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল। রাফি এভাবে কাঁদতে কাঁদতে সজিবকে বলে


রাফিঃ আমাকে মাফ করে দেন ভাইয়া। আমি তো শুধু পড়াশোনা করার জন্য এই শহরে,এই ক্যাম্পাাসে এসেছি। আমি আপনার কিছু করিনি ভাইয়া। আমাকে ছেড়ে দেন ভাইয়া কাল আমার ক্লাস পরীক্ষা ভাইয়া। আমাকে পড়তে হবে। আমি আপনার ছোট ভাই এর মতো।


রাফির কথা শুনে সবাই হো হো করে হাসতে থাকে। ক্যাম্পাস থেকে টেনে রাফিকে পিছনের দিকে নিয়ে আসে,অনেকেই তাদের পিছনে আসতে থাকে,, কেউ রাফিকে বাঁচাতে আসছে না। করন সজিব কে সবাই ভালো করে চেনে। সজিব ঢাকর প্রভাবশালী মেয়র শহীদ হোসেনের ছেলে। সেই সাথে সজিবের চাচা এই ভার্সিটির চেয়ারম্যান। সজিব তৃতীয় বর্ষের ছাএ হয়েও ছোট বড় সবাইকে প্রতিদিন র্যাগ 

করে। তাই সবাই তাকে ভয় পায়। কোনো দিন কেউ কিছু 

বলতে পারে না। রাফি এমন ভাবে র্যাগিং এ ফেসে যাবে ভাবতেও পারে নি। কিছুক্ষণ পর শামিম আসে। অনেক স্টুডেন্ট মজা দেখতে আসছে। 


শ্রাবণঃ কিরে শামিম এত দেরি হলো কেনো আনতে।


শামিমঃ ভাই সাথে করে ৫টা ডিমও নিয়ে আসছি।


আয়ানঃ খেলা শুরু করেন ভাই, এত দেরি কেনো।


ওদের কথা শুনে রাফির বুকের ভিতর ধুকপুক ধুকপুক করছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে, লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। 


**শ্রবণ, শামিম, আয়ান রাফির শরীর থেকে শার্টা খোলে ফেলল,,,কিন্তু অনেকে 

রাফির বডির দিকে লক্ষ্য করলে,, দবদবে সাদা বুক আবার জিম করা বডি।। রাফি মাথাটা নিচু করে রেখেছে।। তামিম আর রিদয় রাফির গায়ের মধ্যে পোড়া মবিল ডেলে দেয়। রাফির শরীর কালো রং এ ছেয়ে গেছে। সোহাগ রাফির মাথায় ডিম গুলো ভেঙে দেয়। সজিব ওঠে এসে রাফির বুকের মধ্যে লাথি মারে। রাফি ছিটকে পরে যায়। আর সবাই উচ্চস্বরে হাসতে থাকে। রাফি লজ্জায় সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসে। অনেকে দেখছে রাফিকে। রাফি সে দিকে তাকিয়ে আবার মাথাটা নিচু করে দৌড়ে গেট দিয়ে বের হতে যাবে এমন সময় কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে রাফি নিচে পরে যায়। মবিলের কারণে রাফি কিছু দেখতে পারছে না। খানিকটা মবিল মুছে সামনে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে রাগি চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। রাফি কিছু বলবে তার আগেই মেয়েটা রাফির গালে কষে একটা চড় মারে। আর বলতে থাকে।


--বেয়াদব ছেলে। ডাস্টবিন থেকে উঠে এসেছিস শালা মা***


রাফি সেখান থেকে মাথাটা নিচু করে দৌড়ে চলে আসে। রাস্তায় অনেকেই রাফির এমন অবস্থা দেখে হাসতে থাকে। রাফি বাসায় এসে নিজেকে শান্ত করতে পারছে না,, শান্ত ছেলেটা অশান্ত হয়ে পরছে। কোনো এক অশান্ত শহরের শান্ত ছেলে রাফি।আজ তার কাছে সব অনুভূতিহীন মনে হচ্ছে। 

 রাফি আয়নায় নিজেকে দেখে, নিজেই চিনতে পারছে না। তবে সে শান্ত হয়ে নিজেকে আরেক বার আয়নায় দেখে রহস্যময় মুচকি হাসি হাসছে.............


## চলবে##


বানান ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏🙏🙏

খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড- পর্ব: ২ --Raja Bhuiyan

 

রহস্যময় সিরিজ  



 “খুনি দ্যা মাস্টার মাইন্ড ”

লেখকঃঃ RAJA Bhuiyan

পর্ব ---২


"বর্ষার পর শরতের আগমন ঘটে। বর্ষার কালো মেঘের অবসান 

ঘটে।আজ হালকা বৃষ্টি হচ্ছে,ব্যাস্ত শহরটা বৃষ্টির কারণে থেমে নেই।


"সকাল ৯ঃ৩০ মিনিট""

মেহেরাবের দু তলা বাড়ির সামনে একটি কালো গাড়ি এসে থামে।


**গাড়ির শব্দ শুনে মেহেরাব,রিমি,ও মেঘা 

গেটের সামনে এসে দাঁড়ায় **


"" গাড়ি থেকে একজন  

সুদর্শন যুবক বেড়িয়ে আসে। পড়নে তার সাদা কোটের ভিতর কালো শার্ট, সাদা পেন্ট, আর কালো জুতা"""


""আগন্তক টি লাগেজ টা নিয়ে সবার সামনে এসে মেহেরাবকে সালাম দেয়"""


আগন্তুকঃ আসসালামু আলাইকুম। স্যার


মেহেরাবঃ ওয়ালাইকুম সালাম।।। আসতে কোনো সমস্যা 

হয় নি তো।


আগন্তুকঃ না কোনো সমস্যা হয় নি স্যার


মেহেরাবঃ চলো পরিচয় করিয়ে দেই।  এই হলো আমার মেয়ে 'রিমি' আর এটা তার বান্ধবী 'মেঘা'

-রিমি এ হলো "রাজ" অ্যাসিস্টেন্ট পুলিশ কমিশনার""


রাজঃ হ্যালো গার্লস 


রিমি ও মেঘাঃ হুম


মেহেরাবঃ রিমি রাজকে তর রুমটা দেখিয়ে দে।


রিমিঃ আচ্ছা বাবা। এই যে মি. আসেন।


**রাজ, রিমি আর মেঘার পিছনে যাচ্ছে*


" রিমি বিরক্তকর ভাবে রাজকে বলল"


রিমিঃ এই যে এটা আপনার রুম।


রাজঃ হু


" রাজ ফ্রেশ হয়ে বেলকনিতে চলে আসে আর দেখতে থাকে ব্যাস্ত শহরটাকে এবং ভাবতে থাকে"!!


** বাবা আপনাকে নিচে যেতে বলেছে**


হঠাৎ কারো গলার আওয়াজ শোনে রাজ পিছনে ফিরে তাকায় দেখে রিমি উক্ত কথা টা বলল।


রাজ নিচে এসে দেখে যে মেহেরাব কিছু কাজ পএ সামনে রেখে বসে আছে 


রাজঃ স্যার আমাকে কি ডাকছিলেন 


মেহেরাবঃ ও রাজ এসো বসো এখানে।

বলে রাজ কে একটা ছবি বের করে তার হাতে দেয়।


রাজঃ কার ছবি এগুলা স্যার


মেহেরাবঃ রাফিন ও রাফসান।।-অভিশাপ্ত দুনিয়ার 'রাফিয়ান' এরা দুই ভাই। আজ পর্যন্ত কেউ তাদের দেখে নাই।এমন কি তার কোনো লোকেরাও দেখে নাই।আমি ৫বছর ধরে তাদের পিছনে পরে আছি তাদের সম্পর্কে, আমার কিছু অজানা নয়।


রাজঃ অবাক হয়ে""যেমন""


মেহেরাবঃ রাফিন ও রাফসানের কিছু লোক আমি ধরতে সক্ষম হয়েছিলাম।


রাজঃ তারপর।


মেহেরাবঃ কিন্তু ওদের একটাই কথা তারা কখনো রাফিন ও রাফসানকে দেখে নাই। যখন তাদের সাথে দেখা করতো তখন মুখে মাক্স পরা থাকতো। আর সব সময় তাদের সাথে মোবাইল ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতো।


রাজঃ রাফিন বা রাফসানের নাম্বার টা ট্রেকিং  করলে তো তাদের লোকেশন জানা যেতো।


মেহেরাবঃ করেছি কাজ হয় নি।।।


রাজঃ ওওও


মেহেরাবঃ ব্যাংক থেকে টাকা চুরির বিষয়টি আমাকে অনেক ভাবাচ্ছে। 


রাজঃ কেমন ভাবনা স্যার।


মেহেরাবঃ ব্যাংকে অনেক কঠিন সিকরিটি ব্যবস্তা ছিল।। তাহলে যে হ্যাকটা করেছে সে কোনো সাধারণ হ্যাকার না।


রাজঃ স্যার আপনার কি মনে হয় কে করতে পারে কাজ টা।


মেহেরাবঃ আমি কিছু কিছু আর্টিকেল থেকে পেয়েছি,, যে, রাফিন ও রাফসান যে শহরে আসে প্রথমে তারা শহরের কোনো বড় ব্যাংক থেকে বড় এমাউন্ট চুরি করে। 


রাজঃ স্যার এখন কি আমরা রাফিন ও রাফসান কে হ্যাকার ভাববো??


মেহেরাবঃ হু ভাবা যাক।।। আর তোমাকে 

ফরহাদ স্যার এই কেসের জন্যই পাঠিয়ে ছেন।


-এ কাথা শুনে রাজ একটু মুচকি হাসে


মেহেরাবঃ স্যার বলল তুমি নাকি আসামিদের সাথে মাইন্ড গেম খেলতে ভালোবাসো।


রাজঃ হুম স্যার। আমি  আসামিদের আমার স্টাইলে ধরিও না মারিও না।।  তাদের স্টাইলে তাদের সাথে মাইন্ড গেম খেলি।

-বলে রাজ রহস্যময় একটা হাসি দেয়।। যেই হাসিতে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য।


চলবে 


গল্প টা নতুন লিখছি তাই হয়তো বানান এ কিছু ভুল থাকতে পারে।


ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏🙏

রঙের ফেরিওয়ালা -- Raja Bhuiya.



রোমান্টিক সিরিজ  


রঙের ফেরিওয়ালা


লেখক: RAJA Bhuiyan


পর্ব:-২


........




মনের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করছে বন্ধুদের কথা গুলো আসলে সত্যি। শ্রাবণী আমার অজান্তে আমাকে নিয়ে তার রিদয়ে সুপ্ত অনুভূতি তৈরি করেছে

সে আমাকে ভালোবাসে। তার মনের গহীনে এখন আমি অবস্থান করছি। চিঠি টা পড়ে আমার মন টা খুশি জোয়ারে ভরে গেছে।




সময়টা ‘ ২০১৭ ’ এইচএসসি পরীক্ষা শেষ আজ দু বছর পর বাসায় যাব। দেখতে দেখতে দুটি বছর কিভাবে কেটে গেছে বুঝতে পারছি না। এই দু বছরের মধ্যে একবার ও বাসায় যাই নি,,ভালো করে পড়াশোনা করেছি। বাসে বসে বসে চিন্তা করছি,বাসায় তো প্রতিদিন কথা বলতাম কিন্তু শ্রাবণীর সাথে তো কখনো যোগাযোগ হয় নি আমার। সেই ছোট্ট শ্রাবণী কেমন হয়েছে দেখতে,, আমাকে দেখলে চিন্তে পারবে।এখন মনে হয় ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে,,সে কি তার দেওয়া কথা ভুলে গেছে, আর ভুলবেই না কেনো তার 

সাথে তো আমি কোনো যোগাযোগ রাখি নি। বাস কন্টাকদারের কথায় আমার হুস ফিরলো,,মুচকি হেসে বাস থেকে নেমে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। ঋতু চক্রের প্রথম ঋতু গ্রীষ্মকাল। এ সময় বাংলাদেশের রূপ হয়ে ওঠে রুক্ষ ও শুষ্ক। প্রখর সূর্যতাপে পৃথিবীর বুক বির্দীন হয়ে যায়, চৌচির হয়ে যায় তার তৃষ্ণার্ত প্রান্তর। নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে যায়। পৃথিবীর প্রাণরস শোষিত হয়ে কম্পিত শিখায় উঠতে থাকে মহাশূন্যে। তবে গ্রাম এলাকায় অধিক পরিমাণে গাছ-পালা থাকার করণে গ্রাম এলাকাটা সজীব থাকে। রোদ্রের তাপ অধিক হলে গাছপালার হিমেল বাতাসে পরিবেশটা ঠান্ডা হয়ে যায়। হঠাৎ ধেয়ে আসা কালবৈশাখী প্রচন্ড ঝড়। কোথাও প্রাণের চিহ্নমাএ থাকে না,,থাকে না শ্যামলতার আভাস। তবে গ্রামের চেয়ে শহরের এই গ্রীষ্মের প্রভাবটা একটু বেশি। আধুনিকতার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা রয়েছে শহরে। ঘর থেকে বের হলেই পিচ ঢালা পথ,,প্রচন্ড রোদের উওাপে রাস্তার পিচ গলতে থাকলেও যানবাহনের অভাব নেই। বড় বড় অফিসে রয়েছে এসির ব্যবস্থা। সেখানকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে বসে গ্রীষ্মের চরিত্র বুঝা যায় না। এগুলো ভাবতে ভাবতে গাড়ি থেকে নেমে দু বছর পর গ্রামের মাটি তে পারা দিলাম মনটা ভরে উঠলো। মনে চায় না গ্রাম থেকে শহরে আবার চলে যাই কিন্তু জীবন বড় হতে চাইলে 

তো যেতেই হবে। গ্রামের অনেক পরিচিত লোকদের ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলাম। অনেকে আবার চিন্তে পারছে না আমাকে। কিভাবে চিনবে এখন তো আগের থেকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের গঠন, মুখের দাঁড়ি, গোফ যার কারণে আগের চেহারাটার সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। জানা নেই বাসায় সবাই আমাকে চিনবে কি না। আগের থেকে গ্রামের পরিবেশ টা বেশ পরিবর্তন হয়েছে,

বন-জঙ্গল কেটে বসত

বাড়ি তৈরি হচ্ছে। অবশেষে নিজের গন্তব্যে পৌছালাম মা-বাবার সাথে দেখা হলো,, মা আমাকে দেখে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিলো। হয়তো দুই বছরের দূরে থাকার কান্না। বাড়ির অনেকের সাথে কথা হলো। বিকালের দিকে পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য খেলার মাঠে চলে গেলাম। সবার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো, তবে একটা খবর শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো,, শ্রাবণী রা নাকি ২ মাস আগে ঢাকায় চলে গেছে। খবরটা শুনে খুবই খারাপ লাগছিলো কিন্তু কেউ তাদের ঠিকানা আমাকে বলতে পারছিল না,,তাদের জানা নেই শ্রাবণীদের ঠিকানা। গ্রামে বেশ কিছু দিন থেকে চলে আসলাম ব্যস্ত ঢাকা শহরে। অনার্সের জন্য অনেক গুলো ভর্তি পরীক্ষা দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ একটাতে চান্স পেয়ে গেলাম। কাল থেকে ভার্সিটি যাওয়া শুরু করবো,, মনের ভিতর আলাদা কিছু অনুভূতি  

ফিল করছি। কিন্তু আবার সামান্য ভয় করছে শুনছি ভার্সিটি

তে বড় ক্লাসের স্টুডেন্ট রা ছোট ক্লাসের স্টুডেন্টদের র্যাগ দেয়। 




“ আজ আমার ভার্সিটির প্রথম দিন তাই বেশ পরিপাটি হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি,সাদা কালারের একটা চেক লম্বা হাতার শার্ট হাতা গুলো  

ফল্ট করা, কালো জিন্স, এক জোরা কনবার্স, হাতে ঘড়ি, চোখে স্টুডেন্ট চশমা,চুল গুলো ঠিক করে বডি স্পেটা ব্যবহার করে বেড়িয়ে পরবো এমন সময় মেসের বড় ভাই 

‘ রাজিন ’ আমাকে থামিয়ে বলে-- কিরে ডেটে যাচ্ছিস নাকি কোথাও। 




আমি: আরে নাহ্ কি যে বলো না ভাই। ভার্সিটিতে যাচ্ছি তাই এমন ড্রেসআপ প্রথম দিন তো তাই,,আসি ভাই। একটা রিকশা নিয়ে চলে আসলাম ভার্সিটিতে,,ক্যাম্পাসটা 

খুবই সুন্দর আর বড়। গেট পেড়িয়ে ক্লাসের উদ্দেশ্য রওনা দিবো এমন সময় পিছে থেকে কেউ বলল-- এই সাদা শার্ট, এদিকে আয়। আমি সামনে পিছনে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছি কাকে ডাকে,,দূরে একজন ছেলেকে দেখা যাচ্ছে সাদা শার্ট পরে আছে। তাকে ডাকলে তো আরো জোরে ডাকতে হবে, আমার কি আমি ক্লাসে যাব, সামনে এগিয়ে যাব তখন শান্তা নামের একটা মেয়ে বলে-- এই এদিক ওদিক কি দেখিস তকেই ডাকছি। আমি এভার পিছনে ফিরে দেখলাম 

আমার দিকে ইশারা দিচ্ছে। আমি সেখানে যেয়ে বল্লাম-- জ্বি আপু আমাকে কেনো ডেকেছেন।




শান্তা: সেটা তকে বলতে হবে। তকে তো আগে কখনো ভার্সিটিতে দেখি নাই, নতুন নাকি।




আমিঃ জ্বি আপু আমি প্রথম বর্ষে নতুন ভর্তি হইছি।



শান্তা: ওও আচ্ছা আমরা সবাই তোর সিনিয়র আমাদের সবাই কে সবসময় সালাম দিবি,,ঠিক আছে।



• আচ্ছা বলে ক্লাসের দিকে রওনা দিলাম। ক্লাসের মাঝখানে একটা বেঞ্চে যেয়ে বসলাম কিছুক্ষণ পার স্যার এসে সবার সাথে পরিচয় হয়ে গেছেন। তিন জনের সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। ক্লাস শেষে বাইরে এসে আড্ডা দিচ্ছিলাম চারজন মিলে তখনই ছেলে ভার্সিটির গেট দিয়ে একটা সুদর্শন যুবক প্রবেশ করে,,পরনে তার কালো কালারের শার্ট, কালো জিন্স, চোখে স্টাইলিস চশমা,গলায় মোটা চেন, চুল গুলো বড় বড়,, হাতে জ্বলন্ত সিগারেট টা টানতে টানতে ভিতরে প্রবেশ করল। আমরা সবাই ঐ দিকে চেয়ে আছি।

ছেলেটার নাম জয় এই ভার্সিটির ভিপি। সবাই তাকে কম বেশি ভয় করে। আমরা আমাদের মতো আড্ডা দিচ্ছি।



........


কিরে নীলা কি এত ভাবছিস তুই,,কখন থেকে ডাকছি শুনতে পারছিস তুই। বৃষ্টির কথায় ধ্যান ভাঙে নীলার সে এতক্ষণ রায়ান নামের ছেলেটির কথা ভাবতে ছিলো। নীলা জবাব দেয়-- আরে কিছু না এমনি ভাবছিলাম। নীলার এ কথা যেন কারো বিশ্বাস হচ্ছে না সন্দেহের সৃষ্টি তে নীলার দিকে চেয়ে আছে। বর্ষা বলেঃ তর চেহারা কিন্তু অন্য কিছু বলছে এখানে তো কোনো রহস্য আছে হুম। লাজুক হাসি মনে কোনো ছেলেকে নিয়ে ভাবা।তা ছেলেটা কে।



নীলাঃ কি যে বলিস আমি আবার কোন ছেলেকে নিয়ে ভাববো



শান্তাঃ আরে আমি বুঝতে পারছি নীলা কার প্রেমে পরেছে।

সবার নজর এখন শান্তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে এবার শান্তা একটু ভাব নিয়ে বলে-- আরে সকালের ঐ প্রথম বর্ষের নতুন ছেলেটা সাদা শার্ট। এ কথা শুনে নীলার চোখ বড় বড় হয়ে গেছে,, শান্তা কিভাবে বুঝলো। 



বৃষ্টিঃ তবে যাই বলিস নীলার সাথে ছেলেটা বেশ মানাবে। এ নিয়ে তারা সবাই আড্ডা দিচ্ছিলো। 




............




• আজ আমাদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান,, কি পরে যাব তাই ভাবতে ছি। রাজিন ভাইয়ার কাছে জিজ্ঞেস করলাম অনুষ্ঠানে কি পরে যাব।




• রাজিন ভাইয়া বল্লেন- কি আর পরে যাবা পাঞ্জাবি পরে যাও।



• আমারো ইচ্ছে ছিল আজ পাঞ্জাবি পরে যাওয়ার। যেই ভাবা সেই কাজ,, একটা কালো পাঞ্জাবি, সাদা চুরিদার, চোখে স্টুডেন্ট চশমা,, চুল গুলো ঠিক করে বেড়িয়ে পরলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্য। আজ ভার্সিটি টা অাগের চেয়ে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে ছে। মনে হচ্ছে আমি কোনো ফুলের পার্কে চলে এসেছি। পরিবেশ টা আমার কাছে খুবই মনোমুগ্ধকর হয়ে গেছে। কিছুক্ষন পর আমার সব বন্ধু রা চলে এসেছে।



• সাব্বির আমাকে দেখে বলে কি মামা তকে তু কি আর বলবো খুবই ভালো দেখাচ্ছে। সব মেয়েরা তো তকে দেখছে। আমরা যে এখানে আছি কারো চোখেই পরে না।




•আমি বল্লাম-- কি যে বলিস,, কই কেউ তো আমার দিকে চেয়ে আছে না। সব সময় শুধু মজা করিস।

হঠাৎ আমার চোখ জোরা গেটের দিকে আটকে যায়,, একটা মেয়েকে দেখে যার বর্ণনা আমি দিতে পারবো না।  তবে এখানে কোনো কবি থাকলে নিশ্চয়ই তাকে দেখে কবিতা লিখে ফেলতো। মেয়েটার পরনে কালো কালারের একটা শাড়ি,,হাতে কিছু নীল রঙের চুরি,,চুল গুলো মধ্যে রজনীগন্ধা গাঁথা,

ঠোঁটে লাল লিপস্টিক।  আমার বুকের বা পাশ 

 তো কেঁপে উঠল। কি এ অজানা অনুভূতির সৃষ্টি জানা নেই আমার। এক ধেনে চেয়ে আছি মেয়েটার দিকে সাথে তার কিছু বান্ধবী রয়েছে কিন্তু সবার চেয়ে তাকে সুন্দর লাগছে। কি মিষ্টি তার হাসি,, এ হাসি দেখে আমি তো পুরা শেষ। কিন্তু আমার বুকের বা পাশে এমন হলো কেনো এটা তো হতো,,

আমার আসে পাশে শ্রাবণী থাকলে তবে,,

না না এটা শ্রাবণী হতে যাবে কেনো কিন্তু শ্রাবণীর মতোই চেহারা কে হতে পারে এটা........... 




### চলবে###

 

( রোমান্টিক কারিগর) 



[  পর্ব গুলো দিতে দেরি হবে কারণ এই গল্পে অতটা সাপোর্ট পাই না,,সাপোর্ট পেলে প্রতিদিন ই দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ]





wait and the next part

KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪

 # গল্প :- KGF of Diamond City. ৪ # লিখা :- RAJA Bhuiyan. (মি.440) # পর্ব :- ০ ৪ ............. আকাশে তাজা সূর্যের তীব্র আলো। শকুন আর গাংচিলদ...